নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে রেকর্ড ১৯ লাখ টনের বেশি খাদ্যের মজুত রয়েছে, যা আগে কোনো দিন ছিল না। আজ বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চলমান জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এ সময় কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ১৯ লাখ টনের বেশি খাদ্যের মজুত রয়েছে। ধান সংগ্রহ এখনো চলছে, আমনেও ভালো ফলন হচ্ছে। আগে বিঘায় ১৫-১৬ মণ হতো, সেখানে এবার ২৫ মণ পর্যন্ত হয়েছে। এরপর বোরো হবে। কাজেই শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। দেশে কোনো দুর্ভিক্ষ বা খাদ্যসংকট হবে না।
‘চালের দাম যাদের জন্য অসহনীয়, তাদের জন্য সহনীয় রাখতে আমরা ওএমএস, ভিজিডি, ভিজিএফ চালু রেখেছি। মাসে ১ লাখ মেট্রিক টন করে ওএমএস দিচ্ছি, যা সারা বছর চলছে।’
এ সময় খাদ্যে অপচয় বন্ধ করতে আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘চালের দাম বাড়লে আপনারা কথা বলেন, কমলে বলেন না। পত্রিকার প্রথম পাতায় লিখছে, চালের দামে অস্থিতিশীল। আবার ৬ নম্বর পাতায় লিখছে, কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। তাহলে আমরা যাব কোন দিকে? এ ক্ষেত্রে ভারসাম্য দরকার। কৃষকদের বাঁচতে হবে। আবার ভোক্তা পর্যায়ে দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকতে হবে।’
কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘খাদ্যের নিরাপত্তা যেকোনো জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সে ক্ষেত্রে উৎপাদন থেকে বিতরণ—সব কার্যক্রমে ডিসিদের ভূমিকা থাকে। আগামী দিনগুলোতে তাঁরা যাতে আমাদের আরও বেশি সহায়তা করেন, সেই কথা বলেছি। একসময় কৃষির সঙ্গে জড়িতদের সামাজিক মর্যাদা ছিল না। কৃষি যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আধুনিক কৃষি, সেটি কেউ মনে করতেন না। কিন্তু এখন আর তা নেই। আগে এক বিঘায় চার-পাঁচ মণ ধান হতো, এখন এক বিঘায় ২০ মণ ধান হয়।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি আমাদের বিজ্ঞানীরা এমন জাত নিয়ে এসেছেন, যা থেকে বিঘাপ্রতি ৩০-৩৩ মণ ধান উৎপাদন সম্ভব। আমরা সরিষার আবাদ বাড়াতে বলেছি। আমরা ২০-২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করি ভোজ্যতেল আমদানিতে। এটিকে অর্ধেকে নামিয়ে আনছি। দেশি জাতে এক বিঘায় এক থেকে দেড় মণ সরিষা উৎপাদন হয়। নতুন উদ্ভাবিত জাতে বিঘাপ্রতি সাত-আট মণ সরিষা উৎপাদন সম্ভব।’
পতিত জমি ব্যবহার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সিলেট এলাকায় অনেক অব্যবহৃত জমি আছে। বরিশালে লবণাক্ততা ও পানি সমস্যায় ৬০ ভাগ জমি আবাদ হয় না। এসব জমি আবাদের আওতায় আনার আলোচনা হয়েছে। হাওর অঞ্চলে এমন জাত উদ্ভাবন করতে হবে; যাতে আগাম বন্যা আসার আগেই ধান কেটে ফেলা যায়। বরিশালসহ লবণাক্ত এলাকায় এমন ধানের জাত দরকার, যা লবণসহিষ্ণু হয়। এ ক্ষেত্রে নতুন নতুন কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করব।’
দেশে রেকর্ড ১৯ লাখ টনের বেশি খাদ্যের মজুত রয়েছে, যা আগে কোনো দিন ছিল না। আজ বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চলমান জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এ সময় কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ১৯ লাখ টনের বেশি খাদ্যের মজুত রয়েছে। ধান সংগ্রহ এখনো চলছে, আমনেও ভালো ফলন হচ্ছে। আগে বিঘায় ১৫-১৬ মণ হতো, সেখানে এবার ২৫ মণ পর্যন্ত হয়েছে। এরপর বোরো হবে। কাজেই শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। দেশে কোনো দুর্ভিক্ষ বা খাদ্যসংকট হবে না।
‘চালের দাম যাদের জন্য অসহনীয়, তাদের জন্য সহনীয় রাখতে আমরা ওএমএস, ভিজিডি, ভিজিএফ চালু রেখেছি। মাসে ১ লাখ মেট্রিক টন করে ওএমএস দিচ্ছি, যা সারা বছর চলছে।’
এ সময় খাদ্যে অপচয় বন্ধ করতে আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘চালের দাম বাড়লে আপনারা কথা বলেন, কমলে বলেন না। পত্রিকার প্রথম পাতায় লিখছে, চালের দামে অস্থিতিশীল। আবার ৬ নম্বর পাতায় লিখছে, কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। তাহলে আমরা যাব কোন দিকে? এ ক্ষেত্রে ভারসাম্য দরকার। কৃষকদের বাঁচতে হবে। আবার ভোক্তা পর্যায়ে দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকতে হবে।’
কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘খাদ্যের নিরাপত্তা যেকোনো জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সে ক্ষেত্রে উৎপাদন থেকে বিতরণ—সব কার্যক্রমে ডিসিদের ভূমিকা থাকে। আগামী দিনগুলোতে তাঁরা যাতে আমাদের আরও বেশি সহায়তা করেন, সেই কথা বলেছি। একসময় কৃষির সঙ্গে জড়িতদের সামাজিক মর্যাদা ছিল না। কৃষি যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আধুনিক কৃষি, সেটি কেউ মনে করতেন না। কিন্তু এখন আর তা নেই। আগে এক বিঘায় চার-পাঁচ মণ ধান হতো, এখন এক বিঘায় ২০ মণ ধান হয়।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি আমাদের বিজ্ঞানীরা এমন জাত নিয়ে এসেছেন, যা থেকে বিঘাপ্রতি ৩০-৩৩ মণ ধান উৎপাদন সম্ভব। আমরা সরিষার আবাদ বাড়াতে বলেছি। আমরা ২০-২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করি ভোজ্যতেল আমদানিতে। এটিকে অর্ধেকে নামিয়ে আনছি। দেশি জাতে এক বিঘায় এক থেকে দেড় মণ সরিষা উৎপাদন হয়। নতুন উদ্ভাবিত জাতে বিঘাপ্রতি সাত-আট মণ সরিষা উৎপাদন সম্ভব।’
পতিত জমি ব্যবহার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সিলেট এলাকায় অনেক অব্যবহৃত জমি আছে। বরিশালে লবণাক্ততা ও পানি সমস্যায় ৬০ ভাগ জমি আবাদ হয় না। এসব জমি আবাদের আওতায় আনার আলোচনা হয়েছে। হাওর অঞ্চলে এমন জাত উদ্ভাবন করতে হবে; যাতে আগাম বন্যা আসার আগেই ধান কেটে ফেলা যায়। বরিশালসহ লবণাক্ত এলাকায় এমন ধানের জাত দরকার, যা লবণসহিষ্ণু হয়। এ ক্ষেত্রে নতুন নতুন কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করব।’
শাকসবজি ও ফল সংরক্ষণের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পরিবেশবান্ধব সৌর প্রযুক্তির সহায়তায় ১০০টি ‘ফারমার্স মিনি কোল্ডস্টোরেজ’ স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। চলতি বছরে এগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেমেট্রোরেলের র্যাপিড পাস কার্ড এবার থেকে অনলাইনেই রিচার্জ করতে পারবে যাত্রীরা। তারা ঘরে বসেই র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে সহজে রিচার্জ করতে পারবে। ফলে যাত্রীদের আর স্টেশনে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে রিচার্জ করার ধকল পোহাতে হবে না।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ এক্সিকিউটিভ বিজনেস গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ আহ্বান জানান তিনি...
৬ ঘণ্টা আগেপ্রকাশ্যে জোর করে এক বৃদ্ধের চুল ও চুলের জট কেটে দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। এ ধরনের আচরণ ‘বেআইনি ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ এবং ‘ব্যক্তির মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত’ বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনটি।
৮ ঘণ্টা আগে