নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন জুলাই আন্দোলনে আহতদের একাংশ। এই আহত ব্যক্তিদের অভিযোগ, তাঁদের দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘নজর নেই’। এর আগে আন্দোলন করা আহত ব্যক্তিদের আরেকটি অংশকে ‘দালাল’ বলেও আখ্যায়িত করেছেন তাঁরা।
গত বুধবার অবস্থান শুরু করার পর গতকাল বিকেলেও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে বসে ছিলেন ২৫-৩০ জন আহত ব্যক্তি। নিরাপত্তার জন্য তাঁদের আশপাশে ছিলেন সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা। খবর সংগ্রহের জন্য দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও সেখানে আসা-যাওয়া করছিলেন।
জুলাই আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের এ অংশের মূলত তিনটি দাবি। এগুলো হলো চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘বৈষম্য দূর করতে’ আহত ব্যক্তিদের ক্যাটাগরি তিনটির পরিবর্তে দুটি করা, অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য আইন করা এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের সেবা নিশ্চিত করতে ফোনের হটলাইন নম্বর চালু করা।
আন্দোলনকারীরা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পর্যাপ্ত সহায়তার দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এর মধ্যে ছিল ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’, ‘দাবি মোদের একটা, ক্যাটাগরি দুইটা’, ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেও ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আহত ব্যক্তিদের তিনটি ক্যাটাগরির মধ্যে তাঁদের ‘সি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। তাঁরা মনে করেন এই ক্যাটাগরির বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট নয়। কারণ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ক্যাটাগরিতে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের চাকরি দেওয়া হবে।
অবস্থান কর্মসূচি পালনকারীদের প্রশ্ন, বেশি বয়স্ক আহত ব্যক্তিদের কীভাবে চাকরি দেওয়া হবে? এ জন্য তাঁরা ‘এ’ ও ‘বি’—শুধু এই দুই ক্যাটাগরি রাখার দাবি করছেন।
বুধবার থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে বসে থাকা আহতদের একজন জানান, আন্দোলনের সময় মহাখালীতে তাঁর ডান হাতে গুলি লেগে বেরিয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই দুটো ক্যাটাগরি হোক। যাঁরা আহত হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন, অর্থাৎ পঙ্গু হয়েছেন, তাঁদের ‘এ’ এবং যাঁরা আহত হওয়ার পরও কর্মক্ষম তাঁদের ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হোক।’
জুলাই আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের ৬ মাস ধরে সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ সাত দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। তাঁরা এর আগে বিভিন্ন সময় স্বীকৃতি ও পুনর্বাসনের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ ও শ্যামলীর সড়কে অবস্থান নেন এবং প্রধান উপদেষ্টার আগের কার্যালয় ও বাসভবন যমুনা অবরোধ করেন।
আহত ব্যক্তিদের আরেকটি অংশ ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহর কাছ থেকে কিছু দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে সেদিন রাতে তাঁরা হাসপাতালে ফিরে যান।
আহত ব্যক্তিদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি আবাসনের ব্যবস্থা করা, পরিচয়পত্র দেওয়া ও রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করা, যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করা, বিনা মূল্যে বিমান, রেল ও বাসে চলাচলের ব্যবস্থা করা, যানবাহন কেনায় শুল্ক-কর মওকুফ, রাষ্ট্রীয় অতিথিশালাগুলো ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া ইত্যাদি।
নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন জুলাই আন্দোলনে আহতদের একাংশ। এই আহত ব্যক্তিদের অভিযোগ, তাঁদের দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘নজর নেই’। এর আগে আন্দোলন করা আহত ব্যক্তিদের আরেকটি অংশকে ‘দালাল’ বলেও আখ্যায়িত করেছেন তাঁরা।
গত বুধবার অবস্থান শুরু করার পর গতকাল বিকেলেও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে বসে ছিলেন ২৫-৩০ জন আহত ব্যক্তি। নিরাপত্তার জন্য তাঁদের আশপাশে ছিলেন সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা। খবর সংগ্রহের জন্য দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও সেখানে আসা-যাওয়া করছিলেন।
জুলাই আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের এ অংশের মূলত তিনটি দাবি। এগুলো হলো চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘বৈষম্য দূর করতে’ আহত ব্যক্তিদের ক্যাটাগরি তিনটির পরিবর্তে দুটি করা, অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য আইন করা এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের সেবা নিশ্চিত করতে ফোনের হটলাইন নম্বর চালু করা।
আন্দোলনকারীরা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পর্যাপ্ত সহায়তার দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এর মধ্যে ছিল ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’, ‘দাবি মোদের একটা, ক্যাটাগরি দুইটা’, ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেও ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আহত ব্যক্তিদের তিনটি ক্যাটাগরির মধ্যে তাঁদের ‘সি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। তাঁরা মনে করেন এই ক্যাটাগরির বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট নয়। কারণ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ক্যাটাগরিতে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের চাকরি দেওয়া হবে।
অবস্থান কর্মসূচি পালনকারীদের প্রশ্ন, বেশি বয়স্ক আহত ব্যক্তিদের কীভাবে চাকরি দেওয়া হবে? এ জন্য তাঁরা ‘এ’ ও ‘বি’—শুধু এই দুই ক্যাটাগরি রাখার দাবি করছেন।
বুধবার থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে বসে থাকা আহতদের একজন জানান, আন্দোলনের সময় মহাখালীতে তাঁর ডান হাতে গুলি লেগে বেরিয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই দুটো ক্যাটাগরি হোক। যাঁরা আহত হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন, অর্থাৎ পঙ্গু হয়েছেন, তাঁদের ‘এ’ এবং যাঁরা আহত হওয়ার পরও কর্মক্ষম তাঁদের ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হোক।’
জুলাই আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের ৬ মাস ধরে সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ সাত দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। তাঁরা এর আগে বিভিন্ন সময় স্বীকৃতি ও পুনর্বাসনের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ ও শ্যামলীর সড়কে অবস্থান নেন এবং প্রধান উপদেষ্টার আগের কার্যালয় ও বাসভবন যমুনা অবরোধ করেন।
আহত ব্যক্তিদের আরেকটি অংশ ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহর কাছ থেকে কিছু দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে সেদিন রাতে তাঁরা হাসপাতালে ফিরে যান।
আহত ব্যক্তিদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি আবাসনের ব্যবস্থা করা, পরিচয়পত্র দেওয়া ও রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করা, যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করা, বিনা মূল্যে বিমান, রেল ও বাসে চলাচলের ব্যবস্থা করা, যানবাহন কেনায় শুল্ক-কর মওকুফ, রাষ্ট্রীয় অতিথিশালাগুলো ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া ইত্যাদি।
বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকে পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন; শুধু এই অভিযোগে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। কিন্তু কোনো বিবেকসম্পন্ন ব্যক্তির, এমন নির্মম নির্যাতন ও অমানবিকভাবে কাউকে হত্যা করার যুক্তি হতে...
৪ ঘণ্টা আগেকলেজছাত্রীকে ইভটিজিং করে ফেসবুকে ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির ডেমরা থানা-পুলিশ। শনিবার (৩ মে) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় ডেমরা সারুলিয়া বাজার এলাকা হতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলোন— মো. রোমান সিকদার (২০) ও শুভ হাওলাদার (২০)।
৬ ঘণ্টা আগেনারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে ডাকা হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে জুলাইয়ের সম্মুখসারির নারীদের নোংরা ভাষায় গালি-গালাজের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব রিফাত রশিদ।
৭ ঘণ্টা আগেনারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাতিল করা হলে অন্য কমিশনগুলোর রিপোর্টও বাতিলযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। শনিবার (৩ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
৭ ঘণ্টা আগে