জুলাই-আগস্ট গণহত্যা
এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
সারা দেশে গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে পবিত্র ঈদুল আজহার পর। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আজ সোমবার প্রসিকিউশনের কাছে অভিযোগ দাখিল করবে তদন্ত সংস্থা। প্রসিকিউশন যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে আগামী মাসের (জুন) প্রথম সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দাখিল করবে। এরপর শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া।
ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম গত ২০ এপ্রিল জানিয়েছিলেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ পর্যায়ে। এসব অপরাধ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে, সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির মাধ্যমে শেখ হাসিনা তাঁর মন্ত্রিপরিষদ, পুলিশ বাহিনীসহ সবাইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁরা এই পরিকল্পনা সাজানো থেকে শুরু করে মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নে কাজ করেছেন।
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, জুলাই-আগস্টের ঘটনায় ১০ এপ্রিল পর্যন্ত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ৩৩০টি অভিযোগ জমা পড়েছে ট্রাইব্যুনালে। এর প্রায় সব অভিযোগেই শেখ হাসিনার নাম রয়েছে। এ ছাড়া শুধু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটি বিবিধ মামলা হয়েছে ট্রাইব্যুনালে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, তদন্ত সংস্থা প্রসিকিউশনের কাছে অভিযোগ দাখিলের পর সেটা যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে তাঁরা জুনের প্রথম সপ্তাহের দিকে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করতে পারবেন বলে আশা করছেন। এরপর ঈদের ছুটি শুরু হবে। তাই আনুষ্ঠানিক বিচারপ্রক্রিয়া ঈদুল আজহার ছুটির পর শুরু হতে পারে। শেখ হাসিনা ছিলেন গণহত্যার নির্দেশদাতা, যা সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যরা বাস্তবায়ন করেছেন। তাঁদের নির্দেশনাসংক্রান্ত নানা কল রেকর্ড এবং অডিও-ভিডিও সংগ্রহ করা হয়েছে, যা ফরেনসিক করেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জুলাই-আগস্টের ঘটনায় জমা পড়া ৩৩০টি অভিযোগের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ৩৯টির বিষয়ে তদন্ত শুরু করে তদন্ত সংস্থা। এর মধ্যে চানখাঁরপুলে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আট পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র দিয়েছে তদন্ত সংস্থা। ২২ এপ্রিল সময় চাইলে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের জন্য ২৫ মে দিন ধার্য করা হয়।
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন কার্যালয়ে অভিযোগ জমা দেওয়ার পর অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ট্রাইব্যুনালে ২২টি মিসকেস (বিবিধ মামলা) করা হয় প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আসামি করা হয় ১৪১ জনকে। পরোয়ানা জারির পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫৪ জনকে। ৮৭ জন পলাতক রয়েছেন। আসামিদের মধ্যে বেসামরিক ব্যক্তি রয়েছেন ৭০ জন, পুলিশ সদস্য ৬২ জন এবং সামরিক বাহিনীর সদস্য ৯ জন।
সারা দেশে গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে পবিত্র ঈদুল আজহার পর। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আজ সোমবার প্রসিকিউশনের কাছে অভিযোগ দাখিল করবে তদন্ত সংস্থা। প্রসিকিউশন যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে আগামী মাসের (জুন) প্রথম সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দাখিল করবে। এরপর শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া।
ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম গত ২০ এপ্রিল জানিয়েছিলেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ পর্যায়ে। এসব অপরাধ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে, সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির মাধ্যমে শেখ হাসিনা তাঁর মন্ত্রিপরিষদ, পুলিশ বাহিনীসহ সবাইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁরা এই পরিকল্পনা সাজানো থেকে শুরু করে মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নে কাজ করেছেন।
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, জুলাই-আগস্টের ঘটনায় ১০ এপ্রিল পর্যন্ত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ৩৩০টি অভিযোগ জমা পড়েছে ট্রাইব্যুনালে। এর প্রায় সব অভিযোগেই শেখ হাসিনার নাম রয়েছে। এ ছাড়া শুধু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটি বিবিধ মামলা হয়েছে ট্রাইব্যুনালে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, তদন্ত সংস্থা প্রসিকিউশনের কাছে অভিযোগ দাখিলের পর সেটা যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে তাঁরা জুনের প্রথম সপ্তাহের দিকে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করতে পারবেন বলে আশা করছেন। এরপর ঈদের ছুটি শুরু হবে। তাই আনুষ্ঠানিক বিচারপ্রক্রিয়া ঈদুল আজহার ছুটির পর শুরু হতে পারে। শেখ হাসিনা ছিলেন গণহত্যার নির্দেশদাতা, যা সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যরা বাস্তবায়ন করেছেন। তাঁদের নির্দেশনাসংক্রান্ত নানা কল রেকর্ড এবং অডিও-ভিডিও সংগ্রহ করা হয়েছে, যা ফরেনসিক করেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জুলাই-আগস্টের ঘটনায় জমা পড়া ৩৩০টি অভিযোগের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ৩৯টির বিষয়ে তদন্ত শুরু করে তদন্ত সংস্থা। এর মধ্যে চানখাঁরপুলে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আট পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র দিয়েছে তদন্ত সংস্থা। ২২ এপ্রিল সময় চাইলে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের জন্য ২৫ মে দিন ধার্য করা হয়।
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন কার্যালয়ে অভিযোগ জমা দেওয়ার পর অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ট্রাইব্যুনালে ২২টি মিসকেস (বিবিধ মামলা) করা হয় প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আসামি করা হয় ১৪১ জনকে। পরোয়ানা জারির পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫৪ জনকে। ৮৭ জন পলাতক রয়েছেন। আসামিদের মধ্যে বেসামরিক ব্যক্তি রয়েছেন ৭০ জন, পুলিশ সদস্য ৬২ জন এবং সামরিক বাহিনীর সদস্য ৯ জন।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থাতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে
৪১ মিনিট আগেসব ঠিক থাকলে মাস ছয়েক পরে জাতীয় নির্বাচন। প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার পর জোরেশোরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচনের কাজে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা। পুলিশও প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের দায়িত্ব পালনে। এ জন্য ভোটের মাঠে যেসব উপপরিদর্শক (এসআই) ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দায়িত্ব পালন করবেন,
১ ঘণ্টা আগেগত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
৬ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গণমাধ্যমে স্বচ্ছতা, সুরক্ষা ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে এই মূল্যবোধ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধির জন্য সব অংশীজনের একসঙ্গে কাজ করা দরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো গণমাধ্যমে সম্পাদকীয়, পরিচালনাগত বা ব্যবসায়িক দিকগুলোতে হস্তক্ষেপ করেনি।
৭ ঘণ্টা আগে