নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, তাঁর কমিশন একটি ‘আয়নার মতো স্বচ্ছ’ নির্বাচন আয়োজন করতে চায় এবং এ জন্য সবার সহযোগিতা অপরিহার্য। নির্বাচন ভবনে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপে তিনি এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপে স্বাগত বক্তব্যে সিইসি বলেন, ‘আজকের এই সংলাপ কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং মিডিয়ার মতামত নিয়েই নির্বাচন কমিশন সামনে এগিয়ে যেতে চায়।’ তিনি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য বারবার তাগিদ দেন এবং সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টিতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।
সিইসি উল্লেখ করেন, সংস্কার কমিশনের তৎপরতার কারণে তাঁদের নিজস্ব সংলাপ শুরু করতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সংস্কার কমিশন আমাদের কাজকে হালকা করে দিয়েছে। তারা বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনা করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে ব্যস্ত রয়েছে। তাই আমাদের সংলাপ একটু দেরিতে হচ্ছে।’
গণমাধ্যমকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার ‘পার্টনার’ হিসেবে উল্লেখ করে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমান সময়ে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা), মিসইনফরমেশন (ভুল তথ্য) এবং ডিসইনফরমেশন (বিদ্বেষমূলক বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা তথ্য)—এই তিনটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মিডিয়ার গুরুত্ব অনেক।’ তিনি বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে কমিশন স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।’
দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নির্বাচন কমিশন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করেছে বলে জানান সিইসি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কাজের মধ্যে তিনি বলেন, সফলভাবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে; ২১ লাখের বেশি মৃত ভোটার চিহ্নিত করা হয়েছে। সিইসি উল্লেখ করেন, মিডিয়ায় এমন খবর দেখা গিয়েছিল যে এদের অনেকে ভোট দিয়ে যেতেন।
এ ছাড়া ৪৩ লাখের বেশি ভোটাযোগ্য নাগরিককে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান সিইসি।
তিনি জানান, নারী-পুরুষ ভোটারের ব্যবধান যা পূর্বে ৩০ লাখ ছিল, তা কমিয়ে ১৮ লাখে নামিয়ে আনা হয়েছে। সিইসি মনে করেন, এতে প্রমাণিত হয় নারী ভোটাররা ভোটার হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন, কিন্তু কমিশন সেই আগ্রহ ফিরিয়ে আনতে ‘আলোড়ন সৃষ্টি করতে পেরেছে’।
সেই সঙ্গে প্রবাসীদের ভোট এবং ১০ লাখ নতুন ভোটার যুক্ত করার উদ্যোগের কথাও বলেন সিইসি।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘কমিশন ভোট দেওয়ার আওতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করে প্রবাসীদের জন্য আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ভোটের দায়িত্বে থাকা প্রায় ১০ লাখ লোক—যার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সরকারি চাকরিজীবী, এবং হাজতিরা রয়েছেন—তাদের ভোটের আওতায় আনা হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এবার এটা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি, আইনে আগেও ছিল।’
সিইসি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন করতে পারব না, এটা সাফ সাফ কথা।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, কমিশনের কোনো কাজ গোপনীয় নয় এবং তারা চায় বিশ্ববাসী এই স্বচ্ছ প্রক্রিয়া দেখুক।
ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজের সঞ্চালনায় এই সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, তাঁর কমিশন একটি ‘আয়নার মতো স্বচ্ছ’ নির্বাচন আয়োজন করতে চায় এবং এ জন্য সবার সহযোগিতা অপরিহার্য। নির্বাচন ভবনে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপে তিনি এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপে স্বাগত বক্তব্যে সিইসি বলেন, ‘আজকের এই সংলাপ কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং মিডিয়ার মতামত নিয়েই নির্বাচন কমিশন সামনে এগিয়ে যেতে চায়।’ তিনি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য বারবার তাগিদ দেন এবং সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টিতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।
সিইসি উল্লেখ করেন, সংস্কার কমিশনের তৎপরতার কারণে তাঁদের নিজস্ব সংলাপ শুরু করতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সংস্কার কমিশন আমাদের কাজকে হালকা করে দিয়েছে। তারা বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনা করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে ব্যস্ত রয়েছে। তাই আমাদের সংলাপ একটু দেরিতে হচ্ছে।’
গণমাধ্যমকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার ‘পার্টনার’ হিসেবে উল্লেখ করে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমান সময়ে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা), মিসইনফরমেশন (ভুল তথ্য) এবং ডিসইনফরমেশন (বিদ্বেষমূলক বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা তথ্য)—এই তিনটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মিডিয়ার গুরুত্ব অনেক।’ তিনি বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে কমিশন স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।’
দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নির্বাচন কমিশন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করেছে বলে জানান সিইসি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কাজের মধ্যে তিনি বলেন, সফলভাবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে; ২১ লাখের বেশি মৃত ভোটার চিহ্নিত করা হয়েছে। সিইসি উল্লেখ করেন, মিডিয়ায় এমন খবর দেখা গিয়েছিল যে এদের অনেকে ভোট দিয়ে যেতেন।
এ ছাড়া ৪৩ লাখের বেশি ভোটাযোগ্য নাগরিককে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান সিইসি।
তিনি জানান, নারী-পুরুষ ভোটারের ব্যবধান যা পূর্বে ৩০ লাখ ছিল, তা কমিয়ে ১৮ লাখে নামিয়ে আনা হয়েছে। সিইসি মনে করেন, এতে প্রমাণিত হয় নারী ভোটাররা ভোটার হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন, কিন্তু কমিশন সেই আগ্রহ ফিরিয়ে আনতে ‘আলোড়ন সৃষ্টি করতে পেরেছে’।
সেই সঙ্গে প্রবাসীদের ভোট এবং ১০ লাখ নতুন ভোটার যুক্ত করার উদ্যোগের কথাও বলেন সিইসি।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘কমিশন ভোট দেওয়ার আওতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করে প্রবাসীদের জন্য আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ভোটের দায়িত্বে থাকা প্রায় ১০ লাখ লোক—যার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সরকারি চাকরিজীবী, এবং হাজতিরা রয়েছেন—তাদের ভোটের আওতায় আনা হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এবার এটা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি, আইনে আগেও ছিল।’
সিইসি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন করতে পারব না, এটা সাফ সাফ কথা।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, কমিশনের কোনো কাজ গোপনীয় নয় এবং তারা চায় বিশ্ববাসী এই স্বচ্ছ প্রক্রিয়া দেখুক।
ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজের সঞ্চালনায় এই সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হওয়ার পর মুক্তি পেয়েছেন আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম। ফিলিস্তিন সংহতি অভিযানে যোগ দেওয়ার পর তাঁকে আটক করা হয়। আজ শুক্রবার (১০ অক্টোবর) মুক্তি পাওয়ার পর তিনি আগামীকাল শনিবার ভোরে ঢাকায় পৌঁছাবেন।
১০ মিনিট আগেবর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে সর্বদা বদ্ধপরিকর বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এ দেশে কোনো ধর্মীয় বিভেদ নেই। সবাই নিজ নিজ ধর্ম পালন করে যাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেফয়েজ আহমদ বলেন, ‘অ্যাড্রেস ম্যানেজমেন্টের (ঠিকানা ব্যবস্থাপনা) বর্তমান স্ট্রাকচার ডিজিটাল ইকোনমিক জন্য উপযোগী নয়। তাই বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অ্যাড্রেস ম্যানেজমেন্টকে ডিজিটাল করার চেষ্টা চলছে; যেখানে এরিয়া কোড, স্ট্রিট কোড এবং হাউস কোডগুলো সমন্বিত করা হবে। অ্যাড্রেসের..
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের জানাজা আগামীকাল শনিবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। আজ শুক্রবার জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান এ তথ্য জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে