আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই পুলিশকে স্বাধীন ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য পদক্ষেপ নিতে প্রস্তাব দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এ জন্য তাঁরা দ্রুত স্বাধীন কমিশন গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জোর দাবি জানান।
পুলিশ সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ‘স্বাধীন কমিশন’ গঠনের বিষয়টি গুরুত্ব না পাওয়ায় ও আলোচনা না হওয়ায় অনেক কর্মকর্তা এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর রাজারবাগে পুলিশ সপ্তাহে প্রধান উপদেষ্টার কাছে ‘স্বাধীন কমিশন’ গঠনের জোর দাবি জানান তাঁরা। পুলিশ সপ্তাহের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিনের আয়োজনে পুলিশ সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন দাবিদাওয়া জানান। তার মধ্যে ‘স্বাধীন কমিশন’ গঠন ছিল অন্যতম।
রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম। এরপর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বক্তব্য দেন। তারপর দুজন পুলিশ সদস্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের দাবি বা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তাঁরা বিশেষ ভাতা ও স্বাধীন কমিশনের দাবি করেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকা জেলার নারী পুলিশ কনস্টেবল সামিয়া স্বর্ণা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ বাড়তি ভাতা দাবি করেন। তিনি বলেন, সাপ্তাহিক, জাতীয় বিশেষ দিন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানসহ বছরে প্রায় ১২৯ দিনের বেশি ছুটি থাকে। সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী-কর্মকর্তারা এসব ছুটি ভোগ করলেও পুলিশ এসব ছুটি পায় না। এসব দিনে আরও বাড়তি ডিউটি করতে হয়। এ ছাড়া পুলিশের কোনো কর্মঘণ্টা নির্ধারণ নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করেন তাঁরা। কিন্তু তাঁরা বাড়তি কোনো ভাতা পান না। তাই সকল পুলিশ সদস্যকে এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ ভাতা দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এরপরই পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে স্বাধীন কমিশন গঠনের দাবি জানান পুলিশ সদর দপ্তরের এএসপি মো. আল আসাদ। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হলে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। কিন্তু পুলিশ সংস্কার কমিশনে বিষয়টি সেভাবে আসেনি। স্বাধীন কমিশন গঠনের বিষয়ে তাঁরা আরও বিশদ আলোচনার কথা বলেছেন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনেও স্বাধীন কমিশন নিয়ে আলোচনা হয়নি। তবে পুলিশকে স্বাধীন ও প্রভাবমুক্ত একটি পরিচ্ছন্ন বাহিনী করতে হলে এখনই স্বাধীন কমিশন গঠন করা প্রয়োজন।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের দাবি মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং এই দাবি যৌক্তিক বলে তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন। প্রতিটি দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বক্তব্য শেষে মঞ্চ থেকে নেমে বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির স্টল উদ্বোধন ও পরিদর্শন করে রাজারবাগ থেকে বিদায় নেন। তিনি ৪৫ মিনিট রাজারবাগে ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা চলে যাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পুলিশের বিভিন্ন পদের কর্মকর্তারা সমস্যা, সংকট, ক্ষোভ ও কষ্টের কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান পুলিশ ক্যাডার বা এএসপি পদে অবিবাহিতদের নিয়োগের প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ হওয়ার আগেই প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শারীরিক উচ্চতা, ফিটনেস এগুলো দেখা উচিত। তাঁরা পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ পাওয়ার পর এসব কর্মকাণ্ড গ্রহণ করা হয়।
মতবিনিময় সভায় আরও কথা বলেন বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল (ভারপ্রাপ্ত) ব্যারিস্টার মো. জিল্লুর রহমান। তিনি আবাসন, গাড়ির সংকট নিয়ে কথা বলেন।
এ ছাড়া কিছু অর্থঋণ আদালত বন্ধ রয়েছে। এ কারণে পুলিশের কাজ করতে সমস্যা হয় বলেও পুলিশ কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সমাধানের প্রস্তাব দেন।
খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) মো. জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালগুলোর উন্নয়ন করতে হবে। যাতে সেবা বাড়ানো যায়।
একজন সার্জেন্ট ট্রাফিক পুলিশের ভাতা চালুর প্রস্তাব করেন। এরপর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও থানা পরিদর্শন করি। পরিদর্শনকালে পুলিশের বিভিন্ন সমস্যা আমার নজরে আসে। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রকট হচ্ছে অধস্তন ফোর্সদের থাকা ও খাওয়ার সমস্যা।’ তিনি বলেন, পুলিশের যানবাহন সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। থানার জন্য ২০০টি পিকআপ ভ্যান ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলছে, যা আজ ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে উঠবে। এসবসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কাজ করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ব্যাপকভাবে জনবল বৃদ্ধি, গ্রাম পুলিশকে থানার অধীন করা, সার্কেল অফিসে বাজেট প্রদান ও নারী পুলিশের জন্য টয়লেট ও চেঞ্জ রুমের ব্যবস্থা করার দাবি জানান পুলিশ সদস্যরা।
এরপর বিকেলে পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। গত ১৭ মার্চ বাংলাদেশ পুলিশের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কার্যালয়ে ৩৯ মিনিট দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে ২১ দফা নির্দেশনা ছিল। সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৯৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য ২১টি দলে বিভক্ত হয়ে অংশ নেন। এতে ৩টি প্রতিপাদ্য এবং ৬টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিপাদ্য ৩ বিষয়ের মধ্যে রয়েছে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জনকল্যাণে শৃঙ্খলা, অংশীদারত্ব ও দায়িত্বশীল পুলিশি ব্যবস্থা; ইতিবাচক মনোভাব ও জনবান্ধব আচরণের মাধ্যমে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার এবং দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে পুলিশের ভূমিকা।
কর্মশালায় নির্ধারিত ৬টি লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও কাজের পরিবেশ সৃষ্টি; পরাজিত শক্তির উসকানি, অপপ্রচার, শৃঙ্খলাভঙ্গ ও শান্তি বিনষ্টকারীদের অপচেষ্টা প্রতিরোধ; ‘পুলিশ খারাপ না’ দেখিয়ে দেওয়ার অন্ধকার যুগের চিন্তা এবং খারাপ নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে আসা; সব নাগরিকের আশ্রয়দাতা হয়ে পুলিশের পজিটিভ ইমেজ তৈরি; সামনের নির্বাচনে পুলিশ কোনো রকম চাপ, শক্তি বা হস্তক্ষেপের কাছে মাথা নত না করে আইনানুগভাবে দায়িত্ব পালন এবং নির্বাচন এগোনোর পাশাপাশি বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার তীব্রতর হওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশকে ফ্রন্ট ফোর্সসংক্রান্ত বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার শনাক্ত করে সত্য তুলে ধরার কথা বলা হয়েছে।
এরপর এসবির একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। পুলিশের এই বিশেষ শাখা তাদের কর্মপরিকল্পনার কথা জানায় প্রেজেন্টেশনে।
এর আগে সকালে ৬২ জন পুলিশ সদস্যকে বিপিএম-পিপিএম পদকে ভূষিত করা হয়।
এবারের পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে বাইরের কোনো অতিথিকে নিমন্ত্রণ করা হয়নি। তবে উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা ও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
আরও খবর পড়ুন:

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই পুলিশকে স্বাধীন ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য পদক্ষেপ নিতে প্রস্তাব দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এ জন্য তাঁরা দ্রুত স্বাধীন কমিশন গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জোর দাবি জানান।
পুলিশ সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ‘স্বাধীন কমিশন’ গঠনের বিষয়টি গুরুত্ব না পাওয়ায় ও আলোচনা না হওয়ায় অনেক কর্মকর্তা এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর রাজারবাগে পুলিশ সপ্তাহে প্রধান উপদেষ্টার কাছে ‘স্বাধীন কমিশন’ গঠনের জোর দাবি জানান তাঁরা। পুলিশ সপ্তাহের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিনের আয়োজনে পুলিশ সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন দাবিদাওয়া জানান। তার মধ্যে ‘স্বাধীন কমিশন’ গঠন ছিল অন্যতম।
রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম। এরপর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বক্তব্য দেন। তারপর দুজন পুলিশ সদস্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের দাবি বা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তাঁরা বিশেষ ভাতা ও স্বাধীন কমিশনের দাবি করেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকা জেলার নারী পুলিশ কনস্টেবল সামিয়া স্বর্ণা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ বাড়তি ভাতা দাবি করেন। তিনি বলেন, সাপ্তাহিক, জাতীয় বিশেষ দিন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানসহ বছরে প্রায় ১২৯ দিনের বেশি ছুটি থাকে। সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী-কর্মকর্তারা এসব ছুটি ভোগ করলেও পুলিশ এসব ছুটি পায় না। এসব দিনে আরও বাড়তি ডিউটি করতে হয়। এ ছাড়া পুলিশের কোনো কর্মঘণ্টা নির্ধারণ নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করেন তাঁরা। কিন্তু তাঁরা বাড়তি কোনো ভাতা পান না। তাই সকল পুলিশ সদস্যকে এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ ভাতা দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এরপরই পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে স্বাধীন কমিশন গঠনের দাবি জানান পুলিশ সদর দপ্তরের এএসপি মো. আল আসাদ। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হলে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। কিন্তু পুলিশ সংস্কার কমিশনে বিষয়টি সেভাবে আসেনি। স্বাধীন কমিশন গঠনের বিষয়ে তাঁরা আরও বিশদ আলোচনার কথা বলেছেন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনেও স্বাধীন কমিশন নিয়ে আলোচনা হয়নি। তবে পুলিশকে স্বাধীন ও প্রভাবমুক্ত একটি পরিচ্ছন্ন বাহিনী করতে হলে এখনই স্বাধীন কমিশন গঠন করা প্রয়োজন।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের দাবি মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং এই দাবি যৌক্তিক বলে তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন। প্রতিটি দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বক্তব্য শেষে মঞ্চ থেকে নেমে বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির স্টল উদ্বোধন ও পরিদর্শন করে রাজারবাগ থেকে বিদায় নেন। তিনি ৪৫ মিনিট রাজারবাগে ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা চলে যাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পুলিশের বিভিন্ন পদের কর্মকর্তারা সমস্যা, সংকট, ক্ষোভ ও কষ্টের কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান পুলিশ ক্যাডার বা এএসপি পদে অবিবাহিতদের নিয়োগের প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ হওয়ার আগেই প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শারীরিক উচ্চতা, ফিটনেস এগুলো দেখা উচিত। তাঁরা পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ পাওয়ার পর এসব কর্মকাণ্ড গ্রহণ করা হয়।
মতবিনিময় সভায় আরও কথা বলেন বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল (ভারপ্রাপ্ত) ব্যারিস্টার মো. জিল্লুর রহমান। তিনি আবাসন, গাড়ির সংকট নিয়ে কথা বলেন।
এ ছাড়া কিছু অর্থঋণ আদালত বন্ধ রয়েছে। এ কারণে পুলিশের কাজ করতে সমস্যা হয় বলেও পুলিশ কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সমাধানের প্রস্তাব দেন।
খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) মো. জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালগুলোর উন্নয়ন করতে হবে। যাতে সেবা বাড়ানো যায়।
একজন সার্জেন্ট ট্রাফিক পুলিশের ভাতা চালুর প্রস্তাব করেন। এরপর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও থানা পরিদর্শন করি। পরিদর্শনকালে পুলিশের বিভিন্ন সমস্যা আমার নজরে আসে। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রকট হচ্ছে অধস্তন ফোর্সদের থাকা ও খাওয়ার সমস্যা।’ তিনি বলেন, পুলিশের যানবাহন সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। থানার জন্য ২০০টি পিকআপ ভ্যান ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলছে, যা আজ ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে উঠবে। এসবসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কাজ করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ব্যাপকভাবে জনবল বৃদ্ধি, গ্রাম পুলিশকে থানার অধীন করা, সার্কেল অফিসে বাজেট প্রদান ও নারী পুলিশের জন্য টয়লেট ও চেঞ্জ রুমের ব্যবস্থা করার দাবি জানান পুলিশ সদস্যরা।
এরপর বিকেলে পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। গত ১৭ মার্চ বাংলাদেশ পুলিশের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কার্যালয়ে ৩৯ মিনিট দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে ২১ দফা নির্দেশনা ছিল। সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৯৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য ২১টি দলে বিভক্ত হয়ে অংশ নেন। এতে ৩টি প্রতিপাদ্য এবং ৬টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিপাদ্য ৩ বিষয়ের মধ্যে রয়েছে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জনকল্যাণে শৃঙ্খলা, অংশীদারত্ব ও দায়িত্বশীল পুলিশি ব্যবস্থা; ইতিবাচক মনোভাব ও জনবান্ধব আচরণের মাধ্যমে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার এবং দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে পুলিশের ভূমিকা।
কর্মশালায় নির্ধারিত ৬টি লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও কাজের পরিবেশ সৃষ্টি; পরাজিত শক্তির উসকানি, অপপ্রচার, শৃঙ্খলাভঙ্গ ও শান্তি বিনষ্টকারীদের অপচেষ্টা প্রতিরোধ; ‘পুলিশ খারাপ না’ দেখিয়ে দেওয়ার অন্ধকার যুগের চিন্তা এবং খারাপ নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে আসা; সব নাগরিকের আশ্রয়দাতা হয়ে পুলিশের পজিটিভ ইমেজ তৈরি; সামনের নির্বাচনে পুলিশ কোনো রকম চাপ, শক্তি বা হস্তক্ষেপের কাছে মাথা নত না করে আইনানুগভাবে দায়িত্ব পালন এবং নির্বাচন এগোনোর পাশাপাশি বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার তীব্রতর হওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশকে ফ্রন্ট ফোর্সসংক্রান্ত বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার শনাক্ত করে সত্য তুলে ধরার কথা বলা হয়েছে।
এরপর এসবির একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। পুলিশের এই বিশেষ শাখা তাদের কর্মপরিকল্পনার কথা জানায় প্রেজেন্টেশনে।
এর আগে সকালে ৬২ জন পুলিশ সদস্যকে বিপিএম-পিপিএম পদকে ভূষিত করা হয়।
এবারের পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে বাইরের কোনো অতিথিকে নিমন্ত্রণ করা হয়নি। তবে উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা ও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
আরও খবর পড়ুন:

প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
১২ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া
১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, পছন্দসই পদায়নের জন্য রাজনৈতিক পদলেহন পরিহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আইন বৃহত্তর রাজনীতির একটা অঙ্গ হলেও বিচারকদের রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠার প্রয়াস রপ্ত করতে হয়। কেবল ক্ষমতাবান শাসকশ্রেণির পক্ষে প্রয়োজনীয় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব নিলে বিচার বিভাগের আলাদা কোনো অস্তিত্বেরই প্রয়োজন নেই। সে কাজের জন্য নির্বাহী বিভাগ ও পুলিশই যথেষ্ট। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ভিত্তি যে আদর্শকেই ধারণ করে গড়ে ওঠুক না কেন, বিচারকদের সুনীতি ও সুবিবেচনা বজায় রেখে কাজ করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আজ রোববার জেলা ও মহানগর দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে দেওয়া বিদায়ী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গত বছরের ১১ আগস্ট ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন রেফাত আহমেদ। অবসর নেওয়ার আগে আজ বিদায়ী ভাষণ দেন তিনি। ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন রেফাত আহমেদ।
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে। শুনানিকালে কোনো বিশেষ পদবিধারী ব্যক্তি বা ক্ষমতাবান পক্ষকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া বিচারকের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত নয়।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘এই পৃথক সচিবালয় (সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়) প্রতিষ্ঠার কোনো স্বার্থকতা নেই, যদি না আমরা ব্যক্তিগত অসততার ব্যাপারে সতর্ক থাকি। একটি স্বাধীন সচিবালয় কেবল শুরু, সর্বশেষ উদ্দেশ্য নয়। আপনাদের উচিত, সততা আর যোগ্যতার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া। অনুপার্জিত অর্থের বাসনা, অন্যায্য বিলাসী জীবন এবং অসংগত ক্ষমতার প্রতিপত্তি যদি আমাদের মনকে কলুষিত করে রাখে, তাহলে পৃথিবীর কোনো আইনি বিধানই আমাদের সামষ্টিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারবে না।’
বিচারকদের উদ্দেশে রেফাত আহমেদ আরও বলেন, ‘উন্নত জীবনমান ও কর্মপরিবেশের প্রতি প্রত্যাশা কখনোই ব্যক্তিগত ভোগ, আত্মতুষ্টি কিংবা সামাজিক মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্য হতে পারে না। এর অন্তরে থাকতে হবে বিচারিক সক্ষমতার উন্নয়ন, জ্ঞানচর্চার সম্প্রসারণ এবং উচ্চমানের কর্মদক্ষতা অর্জনের সৎ প্রেরণা। এটি অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় চাকরিকালীন প্রশিক্ষণ সংস্কৃতি এখনো কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আমরা এখনো একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারিনি। তবে বিদ্যমান সুযোগের ন্যূনতম সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিচারকদের বড় অংশের অনীহা ও কার্পণ্য পরিলক্ষিত হয়। তাই আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ—জ্ঞান অর্জন ও পাঠাভ্যাসকে আপনারা জীবনের পরম দায় হিসেবে নেবেন।’

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, পছন্দসই পদায়নের জন্য রাজনৈতিক পদলেহন পরিহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আইন বৃহত্তর রাজনীতির একটা অঙ্গ হলেও বিচারকদের রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠার প্রয়াস রপ্ত করতে হয়। কেবল ক্ষমতাবান শাসকশ্রেণির পক্ষে প্রয়োজনীয় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব নিলে বিচার বিভাগের আলাদা কোনো অস্তিত্বেরই প্রয়োজন নেই। সে কাজের জন্য নির্বাহী বিভাগ ও পুলিশই যথেষ্ট। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ভিত্তি যে আদর্শকেই ধারণ করে গড়ে ওঠুক না কেন, বিচারকদের সুনীতি ও সুবিবেচনা বজায় রেখে কাজ করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আজ রোববার জেলা ও মহানগর দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে দেওয়া বিদায়ী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গত বছরের ১১ আগস্ট ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন রেফাত আহমেদ। অবসর নেওয়ার আগে আজ বিদায়ী ভাষণ দেন তিনি। ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন রেফাত আহমেদ।
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে। শুনানিকালে কোনো বিশেষ পদবিধারী ব্যক্তি বা ক্ষমতাবান পক্ষকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া বিচারকের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত নয়।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘এই পৃথক সচিবালয় (সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়) প্রতিষ্ঠার কোনো স্বার্থকতা নেই, যদি না আমরা ব্যক্তিগত অসততার ব্যাপারে সতর্ক থাকি। একটি স্বাধীন সচিবালয় কেবল শুরু, সর্বশেষ উদ্দেশ্য নয়। আপনাদের উচিত, সততা আর যোগ্যতার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া। অনুপার্জিত অর্থের বাসনা, অন্যায্য বিলাসী জীবন এবং অসংগত ক্ষমতার প্রতিপত্তি যদি আমাদের মনকে কলুষিত করে রাখে, তাহলে পৃথিবীর কোনো আইনি বিধানই আমাদের সামষ্টিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারবে না।’
বিচারকদের উদ্দেশে রেফাত আহমেদ আরও বলেন, ‘উন্নত জীবনমান ও কর্মপরিবেশের প্রতি প্রত্যাশা কখনোই ব্যক্তিগত ভোগ, আত্মতুষ্টি কিংবা সামাজিক মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্য হতে পারে না। এর অন্তরে থাকতে হবে বিচারিক সক্ষমতার উন্নয়ন, জ্ঞানচর্চার সম্প্রসারণ এবং উচ্চমানের কর্মদক্ষতা অর্জনের সৎ প্রেরণা। এটি অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় চাকরিকালীন প্রশিক্ষণ সংস্কৃতি এখনো কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আমরা এখনো একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারিনি। তবে বিদ্যমান সুযোগের ন্যূনতম সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিচারকদের বড় অংশের অনীহা ও কার্পণ্য পরিলক্ষিত হয়। তাই আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ—জ্ঞান অর্জন ও পাঠাভ্যাসকে আপনারা জীবনের পরম দায় হিসেবে নেবেন।’

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই পুলিশকে স্বাধীন ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য পদক্ষেপ নিতে প্রস্তাব দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এ জন্য তাঁরা দ্রুত স্বাধীন কমিশন গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জোর দাবি জানান। পুলিশ সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ‘স্বাধীন কমিশন’ গঠনের...
৩০ এপ্রিল ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া
১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘আজকে একটা বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলত আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের ডেকেছিলাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে এই পর্যন্ত উদ্ভূত বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। সামনের আমাদের কার্যক্রম এবং কৌশল কী হওয়া উচিত—সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং তাঁদের বিভিন্ন মত শুনেছি।’
সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময় একটা ঘটনা, যেটা আমাদের সবার সবাইকে উদ্বিগ্ন করেছে। শরিফ ওসমান হাদির ওপরে চোরাগোপ্তা হামলা। সেটা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলছি না। সেখানকার আরও কিছু বিষয় সম্বন্ধে আমরা অবহিত হয়েছে। যেগুলোর সাথে নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশনের স্বার্থ জড়িত।’
সানাউল্লাহ বলেন, ‘এখানে কয়েকটা বিষয় উঠে এসেছে যে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হচ্ছে সন্দেহভাজন হিসেবে। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই একটা সখ্যতা গড়ে তুলে অত্যন্ত কাছে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে তার একটা অতীত আছে, পেছনে তার একটা রাজনৈতিক ইন্টারেসিডেন্স (মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ) আছে এবং তার একটা ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে। সেটা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে আমরা জানতে পারলাম যে রেবেল হান্ট বিশেষ করে—এক শুরু হওয়ার পর থেকে যেসব সন্ত্রাসীদের অ্যারেস্ট করা হয়েছিল, তাদের একটা বড় সংখ্যা ইতিমধ্যে জামিন পেয়ে গেছে এবং তারা সমাজে বিরাজ করছে। এটা নিয়ে আমাদের কী করণীয়—সেটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।’
দেশে চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সামনেও যে এটা সম্ভাবনা নাই, তা-ও বলছি না। আজকের মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে করে এই ধরনের হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে বা এগুলো যাতে কঠোর হস্তে দমন করা হয় ... নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মেসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার। নির্বাচন নিয়ে কোনো আশঙ্কা নাই।’
প্রার্থীদের বৈধ অস্ত্র ও লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য নজরে আনলে এই নির্বাচন কমিশনার বলে, ‘আমার সাথে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কমিশনের সাথে কোনো আলোচনা হয়েছে বলে আমার জানা নাই। উনি কী মন্তব্য করেছেন, কোন প্রেক্ষাপটে করেছেন, আমি যদি জানি পরে আমি আলোকপাত করতে পারব।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘আজকে একটা বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলত আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের ডেকেছিলাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে এই পর্যন্ত উদ্ভূত বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। সামনের আমাদের কার্যক্রম এবং কৌশল কী হওয়া উচিত—সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং তাঁদের বিভিন্ন মত শুনেছি।’
সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময় একটা ঘটনা, যেটা আমাদের সবার সবাইকে উদ্বিগ্ন করেছে। শরিফ ওসমান হাদির ওপরে চোরাগোপ্তা হামলা। সেটা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলছি না। সেখানকার আরও কিছু বিষয় সম্বন্ধে আমরা অবহিত হয়েছে। যেগুলোর সাথে নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশনের স্বার্থ জড়িত।’
সানাউল্লাহ বলেন, ‘এখানে কয়েকটা বিষয় উঠে এসেছে যে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হচ্ছে সন্দেহভাজন হিসেবে। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই একটা সখ্যতা গড়ে তুলে অত্যন্ত কাছে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে তার একটা অতীত আছে, পেছনে তার একটা রাজনৈতিক ইন্টারেসিডেন্স (মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ) আছে এবং তার একটা ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে। সেটা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে আমরা জানতে পারলাম যে রেবেল হান্ট বিশেষ করে—এক শুরু হওয়ার পর থেকে যেসব সন্ত্রাসীদের অ্যারেস্ট করা হয়েছিল, তাদের একটা বড় সংখ্যা ইতিমধ্যে জামিন পেয়ে গেছে এবং তারা সমাজে বিরাজ করছে। এটা নিয়ে আমাদের কী করণীয়—সেটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।’
দেশে চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সামনেও যে এটা সম্ভাবনা নাই, তা-ও বলছি না। আজকের মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে করে এই ধরনের হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে বা এগুলো যাতে কঠোর হস্তে দমন করা হয় ... নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মেসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার। নির্বাচন নিয়ে কোনো আশঙ্কা নাই।’
প্রার্থীদের বৈধ অস্ত্র ও লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য নজরে আনলে এই নির্বাচন কমিশনার বলে, ‘আমার সাথে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কমিশনের সাথে কোনো আলোচনা হয়েছে বলে আমার জানা নাই। উনি কী মন্তব্য করেছেন, কোন প্রেক্ষাপটে করেছেন, আমি যদি জানি পরে আমি আলোকপাত করতে পারব।’

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই পুলিশকে স্বাধীন ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য পদক্ষেপ নিতে প্রস্তাব দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এ জন্য তাঁরা দ্রুত স্বাধীন কমিশন গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জোর দাবি জানান। পুলিশ সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ‘স্বাধীন কমিশন’ গঠনের...
৩০ এপ্রিল ২০২৫
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
১২ মিনিট আগে
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া
১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহান বিজয় দিবসের ৫৪তম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে ৫৪টি জাতীয় পতাকা উড়িয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ৫৪ জন প্যারাট্রুপার। এই দলে থাকবেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে স্কাই ডাইভিং করবেন তিনি।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানাই।’
এদিন একই পেজে দেওয়া আরেক পোস্টে বলা হয়, ‘এই বিজয় দিবসে চলে আসুন দলে দলে, এক অবিস্মরণীয় এয়ার শো দেখতে। বিজয়ের ৫৪তম বছরে, ৫৪ জন প্যারাট্রুপার, ৫৪টি জাতীয় পতাকা হাতে বিমান থেকে অবতরণ করবেন, গড়বেন বিশ্ব রেকর্ড। এয়ার শো উপভোগ করতে ব্যবহার করবেন আইডিবির উল্টো পাশের তালতলা গেট। গেট খোলা হবে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৮টায়। ১০টার মধ্যেই সবাইকে নির্ধারিত স্থানে সমবেত হওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গত সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে স্বাধীনতার ৫৪ বছর উদ্যাপনে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার পতাকা হাতে স্কাই ডাইভিং করবেন। এটি হবে বিশ্বের বুকে সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং, যা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়বে।

মহান বিজয় দিবসের ৫৪তম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে ৫৪টি জাতীয় পতাকা উড়িয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ৫৪ জন প্যারাট্রুপার। এই দলে থাকবেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে স্কাই ডাইভিং করবেন তিনি।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানাই।’
এদিন একই পেজে দেওয়া আরেক পোস্টে বলা হয়, ‘এই বিজয় দিবসে চলে আসুন দলে দলে, এক অবিস্মরণীয় এয়ার শো দেখতে। বিজয়ের ৫৪তম বছরে, ৫৪ জন প্যারাট্রুপার, ৫৪টি জাতীয় পতাকা হাতে বিমান থেকে অবতরণ করবেন, গড়বেন বিশ্ব রেকর্ড। এয়ার শো উপভোগ করতে ব্যবহার করবেন আইডিবির উল্টো পাশের তালতলা গেট। গেট খোলা হবে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৮টায়। ১০টার মধ্যেই সবাইকে নির্ধারিত স্থানে সমবেত হওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গত সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে স্বাধীনতার ৫৪ বছর উদ্যাপনে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার পতাকা হাতে স্কাই ডাইভিং করবেন। এটি হবে বিশ্বের বুকে সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং, যা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়বে।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই পুলিশকে স্বাধীন ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য পদক্ষেপ নিতে প্রস্তাব দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এ জন্য তাঁরা দ্রুত স্বাধীন কমিশন গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জোর দাবি জানান। পুলিশ সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ‘স্বাধীন কমিশন’ গঠনের...
৩০ এপ্রিল ২০২৫
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
১২ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল সরবরাহ করবে পুলিশ।
আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল সরবরাহ করবে পুলিশ।
আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই পুলিশকে স্বাধীন ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য পদক্ষেপ নিতে প্রস্তাব দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এ জন্য তাঁরা দ্রুত স্বাধীন কমিশন গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জোর দাবি জানান। পুলিশ সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ‘স্বাধীন কমিশন’ গঠনের...
৩০ এপ্রিল ২০২৫
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
১২ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া
১ ঘণ্টা আগে