বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব আগামী ছয় মাসের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে দিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। বন্দর পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সাইফ পাওয়ারটেকের চুক্তির মেয়াদ ৭ জুলাই শেষ হওয়ার পর এই দায়িত্বে আসবে নৌবাহিনী।
একই সঙ্গে দুবাইভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডকে দীর্ঘ মেয়াদে ওই টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।
সচিবালয়ে আজ বুধবার চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব তথ্য জানান নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এনসিটি পরিচালনার জন্য অপারেটর নিয়োগ করবে, অপারেটরের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে। এনসিটি পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে আগামী ছয় মাসের জন্য দায়িত্ব দিতে উপযুক্ত বিবেচনা করছে সরকার।
চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনায় দায়িত্বরত সাইফ পাওয়ারটেকের চুক্তির মেয়াদ ৭ জুলাই শেষ হওয়ার পর তাদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না বলে জানান নৌপরিবহন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বন্দর কর্তৃপক্ষ এখন নিজেই বন্দর পরিচালনা করতে পারবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। বন্দরের অন্যান্য কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কারণ, লোক তো একই। এসব বিবেচনা করে আমরা এত দিন বৈঠক করলাম। এখন বন্দর কর্তৃপক্ষকে কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে বিধিবিধান ও অর্থনৈতিক সুবিধা বিবেচনা করার। তারা ছয় মাস বা এর বেশি সময়ের জন্য অপারেটর নিয়োগ করতে পারবে।
‘বন্দর এলাকায় নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ড রয়েছে। সেটি তারা বন্দরের মধ্যেই সম্প্রসারণ করছে। নৌবাহিনী বন্দর পরিচালনার জন্য বেশি অভিজ্ঞ। তাদের অপারেটর আছে। বন্দর পরিচালনার জন্য এখন নৌবাহিনীর সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি চুক্তি হবে।
‘সাইফ পাওয়ারটেক ১৬-১৭ বছর ধরে বন্দরে কাজ করছে। তাদের সহযোগিতা যাতে নৌবাহিনী পায়, সে জন্য তারা কাজ করবে বলে আমাকে জানিয়েছে। বন্দর পরিচালনার দায়িত্বে যে-ই আসুক না কেন, বন্দরের কারও চাকরি যাচ্ছে না। যে যেই পদে ছিলেন, সে সেই পদেই কাজ করবেন। কাউকে বাদ দেওয়া হবে না। আশা করি, সবাই সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করবেন।’
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ডিপি ওয়ার্ল্ডকে দীর্ঘ মেয়াদে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি সেই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার কাজে হাত দিলে প্রতিবাদ আসে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে। বন্দরের শ্রমিক-কর্মচারীরারাও এর প্রতিবাদে আন্দোলন করেন। বামপন্থী কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের ডাকে রোডমার্চ কর্মসূচিও পালন করা হয়।
তাদের আশঙ্কা, চট্টগ্রাম বন্দরের এই টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশিদের দেওয়া হলে তা দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলবে।
ছয় মাস পর বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডকে চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কি না–এই প্রশ্নে উপদেষ্টা জানান, এ বিষয়ে বিস্তারিত বলার সময় আসেনি।
তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘বন্দর পরিচালনার জন্য আমি কি অন্য কোনো অপারেটরকে নিয়োগ দিতে পারব না? বাইরের কোনো লোক, আন্তর্জাতিক কোনো কোম্পানি যদি আসতে চায়, বিনিয়োগ করতে চায়, তাহলে কি তাকে আমি দিতে পারব না? এতে কি পোর্ট দিয়ে দেওয়া হয়? পোর্টের দায়িত্ব তো পোর্ট অথরিটির কাছেই আছে।
‘আজকে আমি নৌবাহিনীকে দিলাম, নৌবাহিনী না থাকলে পরে আমাকে আরেকজনকে দিতে হবে। তবে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমি দেখব, আমার সুবিধা হচ্ছে কি হচ্ছে না। যদি দেখি সুবিধা হচ্ছে, এটার মধ্যে আগের সরকার কী করেছে সেটা ভুলে যান। আমি পরিষ্কার করে বলি, এ বিষয়ে এখনো আলোচনা চলছে।’
নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের ক্ষতি হয়—এমন কোনো চুক্তি হবে না, আমি যদি এখানে থাকতে থাকতে চুক্তি হয়। অনেকের অনেক রকম সন্দেহ আছে। তাদের (ডিপি ওয়ার্ল্ড) বলেছি, যদি তোমাদের লোকের প্রয়োজন হয়, তবে তোমরা উপমহাদেশ থেকে কোনো লোক নিতে পারবে না। লোক নিতে হলে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে নিতে হবে।’

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব আগামী ছয় মাসের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে দিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। বন্দর পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সাইফ পাওয়ারটেকের চুক্তির মেয়াদ ৭ জুলাই শেষ হওয়ার পর এই দায়িত্বে আসবে নৌবাহিনী।
একই সঙ্গে দুবাইভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডকে দীর্ঘ মেয়াদে ওই টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।
সচিবালয়ে আজ বুধবার চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব তথ্য জানান নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এনসিটি পরিচালনার জন্য অপারেটর নিয়োগ করবে, অপারেটরের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে। এনসিটি পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে আগামী ছয় মাসের জন্য দায়িত্ব দিতে উপযুক্ত বিবেচনা করছে সরকার।
চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনায় দায়িত্বরত সাইফ পাওয়ারটেকের চুক্তির মেয়াদ ৭ জুলাই শেষ হওয়ার পর তাদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না বলে জানান নৌপরিবহন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বন্দর কর্তৃপক্ষ এখন নিজেই বন্দর পরিচালনা করতে পারবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। বন্দরের অন্যান্য কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কারণ, লোক তো একই। এসব বিবেচনা করে আমরা এত দিন বৈঠক করলাম। এখন বন্দর কর্তৃপক্ষকে কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে বিধিবিধান ও অর্থনৈতিক সুবিধা বিবেচনা করার। তারা ছয় মাস বা এর বেশি সময়ের জন্য অপারেটর নিয়োগ করতে পারবে।
‘বন্দর এলাকায় নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ড রয়েছে। সেটি তারা বন্দরের মধ্যেই সম্প্রসারণ করছে। নৌবাহিনী বন্দর পরিচালনার জন্য বেশি অভিজ্ঞ। তাদের অপারেটর আছে। বন্দর পরিচালনার জন্য এখন নৌবাহিনীর সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি চুক্তি হবে।
‘সাইফ পাওয়ারটেক ১৬-১৭ বছর ধরে বন্দরে কাজ করছে। তাদের সহযোগিতা যাতে নৌবাহিনী পায়, সে জন্য তারা কাজ করবে বলে আমাকে জানিয়েছে। বন্দর পরিচালনার দায়িত্বে যে-ই আসুক না কেন, বন্দরের কারও চাকরি যাচ্ছে না। যে যেই পদে ছিলেন, সে সেই পদেই কাজ করবেন। কাউকে বাদ দেওয়া হবে না। আশা করি, সবাই সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করবেন।’
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ডিপি ওয়ার্ল্ডকে দীর্ঘ মেয়াদে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি সেই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার কাজে হাত দিলে প্রতিবাদ আসে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে। বন্দরের শ্রমিক-কর্মচারীরারাও এর প্রতিবাদে আন্দোলন করেন। বামপন্থী কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের ডাকে রোডমার্চ কর্মসূচিও পালন করা হয়।
তাদের আশঙ্কা, চট্টগ্রাম বন্দরের এই টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশিদের দেওয়া হলে তা দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলবে।
ছয় মাস পর বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডকে চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কি না–এই প্রশ্নে উপদেষ্টা জানান, এ বিষয়ে বিস্তারিত বলার সময় আসেনি।
তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘বন্দর পরিচালনার জন্য আমি কি অন্য কোনো অপারেটরকে নিয়োগ দিতে পারব না? বাইরের কোনো লোক, আন্তর্জাতিক কোনো কোম্পানি যদি আসতে চায়, বিনিয়োগ করতে চায়, তাহলে কি তাকে আমি দিতে পারব না? এতে কি পোর্ট দিয়ে দেওয়া হয়? পোর্টের দায়িত্ব তো পোর্ট অথরিটির কাছেই আছে।
‘আজকে আমি নৌবাহিনীকে দিলাম, নৌবাহিনী না থাকলে পরে আমাকে আরেকজনকে দিতে হবে। তবে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমি দেখব, আমার সুবিধা হচ্ছে কি হচ্ছে না। যদি দেখি সুবিধা হচ্ছে, এটার মধ্যে আগের সরকার কী করেছে সেটা ভুলে যান। আমি পরিষ্কার করে বলি, এ বিষয়ে এখনো আলোচনা চলছে।’
নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের ক্ষতি হয়—এমন কোনো চুক্তি হবে না, আমি যদি এখানে থাকতে থাকতে চুক্তি হয়। অনেকের অনেক রকম সন্দেহ আছে। তাদের (ডিপি ওয়ার্ল্ড) বলেছি, যদি তোমাদের লোকের প্রয়োজন হয়, তবে তোমরা উপমহাদেশ থেকে কোনো লোক নিতে পারবে না। লোক নিতে হলে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে নিতে হবে।’
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব আগামী ছয় মাসের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে দিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। বন্দর পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সাইফ পাওয়ারটেকের চুক্তির মেয়াদ ৭ জুলাই শেষ হওয়ার পর এই দায়িত্বে আসবে নৌবাহিনী।
একই সঙ্গে দুবাইভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডকে দীর্ঘ মেয়াদে ওই টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।
সচিবালয়ে আজ বুধবার চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব তথ্য জানান নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এনসিটি পরিচালনার জন্য অপারেটর নিয়োগ করবে, অপারেটরের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে। এনসিটি পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে আগামী ছয় মাসের জন্য দায়িত্ব দিতে উপযুক্ত বিবেচনা করছে সরকার।
চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনায় দায়িত্বরত সাইফ পাওয়ারটেকের চুক্তির মেয়াদ ৭ জুলাই শেষ হওয়ার পর তাদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না বলে জানান নৌপরিবহন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বন্দর কর্তৃপক্ষ এখন নিজেই বন্দর পরিচালনা করতে পারবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। বন্দরের অন্যান্য কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কারণ, লোক তো একই। এসব বিবেচনা করে আমরা এত দিন বৈঠক করলাম। এখন বন্দর কর্তৃপক্ষকে কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে বিধিবিধান ও অর্থনৈতিক সুবিধা বিবেচনা করার। তারা ছয় মাস বা এর বেশি সময়ের জন্য অপারেটর নিয়োগ করতে পারবে।
‘বন্দর এলাকায় নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ড রয়েছে। সেটি তারা বন্দরের মধ্যেই সম্প্রসারণ করছে। নৌবাহিনী বন্দর পরিচালনার জন্য বেশি অভিজ্ঞ। তাদের অপারেটর আছে। বন্দর পরিচালনার জন্য এখন নৌবাহিনীর সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি চুক্তি হবে।
‘সাইফ পাওয়ারটেক ১৬-১৭ বছর ধরে বন্দরে কাজ করছে। তাদের সহযোগিতা যাতে নৌবাহিনী পায়, সে জন্য তারা কাজ করবে বলে আমাকে জানিয়েছে। বন্দর পরিচালনার দায়িত্বে যে-ই আসুক না কেন, বন্দরের কারও চাকরি যাচ্ছে না। যে যেই পদে ছিলেন, সে সেই পদেই কাজ করবেন। কাউকে বাদ দেওয়া হবে না। আশা করি, সবাই সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করবেন।’
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ডিপি ওয়ার্ল্ডকে দীর্ঘ মেয়াদে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি সেই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার কাজে হাত দিলে প্রতিবাদ আসে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে। বন্দরের শ্রমিক-কর্মচারীরারাও এর প্রতিবাদে আন্দোলন করেন। বামপন্থী কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের ডাকে রোডমার্চ কর্মসূচিও পালন করা হয়।
তাদের আশঙ্কা, চট্টগ্রাম বন্দরের এই টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশিদের দেওয়া হলে তা দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলবে।
ছয় মাস পর বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডকে চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কি না–এই প্রশ্নে উপদেষ্টা জানান, এ বিষয়ে বিস্তারিত বলার সময় আসেনি।
তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘বন্দর পরিচালনার জন্য আমি কি অন্য কোনো অপারেটরকে নিয়োগ দিতে পারব না? বাইরের কোনো লোক, আন্তর্জাতিক কোনো কোম্পানি যদি আসতে চায়, বিনিয়োগ করতে চায়, তাহলে কি তাকে আমি দিতে পারব না? এতে কি পোর্ট দিয়ে দেওয়া হয়? পোর্টের দায়িত্ব তো পোর্ট অথরিটির কাছেই আছে।
‘আজকে আমি নৌবাহিনীকে দিলাম, নৌবাহিনী না থাকলে পরে আমাকে আরেকজনকে দিতে হবে। তবে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমি দেখব, আমার সুবিধা হচ্ছে কি হচ্ছে না। যদি দেখি সুবিধা হচ্ছে, এটার মধ্যে আগের সরকার কী করেছে সেটা ভুলে যান। আমি পরিষ্কার করে বলি, এ বিষয়ে এখনো আলোচনা চলছে।’
নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের ক্ষতি হয়—এমন কোনো চুক্তি হবে না, আমি যদি এখানে থাকতে থাকতে চুক্তি হয়। অনেকের অনেক রকম সন্দেহ আছে। তাদের (ডিপি ওয়ার্ল্ড) বলেছি, যদি তোমাদের লোকের প্রয়োজন হয়, তবে তোমরা উপমহাদেশ থেকে কোনো লোক নিতে পারবে না। লোক নিতে হলে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে নিতে হবে।’

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব আগামী ছয় মাসের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে দিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। বন্দর পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সাইফ পাওয়ারটেকের চুক্তির মেয়াদ ৭ জুলাই শেষ হওয়ার পর এই দায়িত্বে আসবে নৌবাহিনী।
একই সঙ্গে দুবাইভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডকে দীর্ঘ মেয়াদে ওই টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।
সচিবালয়ে আজ বুধবার চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব তথ্য জানান নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এনসিটি পরিচালনার জন্য অপারেটর নিয়োগ করবে, অপারেটরের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে। এনসিটি পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে আগামী ছয় মাসের জন্য দায়িত্ব দিতে উপযুক্ত বিবেচনা করছে সরকার।
চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনায় দায়িত্বরত সাইফ পাওয়ারটেকের চুক্তির মেয়াদ ৭ জুলাই শেষ হওয়ার পর তাদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না বলে জানান নৌপরিবহন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বন্দর কর্তৃপক্ষ এখন নিজেই বন্দর পরিচালনা করতে পারবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। বন্দরের অন্যান্য কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কারণ, লোক তো একই। এসব বিবেচনা করে আমরা এত দিন বৈঠক করলাম। এখন বন্দর কর্তৃপক্ষকে কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে বিধিবিধান ও অর্থনৈতিক সুবিধা বিবেচনা করার। তারা ছয় মাস বা এর বেশি সময়ের জন্য অপারেটর নিয়োগ করতে পারবে।
‘বন্দর এলাকায় নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ড রয়েছে। সেটি তারা বন্দরের মধ্যেই সম্প্রসারণ করছে। নৌবাহিনী বন্দর পরিচালনার জন্য বেশি অভিজ্ঞ। তাদের অপারেটর আছে। বন্দর পরিচালনার জন্য এখন নৌবাহিনীর সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি চুক্তি হবে।
‘সাইফ পাওয়ারটেক ১৬-১৭ বছর ধরে বন্দরে কাজ করছে। তাদের সহযোগিতা যাতে নৌবাহিনী পায়, সে জন্য তারা কাজ করবে বলে আমাকে জানিয়েছে। বন্দর পরিচালনার দায়িত্বে যে-ই আসুক না কেন, বন্দরের কারও চাকরি যাচ্ছে না। যে যেই পদে ছিলেন, সে সেই পদেই কাজ করবেন। কাউকে বাদ দেওয়া হবে না। আশা করি, সবাই সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করবেন।’
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ডিপি ওয়ার্ল্ডকে দীর্ঘ মেয়াদে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি সেই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার কাজে হাত দিলে প্রতিবাদ আসে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে। বন্দরের শ্রমিক-কর্মচারীরারাও এর প্রতিবাদে আন্দোলন করেন। বামপন্থী কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের ডাকে রোডমার্চ কর্মসূচিও পালন করা হয়।
তাদের আশঙ্কা, চট্টগ্রাম বন্দরের এই টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশিদের দেওয়া হলে তা দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলবে।
ছয় মাস পর বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডকে চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কি না–এই প্রশ্নে উপদেষ্টা জানান, এ বিষয়ে বিস্তারিত বলার সময় আসেনি।
তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘বন্দর পরিচালনার জন্য আমি কি অন্য কোনো অপারেটরকে নিয়োগ দিতে পারব না? বাইরের কোনো লোক, আন্তর্জাতিক কোনো কোম্পানি যদি আসতে চায়, বিনিয়োগ করতে চায়, তাহলে কি তাকে আমি দিতে পারব না? এতে কি পোর্ট দিয়ে দেওয়া হয়? পোর্টের দায়িত্ব তো পোর্ট অথরিটির কাছেই আছে।
‘আজকে আমি নৌবাহিনীকে দিলাম, নৌবাহিনী না থাকলে পরে আমাকে আরেকজনকে দিতে হবে। তবে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমি দেখব, আমার সুবিধা হচ্ছে কি হচ্ছে না। যদি দেখি সুবিধা হচ্ছে, এটার মধ্যে আগের সরকার কী করেছে সেটা ভুলে যান। আমি পরিষ্কার করে বলি, এ বিষয়ে এখনো আলোচনা চলছে।’
নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের ক্ষতি হয়—এমন কোনো চুক্তি হবে না, আমি যদি এখানে থাকতে থাকতে চুক্তি হয়। অনেকের অনেক রকম সন্দেহ আছে। তাদের (ডিপি ওয়ার্ল্ড) বলেছি, যদি তোমাদের লোকের প্রয়োজন হয়, তবে তোমরা উপমহাদেশ থেকে কোনো লোক নিতে পারবে না। লোক নিতে হলে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে নিতে হবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
৪০ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
৪৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।

তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এনসিটি পরিচালনার জন্য অপারেটর নিয়োগ করবে, অপারেটরের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে। এনসিটি পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে
০২ জুলাই ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
৪০ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
৪৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় এগিয়ে এনে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নামাজে জানাজা বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় যারা অংশ নিতে আসবেন তারা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় এগিয়ে এনে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নামাজে জানাজা বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় যারা অংশ নিতে আসবেন তারা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এনসিটি পরিচালনার জন্য অপারেটর নিয়োগ করবে, অপারেটরের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে। এনসিটি পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে
০২ জুলাই ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
৯ মিনিট আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
৪০ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
৪৪ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টার পর ওসমান হাদির মর্মান্তিক মৃত্যুকে উপলক্ষ করে একজোট লোক ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজ চালায় এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। তারা ছয়তলা ভবনের সব সিসি ক্যামেরাসহ অধিকাংশ কক্ষ, প্রক্ষালণ কক্ষ এবং বহু বাদ্যযন্ত্র, মিলনায়তন, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। সার্ভারসহ ছায়ানটের কিছু বাদ্যযন্ত্র ও আসবাবপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে। অন্তত সাতটি ল্যাপটপসহ গোটা চারেক ফোন ও কিছু হার্ডডিস্ক লুট করেছে। তাদের ভাঙচুরে বৈদ্যুতিক সংযোগ ও সরঞ্জামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
‘ছায়ানট একটি স্বেচ্ছাসেবী ও স্বনির্ভর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। ছায়ানট কোনো সরকার, বিদেশি সংস্থা বা করপোরেট অনুদান নেয় না। সুতরাং, ছায়ানট আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে এই ক্ষতি পূরণ করবে এবং সংগীত ও শিশুদের সাধারণ শিক্ষায় এই সাময়িক বিঘ্নের দ্রুত প্রতিকার করতে বদ্ধপরিকর।’
এতে আরও বলা হয়, ‘ছায়ানটের কাজের ক্ষেত্র রাজনীতি নয়, সংগীত-সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তাকে ধারণ করে ছায়ানট। ছায়ানট সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের সমাজ গড়তে প্রয়াসী। আমরা ওসমান হাদির মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে গভীরভাবে শোকাহত। কিন্তু ওই সূত্র ধরে ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে কেন হামলা সংঘটিত হলো, তা মোটেই বোধগম্য নয়। হয়তো পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করেছে সংস্কৃতিচর্চার বিরোধী গোষ্ঠী।’
সংগীতশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি আরও বলে, ছায়ানট এই উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ অনানুষ্ঠানিক সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা দেশে ও বিদেশে সমাদৃত। বাংলা গানের চর্চা বিস্তৃতির পাশাপাশি স্বাধীনতা-সংগ্রামে ছায়ানটের ভূমিকাও সারা বিশ্বে স্বীকৃত। তাই ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে এই নিন্দনীয় হামলা মাতৃভূমি সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিতে পারে বিশ্বে।
দেশ ও বিদেশ থেকে যে অগণিত শুভাকাঙ্ক্ষী তাঁদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা জানিয়েছেন, তাঁদের সবার কাছে ছায়ানট কৃতজ্ঞ।
বাঙালির আবহমান সংগীতসংস্কৃতির সাধনা ও প্রসারে ছায়ানট তার স্থির প্রত্যয় যাত্রায় অবিচল থাকবে।

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টার পর ওসমান হাদির মর্মান্তিক মৃত্যুকে উপলক্ষ করে একজোট লোক ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজ চালায় এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। তারা ছয়তলা ভবনের সব সিসি ক্যামেরাসহ অধিকাংশ কক্ষ, প্রক্ষালণ কক্ষ এবং বহু বাদ্যযন্ত্র, মিলনায়তন, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। সার্ভারসহ ছায়ানটের কিছু বাদ্যযন্ত্র ও আসবাবপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে। অন্তত সাতটি ল্যাপটপসহ গোটা চারেক ফোন ও কিছু হার্ডডিস্ক লুট করেছে। তাদের ভাঙচুরে বৈদ্যুতিক সংযোগ ও সরঞ্জামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
‘ছায়ানট একটি স্বেচ্ছাসেবী ও স্বনির্ভর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। ছায়ানট কোনো সরকার, বিদেশি সংস্থা বা করপোরেট অনুদান নেয় না। সুতরাং, ছায়ানট আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে এই ক্ষতি পূরণ করবে এবং সংগীত ও শিশুদের সাধারণ শিক্ষায় এই সাময়িক বিঘ্নের দ্রুত প্রতিকার করতে বদ্ধপরিকর।’
এতে আরও বলা হয়, ‘ছায়ানটের কাজের ক্ষেত্র রাজনীতি নয়, সংগীত-সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তাকে ধারণ করে ছায়ানট। ছায়ানট সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের সমাজ গড়তে প্রয়াসী। আমরা ওসমান হাদির মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে গভীরভাবে শোকাহত। কিন্তু ওই সূত্র ধরে ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে কেন হামলা সংঘটিত হলো, তা মোটেই বোধগম্য নয়। হয়তো পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করেছে সংস্কৃতিচর্চার বিরোধী গোষ্ঠী।’
সংগীতশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি আরও বলে, ছায়ানট এই উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ অনানুষ্ঠানিক সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা দেশে ও বিদেশে সমাদৃত। বাংলা গানের চর্চা বিস্তৃতির পাশাপাশি স্বাধীনতা-সংগ্রামে ছায়ানটের ভূমিকাও সারা বিশ্বে স্বীকৃত। তাই ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে এই নিন্দনীয় হামলা মাতৃভূমি সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিতে পারে বিশ্বে।
দেশ ও বিদেশ থেকে যে অগণিত শুভাকাঙ্ক্ষী তাঁদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা জানিয়েছেন, তাঁদের সবার কাছে ছায়ানট কৃতজ্ঞ।
বাঙালির আবহমান সংগীতসংস্কৃতির সাধনা ও প্রসারে ছায়ানট তার স্থির প্রত্যয় যাত্রায় অবিচল থাকবে।

তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এনসিটি পরিচালনার জন্য অপারেটর নিয়োগ করবে, অপারেটরের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে। এনসিটি পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে
০২ জুলাই ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
৪৪ মিনিট আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বিমানবন্দর এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে ডোমেস্টিক ও আন্তর্জাতিক টার্মিনালের প্রতিটি প্রবেশপথে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পুরো বিমানবন্দর এলাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতেও নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
এ ছাড়া ভিআইপি গেটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও আর্মড ফোর্স ব্যাটালিয়নের (এএফবি) সদস্যদের কঠোর দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত নজরদারি রাখা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ওসমান হাদির লাশের বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে বের করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ওই গেট এলাকাতেও সেনাবাহিনী, আর্মড ফোর্স ব্যাটালিয়ন ও পুলিশের সদস্যদের কড়া অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ৫৮৫ ফ্লাইটে করে সিঙ্গাপুর থেকে আনা হয় ওসমান হাদির লাশ। ফ্লাইটটি সন্ধ্যা ৫টা ৪৯ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বিমানবন্দর এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে ডোমেস্টিক ও আন্তর্জাতিক টার্মিনালের প্রতিটি প্রবেশপথে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পুরো বিমানবন্দর এলাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতেও নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
এ ছাড়া ভিআইপি গেটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও আর্মড ফোর্স ব্যাটালিয়নের (এএফবি) সদস্যদের কঠোর দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত নজরদারি রাখা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ওসমান হাদির লাশের বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে বের করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ওই গেট এলাকাতেও সেনাবাহিনী, আর্মড ফোর্স ব্যাটালিয়ন ও পুলিশের সদস্যদের কড়া অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ৫৮৫ ফ্লাইটে করে সিঙ্গাপুর থেকে আনা হয় ওসমান হাদির লাশ। ফ্লাইটটি সন্ধ্যা ৫টা ৪৯ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এনসিটি পরিচালনার জন্য অপারেটর নিয়োগ করবে, অপারেটরের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে। এনসিটি পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে
০২ জুলাই ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২৬ মিনিট আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
৪০ মিনিট আগে