নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বিচার বিভাগ আজ অসহনীয় মামলা জটে ন্যুব্জ। বিপুলসংখ্যক মামলার বিপরীতে বিচারকের সংখ্যা অত্যন্ত অপ্রতুল। এর ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিচারপ্রার্থী জনগণ। মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতার কারণে অসহায় বিচারপ্রার্থী জনগণ প্রতিনিয়ত শারীরিক-মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের অন্যতম উপায় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি করা। আমি বিশ্বাস করি, দেশের লিগ্যাল এইড অফিসসমূহ এই ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।’
আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে ‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ–বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ এবং উচ্চ আদালতে স্মার্ট আইনি সেবার প্রসার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার। এ সময় আরও বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, আপিল বিভাগের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক প্রমুখ।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ইতিমধ্যে লিগ্যাল এইড কার্যক্রমকে বিচারিক কাজ হিসেবে গণ্য করার জন্য সার্কুলার ইস্যু করা হয়েছে। আমি আশা করি, এর ফলে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারগণ মধ্যস্থতার মাধ্যমে প্রি-কেস ও পোস্ট-কেস নিষ্পত্তিতে অধিক মনোযোগী হবেন।’
প্রধান বিচারপতি উপকারভোগীর হিসাব দিতে গিয়ে বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা সারা দেশে লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ১০ লাখ ২২ হাজার ৯৫৮ জনকে আইনি সেবা প্রদান করেছে। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস ২০১৫ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৪২৪ জনকে আইনি সহায়তা প্রদান করেছে। এ ছাড়া জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে ২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ১৮৭ কোটি ৪৪ লাখ ৬১ হাজার ৬৮৭ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। যে কোনো বিবেচনায় এটি অসাধারণ একটি অর্জন। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, লিগ্যাল এইডের এই অভূতপূর্ব সাফল্যের কারণে সামগ্রিকভাবে বিচার বিভাগের প্রতি বিচারপ্রার্থী জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে।’
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে অভিগম্যতায় একাধিক আর্থসামাজিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। যেমন, মামলার খরচ বহন করার সংগতি নেই বলে এ দেশের অসচ্ছল বিচার প্রার্থীগণ অনেকেই আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন না। কেবলমাত্র আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে নাগরিকের এই সাংবিধানিক অধিকার যেন লঙ্ঘিত না হয় সে লক্ষ্যে সরকার লিগ্যাল এইড কার্যক্রমের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মামলা সম্পৃক্ত বিভিন্ন খরচ বহন করছে। ফলে দেশের একজন নাগরিক তিনি যত অসচ্ছল হোন না কেন, আর্থিক অসংগতি এখন তার ন্যায় বিচার প্রাপ্তির অভিগম্যতায় আর কোনো প্রতিবন্ধকতা নয়।’
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বিচার বিভাগ আজ অসহনীয় মামলা জটে ন্যুব্জ। বিপুলসংখ্যক মামলার বিপরীতে বিচারকের সংখ্যা অত্যন্ত অপ্রতুল। এর ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিচারপ্রার্থী জনগণ। মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতার কারণে অসহায় বিচারপ্রার্থী জনগণ প্রতিনিয়ত শারীরিক-মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের অন্যতম উপায় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি করা। আমি বিশ্বাস করি, দেশের লিগ্যাল এইড অফিসসমূহ এই ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।’
আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে ‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ–বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ এবং উচ্চ আদালতে স্মার্ট আইনি সেবার প্রসার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার। এ সময় আরও বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, আপিল বিভাগের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক প্রমুখ।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ইতিমধ্যে লিগ্যাল এইড কার্যক্রমকে বিচারিক কাজ হিসেবে গণ্য করার জন্য সার্কুলার ইস্যু করা হয়েছে। আমি আশা করি, এর ফলে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারগণ মধ্যস্থতার মাধ্যমে প্রি-কেস ও পোস্ট-কেস নিষ্পত্তিতে অধিক মনোযোগী হবেন।’
প্রধান বিচারপতি উপকারভোগীর হিসাব দিতে গিয়ে বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা সারা দেশে লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ১০ লাখ ২২ হাজার ৯৫৮ জনকে আইনি সেবা প্রদান করেছে। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস ২০১৫ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৪২৪ জনকে আইনি সহায়তা প্রদান করেছে। এ ছাড়া জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে ২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ১৮৭ কোটি ৪৪ লাখ ৬১ হাজার ৬৮৭ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। যে কোনো বিবেচনায় এটি অসাধারণ একটি অর্জন। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, লিগ্যাল এইডের এই অভূতপূর্ব সাফল্যের কারণে সামগ্রিকভাবে বিচার বিভাগের প্রতি বিচারপ্রার্থী জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে।’
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে অভিগম্যতায় একাধিক আর্থসামাজিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। যেমন, মামলার খরচ বহন করার সংগতি নেই বলে এ দেশের অসচ্ছল বিচার প্রার্থীগণ অনেকেই আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন না। কেবলমাত্র আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে নাগরিকের এই সাংবিধানিক অধিকার যেন লঙ্ঘিত না হয় সে লক্ষ্যে সরকার লিগ্যাল এইড কার্যক্রমের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মামলা সম্পৃক্ত বিভিন্ন খরচ বহন করছে। ফলে দেশের একজন নাগরিক তিনি যত অসচ্ছল হোন না কেন, আর্থিক অসংগতি এখন তার ন্যায় বিচার প্রাপ্তির অভিগম্যতায় আর কোনো প্রতিবন্ধকতা নয়।’
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে মামলা লড়তে আবেদন করেছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। সেই আবেদন খারিজ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, ‘আপনি ট্রেন মিস করেছেন।’
৩৪ মিনিট আগেসচিবালয়ের ভেতরে মিছিল, সমাবেশ ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ করেছে সরকার। যদিও সরকারি কর্মচারীরা দলবদ্ধভাবে আন্দোলনে অংশ নিলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
৪০ মিনিট আগেদেশে গত জুলাই মাসে ৫০৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫২০ জন নিহত এবং ১৩৫৬ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৬২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৬৯ জন এবং আহত হয়েছেন ১৪৪ জন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, নিহতের ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং আহতের ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগেমাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় স্থগিত হওয়া জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্যাপনের নতুন সূচি ঘোষণা করেছে সরকার। ১৮ থেকে ২৪ আগস্ট সারা দেশে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্যাপন করা কবে। এর লক্ষ্য, দেশের মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধি, সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও টেকসই ব্যবহারে জনসচেতনতা তৈরি করা।
১ ঘণ্টা আগে