এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
শেরপুরের নকলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক সাংবাদিককে ছয় মাসের কারাদণ্ডের ঘটনায় আবারও এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন, তা স্থগিত হয়ে আছে ছয় বছর। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।
আইনজীবীরা বলছেন, ওই আপিল নিষ্পত্তির জন্য রাষ্ট্রপক্ষের দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া উচিত। শুধু শেরপুরেরটি নয়, প্রশাসনিক কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দণ্ড মাঝেমধ্যে প্রশ্ন ও বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে।
আপিল নিষ্পত্তির উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তো চেষ্টা করছি।’ তিনি এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রারের কাছে খোঁজ নেওয়ার পরামর্শ দেন।
যোগাযোগ করা হলে আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. সাইফুর রহমান বলেন, এটি খোঁজ নিয়ে বলতে হবে।
শেরপুরের নকলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে তথ্য অধিকার আইনে একটি প্রকল্পের তথ্য চেয়ে ৫ মার্চ আবেদন করেন একটি জাতীয় দৈনিকের স্থানীয় সাংবাদিক শফিউজ্জামান। আবেদনের ‘রিসিভড কপি’ চাওয়ায় অসদাচরণের অভিযোগে তাঁকে আটকের পর ওই কার্যালয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিষয়টি প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। নিন্দা জানায় সম্পাদক পরিষদ, আইন ও সালিশ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সংগঠন। ১২ মার্চ শফিউজ্জামান জামিনে মুক্তি পান। বিষয়টির অনুসন্ধান করছে তথ্য কমিশন।
এর আগে ২০২০ সালের ১৩ মার্চ গভীর রাতে কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগানকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই ঘটনায়ও নিন্দার ঝড় উঠেছিল। কুড়িগ্রাম শহরের একটি পুকুর সংস্কার করে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের নিজের নামে নামকরণ করতে চাওয়া নিয়ে প্রতিবেদন করেছিলেন আরিফুল। প্রতিবেদন প্রকাশের পর তাঁকে মধ্যরাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে বাসায় আধা বোতল মদ ও ১৫০ গ্রাম গাঁজা পাওয়ার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই সাজা দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সাজা দেওয়ার পুরো প্রক্রিয়া কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছিলেন। রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই সাজার কার্যক্রম স্থগিত করেন আদালত। আরিফের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন (বর্তমানে অ্যাটর্নি জেনারেল)। সঙ্গে ছিলেন ইশরাত হাসান। ইশরাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই রুল এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।
মোবাইল কোর্ট আইন (ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন), ২০০৯-এর ৬(১) ধারায় বলা হয়েছে, ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধ কার্যক্রম পরিচালনাকালে কোনো অপরাধ তাঁর সামনে ঘটলে তিনি স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ওই আইনের নির্ধারিত দণ্ড দিতে পারবেন। ৭(৩) ধারায় বলা হয়েছে, অভিযোগ অস্বীকার করে আত্মপক্ষ সমর্থনে অভিযুক্ত ব্যক্তির ব্যাখ্যা সন্তোষজনক হলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেবেন।
৭(৪) ধারায় বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগটি বিচারের জন্য উপযুক্ত এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে পাঠাবেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১১ সালের অক্টোবর ও ডিসেম্বরে দুটি এবং ২০১২ সালের মে মাসে একটি রিট হয়। পরে তিনটি রিট একসঙ্গে নিষ্পত্তি করে ২০১৭ সালের ১১ মে দেওয়া রায়ে হাইকোর্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন, ২০০৯-এর ১১টি ধারা-উপধারাও অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
রায়ে বলা হয়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া সংবিধানের লঙ্ঘন এবং তা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর আঘাত। এটি ক্ষমতার পৃথক্করণ নীতিরও পরিপন্থী। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ কর্ম কমিশনের সব সদস্য প্রশাসনিক নির্বাহী। নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে তাঁরা প্রজাতন্ত্রের সার্বভৌম বিচারিক ক্ষমতা চর্চা করতে পারেন না।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলে ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করা হয়।
হাইকোর্টে ওই তিন রিট আবেদনের একটির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ এখনো আপিল বিভাগে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেয়নি। হাইকোর্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন। শুধু স্থগিতাদেশ নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে নাগরিকদের সাজা দেওয়া মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
খুলনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক মাসের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি শিক্ষার্থী আসিফের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট তাঁকে খালাস দেন। উচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়, ম্যাজিস্ট্রেটকে মোবাইল কোর্টের নামে এমন কোনো অপরাধের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি, যা তাঁর সামনে ঘটেনি। মোবাইল কোর্টের নামে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ নেই, যাকে পুলিশ অন্যত্র থেকে গ্রেপ্তার বা আটক করেছে।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিচার অবশ্যই বিচারিক কর্মকর্তাদের দিয়ে করানো উচিত। হাইকোর্টের রায় বহাল রাখতে দ্রুত আপিল নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। নিষ্পত্তির উদ্যোগ রাষ্ট্রপক্ষকেই নিতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালতসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ে আইন সংশোধন বা নতুন আইন করতে বলা হয়েছে। এর মানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হলে সেটাও বিচারিক কর্মকর্তাকে দিয়ে করাতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে গত বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার কয়েকবার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
শেরপুরের নকলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক সাংবাদিককে ছয় মাসের কারাদণ্ডের ঘটনায় আবারও এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন, তা স্থগিত হয়ে আছে ছয় বছর। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।
আইনজীবীরা বলছেন, ওই আপিল নিষ্পত্তির জন্য রাষ্ট্রপক্ষের দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া উচিত। শুধু শেরপুরেরটি নয়, প্রশাসনিক কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দণ্ড মাঝেমধ্যে প্রশ্ন ও বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে।
আপিল নিষ্পত্তির উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তো চেষ্টা করছি।’ তিনি এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রারের কাছে খোঁজ নেওয়ার পরামর্শ দেন।
যোগাযোগ করা হলে আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. সাইফুর রহমান বলেন, এটি খোঁজ নিয়ে বলতে হবে।
শেরপুরের নকলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে তথ্য অধিকার আইনে একটি প্রকল্পের তথ্য চেয়ে ৫ মার্চ আবেদন করেন একটি জাতীয় দৈনিকের স্থানীয় সাংবাদিক শফিউজ্জামান। আবেদনের ‘রিসিভড কপি’ চাওয়ায় অসদাচরণের অভিযোগে তাঁকে আটকের পর ওই কার্যালয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিষয়টি প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। নিন্দা জানায় সম্পাদক পরিষদ, আইন ও সালিশ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সংগঠন। ১২ মার্চ শফিউজ্জামান জামিনে মুক্তি পান। বিষয়টির অনুসন্ধান করছে তথ্য কমিশন।
এর আগে ২০২০ সালের ১৩ মার্চ গভীর রাতে কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগানকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই ঘটনায়ও নিন্দার ঝড় উঠেছিল। কুড়িগ্রাম শহরের একটি পুকুর সংস্কার করে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের নিজের নামে নামকরণ করতে চাওয়া নিয়ে প্রতিবেদন করেছিলেন আরিফুল। প্রতিবেদন প্রকাশের পর তাঁকে মধ্যরাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে বাসায় আধা বোতল মদ ও ১৫০ গ্রাম গাঁজা পাওয়ার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই সাজা দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সাজা দেওয়ার পুরো প্রক্রিয়া কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছিলেন। রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই সাজার কার্যক্রম স্থগিত করেন আদালত। আরিফের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন (বর্তমানে অ্যাটর্নি জেনারেল)। সঙ্গে ছিলেন ইশরাত হাসান। ইশরাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই রুল এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।
মোবাইল কোর্ট আইন (ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন), ২০০৯-এর ৬(১) ধারায় বলা হয়েছে, ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধ কার্যক্রম পরিচালনাকালে কোনো অপরাধ তাঁর সামনে ঘটলে তিনি স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ওই আইনের নির্ধারিত দণ্ড দিতে পারবেন। ৭(৩) ধারায় বলা হয়েছে, অভিযোগ অস্বীকার করে আত্মপক্ষ সমর্থনে অভিযুক্ত ব্যক্তির ব্যাখ্যা সন্তোষজনক হলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেবেন।
৭(৪) ধারায় বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগটি বিচারের জন্য উপযুক্ত এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে পাঠাবেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১১ সালের অক্টোবর ও ডিসেম্বরে দুটি এবং ২০১২ সালের মে মাসে একটি রিট হয়। পরে তিনটি রিট একসঙ্গে নিষ্পত্তি করে ২০১৭ সালের ১১ মে দেওয়া রায়ে হাইকোর্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন, ২০০৯-এর ১১টি ধারা-উপধারাও অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
রায়ে বলা হয়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া সংবিধানের লঙ্ঘন এবং তা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর আঘাত। এটি ক্ষমতার পৃথক্করণ নীতিরও পরিপন্থী। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ কর্ম কমিশনের সব সদস্য প্রশাসনিক নির্বাহী। নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে তাঁরা প্রজাতন্ত্রের সার্বভৌম বিচারিক ক্ষমতা চর্চা করতে পারেন না।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলে ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করা হয়।
হাইকোর্টে ওই তিন রিট আবেদনের একটির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ এখনো আপিল বিভাগে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেয়নি। হাইকোর্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন। শুধু স্থগিতাদেশ নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে নাগরিকদের সাজা দেওয়া মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
খুলনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক মাসের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি শিক্ষার্থী আসিফের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট তাঁকে খালাস দেন। উচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়, ম্যাজিস্ট্রেটকে মোবাইল কোর্টের নামে এমন কোনো অপরাধের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি, যা তাঁর সামনে ঘটেনি। মোবাইল কোর্টের নামে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ নেই, যাকে পুলিশ অন্যত্র থেকে গ্রেপ্তার বা আটক করেছে।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিচার অবশ্যই বিচারিক কর্মকর্তাদের দিয়ে করানো উচিত। হাইকোর্টের রায় বহাল রাখতে দ্রুত আপিল নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। নিষ্পত্তির উদ্যোগ রাষ্ট্রপক্ষকেই নিতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালতসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ে আইন সংশোধন বা নতুন আইন করতে বলা হয়েছে। এর মানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হলে সেটাও বিচারিক কর্মকর্তাকে দিয়ে করাতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে গত বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার কয়েকবার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি, নৌকাবাইচের মতো অনুমোদিত খেলায় আর্থিক ঝুঁকি তৈরি হলে সেগুলোকে জুয়া হিসেবে গণ্য করা হবে। এ জন্য দুই বছর কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। জুয়া নিয়ে ফেসবুকে প্রচার করলেও দেওয়া হবে জেল-জরিমানা। অফলাইন ও অনলাইনে জুয়া খেলাকে নিয়ন্ত্রণ করতে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করেছে
৫ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজধানীর উত্তরা থানা পুলিশ রোববার (২২ জুন) একটি সুনির্দিষ্ট মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তবে এ সময় ‘মব’ কর্তৃক সৃষ্ট বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এবং অভিযুক্তকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা সরকারের নজরে এসেছে।
৮ ঘণ্টা আগেভারতীয় টিভি চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং বাংলাদেশে তাদের সম্প্রচার নিষিদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
১০ ঘণ্টা আগেপররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই হামলার পরিণতিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা ইতিমধ্যেই নাজুক একটি অঞ্চলের স্থিতিশীলতা আরও বিঘ্নিত করার ঝুঁকি তৈরি করেছে, যা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ। বাংলাদেশ সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা
১২ ঘণ্টা আগে