তানিম আহমেদ, ঢাকা
স্বাধীন বাংলাদেশে পরাজিত প্রশাসনের আমলাতন্ত্র নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সতর্ক করেছিলেন কিউবার বিপ্লবী নেতা ও প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রো। ১৯৭৩ সালে উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার আলজিয়ার্স নগরীতে জোটনিরপেক্ষ সম্মেলনে দুই নেতার সৌজন্য সাক্ষাতের বর্ণনায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
এদিকে স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে চলা ষড়যন্ত্রের বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং বা ‘র’। তাদের পক্ষ থেকে দুবার বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করা হয়।
১৯৭৩ সালের ৫ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) চতুর্থ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি, সৌদি আরবের বাদশাহ ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ ও কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। বৈঠকে আলোচনার বিষয়গুলো উঠে আসে লেখক এম আর আখতার মুকুলের ‘মহাপুরুষ’ বইয়ে।
বৈঠকে বঙ্গবন্ধুকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন ফিদেল কাস্ত্রো। সেখানে চিলির প্রেসিডেন্ট সালভাদর আলেন্দের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছিল, তারও উল্লেখ করেন। আলেন্দেকে ১৯৭৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর হত্যা করেন সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। বাংলাদেশ ও ভারতে সাম্রাজ্যবাদীদের এ ধরনের তৎপরতার কথা বলেন তিনি। এম আর আখতার মুকুল লিখেছেন, ‘কাস্ত্রোর কথা শুনে বঙ্গবন্ধু চিন্তিত হয়েছিলেন।’
সেদিন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল হোসেন ও সাংসদ ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলাম। তাঁরা দুজনেই ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও এ ধরনের আলোচনার কথা মনে করতে পারেননি।
১৯৮৯ সালে ভারতের ইংরেজি সাপ্তাহিক সানডের ২৯ এপ্রিল সংখ্যায় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর ভূমিকা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। যার প্রতিবাদ করেন সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান রমেশ্বর নাথ কাও, যিনি আরএন কাও নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। সেখানে তিনি লেখেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের তথ্য ‘র’ জানতে পেরেছিল। এ জন্য তাঁরা বঙ্গবন্ধুকে সতর্কও করেন। ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বর মাসে নিজে ঢাকায় এসে বঙ্গবন্ধুকে বিষয়টি বলেছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। জবাবে বঙ্গবন্ধু তাঁকে বলেছিলেন, ‘ওরা সবাই আমার ছেলে। আমাকে কেউ আঘাত করবে না।’ কাও লিখেছেন, ‘শেখ মুজিব আমাদের সব সতর্কতাই উপেক্ষা করেছিলেন।’
স্বাধীন বাংলাদেশে পরাজিত প্রশাসনের আমলাতন্ত্র নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সতর্ক করেছিলেন কিউবার বিপ্লবী নেতা ও প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রো। ১৯৭৩ সালে উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার আলজিয়ার্স নগরীতে জোটনিরপেক্ষ সম্মেলনে দুই নেতার সৌজন্য সাক্ষাতের বর্ণনায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
এদিকে স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে চলা ষড়যন্ত্রের বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং বা ‘র’। তাদের পক্ষ থেকে দুবার বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করা হয়।
১৯৭৩ সালের ৫ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) চতুর্থ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি, সৌদি আরবের বাদশাহ ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ ও কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। বৈঠকে আলোচনার বিষয়গুলো উঠে আসে লেখক এম আর আখতার মুকুলের ‘মহাপুরুষ’ বইয়ে।
বৈঠকে বঙ্গবন্ধুকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন ফিদেল কাস্ত্রো। সেখানে চিলির প্রেসিডেন্ট সালভাদর আলেন্দের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছিল, তারও উল্লেখ করেন। আলেন্দেকে ১৯৭৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর হত্যা করেন সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। বাংলাদেশ ও ভারতে সাম্রাজ্যবাদীদের এ ধরনের তৎপরতার কথা বলেন তিনি। এম আর আখতার মুকুল লিখেছেন, ‘কাস্ত্রোর কথা শুনে বঙ্গবন্ধু চিন্তিত হয়েছিলেন।’
সেদিন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল হোসেন ও সাংসদ ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলাম। তাঁরা দুজনেই ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও এ ধরনের আলোচনার কথা মনে করতে পারেননি।
১৯৮৯ সালে ভারতের ইংরেজি সাপ্তাহিক সানডের ২৯ এপ্রিল সংখ্যায় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর ভূমিকা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। যার প্রতিবাদ করেন সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান রমেশ্বর নাথ কাও, যিনি আরএন কাও নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। সেখানে তিনি লেখেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের তথ্য ‘র’ জানতে পেরেছিল। এ জন্য তাঁরা বঙ্গবন্ধুকে সতর্কও করেন। ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বর মাসে নিজে ঢাকায় এসে বঙ্গবন্ধুকে বিষয়টি বলেছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। জবাবে বঙ্গবন্ধু তাঁকে বলেছিলেন, ‘ওরা সবাই আমার ছেলে। আমাকে কেউ আঘাত করবে না।’ কাও লিখেছেন, ‘শেখ মুজিব আমাদের সব সতর্কতাই উপেক্ষা করেছিলেন।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই হামলার পরিণতিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা ইতিমধ্যেই নাজুক একটি অঞ্চলের স্থিতিশীলতা আরও বিঘ্নিত করার ঝুঁকি তৈরি করেছে, যা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ। বাংলাদেশ সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা
১ ঘণ্টা আগেদূতাবাস বলছে, তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন স্থানে বৈধ ও অবৈধভাবে অবস্থান করছেন প্রায় আড়াই হাজার বাংলাদেশি। তাঁদের মধ্যে ২০০ শিক্ষার্থী, দূতাবাসের কূটনীতিক কর্মী, তাঁদের পরিবারসহ প্রায় ৪০ জন, চিকিৎসার জন্য সেখানে যাওয়া কিছু রোগীসহ প্রায় ৩০০ জনের নিরাপত্তা ও অন্যান্য ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি।
১ ঘণ্টা আগেবিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিইসি ও ইসি সচিবের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছি। আমরা জানি, বর্তমান কমিশন এ অভিযোগের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। আগের কমিশন যেহেতু সংবিধান লঙ্ঘন করে ফৌজদারি অপরাধ করেছে, এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা থানায় মামলা করা হয়েছে।’
২ ঘণ্টা আগেপ্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল ১০ বছরের বিষয়ে জামায়াত, এনসিপিসহ অধিকাংশ দল একমত হলেও বিএনপিসহ তিনটি দল দ্বিমত পোষণ করেছ বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। আজ রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের পঞ্চম দিনের মুলতবি শেষে
৩ ঘণ্টা আগে