উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা 

নির্বাচনের দায়িত্বে অবহেলার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জেল-জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, দায়িত্বে অবহেলাকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করলে তাদের বিরুদ্ধেও শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং অর্থ-সংক্রান্ত কতিপয় আইন (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ এবং নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
নির্বাচন কর্মকর্তার সংজ্ঞা পরিবর্তন করে কারা কারা এ দায়িত্বে থাকবেন, তা স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান আইন অনুযায়ী, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা নির্বাচন-সংক্রান্ত বিষয়ে কমিশন বা ক্ষেত্রমতো রিটার্নিং কর্মকর্তার কোনো আদেশ বা নির্দেশ পালন না করলে বা অস্বীকৃতি জানালে বা নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনো আইনের বিধান ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করলে বা এর অধীন কোনো অপরাধ করলে তিনি অসদাচরণ করেছেন বলে গণ্য হবে। এ জন্য কমিশন, কমিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কমিশনের সম্মতিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা চাকরিবিধি অনুযায়ী দুই মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দিতে পারবেন।
বর্তমান আইনে বলা আছে, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা অসদাচরণ করলে তাঁর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অবসর, পদাবনতি, পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি অনধিক দুই বছরের জন্য স্থগিত করতে পারবেন।
নির্বাচনী দায়িত্বে পালনে অসদাচরণের জন্য কোনো নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশন, কমিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কমিশনের সম্মতিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা বা কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তাব পাঠাবেন। এ প্রস্তাব পাওয়ার এক মাসের মধ্যে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। এই আদেশ পালন বা কার্যকর না করলে সংশ্লিষ্টদের সর্বনিম্ন ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর জেল, ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। এত দিন এই অপরাধের জন্য ৬ মাস কারাদণ্ড, ২ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হতো।
আইনে নতুন ধারা যুক্ত করে বলা হয়েছে, কমিশনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ব্যক্তিগত নথি, চাকরি বই এবং বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনে লিপিবদ্ধ ও ডসিআরে অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং এ বিষয়ে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। সরকার ও কমিশনের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো মতভেদ দেখা দিলে কমিশনের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিতে হবে। কমিশনের কাছে যদি প্রতীয়মান হয়, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তব্যে অবহেলা করেছেন, তাহলে ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কমিশন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
এত দিন কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা দায়িত্ব গ্রহণে বা পালনে অপারগতা বা অস্বীকৃতি জানালে ১ বছর কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দেওয়া হতো। আইন সংশোধন করে এই অপরাধের জন্য ১ বছর কারাদণ্ডের সঙ্গে অর্থদণ্ড বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা হয়েছে, চাইলে উভয় দণ্ডও দেওয়া যাবে।
গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন পরিচালনায় যাঁরা অবহেলা করবেন তাঁদের জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করা হচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের কাজকে গতিশীল করা এবং তাদেরকে আরও শক্তিশালী করা। নির্বাচনকালে যাঁরা দায়িত্ব পালন করেন তাঁদেরকে জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসা এবং শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আগে শাস্তির বিষয়টি স্পষ্ট ছিল না।
ইসির অধীনেই থাকছে এনআইডি
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এত দিন জাতীয় নির্বাচনের ভোটার তালিকা প্রস্তুত করত। আইন সংশোধন করে তাদের ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডার প্রস্তুত ও সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান আইনে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন করা রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ ও সংরক্ষণকরণের দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের। এ দায়িত্বের সঙ্গে তাদের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের রেজিস্টার সংরক্ষণ, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং সংলাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ভোট গ্রহণের রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ম্যাজিস্ট্রেট, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং পোলিং অফিসারদের জন্য প্যানেল তৈরি এবং নিয়োগ করাদের তালিকা সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়াও হয়েছে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশন সার্ভিস নামে একটি সার্ভিস থাকবে। এই সার্ভিস প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান আইনের ৩(৪) ধারা বহাল থাকবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইনের ৩(৪) ধারায় বলা আছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিযুক্ত একজন সচিব এবং অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত হবে।
এনবিআর-সংক্রান্ত আইনের সংশোধনীর বিষয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ভ্যাট ও ইনকাম ট্যাক্স-সংক্রান্ত বিষয়ে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেজারি বন্ডের ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে।
সংস্কার নিয়ে আলোচনা
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চলমান সংস্কার পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ১২১টি সংস্কার নিয়ে প্রথম ধাপে কাজ শুরু হয়েছিল। বৈঠকে জানানো হয়েছে, ৭৭টি অতিগুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের মধ্যে ২৪টি ইতিমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছে, আর আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে ১৪টি, বাকিগুলো বাস্তবায়নের পথে।
সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বাইরে যে বিষয়গুলো তাঁরা সংস্কার করেছেন বা বাস্তবায়ন করেছেন, তার একটি তালিকা তৈরি করার জন্য বলা হয়েছে। সংস্কার কমিশন যেসব সংস্কারের সুপারিশ দিয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি সংস্কার প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে হয়েছে। একটা বুকলেট করে সংস্কার তুলে ধরা হবে।
‘বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে’
বাসস জানায়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীন তাদের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বকে এগিয়ে নিতে একসঙ্গে এগিয়ে যাবে, যা উভয় দেশ ও বিশ্বের জনগণের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখ বয়ে আনবে। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে গত বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা দূতাবাস আয়োজিত এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এক ভিডিও বার্তায় এই মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জনগণের সেবার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে অর্জিত উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পাশাপাশি গ্লোবাল সাউথ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এর অনুপ্রেরণা ও অবদানের প্রশংসা করেন। চীনকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য দেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, প্রধান রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতা, বিদেশি কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, চীনা সম্প্রদায়ের সদস্য, শিক্ষাবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং থিংক ট্যাংক বিশেষজ্ঞসহ ৬০০ জনের বেশি অতিথি।

নির্বাচনের দায়িত্বে অবহেলার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জেল-জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, দায়িত্বে অবহেলাকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করলে তাদের বিরুদ্ধেও শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং অর্থ-সংক্রান্ত কতিপয় আইন (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ এবং নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
নির্বাচন কর্মকর্তার সংজ্ঞা পরিবর্তন করে কারা কারা এ দায়িত্বে থাকবেন, তা স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান আইন অনুযায়ী, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা নির্বাচন-সংক্রান্ত বিষয়ে কমিশন বা ক্ষেত্রমতো রিটার্নিং কর্মকর্তার কোনো আদেশ বা নির্দেশ পালন না করলে বা অস্বীকৃতি জানালে বা নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনো আইনের বিধান ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করলে বা এর অধীন কোনো অপরাধ করলে তিনি অসদাচরণ করেছেন বলে গণ্য হবে। এ জন্য কমিশন, কমিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কমিশনের সম্মতিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা চাকরিবিধি অনুযায়ী দুই মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দিতে পারবেন।
বর্তমান আইনে বলা আছে, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা অসদাচরণ করলে তাঁর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অবসর, পদাবনতি, পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি অনধিক দুই বছরের জন্য স্থগিত করতে পারবেন।
নির্বাচনী দায়িত্বে পালনে অসদাচরণের জন্য কোনো নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশন, কমিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কমিশনের সম্মতিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা বা কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তাব পাঠাবেন। এ প্রস্তাব পাওয়ার এক মাসের মধ্যে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। এই আদেশ পালন বা কার্যকর না করলে সংশ্লিষ্টদের সর্বনিম্ন ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর জেল, ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। এত দিন এই অপরাধের জন্য ৬ মাস কারাদণ্ড, ২ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হতো।
আইনে নতুন ধারা যুক্ত করে বলা হয়েছে, কমিশনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ব্যক্তিগত নথি, চাকরি বই এবং বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনে লিপিবদ্ধ ও ডসিআরে অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং এ বিষয়ে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। সরকার ও কমিশনের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো মতভেদ দেখা দিলে কমিশনের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিতে হবে। কমিশনের কাছে যদি প্রতীয়মান হয়, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তব্যে অবহেলা করেছেন, তাহলে ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কমিশন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
এত দিন কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা দায়িত্ব গ্রহণে বা পালনে অপারগতা বা অস্বীকৃতি জানালে ১ বছর কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দেওয়া হতো। আইন সংশোধন করে এই অপরাধের জন্য ১ বছর কারাদণ্ডের সঙ্গে অর্থদণ্ড বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা হয়েছে, চাইলে উভয় দণ্ডও দেওয়া যাবে।
গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন পরিচালনায় যাঁরা অবহেলা করবেন তাঁদের জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করা হচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের কাজকে গতিশীল করা এবং তাদেরকে আরও শক্তিশালী করা। নির্বাচনকালে যাঁরা দায়িত্ব পালন করেন তাঁদেরকে জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসা এবং শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আগে শাস্তির বিষয়টি স্পষ্ট ছিল না।
ইসির অধীনেই থাকছে এনআইডি
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এত দিন জাতীয় নির্বাচনের ভোটার তালিকা প্রস্তুত করত। আইন সংশোধন করে তাদের ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডার প্রস্তুত ও সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান আইনে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন করা রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ ও সংরক্ষণকরণের দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের। এ দায়িত্বের সঙ্গে তাদের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের রেজিস্টার সংরক্ষণ, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং সংলাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ভোট গ্রহণের রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ম্যাজিস্ট্রেট, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং পোলিং অফিসারদের জন্য প্যানেল তৈরি এবং নিয়োগ করাদের তালিকা সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়াও হয়েছে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশন সার্ভিস নামে একটি সার্ভিস থাকবে। এই সার্ভিস প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান আইনের ৩(৪) ধারা বহাল থাকবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইনের ৩(৪) ধারায় বলা আছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিযুক্ত একজন সচিব এবং অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত হবে।
এনবিআর-সংক্রান্ত আইনের সংশোধনীর বিষয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ভ্যাট ও ইনকাম ট্যাক্স-সংক্রান্ত বিষয়ে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেজারি বন্ডের ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে।
সংস্কার নিয়ে আলোচনা
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চলমান সংস্কার পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ১২১টি সংস্কার নিয়ে প্রথম ধাপে কাজ শুরু হয়েছিল। বৈঠকে জানানো হয়েছে, ৭৭টি অতিগুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের মধ্যে ২৪টি ইতিমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছে, আর আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে ১৪টি, বাকিগুলো বাস্তবায়নের পথে।
সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বাইরে যে বিষয়গুলো তাঁরা সংস্কার করেছেন বা বাস্তবায়ন করেছেন, তার একটি তালিকা তৈরি করার জন্য বলা হয়েছে। সংস্কার কমিশন যেসব সংস্কারের সুপারিশ দিয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি সংস্কার প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে হয়েছে। একটা বুকলেট করে সংস্কার তুলে ধরা হবে।
‘বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে’
বাসস জানায়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীন তাদের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বকে এগিয়ে নিতে একসঙ্গে এগিয়ে যাবে, যা উভয় দেশ ও বিশ্বের জনগণের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখ বয়ে আনবে। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে গত বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা দূতাবাস আয়োজিত এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এক ভিডিও বার্তায় এই মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জনগণের সেবার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে অর্জিত উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পাশাপাশি গ্লোবাল সাউথ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এর অনুপ্রেরণা ও অবদানের প্রশংসা করেন। চীনকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য দেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, প্রধান রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতা, বিদেশি কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, চীনা সম্প্রদায়ের সদস্য, শিক্ষাবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং থিংক ট্যাংক বিশেষজ্ঞসহ ৬০০ জনের বেশি অতিথি।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা 

নির্বাচনের দায়িত্বে অবহেলার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জেল-জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, দায়িত্বে অবহেলাকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করলে তাদের বিরুদ্ধেও শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং অর্থ-সংক্রান্ত কতিপয় আইন (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ এবং নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
নির্বাচন কর্মকর্তার সংজ্ঞা পরিবর্তন করে কারা কারা এ দায়িত্বে থাকবেন, তা স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান আইন অনুযায়ী, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা নির্বাচন-সংক্রান্ত বিষয়ে কমিশন বা ক্ষেত্রমতো রিটার্নিং কর্মকর্তার কোনো আদেশ বা নির্দেশ পালন না করলে বা অস্বীকৃতি জানালে বা নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনো আইনের বিধান ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করলে বা এর অধীন কোনো অপরাধ করলে তিনি অসদাচরণ করেছেন বলে গণ্য হবে। এ জন্য কমিশন, কমিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কমিশনের সম্মতিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা চাকরিবিধি অনুযায়ী দুই মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দিতে পারবেন।
বর্তমান আইনে বলা আছে, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা অসদাচরণ করলে তাঁর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অবসর, পদাবনতি, পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি অনধিক দুই বছরের জন্য স্থগিত করতে পারবেন।
নির্বাচনী দায়িত্বে পালনে অসদাচরণের জন্য কোনো নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশন, কমিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কমিশনের সম্মতিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা বা কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তাব পাঠাবেন। এ প্রস্তাব পাওয়ার এক মাসের মধ্যে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। এই আদেশ পালন বা কার্যকর না করলে সংশ্লিষ্টদের সর্বনিম্ন ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর জেল, ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। এত দিন এই অপরাধের জন্য ৬ মাস কারাদণ্ড, ২ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হতো।
আইনে নতুন ধারা যুক্ত করে বলা হয়েছে, কমিশনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ব্যক্তিগত নথি, চাকরি বই এবং বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনে লিপিবদ্ধ ও ডসিআরে অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং এ বিষয়ে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। সরকার ও কমিশনের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো মতভেদ দেখা দিলে কমিশনের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিতে হবে। কমিশনের কাছে যদি প্রতীয়মান হয়, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তব্যে অবহেলা করেছেন, তাহলে ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কমিশন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
এত দিন কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা দায়িত্ব গ্রহণে বা পালনে অপারগতা বা অস্বীকৃতি জানালে ১ বছর কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দেওয়া হতো। আইন সংশোধন করে এই অপরাধের জন্য ১ বছর কারাদণ্ডের সঙ্গে অর্থদণ্ড বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা হয়েছে, চাইলে উভয় দণ্ডও দেওয়া যাবে।
গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন পরিচালনায় যাঁরা অবহেলা করবেন তাঁদের জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করা হচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের কাজকে গতিশীল করা এবং তাদেরকে আরও শক্তিশালী করা। নির্বাচনকালে যাঁরা দায়িত্ব পালন করেন তাঁদেরকে জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসা এবং শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আগে শাস্তির বিষয়টি স্পষ্ট ছিল না।
ইসির অধীনেই থাকছে এনআইডি
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এত দিন জাতীয় নির্বাচনের ভোটার তালিকা প্রস্তুত করত। আইন সংশোধন করে তাদের ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডার প্রস্তুত ও সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান আইনে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন করা রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ ও সংরক্ষণকরণের দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের। এ দায়িত্বের সঙ্গে তাদের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের রেজিস্টার সংরক্ষণ, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং সংলাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ভোট গ্রহণের রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ম্যাজিস্ট্রেট, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং পোলিং অফিসারদের জন্য প্যানেল তৈরি এবং নিয়োগ করাদের তালিকা সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়াও হয়েছে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশন সার্ভিস নামে একটি সার্ভিস থাকবে। এই সার্ভিস প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান আইনের ৩(৪) ধারা বহাল থাকবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইনের ৩(৪) ধারায় বলা আছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিযুক্ত একজন সচিব এবং অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত হবে।
এনবিআর-সংক্রান্ত আইনের সংশোধনীর বিষয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ভ্যাট ও ইনকাম ট্যাক্স-সংক্রান্ত বিষয়ে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেজারি বন্ডের ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে।
সংস্কার নিয়ে আলোচনা
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চলমান সংস্কার পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ১২১টি সংস্কার নিয়ে প্রথম ধাপে কাজ শুরু হয়েছিল। বৈঠকে জানানো হয়েছে, ৭৭টি অতিগুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের মধ্যে ২৪টি ইতিমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছে, আর আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে ১৪টি, বাকিগুলো বাস্তবায়নের পথে।
সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বাইরে যে বিষয়গুলো তাঁরা সংস্কার করেছেন বা বাস্তবায়ন করেছেন, তার একটি তালিকা তৈরি করার জন্য বলা হয়েছে। সংস্কার কমিশন যেসব সংস্কারের সুপারিশ দিয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি সংস্কার প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে হয়েছে। একটা বুকলেট করে সংস্কার তুলে ধরা হবে।
‘বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে’
বাসস জানায়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীন তাদের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বকে এগিয়ে নিতে একসঙ্গে এগিয়ে যাবে, যা উভয় দেশ ও বিশ্বের জনগণের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখ বয়ে আনবে। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে গত বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা দূতাবাস আয়োজিত এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এক ভিডিও বার্তায় এই মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জনগণের সেবার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে অর্জিত উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পাশাপাশি গ্লোবাল সাউথ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এর অনুপ্রেরণা ও অবদানের প্রশংসা করেন। চীনকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য দেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, প্রধান রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতা, বিদেশি কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, চীনা সম্প্রদায়ের সদস্য, শিক্ষাবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং থিংক ট্যাংক বিশেষজ্ঞসহ ৬০০ জনের বেশি অতিথি।

নির্বাচনের দায়িত্বে অবহেলার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জেল-জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, দায়িত্বে অবহেলাকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করলে তাদের বিরুদ্ধেও শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং অর্থ-সংক্রান্ত কতিপয় আইন (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ এবং নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
নির্বাচন কর্মকর্তার সংজ্ঞা পরিবর্তন করে কারা কারা এ দায়িত্বে থাকবেন, তা স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান আইন অনুযায়ী, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা নির্বাচন-সংক্রান্ত বিষয়ে কমিশন বা ক্ষেত্রমতো রিটার্নিং কর্মকর্তার কোনো আদেশ বা নির্দেশ পালন না করলে বা অস্বীকৃতি জানালে বা নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনো আইনের বিধান ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করলে বা এর অধীন কোনো অপরাধ করলে তিনি অসদাচরণ করেছেন বলে গণ্য হবে। এ জন্য কমিশন, কমিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কমিশনের সম্মতিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা চাকরিবিধি অনুযায়ী দুই মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দিতে পারবেন।
বর্তমান আইনে বলা আছে, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা অসদাচরণ করলে তাঁর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অবসর, পদাবনতি, পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি অনধিক দুই বছরের জন্য স্থগিত করতে পারবেন।
নির্বাচনী দায়িত্বে পালনে অসদাচরণের জন্য কোনো নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশন, কমিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কমিশনের সম্মতিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা বা কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তাব পাঠাবেন। এ প্রস্তাব পাওয়ার এক মাসের মধ্যে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। এই আদেশ পালন বা কার্যকর না করলে সংশ্লিষ্টদের সর্বনিম্ন ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর জেল, ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। এত দিন এই অপরাধের জন্য ৬ মাস কারাদণ্ড, ২ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হতো।
আইনে নতুন ধারা যুক্ত করে বলা হয়েছে, কমিশনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ব্যক্তিগত নথি, চাকরি বই এবং বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনে লিপিবদ্ধ ও ডসিআরে অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং এ বিষয়ে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। সরকার ও কমিশনের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো মতভেদ দেখা দিলে কমিশনের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিতে হবে। কমিশনের কাছে যদি প্রতীয়মান হয়, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তব্যে অবহেলা করেছেন, তাহলে ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কমিশন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
এত দিন কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা দায়িত্ব গ্রহণে বা পালনে অপারগতা বা অস্বীকৃতি জানালে ১ বছর কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দেওয়া হতো। আইন সংশোধন করে এই অপরাধের জন্য ১ বছর কারাদণ্ডের সঙ্গে অর্থদণ্ড বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা হয়েছে, চাইলে উভয় দণ্ডও দেওয়া যাবে।
গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন পরিচালনায় যাঁরা অবহেলা করবেন তাঁদের জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করা হচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের কাজকে গতিশীল করা এবং তাদেরকে আরও শক্তিশালী করা। নির্বাচনকালে যাঁরা দায়িত্ব পালন করেন তাঁদেরকে জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসা এবং শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আগে শাস্তির বিষয়টি স্পষ্ট ছিল না।
ইসির অধীনেই থাকছে এনআইডি
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এত দিন জাতীয় নির্বাচনের ভোটার তালিকা প্রস্তুত করত। আইন সংশোধন করে তাদের ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডার প্রস্তুত ও সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান আইনে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন করা রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ ও সংরক্ষণকরণের দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের। এ দায়িত্বের সঙ্গে তাদের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের রেজিস্টার সংরক্ষণ, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং সংলাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ভোট গ্রহণের রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ম্যাজিস্ট্রেট, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং পোলিং অফিসারদের জন্য প্যানেল তৈরি এবং নিয়োগ করাদের তালিকা সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়াও হয়েছে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশন সার্ভিস নামে একটি সার্ভিস থাকবে। এই সার্ভিস প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান আইনের ৩(৪) ধারা বহাল থাকবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইনের ৩(৪) ধারায় বলা আছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিযুক্ত একজন সচিব এবং অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত হবে।
এনবিআর-সংক্রান্ত আইনের সংশোধনীর বিষয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ভ্যাট ও ইনকাম ট্যাক্স-সংক্রান্ত বিষয়ে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেজারি বন্ডের ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে।
সংস্কার নিয়ে আলোচনা
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চলমান সংস্কার পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ১২১টি সংস্কার নিয়ে প্রথম ধাপে কাজ শুরু হয়েছিল। বৈঠকে জানানো হয়েছে, ৭৭টি অতিগুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের মধ্যে ২৪টি ইতিমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছে, আর আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে ১৪টি, বাকিগুলো বাস্তবায়নের পথে।
সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বাইরে যে বিষয়গুলো তাঁরা সংস্কার করেছেন বা বাস্তবায়ন করেছেন, তার একটি তালিকা তৈরি করার জন্য বলা হয়েছে। সংস্কার কমিশন যেসব সংস্কারের সুপারিশ দিয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি সংস্কার প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে হয়েছে। একটা বুকলেট করে সংস্কার তুলে ধরা হবে।
‘বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে’
বাসস জানায়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীন তাদের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বকে এগিয়ে নিতে একসঙ্গে এগিয়ে যাবে, যা উভয় দেশ ও বিশ্বের জনগণের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখ বয়ে আনবে। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে গত বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা দূতাবাস আয়োজিত এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এক ভিডিও বার্তায় এই মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জনগণের সেবার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে অর্জিত উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পাশাপাশি গ্লোবাল সাউথ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এর অনুপ্রেরণা ও অবদানের প্রশংসা করেন। চীনকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য দেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, প্রধান রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতা, বিদেশি কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, চীনা সম্প্রদায়ের সদস্য, শিক্ষাবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং থিংক ট্যাংক বিশেষজ্ঞসহ ৬০০ জনের বেশি অতিথি।

উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
৩২ মিনিট আগে
আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
২ ঘণ্টা আগে
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা যখন নতুন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক সে সময় দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর প্রতি আস্থা পুনর্গঠন, আঞ্চলিক সংযোগ জোরদার ও যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে আজ মঙ্গলবার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের (এসডিপিআই) বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এই আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া এরই মধ্যে ঘন ঘন বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, তাপপ্রবাহসহ আকস্মিক দুর্যোগের পাশাপাশি লবণাক্ততা বৃদ্ধি, মাটির উর্বরতা হ্রাস ও কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়ার মতো ধীরগতির জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখোমুখি। অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের একাই প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নের ঘাটতি স্পষ্ট করে। অর্থ যদি না-ও আসে, আমরা অপেক্ষা করে থাকব না। আমাদের জাতীয় ও আঞ্চলিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
সম্মেলনের বিষয়বস্তুকে ‘সময়সাপেক্ষ ও গভীরতাসম্পন্ন’ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, শাসনব্যবস্থার নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক কাঠামো আজ সংকটে। বৈষম্য, ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শ্রীলঙ্কা থেকে নেপাল পর্যন্ত জনগণের বিক্ষোভ প্রমাণ করে—বর্তমান শাসন মডেল জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ।
তবে রিজওয়ানা হাসান নতুন প্রজন্মের প্রতি আস্থা রেখে বলেন, তাঁদের হাতেই তৈরি হচ্ছে নতুন বিশ্বব্যবস্থা।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী অধ্যাপক আহসান ইকবাল, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, জাপানের আইজিইএস প্রেসিডেন্ট কাজুহিকো তাকেওচি, পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান প্রমুখ।

বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা যখন নতুন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক সে সময় দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর প্রতি আস্থা পুনর্গঠন, আঞ্চলিক সংযোগ জোরদার ও যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে আজ মঙ্গলবার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের (এসডিপিআই) বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এই আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া এরই মধ্যে ঘন ঘন বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, তাপপ্রবাহসহ আকস্মিক দুর্যোগের পাশাপাশি লবণাক্ততা বৃদ্ধি, মাটির উর্বরতা হ্রাস ও কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়ার মতো ধীরগতির জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখোমুখি। অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের একাই প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নের ঘাটতি স্পষ্ট করে। অর্থ যদি না-ও আসে, আমরা অপেক্ষা করে থাকব না। আমাদের জাতীয় ও আঞ্চলিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
সম্মেলনের বিষয়বস্তুকে ‘সময়সাপেক্ষ ও গভীরতাসম্পন্ন’ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, শাসনব্যবস্থার নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক কাঠামো আজ সংকটে। বৈষম্য, ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শ্রীলঙ্কা থেকে নেপাল পর্যন্ত জনগণের বিক্ষোভ প্রমাণ করে—বর্তমান শাসন মডেল জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ।
তবে রিজওয়ানা হাসান নতুন প্রজন্মের প্রতি আস্থা রেখে বলেন, তাঁদের হাতেই তৈরি হচ্ছে নতুন বিশ্বব্যবস্থা।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী অধ্যাপক আহসান ইকবাল, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, জাপানের আইজিইএস প্রেসিডেন্ট কাজুহিকো তাকেওচি, পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান প্রমুখ।

নির্বাচনের দায়িত্বে অবহেলার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জেল-জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, দায়িত্বে অবহেলাকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করলে তাদের বিরুদ্ধেও শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
২ ঘণ্টা আগে
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতানামা ব্যক্তিদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪-সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬-এর ৫৪ ও ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা করেন।
মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতানামা ব্যক্তিদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪-সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬-এর ৫৪ ও ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা করেন।
মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে।

নির্বাচনের দায়িত্বে অবহেলার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জেল-জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, দায়িত্বে অবহেলাকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করলে তাদের বিরুদ্ধেও শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
৩২ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
২ ঘণ্টা আগে
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আখতার আহমেদ জানান, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী)—এই তিন নতুন দলকে নিবন্ধন দিতে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সচিব আরও জানান, আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এ দলগুলোর বিষয়ে কোনো দাবি-আপত্তি থাকলে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত করা যাবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন।

জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আখতার আহমেদ জানান, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী)—এই তিন নতুন দলকে নিবন্ধন দিতে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সচিব আরও জানান, আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এ দলগুলোর বিষয়ে কোনো দাবি-আপত্তি থাকলে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত করা যাবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন।

নির্বাচনের দায়িত্বে অবহেলার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জেল-জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, দায়িত্বে অবহেলাকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করলে তাদের বিরুদ্ধেও শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
৩২ মিনিট আগে
আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে কি না—প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁরা আইনের চোখে অপরাধী। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।’
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা, যাঁরা সাবেক ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের অনেকেই এখন রাজধানীতে ওসির দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা ২০১৪, ২০১৯ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের বাছাই করে বাদ দেওয়া হবে।’
নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি থাকবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন যেহেতু তারা ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার ব্যবহার করছে, নির্বাচনের সময়ও তা বহাল থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা যাঁরা অপরাধে জড়িত ছিলেন, দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে কি না—প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁরা আইনের চোখে অপরাধী। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।’
পুলিশের অনেক কর্মকর্তা, যাঁরা সাবেক ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের অনেকেই এখন রাজধানীতে ওসির দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা ২০১৪, ২০১৯ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের বাছাই করে বাদ দেওয়া হবে।’
নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি থাকবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন যেহেতু তারা ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার ব্যবহার করছে, নির্বাচনের সময়ও তা বহাল থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

নির্বাচনের দায়িত্বে অবহেলার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জেল-জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, দায়িত্বে অবহেলাকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করলে তাদের বিরুদ্ধেও শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
৩২ মিনিট আগে
আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
২ ঘণ্টা আগে