Ajker Patrika

দুই বছরে কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়ে ৩ গুণ, সঙ্গে বাড়ছে দূষণ: গবেষণা

আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫: ৫৯
দুই বছরে কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়ে ৩ গুণ, সঙ্গে বাড়ছে দূষণ: গবেষণা

বাংলাদেশের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি হিসেবে গ্যাসের চেয়ে কয়লার ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। আর এই জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর কারণে দূষণও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক জ্বালানি থিংকট্যাংক অ্যাম্বারের তথ্য বলছে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বাংলাদেশে কয়লা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্বিগুণ বেড়েছে। 

অ্যাম্বারের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সময়ে বাংলাদেশে কয়লা ব্যবহার করে রেকর্ড ১৭ টেরাওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে। এই সময়ে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বেড়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এই অবস্থায় গ্যাস থেকে মোট উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৪৭ দশমিক ৪৪ টেরাওয়াট ঘণ্টায়। 

এই প্রবণতা নির্দেশ করে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতের যে মিশ্র—গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক—ব্যবস্থা, সেখানে কয়লা ব্যবহারের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। কেবল তাই নয়, মাত্র দুই বছর আগে বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাত্র ৭ শতাংশ আসত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে, এখন সেই পরিমাণ ২১ দশমিক ১ শতাংশ। 
 
কয়লার ব্যবহার যেখানে ক্রমেই বাড়ছে, সেখানে ২০১৯ সালের পর থেকে গ্যাসের ব্যবহার ক্রমেই কমছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতের ৫৯ শতাংশ এসেছে প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্র থেকে। ২০২১ ও ২০১৯ সালে এই পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৬৬ ও ৭৬ দশমিক ৪ শতাংশ। 

এই অবস্থায় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে যদি কয়লার ব্যবহার বাড়তেই থাকে, তাহলে চলতি দশকের মধ্যেই কয়লা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় উৎস হিসেবে বিবেচিত হবে, যা বিশ্বজুড়ে কয়লার ব্যবহার কমানোর যে প্রচেষ্টা তা বাধাগ্রস্ত করবে। 

বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ বস্ত্র উৎপাদক ও রপ্তানিকারক দেশগুলোর একটি। বিগত দশকগুলোতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়া বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়েছে সমানতালে। দেশের গার্মেন্টস খাতেই বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় প্রায় ২৪ ঘণ্টাই। দেশের অন্যান্য উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদা আরও বেড়েছে। 

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব বলছে, বিগত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের গত দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ, যা বৈশ্বিক গড় জিডিপির চেয়ে অন্তত দ্বিগুণ বেশি। জিডিপি বাড়ার সঙ্গে উৎপাদন ও অন্যান্য খাতে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে ব্যাপক হারে। সে কারণে গত বছর নিয়মিত বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে। ২০২৪ সাল, অর্থাৎ চলতি বছর একই পরিস্থিতি এড়াতে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকে আরও বেশি কয়লা ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে এমনকি কয়লা আমদানিরও অনুমতি দিয়েছে। 

বাংলাদেশ আগে থেকেই ভারত থেকে ট্রাক ও ট্রেনযোগে কয়লা আমদানি করছে। তবে ২০২৩ সালে দেশটি জলপথেও কয়লা আমদানি করেছে। ট্রেড ইন্টেলিজেন্স ফার্ম কেপলারের হিসাব বলছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ মোট কয়লার ৪৭ শতাংশ, অর্থাৎ ১২ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন আমদানি করেছে জলপথে। 

কেপলারের ডেটা বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ জলপথে গড়ে ৬ দশমিক ৮ মিলিয়ন টন কয়লা আমদানি করেছে। অথচ ২০২৩ সালে আমদানি করেছে প্রায় দ্বিগুণ—১২ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন, যার ফলে কয়লা আমদানির দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ ১২তম দেশে পরিণত হয়েছে। দুই বছর আগেও এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪তম। 

অ্যাম্বার বলছে, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বাংলাদেশের কার্বন নিঃসারণকে রেকর্ড উচ্চতায় ঠেলে দিয়েছে। দেশে ২০২৩ সালে ৬০ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়েছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় অনেক বেশি। সে বছর কার্বন নিঃসারণ হয়েছিল ৫৮ দশমিক ৩ মিলিয়ন টন। সব মিলিয়ে ২০২৩ সালের কার্বন নিঃসারণ ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ২৪ শতাংশ বেড়েছে। 

বাংলাদেশে কার্বন ঘন বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণও বেড়েছে। ২০২৩ সালে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য মোটামুটি ৭ লাখ ৪১ হাজার ৫০০ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়েছে। ২০২২ সালে সেই পরিমাণ ছিল ৭ লাখ ২৩ হাজার ২০০ টন। 

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিদ্যুৎ আমদানি কোনোটাই থেমে নেই। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কয়লা থেকে উৎপাদিত হয়েছে ২ দশমিক ১১ টেরাওয়াট। এক বছর আগে ছিল দশমিক ৮৩ টেরাওয়াট। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৩০ লাখ কয়লা আমদানি করেছে বাংলাদেশ। 

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার ও আমদানি অব্যাহত থাকলে ২০২৪ সালে সম্ভবত কয়লাভিত্তিক উৎপাদন ও কার্বন নিঃসারণ উভয় ক্ষেত্রেই রেকর্ড তৈরি হবে। বিশ্বের বাকি অংশ কয়লা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পরেও বাংলাদেশ কয়লার চাহিদার কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজবাড়ীতে গণপিটুনিতে অমৃত মন্ডল নিহতের ঘটনা সাম্প্রদায়িক হামলা নয়: প্রেস উইং

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজবাড়ীতে গণপিটুনিতে অমৃত মন্ডল নিহতের ঘটনা সাম্প্রদায়িক হামলা নয়: প্রেস উইং

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।

পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।

সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের আগমনে রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে: প্রেস সচিব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’

তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড়দিনে বঙ্গভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন রাষ্ট্রপতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনে কথা বললেন তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

এরপর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কুশল-বিনিয়ম করেন। নিরাপত্তা ও বিভিন্ন ধরনের সহায়তার জন্য এ সময় তিনি সরকারপ্রধানের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

কথোপকথনে তারেককে বলতে শোনা যায়, ‘জি জি...আমার জন্য আমার...জি জি...আপনার শরীর কেমন আছে?’

...

‘হ্যাঁ, দোয়া করবেন, দোয়া করবেন।’ ...

‘আমি আমার পক্ষ থেকে এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনি আপনার পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম আয়োজন করেছেন, বিশেষ করে আমার নিরাপত্তার জন্য। অ্যান্ড উই আর থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ...থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ। সব রকম আয়োজনের জন্য।’

...

‘নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই। জি নিশ্চয়ই...ইনশাল্লাহ...ইনশাল্লাহ।’

ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।

এরপরই তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু ফুলের মালা পরিয়ে জামাতাকে বরণ করেন নেন। নাতনি জাইমাকেও আদর করতে দেখা যায়। তারেক রহমান এ সময় তাঁর পাশে কিছু সময় বসে থাকেন। এরপর বেলা ১২টা ২০ মিনিটে তারেক রহমানে স্ত্রী ও তাঁর মেয়ে সাদা রঙের একটি জিপ গাড়িতে উঠে বসেন।

দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে তারেক রহমান বেলা ১২টা মিনিটে ৩২ মিনিটে লাল সবুজ রঙে একটি বুলেটপ্রুফ বাসে উঠেন। ২ মিনিট পরে বাসটি বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফিটের সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যেতে শুরু করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত