Ajker Patrika

জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে নৈরাজ্যের শক্তি মাথাচাড়া দিতে পারবে না: চিফ প্রসিকিউটর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম। ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম। ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘যে জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকে এবং জনগণ যখন জেগে থাকে, সেই দেশের ভাগ্য নিয়ে বা নৈরাজ্য সৃষ্টির সাহস কারও থাকে না।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘দেশে সরকার, রাষ্ট্র ও জনগণ সবই আছে এবং তারা পরিস্থিতি ভালোভাবে বোঝেন। যারা সন্ত্রাস বা উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।’

আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে চিফ প্রসিকিউটর এ মন্তব্য করেন। শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায়ের দিন ধার্য করাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি এসব কথা বলেন।

ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার দিন ঠিক করার পর চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও বাহিনীর প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি বিচ্ছিন্নভাবে যা কিছু ঘটছে, সেগুলোর কোনো প্রভাব পড়বে না এবং সবকিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাবে।’

বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়ে জাতিসংঘের অভিযোগ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ মুহূর্তে এসে ওনারা বিচারটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন নানাভাবে। এই বিচার আমরা যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এসেছি, সেটা ছিল স্বচ্ছ (ট্রান্সপারেন্ট)। আপনারা সবাই তার প্রত্যক্ষ সাক্ষী।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে অকাট্য প্রমাণ, শক্তিশালী সাক্ষ্য প্রমাণ—সবকিছু জাতির সামনে তুলে ধরা হয়েছে। দুনিয়ার সামনে ক্রিস্টাল ক্লিয়ারভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, ন্যায় বিচার তার নিজস্ব গতিতেই চলবে।’

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, তাঁরা অঙ্গীকার করেছিলেন, অপরাধী যত শক্তিশালীই হোক না কেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ করলে তাঁকে সঠিক পন্থায় বিচারের মুখোমুখি করা হবে এবং আইন অনুযায়ী প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘আমরা এখন চূড়ান্ত পর্বে উপনীত হয়েছি। আশা করছি, ইনশাআল্লাহ ১৭ নভেম্বর আদালত তাঁর সুবিবেচনা, তাঁর প্রজ্ঞা প্রয়োগ করবেন। এই জাতির বিচারের জন্য যে আকাঙ্ক্ষা, সেটার প্রতি তাঁরা সুবিচার করবেন। একটি সঠিক রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি ইতি ঘটাবেন এবং ভবিষ্যতের জন্য এই রায়টি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে, তেমন একটি রায় আমরা প্রত্যাশা করছি।’ প্রসিকিউশন সর্বোচ্চ শাস্তি আদালতের কাছে প্রার্থনা করেছেন বলেও তিনি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...