প্রতিবছরের মতো এবারও ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে পর্বতারোহীদের সংগঠন অভিযাত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘শোক থেকে শক্তি: অদম্য পদযাত্রা’। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত হবে এ পদযাত্রা। আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরে আজ মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের এভারেস্টজয়ী প্রথম নারী ও অভিযাত্রীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নিশাত মজুমদার, ‘অভিযাত্রী’র সমন্বয়ক মির্জা জাকারিয়া বেগসহ অন্যরা।
আয়োজকেরা জানান, এ বছর রোজার মধ্যে স্বাধীনতা দিবস পড়ায় পদযাত্রার দূরত্ব কিছুটা কমিয়ে নৌপথকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ১৯৭১ সালে একদল অভিযাত্রী দেশমাতার মুক্তির অভিপ্রায়ে ‘বিশ্ব বিবেক জাগরণ পদযাত্রা’য় হেঁটে অসামান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। স্বাধীনতা লাভের ৪২ বছরে ২০১৩ সালে ৪২ কিলোমিটার পথ হেঁটে একাত্তরের সেই উত্তাল দিনগুলো স্মরণ করে অভিযাত্রী। সেবার ৭ জন ‘অভিযাত্রী’ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু করে বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনের নানা ঐতিহাসিক স্থান স্পর্শ করে ও কণ্ঠে মুক্তির গান নিয়ে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত হেঁটে যান।
‘শোক থেকে শক্তি: অদম্য পদযাত্রা’ নাম দিয়ে ২০১৩ সালে অভিযাত্রী সংগঠনটি যে পদযাত্রা করেছিল, পরের বছর তাতে অংশগ্রহণকারী দ্বিগুণ হয়ে যায়। বছরের পর বছর বাড়তে থাকে পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা। ২০১৬ সালে মুক্তিযুক্ত জাদুঘর যুক্ত হয় এর সঙ্গে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের তহবিল সংগ্রহের জন্য ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্য হাঁটি এক মাইল’, ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্য, ইতিহাসের পথ ধরে হাঁটি অদম্য’ এমন স্লোগানে দিনে দিনে পদযাত্রার পরিধি আরও বাড়তে থাকে। যোগ দেয় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক সংগঠন, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষ।
ঢাকার পাশাপাশি ঢাকার বাইরেও পৌঁছে গেছে এই পদযাত্রা। ২০১৮ সালে মেহেরপুরে, ২০১৯ সালে জামালপুরে, ২০২১ সালে পাবনার ভাঙ্গুরা, জামালপুর ও মৌলভীবাজারে এবং ২০২২ সালে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হয়েছে এই পদযাত্রা।
২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল, এই ১১ বছরে দশমবার হতে যাচ্ছে ‘শোক থেকে শক্তি: অদম্য পদযাত্রা’। ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে স্থগিত ছিল পদযাত্রা।
২৬ মার্চ ভোরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এ আয়োজন। হাতে স্বাধীন বাংলার পতাকা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে টিএসসি হয়ে পদযাত্রী দল পৌঁছে যাবে ১৯৭১ সালে ভয়াবহ গণহত্যার স্মৃতিবিজড়িত রমনা কালীমন্দির প্রাঙ্গণে, সেখান থেকে স্বাধীনতা স্তম্ভের পাশ দিয়ে হেঁটে গিয়ে দাঁড়াবে শিখা চিরন্তনের পাশে। পরে বিভিন্ন জায়গা পেরিয়ে পৌঁছাবে মোহাম্মদপুর শারীরিক শিক্ষা কলেজে। এখানে একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসর আল-বদর গোষ্ঠী পাশবিক নির্যাতনের ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করেছিল। পরে ‘অভিযাত্রী’রা বসিলা ব্রিজের নিচ থেকে ট্রলারে করে তুরাগ, বুড়িগঙ্গা হয়ে ধলেশ্বরী নদীর ৩২ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে যাবে বংশাই শ্মশানঘাটে। একাত্তরে শরণার্থীরা এভাবেই নৌকায় চেপে রওনা দিয়েছিল নিরুদ্দেশ গৃহহীন পথ। ঘাটে নেমে গোপীনাথপুর, চারিগ্রামের পথ ধরবে পদযাত্রী দল। একসময় পৌঁছে যাবে জাতীয় স্মৃতিসৌধে। সেখানে শপথ নেবে।
এ ছাড়া ঢাকায় আরও একটি ‘অদম্য পদযাত্রা’ অনুষ্ঠিত হবে। মিরপুরের রূপনগর থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত পদযাত্রা করবে সোহাগ স্বপ্নধরা পাঠশালা। সেখানে মিরপুরের স্থানীয় মানুষ এবং স্কুলের শিক্ষার্থীরা এই পদযাত্রায় অংশ নেবে। ঢাকার পাশাপাশি মৌলভীবাজারেও প্রতিবছরের মতো মৌলভীবাজার গার্লস গাইড পদযাত্রার আয়োজন করেছে।
প্রতিবছরের মতো এবারও ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে পর্বতারোহীদের সংগঠন অভিযাত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘শোক থেকে শক্তি: অদম্য পদযাত্রা’। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত হবে এ পদযাত্রা। আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরে আজ মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের এভারেস্টজয়ী প্রথম নারী ও অভিযাত্রীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নিশাত মজুমদার, ‘অভিযাত্রী’র সমন্বয়ক মির্জা জাকারিয়া বেগসহ অন্যরা।
আয়োজকেরা জানান, এ বছর রোজার মধ্যে স্বাধীনতা দিবস পড়ায় পদযাত্রার দূরত্ব কিছুটা কমিয়ে নৌপথকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ১৯৭১ সালে একদল অভিযাত্রী দেশমাতার মুক্তির অভিপ্রায়ে ‘বিশ্ব বিবেক জাগরণ পদযাত্রা’য় হেঁটে অসামান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। স্বাধীনতা লাভের ৪২ বছরে ২০১৩ সালে ৪২ কিলোমিটার পথ হেঁটে একাত্তরের সেই উত্তাল দিনগুলো স্মরণ করে অভিযাত্রী। সেবার ৭ জন ‘অভিযাত্রী’ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু করে বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনের নানা ঐতিহাসিক স্থান স্পর্শ করে ও কণ্ঠে মুক্তির গান নিয়ে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত হেঁটে যান।
‘শোক থেকে শক্তি: অদম্য পদযাত্রা’ নাম দিয়ে ২০১৩ সালে অভিযাত্রী সংগঠনটি যে পদযাত্রা করেছিল, পরের বছর তাতে অংশগ্রহণকারী দ্বিগুণ হয়ে যায়। বছরের পর বছর বাড়তে থাকে পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা। ২০১৬ সালে মুক্তিযুক্ত জাদুঘর যুক্ত হয় এর সঙ্গে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের তহবিল সংগ্রহের জন্য ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্য হাঁটি এক মাইল’, ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্য, ইতিহাসের পথ ধরে হাঁটি অদম্য’ এমন স্লোগানে দিনে দিনে পদযাত্রার পরিধি আরও বাড়তে থাকে। যোগ দেয় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক সংগঠন, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষ।
ঢাকার পাশাপাশি ঢাকার বাইরেও পৌঁছে গেছে এই পদযাত্রা। ২০১৮ সালে মেহেরপুরে, ২০১৯ সালে জামালপুরে, ২০২১ সালে পাবনার ভাঙ্গুরা, জামালপুর ও মৌলভীবাজারে এবং ২০২২ সালে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হয়েছে এই পদযাত্রা।
২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল, এই ১১ বছরে দশমবার হতে যাচ্ছে ‘শোক থেকে শক্তি: অদম্য পদযাত্রা’। ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে স্থগিত ছিল পদযাত্রা।
২৬ মার্চ ভোরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এ আয়োজন। হাতে স্বাধীন বাংলার পতাকা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে টিএসসি হয়ে পদযাত্রী দল পৌঁছে যাবে ১৯৭১ সালে ভয়াবহ গণহত্যার স্মৃতিবিজড়িত রমনা কালীমন্দির প্রাঙ্গণে, সেখান থেকে স্বাধীনতা স্তম্ভের পাশ দিয়ে হেঁটে গিয়ে দাঁড়াবে শিখা চিরন্তনের পাশে। পরে বিভিন্ন জায়গা পেরিয়ে পৌঁছাবে মোহাম্মদপুর শারীরিক শিক্ষা কলেজে। এখানে একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসর আল-বদর গোষ্ঠী পাশবিক নির্যাতনের ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করেছিল। পরে ‘অভিযাত্রী’রা বসিলা ব্রিজের নিচ থেকে ট্রলারে করে তুরাগ, বুড়িগঙ্গা হয়ে ধলেশ্বরী নদীর ৩২ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে যাবে বংশাই শ্মশানঘাটে। একাত্তরে শরণার্থীরা এভাবেই নৌকায় চেপে রওনা দিয়েছিল নিরুদ্দেশ গৃহহীন পথ। ঘাটে নেমে গোপীনাথপুর, চারিগ্রামের পথ ধরবে পদযাত্রী দল। একসময় পৌঁছে যাবে জাতীয় স্মৃতিসৌধে। সেখানে শপথ নেবে।
এ ছাড়া ঢাকায় আরও একটি ‘অদম্য পদযাত্রা’ অনুষ্ঠিত হবে। মিরপুরের রূপনগর থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত পদযাত্রা করবে সোহাগ স্বপ্নধরা পাঠশালা। সেখানে মিরপুরের স্থানীয় মানুষ এবং স্কুলের শিক্ষার্থীরা এই পদযাত্রায় অংশ নেবে। ঢাকার পাশাপাশি মৌলভীবাজারেও প্রতিবছরের মতো মৌলভীবাজার গার্লস গাইড পদযাত্রার আয়োজন করেছে।
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে মামলা লড়তে আবেদন করেছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। সেই আবেদন খারিজ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, ‘আপনি ট্রেন মিস করেছেন।’
৩৩ মিনিট আগেসচিবালয়ের ভেতরে মিছিল, সমাবেশ ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ করেছে সরকার। যদিও সরকারি কর্মচারীরা দলবদ্ধভাবে আন্দোলনে অংশ নিলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
৩৯ মিনিট আগেদেশে গত জুলাই মাসে ৫০৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫২০ জন নিহত এবং ১৩৫৬ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৬২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৬৯ জন এবং আহত হয়েছেন ১৪৪ জন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, নিহতের ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং আহতের ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগেমাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় স্থগিত হওয়া জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্যাপনের নতুন সূচি ঘোষণা করেছে সরকার। ১৮ থেকে ২৪ আগস্ট সারা দেশে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্যাপন করা কবে। এর লক্ষ্য, দেশের মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধি, সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও টেকসই ব্যবহারে জনসচেতনতা তৈরি করা।
১ ঘণ্টা আগে