দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠেয় ব্রিকস সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চার দেশের এই অর্থনৈতিক জোটে সদস্যদেশ ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানেরা যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমান্তরাল বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) জোহানেসবার্গের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে সোমবার ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়টি স্পষ্ট করা হলো না। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলছেন, শেখ হাসিনার ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার বিষয়টি তাঁরা আয়োজক দেশের কাছ থেকে জেনেছেন। তবে সেখানে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
নিয়মিত ব্রিফিং কালে বিবিসি নিউজের সাংবাদিক শুভজ্যোতি ঘোষ ব্রিকসে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন।
শুভজ্যোতি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তাহলে জোহানেসবার্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে কি কোনো বৈঠক হবে?’
এ সময় দুটি সম্পূরক প্রশ্নও করেন এ সাংবাদিক। তিনি জানতে চান, ব্রিকস জোটে নতুন সদস্য হওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রার্থিতাকে ভারত সমর্থন করছে কি না।
এ ছাড়া সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জন্য মার্কিন ভিসা নীতি এবং বাংলাদেশের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের তৎপরতা সম্পর্কে ভারত তার অসন্তোষের কথা স্পষ্ট করেছে। এখন এ বিষয়ে ভারতের প্রকৃত অবস্থান কী, সেটি জানতে চাওয়া হয়।
জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, ‘না শুনুন। ব্যাপারটা আপনাকে পরিষ্কার করে বলি। আপনার শেষ প্রশ্ন, নিশ্চিতভাবে এটি একেবারে তাত্ত্বিক আলোচনা বা কাল্পনিক অনুমানের বিষয়। যদি বৈঠকটি হয় তবে এটি বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার স্থান নয়। সম্ভাব্য বৈঠক সম্পর্কে, আমি মনে করি, পররাষ্ট্রসচিবের ওপর ছেড়ে দেব।’
তখন পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেন, ‘ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কী দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন—এই প্রশ্নটির প্রথমে জবাব দিই। আমি আপনাকে আগেই বলেছি, সেখানে প্রচুর সংখ্যক নেতা উপস্থিত থাকবেন। আমরা এটাও বুঝি যে, বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও সেখানে থাকতে পারেন। আয়োজক দেশ থেকে আমাদের এমনটাই জানানো হয়েছে। তবে ব্রিকসের সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আমরা নেতাদের সঙ্গে সেই বৈঠকগুলো চূড়ান্ত করার পর, অবশ্যই আপনাদের জানানো হবে।’
বাকি দুই প্রশ্ন মুখপাত্র ও সচিব এড়িয়ে গেছেন।
উল্লেখ্য, গত রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন। সেখানে জানানো হয়, ২৪ আগস্ট জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনের আগের দিন ২৩ আগস্ট একই শহরে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের দায়িত্বরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের একটি সভায় তিনি নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন।
এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার ৬৭ জন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানকে ব্রিকস সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা, স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের এ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) থেকে পরোয়ানা থাকায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারছেন না। তিনি অনলাইনে সম্মেলনে যোগ দেবেন।
২২ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন চলবে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠেয় ব্রিকস সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চার দেশের এই অর্থনৈতিক জোটে সদস্যদেশ ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানেরা যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমান্তরাল বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) জোহানেসবার্গের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে সোমবার ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়টি স্পষ্ট করা হলো না। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলছেন, শেখ হাসিনার ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার বিষয়টি তাঁরা আয়োজক দেশের কাছ থেকে জেনেছেন। তবে সেখানে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
নিয়মিত ব্রিফিং কালে বিবিসি নিউজের সাংবাদিক শুভজ্যোতি ঘোষ ব্রিকসে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন।
শুভজ্যোতি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তাহলে জোহানেসবার্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে কি কোনো বৈঠক হবে?’
এ সময় দুটি সম্পূরক প্রশ্নও করেন এ সাংবাদিক। তিনি জানতে চান, ব্রিকস জোটে নতুন সদস্য হওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রার্থিতাকে ভারত সমর্থন করছে কি না।
এ ছাড়া সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জন্য মার্কিন ভিসা নীতি এবং বাংলাদেশের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের তৎপরতা সম্পর্কে ভারত তার অসন্তোষের কথা স্পষ্ট করেছে। এখন এ বিষয়ে ভারতের প্রকৃত অবস্থান কী, সেটি জানতে চাওয়া হয়।
জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, ‘না শুনুন। ব্যাপারটা আপনাকে পরিষ্কার করে বলি। আপনার শেষ প্রশ্ন, নিশ্চিতভাবে এটি একেবারে তাত্ত্বিক আলোচনা বা কাল্পনিক অনুমানের বিষয়। যদি বৈঠকটি হয় তবে এটি বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার স্থান নয়। সম্ভাব্য বৈঠক সম্পর্কে, আমি মনে করি, পররাষ্ট্রসচিবের ওপর ছেড়ে দেব।’
তখন পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেন, ‘ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কী দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন—এই প্রশ্নটির প্রথমে জবাব দিই। আমি আপনাকে আগেই বলেছি, সেখানে প্রচুর সংখ্যক নেতা উপস্থিত থাকবেন। আমরা এটাও বুঝি যে, বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও সেখানে থাকতে পারেন। আয়োজক দেশ থেকে আমাদের এমনটাই জানানো হয়েছে। তবে ব্রিকসের সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আমরা নেতাদের সঙ্গে সেই বৈঠকগুলো চূড়ান্ত করার পর, অবশ্যই আপনাদের জানানো হবে।’
বাকি দুই প্রশ্ন মুখপাত্র ও সচিব এড়িয়ে গেছেন।
উল্লেখ্য, গত রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন। সেখানে জানানো হয়, ২৪ আগস্ট জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনের আগের দিন ২৩ আগস্ট একই শহরে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের দায়িত্বরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের একটি সভায় তিনি নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন।
এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার ৬৭ জন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানকে ব্রিকস সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা, স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের এ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) থেকে পরোয়ানা থাকায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারছেন না। তিনি অনলাইনে সম্মেলনে যোগ দেবেন।
২২ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন চলবে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছ
২ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটক এখন ‘গলার কাঁটা’ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ সই হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে পুত্রজায়ায় এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরি
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন ছয়টি ব্রিটিশ রিয়েল এস্টেট কোম্পানিকে দুর্নীতির অভিযোগে প্রশাসকের অধীনে নেওয়া হয়েছে। এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি ও সাবেক ব্রিটিশ ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের নামও জড়িয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে