আজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে গত বৃহস্পতিবার জীবনাবসান হয় ভাষাসংগ্রামী, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ আহমদ রফিকের। তাঁর মৃত্যুর পর বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন ওঠে, সরকারে যাঁরা থাকেন, সেই কর্তাব্যক্তিরা কেন জীবদ্দশায় শিল্পী-সাহিত্যিকদের জন্য কিছু করেন না। মৃত্যুর পরই কেন তাঁদের নিয়ে এত উদযাপনের আয়োজন করা হয়। এমনকি আহমদ রফিকের মতো জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা জীবনের শেষবেলায় এসে অর্থসংকটের সম্মুখীন হলে রাষ্ট্র কতটুকুই বা উদ্যোগী হয়।
এসব নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আজ শনিবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। একই সঙ্গে জীবিত অবস্থায় আহমদ রফিকের মতো একজন কিংবদন্তির জন্য কোনো আয়োজন করা কেন সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভব হয়নি, তার কৈফিয়তও দিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার বন্ধুদের একজনের একটা লেখা আমার নজরে এসেছে। যার আসল বক্তব্য হচ্ছে এই যে, শিল্পী-সাহিত্যিকদের মৃত্যুর পর কেন উদযাপন করা হয়? জীবদ্দশায় তাদের জন্য/নিয়ে কিছু করা হয় না কেন? আহমদ রফিকের মৃত্যু প্রসঙ্গে এই ভ্যালিড প্রশ্নটা সে তুলেছে। এটা আরও অনেকেরই প্রশ্ন হওয়া স্বাভাবিক। এই প্রশ্ন আমরাও সব সময়ই করতাম। প্রথমে আহমদ রফিকের প্রসঙ্গে একটু কৈফিয়ত দেই।
‘আহমদ রফিকের জীবিত অবস্থায়ই আমরা উনার সাথে যোগাযোগ রেখেছি। আমাদের একটা বড় পরিকল্পনা হচ্ছে, বাংলাদেশী কিংবদন্তিদের জীবন এবং কাজ সেলিব্রেট করা। এটা শুরু হবে স্থানীয় পর্যায়ে। ধীরে ধীরে এটা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও যাবে। এটার জন্য একটা ক্যালেন্ডার করছে শিল্পকলা একাডেমি। এবং এই অনুষ্ঠানগুলো যেন বোরিং এবং অপ্রাসঙ্গিক সরকারি অনুষ্ঠানে পর্যবসিত না হয়, সেটা মাথায় রেখে প্রোগ্রাম কিউরেশনে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। যেমন সলিমুল্লাহ খান আর ব্রাত্য রাইসুকে উদযাপনের প্রোগ্রাম কিউরেশন এক হতে পারে না।
‘যাই হোক, ক্যালেন্ডার তৈরি হতে হতে আমরা বসে থাকছি না। আমরা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছি। কয়দিন আগে সাবিনা ইয়াসমিন আপাকে নিয়ে আমরা এ রকম একটা কাজ করেছিলাম। সেখানে শিল্পী খুরশিদ আলম ভাই বলেই ফেলেছেন, এ রকম আয়োজন উনি আগে দেখেননি। অক্টোবরের ৮ তারিখে উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর জন্মদিন উপলক্ষ্যে আমরা লালবাগ কেল্লায় একটা ধ্রুপদী সন্ধ্যার আয়োজন করেছি, যেখানে এই প্রজন্মের শিল্পীরাও পারফর্ম করবেন। পাশাপাশি উনার ছেলে আলী আকবর খাঁ সাহেবের নাতি সিরাজ খাঁ সাহেব দেশে আসছেন ওই অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার জন্য।
‘যারা আমাদের মাঝে আছেন আর যারা চলে গেছেন, তাঁদের সবাইকেই আমরা উদযাপন করব। এবং সেটা শিল্প-সংস্কৃতির সকল শাখার মায়েস্ত্রোদের জন্যই প্রযোজ্য। বদরুদ্দীন উমর যেমন থাকবেন, সেলিম আল দীন থাকবেন, রক লেজেন্ড জেমস ভাইও থাকবেন, তারেক মাসুদও থাকবেন, এস এম সুলতানও থাকবেন, নাসির আলী মামুনও থাকবেন, আরও অনেকেই থাকবেন।
‘এই তালিকায় আহমদ রফিক ভাইও আছেন। আমরা চেয়েছিলাম উনি বেঁচে থাকতেই একটা আয়োজন করতে। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে যখন আমরা যাই তাঁকে দেখতে, তখন বুঝেছিলাম, দুর্ভাগ্যজনক হলেও উনার শারীরিক অবস্থা এইরকম আয়োজনে যোগ দেওয়ার মতো না।
‘পাশাপাশি আরেকটা কথা বলা দরকার। যেটা আমরা কখনোই বলতে চাই নাই। উনি অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই অনেকেই আমাকে লিখেছেন, আমরা কেন কিছু করছি না। অর্থনৈতিক দিকে ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে। আমি শুধু এইটুকু বলতে চাই, সরকার তার দায়িত্ব সর্বোচ্চ পালন করেছে। ফেব্রুয়ারিতেও করেছে, এখনও করেছে। কিন্তু শিল্পী-সাহিত্যিকদের সাহায্য করে ফটো তুলে প্রচার করাটা আমাদের কাছে অসম্মানজনক মনে হয়েছে বিধায় আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর যাদের যাদের পাশে দাঁড়িয়েছি, সেগুলো কোনোটাই প্রচার করিনি। আজকেও করতাম না, কিন্তু কেউ কেউ অভিযোগ করাতে বলতে হলো।
‘আমরা অল্পদিনের সরকার। সবকিছু বদলানো সম্ভব না। তবে চেষ্টা করছি, যতটুকু সম্ভব ভূমিকা রাখতে। কালচারাল ইনক্লুসিভনেস, জুলাই ন্যারেটিভ নিয়ে কাজ আমরা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে করার চেষ্টা করেছি। সামনে শিল্পকলা একাডেমি গান এবং নাচের স্কুলের ব্যাপারে কিছু বড় উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। একাডেমিতে নতুন বিভাগ আসবে। ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম, থিয়েটার, মিউজিক ফেস্টিভ্যাল নিয়ে কাজ হচ্ছে। বিয়েনালকে রিভাইটালাইজ করার কাজ চলছে। ইট টেকস টাইম। আমরা শুরু করে দিয়ে যাচ্ছি। পরবর্তী সরকার এসে এটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
‘আর আমিও মুক্তি পাব এই কঠিন দায়িত্ব থেকে! এটা আরও কঠিন কারণ ইট ইজ আ থ্যাংকলেস জব। আমার নিজের ছবি না বানানোর চেয়ে বড় যন্ত্রণা আর কিছু নাই।’
রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে গত বৃহস্পতিবার জীবনাবসান হয় ভাষাসংগ্রামী, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ আহমদ রফিকের। তাঁর মৃত্যুর পর বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন ওঠে, সরকারে যাঁরা থাকেন, সেই কর্তাব্যক্তিরা কেন জীবদ্দশায় শিল্পী-সাহিত্যিকদের জন্য কিছু করেন না। মৃত্যুর পরই কেন তাঁদের নিয়ে এত উদযাপনের আয়োজন করা হয়। এমনকি আহমদ রফিকের মতো জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা জীবনের শেষবেলায় এসে অর্থসংকটের সম্মুখীন হলে রাষ্ট্র কতটুকুই বা উদ্যোগী হয়।
এসব নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আজ শনিবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। একই সঙ্গে জীবিত অবস্থায় আহমদ রফিকের মতো একজন কিংবদন্তির জন্য কোনো আয়োজন করা কেন সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভব হয়নি, তার কৈফিয়তও দিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার বন্ধুদের একজনের একটা লেখা আমার নজরে এসেছে। যার আসল বক্তব্য হচ্ছে এই যে, শিল্পী-সাহিত্যিকদের মৃত্যুর পর কেন উদযাপন করা হয়? জীবদ্দশায় তাদের জন্য/নিয়ে কিছু করা হয় না কেন? আহমদ রফিকের মৃত্যু প্রসঙ্গে এই ভ্যালিড প্রশ্নটা সে তুলেছে। এটা আরও অনেকেরই প্রশ্ন হওয়া স্বাভাবিক। এই প্রশ্ন আমরাও সব সময়ই করতাম। প্রথমে আহমদ রফিকের প্রসঙ্গে একটু কৈফিয়ত দেই।
‘আহমদ রফিকের জীবিত অবস্থায়ই আমরা উনার সাথে যোগাযোগ রেখেছি। আমাদের একটা বড় পরিকল্পনা হচ্ছে, বাংলাদেশী কিংবদন্তিদের জীবন এবং কাজ সেলিব্রেট করা। এটা শুরু হবে স্থানীয় পর্যায়ে। ধীরে ধীরে এটা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও যাবে। এটার জন্য একটা ক্যালেন্ডার করছে শিল্পকলা একাডেমি। এবং এই অনুষ্ঠানগুলো যেন বোরিং এবং অপ্রাসঙ্গিক সরকারি অনুষ্ঠানে পর্যবসিত না হয়, সেটা মাথায় রেখে প্রোগ্রাম কিউরেশনে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। যেমন সলিমুল্লাহ খান আর ব্রাত্য রাইসুকে উদযাপনের প্রোগ্রাম কিউরেশন এক হতে পারে না।
‘যাই হোক, ক্যালেন্ডার তৈরি হতে হতে আমরা বসে থাকছি না। আমরা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছি। কয়দিন আগে সাবিনা ইয়াসমিন আপাকে নিয়ে আমরা এ রকম একটা কাজ করেছিলাম। সেখানে শিল্পী খুরশিদ আলম ভাই বলেই ফেলেছেন, এ রকম আয়োজন উনি আগে দেখেননি। অক্টোবরের ৮ তারিখে উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর জন্মদিন উপলক্ষ্যে আমরা লালবাগ কেল্লায় একটা ধ্রুপদী সন্ধ্যার আয়োজন করেছি, যেখানে এই প্রজন্মের শিল্পীরাও পারফর্ম করবেন। পাশাপাশি উনার ছেলে আলী আকবর খাঁ সাহেবের নাতি সিরাজ খাঁ সাহেব দেশে আসছেন ওই অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার জন্য।
‘যারা আমাদের মাঝে আছেন আর যারা চলে গেছেন, তাঁদের সবাইকেই আমরা উদযাপন করব। এবং সেটা শিল্প-সংস্কৃতির সকল শাখার মায়েস্ত্রোদের জন্যই প্রযোজ্য। বদরুদ্দীন উমর যেমন থাকবেন, সেলিম আল দীন থাকবেন, রক লেজেন্ড জেমস ভাইও থাকবেন, তারেক মাসুদও থাকবেন, এস এম সুলতানও থাকবেন, নাসির আলী মামুনও থাকবেন, আরও অনেকেই থাকবেন।
‘এই তালিকায় আহমদ রফিক ভাইও আছেন। আমরা চেয়েছিলাম উনি বেঁচে থাকতেই একটা আয়োজন করতে। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে যখন আমরা যাই তাঁকে দেখতে, তখন বুঝেছিলাম, দুর্ভাগ্যজনক হলেও উনার শারীরিক অবস্থা এইরকম আয়োজনে যোগ দেওয়ার মতো না।
‘পাশাপাশি আরেকটা কথা বলা দরকার। যেটা আমরা কখনোই বলতে চাই নাই। উনি অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই অনেকেই আমাকে লিখেছেন, আমরা কেন কিছু করছি না। অর্থনৈতিক দিকে ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে। আমি শুধু এইটুকু বলতে চাই, সরকার তার দায়িত্ব সর্বোচ্চ পালন করেছে। ফেব্রুয়ারিতেও করেছে, এখনও করেছে। কিন্তু শিল্পী-সাহিত্যিকদের সাহায্য করে ফটো তুলে প্রচার করাটা আমাদের কাছে অসম্মানজনক মনে হয়েছে বিধায় আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর যাদের যাদের পাশে দাঁড়িয়েছি, সেগুলো কোনোটাই প্রচার করিনি। আজকেও করতাম না, কিন্তু কেউ কেউ অভিযোগ করাতে বলতে হলো।
‘আমরা অল্পদিনের সরকার। সবকিছু বদলানো সম্ভব না। তবে চেষ্টা করছি, যতটুকু সম্ভব ভূমিকা রাখতে। কালচারাল ইনক্লুসিভনেস, জুলাই ন্যারেটিভ নিয়ে কাজ আমরা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে করার চেষ্টা করেছি। সামনে শিল্পকলা একাডেমি গান এবং নাচের স্কুলের ব্যাপারে কিছু বড় উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। একাডেমিতে নতুন বিভাগ আসবে। ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম, থিয়েটার, মিউজিক ফেস্টিভ্যাল নিয়ে কাজ হচ্ছে। বিয়েনালকে রিভাইটালাইজ করার কাজ চলছে। ইট টেকস টাইম। আমরা শুরু করে দিয়ে যাচ্ছি। পরবর্তী সরকার এসে এটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
‘আর আমিও মুক্তি পাব এই কঠিন দায়িত্ব থেকে! এটা আরও কঠিন কারণ ইট ইজ আ থ্যাংকলেস জব। আমার নিজের ছবি না বানানোর চেয়ে বড় যন্ত্রণা আর কিছু নাই।’
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী সোমবার (৬ অক্টোবর) গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলনকক্ষে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং বেলা আড়াইটা থেকে...
১ ঘণ্টা আগেসৈয়দ মনজুরুল ইসলামের ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক’ হয়েছে বলে আজ সংবাদমাধ্যমকে জানান বই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম। হাসপাতালে ভর্তির পর অস্ত্রোপচার করে তাঁর হার্টে রিং পরানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেফোরামের সভাপতি বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নারীদের রাজনৈতিক অধিকার দিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ব্যর্থ হওয়ায় নারীরা পরাজিত হয়নি;
৩ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিশ্বে বিরাজমান অস্থিতিশীল অবস্থা দূরীকরণ ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধের শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আগামীকাল রোববার (৫ অক্টোবর) বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবরদান’ উপলক্ষে আজ শনিবার দেওয়া...
৪ ঘণ্টা আগে