
‘উপকূলের ইলিশ ও জেলে’বিষয়ক জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অগণিত দুই কেজির ইলিশ ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিলেন এক সরকারদলীয় সংসদ সদস্য। তিনি নিজে সাম্প্রতিক সময়ে তিন কেজির ইলিশও খেয়েছেন বলেও জানান। যদিও সংলাপে উপস্থিত জেলেরা জানান, তাঁরা মাছ পাচ্ছেন না। ধারদেনায় জর্জরিত সংসার। সেই এমপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের প্রশ্ন, ‘আপনি বাক্সভরে মানুষকে ইলিশ দিতে পারবেন, আরেকটা মানুষ কেন মাছ-ভাতের জন্য কাঁদবে?’
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ।
দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় জেলা থেকে সংলাপে অংশ নেন মৎস্যজীবী ও পরিবেশবাদী সংগঠকেরা। মোংলা, পটুয়াখালী, খুলনার বিভিন্ন নদী ও সাগরে ইলিশ আহরণকারী মানুষ জানান তাঁদের অবস্থার কথা। নদীতে ইলিশ না থাকায় জীবিকায় টান পড়েছে তাঁদের বেশির ভাগেরই। পাশাপাশি অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যবহার, প্রশাসনের নানা বিষয় তুলে ধরেন জেলেরা। প্রজনন মৌসুমে সরকারের দেওয়া অপ্রতুল সহায়তা এবং তা বণ্টন নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের দুর্নীতির বিষয়গুলোও আসে সংগঠক এবং গবেষকদের আলোচনায়।
মৎস্য অধিদপ্তরের (ইলিশ ব্যবস্থাপনা) উপপ্রধান মাসুদ আরা মমি বলেন, মৎস্য অধিদপ্তর পদক্ষেপ না নিলে বইপুস্তকে চলে যেত ইলিশ। বিএনপি সরকারের আমলে ইলিশের উৎপাদন একেবারেই শূন্যের কোঠায় নেমে আসে জানিয়ে বর্তমান সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি।
মমি বলেন, ‘ইলিশ নাই কথাটা ঠিক না। এখন উৎপাদন ৫ লাখ ৬৭ হাজার টন। ২০০৯ সালে জাটকা নিধন, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান এবং গবেষণা প্রকল্প চালু হয়। ইলিশের যে উন্নয়ন সেটা—এই সরকারের সময়ে হয়েছে। বেসরকারি সংস্থাও গবেষণায় সহায়তা করেছে। ২০১৫ সালে তা শেষ হওয়ার পর মাছ উৎপাদন বেড়েছে, কিন্তু ইলিশের কন্ট্রিবিউশন হয়তো কম। বর্তমানে দেশের ২৯ জেলার ১৩৬টি উপজেলায় ২৪৬ কোটি টাকার ইলিশ উৎপাদন, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’
মাছ ধরা বন্ধের মৌসুমে মাসে ৪০ কেজি ভিজিএফ চাল দেওয়ার বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের উপপ্রধান বলেন, ‘২০০৭-০৮ অর্থবছরে ১ লাখ ৪৬ হাজার জেলেকে দেওয়া হতো। এই সরকার যখন আসল, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছায় ১০ থেকে ৪০ কেজিতে উন্নীত হয়েছে। আমি মনে করি, এটাও জেলেদের জন্য শেখ হাসিনার সানুগ্রহ সহায়তা। এখন সাত লাখ জেলে সরাসরি ইলিশ আহরণের সঙ্গে জড়িত। ইলিশের উৎপাদন কমছে না। ধরার মানুষ বেড়ে গেছে। আগে যেখানে একজন মানুষ ১০টা ইলিশ পেত, এখন যদি সেখানে ১০ জন মানুষ যায়, কয়টা ইলিশ পাবে? এক নদীতে। আপনাদের বুঝতে হবে।’
ইলিশসহ অন্য মাছ রক্ষায় সরকারে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান মমি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে সংলাপে অংশ নেন উপকূলীয় দুই জেলার সংসদ সদস্য। পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা বলেন, ‘ইলিশ এখন কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষার বিষয় হয়ে গেছে। তরমুজের চাষ বাড়ার কারণে ইলিশ কমে যাচ্ছে।’ কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘তরমুজ খেতে নানা ধরনের সার ও রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। সেসব আবার নদীতে গিয়ে পড়ছে। তাই ইলিশ তাদের আবাসস্থল আরও গভীরে নিয়ে যাওয়ায় জেলেরা হয়তো মাছ পাচ্ছেন না। কিন্তু সামগ্রিকভাবে সরকারের নানা পদক্ষেপে সব ধরনের মাছ উৎপাদনই বেড়েছে।’
খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান বাবু বলেন, ‘ছোটবেলায় আমরা ইলিশ কিনতাম আধা কেজির আশপাশের আকারের। কিন্তু দুই সপ্তাহ আগে ভোলা থেকে মাছ এনেছি। একেকটির ওজন সর্বনিম্ন ২ কেজি, সর্বোচ্চ ২ কেজি ৮০০ গ্রাম। বন্ধুবান্ধব, রাজনৈতিক সহকর্মী অনেকেই তা দিয়েছি। গতকাল (মঙ্গলবার) ঢাকায় আসার আগে খেয়ে এসেছি। সত্যি কথা বলি, ১৫ মিনিট পরে হাত ও মুখ থেকে গন্ধ (ইলিশের) আসছে। পরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে, দাঁত ব্রাশ করেছি। ৬৫ দিন বন্ধ রাখার কারণে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে।’
আখতারুজ্জামান বাবু বলেন, ‘পলি বাড়ায় নদীর উপকূলে ইলিশের দেখা মিলছে না। নদী খননে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টা রয়েছে। আমাদের গবেষণা দরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেকটি কথা, ধৈর্য সহকারে শোনেন এবং সমাধানের চেষ্টা করেন। আমরা কাছ থেকে দেখেছি, দেশের প্রতি তাঁর যে মমত্ব-মায়া, এটি আমাদের অনেকের ভেতরে থাকলেও তাঁর ভেতরে যেটি আছে, এটি অনন্য। আমরা আজকে যা ভাবছি, উনি অনেক আগে ভেবে রাখেন। এই হচ্ছেন জননেত্রী।’
জেলে কার্ড বেহাত হওয়ার বিষয়ে মৎস্যজীবীদের অভিযোগের বিষয়ে এমপি বাবু বলেন, ‘জেলেদের কার্ড সাহেবদের নামে আপনি-আমিই কিন্তু দিয়েছি। আমার পাশে যে কয়টা বাটপার থাকে, তাদের নাম না দিলে ওরা আবার ফেসবুকে লিখে। আমরা কিন্তু ঠিক না। অন্যের দোষ দিয়ে যাই। মৎস্য কর্মকর্তা, জেলে কর্মকর্তা কী করবেন? ওনার তো দিতেই হবে ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান সুপারিশ করেছেন। তাঁদের দোষ না। দোষী আমরা সবাই।
‘আজকে আড়াই-তিন কেজি ইলিশ পাওয়া যায়। ভোলায়, আমাকে যদি কেউ এখন বলেন আমি কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এনে দিতে পারি। ভোলায় একজন লোক পাঠাব আপনাকে আড়াই কেজি, তিন কেজি ইলিশ এনে দেব। দুই কেজি তো অহরহ। কিছুদিন আগে ছিল না। আমরা যা-ই বলি, নাই নাই নাই। লোক কিন্তু বাড়তেছে। …’
সভাপতির বক্তব্যের শুরুতেই সুলতানা কামাল, দেশের প্রচলিত নিয়ম মেনে সবাইকে মৎস্য আহরণের অনুরোধ করেন।
মৎস্য অধিদপ্তরের উপপ্রধান মাসুদ আরা মমির উদ্দেশে সুলতানা বলেন, ‘তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে আপনার যা বলছেন, তার সুফলটা জেলেদের কাছ থেকে শুনি না কেন? যারা মাছ ধরছেন, তাঁরা শোনেন না কেন? আগে আমরা যারা ভোক্তা প্রতিদিন ইলিশ খেয়েছি, এখন কেন খেতে পারি না। যদি ইলিশের উৎপাদন এতই বেড়ে থাকে, বাবু ভাইয়ের (আখতারুজ্জামান বাবু) যে অবস্থান আছে উনি ইচ্ছে করলে ২৪ ঘণ্টাই ইলিশ খেতে পারেন, কিন্তু আমি সুলতানা কামাল, সাধারণ নাগরিক আমি কিন্তু পারি না। সম্ভব না। আমাকে কেউ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই কেজির ইলিশ সাপ্লাই (সরবরাহ) দেবে না। আমাকে কিনতে হলে কয়েক হাজার টাকা হাতে নিয়ে বাজারে যেত হবে। তা-ও যদি পাই। এই যে একটা তফাত রয়ে গেছে। এটাই আইনপ্রণেতাদের বলতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ নাই। তিনি সব সময় দেশের মানুষের ভালো চান। তাঁর আন্তরিকতা নিয়ে কেউ আমরা প্রশ্ন তুলি না। কিন্তু সেই কাজগুলো হয় না কেন?’
সুলতানা কামাল বলেন, ‘সেদিন এক মন্ত্রী বলেছেন দেশের মানুষ এখন ডাল-ভাতের জন্য কাঁদে না, মাছ-ভাতের জন্য কাঁদে। বাবু ভাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০০টা ইলিশ মাছ পান, কিন্তু ওই মানুষটা মাছের জন্য কাঁদে কেন? মানবাধিকার কর্মী হিসেবে এটাই আমার প্রশ্ন? আপনি (আখতারুজ্জামান বাবু) বাক্সভরে মানুষকে ইলিশ দিতে পারবেন, আরেকটা মানুষ কেন মাছ-ভাতের জন্য কাঁদবে? তা নিশ্চিতের দায়িত্ব আপনাদের। আপনি পারেন আমি পারি না। এই যে আপনার পারা এবং আমার না পারার মধ্যে এত পার্থক্য হবে কেন?’
সুলতানা কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। কিন্তু সেই সুফল সবাই পাচ্ছে না। … মমি হিসেবে না, আপনারা রাষ্ট্র, বুঝতে হবে কেন বলছেন ওনারা (জেলেরা) দেশকে ভালোবাসে না তাই এসব কথা বলছে? ওরা কি দেশের শত্রু? শুধু আমি একাই দেশকে ভালোবাসি। এই ঔদ্ধত্য আমি দেখাতে পারি? একমাত্র আমি দেশকে ভালোবাসি, আর কেউ না। এই ঔদ্ধত্য থাকা উচিত না। চিন্তা করতে হবে, কেন জেলেরা বলছেন তাঁরা মাছ পাচ্ছেন না।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত দুই সংসদ সদস্যের উদ্দেশে সুলতানা কামাল বলেন, ‘আপনারা অবকাঠামোগত উন্নয়নে যতটা নজর দিয়েছেন। সাংস্কৃতিক উন্নয়ন করার ক্ষেত্রে মনোযোগী হন নাই। এটা আমার অভিযোগ। এ কারণেই জেলেদের ধরতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার বিষয়গুলো হচ্ছে। একটা ডিসকানেক্ট (বিচ্ছিন্নতা) রয়ে গেছে। কানেকশনটা (সংযোগ) হয় নাই।’
মমিকে (মাসুদ আরা মমি) আরেকটা কথা বলব, ‘আপনারা সরকারি চাকরি করছেন। বাবু, শাহজাদা ভাইয়েরা কোনো একটা কারণে আইনপ্রণেতার জায়গায় গেছেন। আপনারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহে। কেন সানুগ্রহ হবে? আমার করের পয়সায় এই টাকা আসছে, করের পয়সা প্রধানমন্ত্রী কাস্টডিয়ান (দেখভাল করেন)। তিনি একা না, সরকার কাস্টডিয়ান। সেই টাকা হয়তো, জেলে ভাইদের কাছে আসছে। এটা সানুগ্রহের কী আছে? আপনারা কি কখনো চিন্তা করেন একটা মানুষের পাঁচজনের সংসারে ৪০ কেজি চালে মাস চলে কি না। তারপর কারেন্ট জাল নিয়ে মাছ ধরতে যায়, আর বলেন আইন ভাঙছে। কোন বিবেকে বলেন?’
সুলতানা কামাল বলেন, ‘দুর্নীতির কথা ধরলামই না। আপনি খুব সৎভাবে ১০টা কার্ড (জেলে) দিতে চান। কোন দশজনকে দেবেন? এখানে পরিকল্পনার ব্যাপার আছে। খালি সানুগ্রহ বললে হবে না। আমরা দয়ার পাত্র হব কেন কারও? আমরা এ দেশের নাগরিক, সম্মানিত নাগরিক। আমি কর দিই। আমি আমার নাগরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার ভোগ করতে চাই। আমি কারও অনুগ্রহ চাই না। দয়া করে আপনারা অনুগ্রহের কথা বলবেন না আমাদের। আমার খুব মনঃকষ্ট হয়।’
সুলতানা কামাল আরও বলেন, ‘আমি বারবার বলছি, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা এক শ বার বিশ্বাস করি। আপনাদের চেয়ে বেশি দিন ধরে তাঁকে চিনি। জানি তিনি চান বাংলাদেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু অনুগ্রহ করে আমাদের অনুগ্রহের কথা বলবেন না। কেউ বাংলাদেশে এমন নাই যে নাগরিকদের অনুগ্রহ করতে পারে। তিনি (শেখ হাসিনা) তাঁর দায়িত্ব পালন করছেন। সদিচ্ছার সঙ্গে করছেন, প্রশংসার সঙ্গে করছেন—এটা বলতে পারি। নিশ্চয়ই তাঁকে ধন্যবাদ জানাব। কিন্তু আমাকে কেউ অনুগ্রহ করে, সেটা গ্রহণে রাজি নই।’

‘উপকূলের ইলিশ ও জেলে’বিষয়ক জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অগণিত দুই কেজির ইলিশ ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিলেন এক সরকারদলীয় সংসদ সদস্য। তিনি নিজে সাম্প্রতিক সময়ে তিন কেজির ইলিশও খেয়েছেন বলেও জানান। যদিও সংলাপে উপস্থিত জেলেরা জানান, তাঁরা মাছ পাচ্ছেন না। ধারদেনায় জর্জরিত সংসার। সেই এমপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের প্রশ্ন, ‘আপনি বাক্সভরে মানুষকে ইলিশ দিতে পারবেন, আরেকটা মানুষ কেন মাছ-ভাতের জন্য কাঁদবে?’
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ।
দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় জেলা থেকে সংলাপে অংশ নেন মৎস্যজীবী ও পরিবেশবাদী সংগঠকেরা। মোংলা, পটুয়াখালী, খুলনার বিভিন্ন নদী ও সাগরে ইলিশ আহরণকারী মানুষ জানান তাঁদের অবস্থার কথা। নদীতে ইলিশ না থাকায় জীবিকায় টান পড়েছে তাঁদের বেশির ভাগেরই। পাশাপাশি অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যবহার, প্রশাসনের নানা বিষয় তুলে ধরেন জেলেরা। প্রজনন মৌসুমে সরকারের দেওয়া অপ্রতুল সহায়তা এবং তা বণ্টন নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের দুর্নীতির বিষয়গুলোও আসে সংগঠক এবং গবেষকদের আলোচনায়।
মৎস্য অধিদপ্তরের (ইলিশ ব্যবস্থাপনা) উপপ্রধান মাসুদ আরা মমি বলেন, মৎস্য অধিদপ্তর পদক্ষেপ না নিলে বইপুস্তকে চলে যেত ইলিশ। বিএনপি সরকারের আমলে ইলিশের উৎপাদন একেবারেই শূন্যের কোঠায় নেমে আসে জানিয়ে বর্তমান সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি।
মমি বলেন, ‘ইলিশ নাই কথাটা ঠিক না। এখন উৎপাদন ৫ লাখ ৬৭ হাজার টন। ২০০৯ সালে জাটকা নিধন, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান এবং গবেষণা প্রকল্প চালু হয়। ইলিশের যে উন্নয়ন সেটা—এই সরকারের সময়ে হয়েছে। বেসরকারি সংস্থাও গবেষণায় সহায়তা করেছে। ২০১৫ সালে তা শেষ হওয়ার পর মাছ উৎপাদন বেড়েছে, কিন্তু ইলিশের কন্ট্রিবিউশন হয়তো কম। বর্তমানে দেশের ২৯ জেলার ১৩৬টি উপজেলায় ২৪৬ কোটি টাকার ইলিশ উৎপাদন, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’
মাছ ধরা বন্ধের মৌসুমে মাসে ৪০ কেজি ভিজিএফ চাল দেওয়ার বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের উপপ্রধান বলেন, ‘২০০৭-০৮ অর্থবছরে ১ লাখ ৪৬ হাজার জেলেকে দেওয়া হতো। এই সরকার যখন আসল, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছায় ১০ থেকে ৪০ কেজিতে উন্নীত হয়েছে। আমি মনে করি, এটাও জেলেদের জন্য শেখ হাসিনার সানুগ্রহ সহায়তা। এখন সাত লাখ জেলে সরাসরি ইলিশ আহরণের সঙ্গে জড়িত। ইলিশের উৎপাদন কমছে না। ধরার মানুষ বেড়ে গেছে। আগে যেখানে একজন মানুষ ১০টা ইলিশ পেত, এখন যদি সেখানে ১০ জন মানুষ যায়, কয়টা ইলিশ পাবে? এক নদীতে। আপনাদের বুঝতে হবে।’
ইলিশসহ অন্য মাছ রক্ষায় সরকারে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান মমি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে সংলাপে অংশ নেন উপকূলীয় দুই জেলার সংসদ সদস্য। পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা বলেন, ‘ইলিশ এখন কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষার বিষয় হয়ে গেছে। তরমুজের চাষ বাড়ার কারণে ইলিশ কমে যাচ্ছে।’ কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘তরমুজ খেতে নানা ধরনের সার ও রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। সেসব আবার নদীতে গিয়ে পড়ছে। তাই ইলিশ তাদের আবাসস্থল আরও গভীরে নিয়ে যাওয়ায় জেলেরা হয়তো মাছ পাচ্ছেন না। কিন্তু সামগ্রিকভাবে সরকারের নানা পদক্ষেপে সব ধরনের মাছ উৎপাদনই বেড়েছে।’
খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান বাবু বলেন, ‘ছোটবেলায় আমরা ইলিশ কিনতাম আধা কেজির আশপাশের আকারের। কিন্তু দুই সপ্তাহ আগে ভোলা থেকে মাছ এনেছি। একেকটির ওজন সর্বনিম্ন ২ কেজি, সর্বোচ্চ ২ কেজি ৮০০ গ্রাম। বন্ধুবান্ধব, রাজনৈতিক সহকর্মী অনেকেই তা দিয়েছি। গতকাল (মঙ্গলবার) ঢাকায় আসার আগে খেয়ে এসেছি। সত্যি কথা বলি, ১৫ মিনিট পরে হাত ও মুখ থেকে গন্ধ (ইলিশের) আসছে। পরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে, দাঁত ব্রাশ করেছি। ৬৫ দিন বন্ধ রাখার কারণে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে।’
আখতারুজ্জামান বাবু বলেন, ‘পলি বাড়ায় নদীর উপকূলে ইলিশের দেখা মিলছে না। নদী খননে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টা রয়েছে। আমাদের গবেষণা দরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেকটি কথা, ধৈর্য সহকারে শোনেন এবং সমাধানের চেষ্টা করেন। আমরা কাছ থেকে দেখেছি, দেশের প্রতি তাঁর যে মমত্ব-মায়া, এটি আমাদের অনেকের ভেতরে থাকলেও তাঁর ভেতরে যেটি আছে, এটি অনন্য। আমরা আজকে যা ভাবছি, উনি অনেক আগে ভেবে রাখেন। এই হচ্ছেন জননেত্রী।’
জেলে কার্ড বেহাত হওয়ার বিষয়ে মৎস্যজীবীদের অভিযোগের বিষয়ে এমপি বাবু বলেন, ‘জেলেদের কার্ড সাহেবদের নামে আপনি-আমিই কিন্তু দিয়েছি। আমার পাশে যে কয়টা বাটপার থাকে, তাদের নাম না দিলে ওরা আবার ফেসবুকে লিখে। আমরা কিন্তু ঠিক না। অন্যের দোষ দিয়ে যাই। মৎস্য কর্মকর্তা, জেলে কর্মকর্তা কী করবেন? ওনার তো দিতেই হবে ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান সুপারিশ করেছেন। তাঁদের দোষ না। দোষী আমরা সবাই।
‘আজকে আড়াই-তিন কেজি ইলিশ পাওয়া যায়। ভোলায়, আমাকে যদি কেউ এখন বলেন আমি কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এনে দিতে পারি। ভোলায় একজন লোক পাঠাব আপনাকে আড়াই কেজি, তিন কেজি ইলিশ এনে দেব। দুই কেজি তো অহরহ। কিছুদিন আগে ছিল না। আমরা যা-ই বলি, নাই নাই নাই। লোক কিন্তু বাড়তেছে। …’
সভাপতির বক্তব্যের শুরুতেই সুলতানা কামাল, দেশের প্রচলিত নিয়ম মেনে সবাইকে মৎস্য আহরণের অনুরোধ করেন।
মৎস্য অধিদপ্তরের উপপ্রধান মাসুদ আরা মমির উদ্দেশে সুলতানা বলেন, ‘তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে আপনার যা বলছেন, তার সুফলটা জেলেদের কাছ থেকে শুনি না কেন? যারা মাছ ধরছেন, তাঁরা শোনেন না কেন? আগে আমরা যারা ভোক্তা প্রতিদিন ইলিশ খেয়েছি, এখন কেন খেতে পারি না। যদি ইলিশের উৎপাদন এতই বেড়ে থাকে, বাবু ভাইয়ের (আখতারুজ্জামান বাবু) যে অবস্থান আছে উনি ইচ্ছে করলে ২৪ ঘণ্টাই ইলিশ খেতে পারেন, কিন্তু আমি সুলতানা কামাল, সাধারণ নাগরিক আমি কিন্তু পারি না। সম্ভব না। আমাকে কেউ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই কেজির ইলিশ সাপ্লাই (সরবরাহ) দেবে না। আমাকে কিনতে হলে কয়েক হাজার টাকা হাতে নিয়ে বাজারে যেত হবে। তা-ও যদি পাই। এই যে একটা তফাত রয়ে গেছে। এটাই আইনপ্রণেতাদের বলতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ নাই। তিনি সব সময় দেশের মানুষের ভালো চান। তাঁর আন্তরিকতা নিয়ে কেউ আমরা প্রশ্ন তুলি না। কিন্তু সেই কাজগুলো হয় না কেন?’
সুলতানা কামাল বলেন, ‘সেদিন এক মন্ত্রী বলেছেন দেশের মানুষ এখন ডাল-ভাতের জন্য কাঁদে না, মাছ-ভাতের জন্য কাঁদে। বাবু ভাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০০টা ইলিশ মাছ পান, কিন্তু ওই মানুষটা মাছের জন্য কাঁদে কেন? মানবাধিকার কর্মী হিসেবে এটাই আমার প্রশ্ন? আপনি (আখতারুজ্জামান বাবু) বাক্সভরে মানুষকে ইলিশ দিতে পারবেন, আরেকটা মানুষ কেন মাছ-ভাতের জন্য কাঁদবে? তা নিশ্চিতের দায়িত্ব আপনাদের। আপনি পারেন আমি পারি না। এই যে আপনার পারা এবং আমার না পারার মধ্যে এত পার্থক্য হবে কেন?’
সুলতানা কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। কিন্তু সেই সুফল সবাই পাচ্ছে না। … মমি হিসেবে না, আপনারা রাষ্ট্র, বুঝতে হবে কেন বলছেন ওনারা (জেলেরা) দেশকে ভালোবাসে না তাই এসব কথা বলছে? ওরা কি দেশের শত্রু? শুধু আমি একাই দেশকে ভালোবাসি। এই ঔদ্ধত্য আমি দেখাতে পারি? একমাত্র আমি দেশকে ভালোবাসি, আর কেউ না। এই ঔদ্ধত্য থাকা উচিত না। চিন্তা করতে হবে, কেন জেলেরা বলছেন তাঁরা মাছ পাচ্ছেন না।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত দুই সংসদ সদস্যের উদ্দেশে সুলতানা কামাল বলেন, ‘আপনারা অবকাঠামোগত উন্নয়নে যতটা নজর দিয়েছেন। সাংস্কৃতিক উন্নয়ন করার ক্ষেত্রে মনোযোগী হন নাই। এটা আমার অভিযোগ। এ কারণেই জেলেদের ধরতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার বিষয়গুলো হচ্ছে। একটা ডিসকানেক্ট (বিচ্ছিন্নতা) রয়ে গেছে। কানেকশনটা (সংযোগ) হয় নাই।’
মমিকে (মাসুদ আরা মমি) আরেকটা কথা বলব, ‘আপনারা সরকারি চাকরি করছেন। বাবু, শাহজাদা ভাইয়েরা কোনো একটা কারণে আইনপ্রণেতার জায়গায় গেছেন। আপনারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহে। কেন সানুগ্রহ হবে? আমার করের পয়সায় এই টাকা আসছে, করের পয়সা প্রধানমন্ত্রী কাস্টডিয়ান (দেখভাল করেন)। তিনি একা না, সরকার কাস্টডিয়ান। সেই টাকা হয়তো, জেলে ভাইদের কাছে আসছে। এটা সানুগ্রহের কী আছে? আপনারা কি কখনো চিন্তা করেন একটা মানুষের পাঁচজনের সংসারে ৪০ কেজি চালে মাস চলে কি না। তারপর কারেন্ট জাল নিয়ে মাছ ধরতে যায়, আর বলেন আইন ভাঙছে। কোন বিবেকে বলেন?’
সুলতানা কামাল বলেন, ‘দুর্নীতির কথা ধরলামই না। আপনি খুব সৎভাবে ১০টা কার্ড (জেলে) দিতে চান। কোন দশজনকে দেবেন? এখানে পরিকল্পনার ব্যাপার আছে। খালি সানুগ্রহ বললে হবে না। আমরা দয়ার পাত্র হব কেন কারও? আমরা এ দেশের নাগরিক, সম্মানিত নাগরিক। আমি কর দিই। আমি আমার নাগরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার ভোগ করতে চাই। আমি কারও অনুগ্রহ চাই না। দয়া করে আপনারা অনুগ্রহের কথা বলবেন না আমাদের। আমার খুব মনঃকষ্ট হয়।’
সুলতানা কামাল আরও বলেন, ‘আমি বারবার বলছি, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা এক শ বার বিশ্বাস করি। আপনাদের চেয়ে বেশি দিন ধরে তাঁকে চিনি। জানি তিনি চান বাংলাদেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু অনুগ্রহ করে আমাদের অনুগ্রহের কথা বলবেন না। কেউ বাংলাদেশে এমন নাই যে নাগরিকদের অনুগ্রহ করতে পারে। তিনি (শেখ হাসিনা) তাঁর দায়িত্ব পালন করছেন। সদিচ্ছার সঙ্গে করছেন, প্রশংসার সঙ্গে করছেন—এটা বলতে পারি। নিশ্চয়ই তাঁকে ধন্যবাদ জানাব। কিন্তু আমাকে কেউ অনুগ্রহ করে, সেটা গ্রহণে রাজি নই।’

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
১ ঘণ্টা আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
২ ঘণ্টা আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ রোববার সকালে প্রণয় ভার্মাকে তলব করে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত উসকানিমূলক বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্বেগের বিষয়টিও জানিয়ে দেওয়া হয়।
গত শুক্রবার ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের সমর্থক ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তিনি এখনো সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ওসমান হাদিকে গুলিবর্ষণকারী ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রতিরোধে ভারতের সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে। তাঁরা যদি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে সক্ষমও হন, তবে তাঁদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে গত ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর তাঁকে ফেরত দিতে নয়াদিল্লিকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। তবে তাতে দিল্লির কোনো সাড়া মেলেনি। তা ছাড়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি বন্ধ করার আহ্বানে সাড়া দেয়নি ভারত।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরও শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি অব্যাহত রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে আবার ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করা হলো। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তাঁকে ডেকে নিয়ে সরকারের পক্ষে উদ্বেগ তুলে ধরেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
ভারতের হাইকমিশনারকে বলা হয়, পলাতক শেখ হাসিনাকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে তিনি তাঁর সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসন্ন নির্বাচন বানচালে প্ররোচিত করছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা–কর্মীরা ভারতে বসে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন বানচালে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও প্রণয় ভার্মাকে জানানো হয়। এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও জানানো হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত শেখ হাসিনা,ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও আবার জানানো হয় ভারতের হাইকমিশনারকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে ভারত সরকার। ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এমন প্রত্যাশা ভারতের রয়েছে এবং এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে তাঁর দেশ প্রস্তুত।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ রোববার সকালে প্রণয় ভার্মাকে তলব করে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত উসকানিমূলক বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্বেগের বিষয়টিও জানিয়ে দেওয়া হয়।
গত শুক্রবার ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের সমর্থক ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তিনি এখনো সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ওসমান হাদিকে গুলিবর্ষণকারী ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রতিরোধে ভারতের সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে। তাঁরা যদি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে সক্ষমও হন, তবে তাঁদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে গত ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর তাঁকে ফেরত দিতে নয়াদিল্লিকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। তবে তাতে দিল্লির কোনো সাড়া মেলেনি। তা ছাড়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি বন্ধ করার আহ্বানে সাড়া দেয়নি ভারত।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরও শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি অব্যাহত রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে আবার ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করা হলো। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তাঁকে ডেকে নিয়ে সরকারের পক্ষে উদ্বেগ তুলে ধরেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
ভারতের হাইকমিশনারকে বলা হয়, পলাতক শেখ হাসিনাকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে তিনি তাঁর সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসন্ন নির্বাচন বানচালে প্ররোচিত করছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা–কর্মীরা ভারতে বসে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন বানচালে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও প্রণয় ভার্মাকে জানানো হয়। এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও জানানো হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত শেখ হাসিনা,ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও আবার জানানো হয় ভারতের হাইকমিশনারকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে ভারত সরকার। ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এমন প্রত্যাশা ভারতের রয়েছে এবং এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে তাঁর দেশ প্রস্তুত।

‘উপকূলের ইলিশ ও জেলে’বিষয়ক জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অগণিত দুই কেজির ইলিশ ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিলেন এক সরকারদলীয় সংসদ সদস্য। তিনি নিজে সাম্প্রতিক সময়ে তিন কেজির ইলিশও খেয়েছেন বলেও জানান। যদিও সংলাপে উপস্থিত জেলেরা জানান, তাঁরা মাছ পাচ্ছেন না।
১৭ মে ২০২৩
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
২ ঘণ্টা আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের এসব ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের এসব ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

‘উপকূলের ইলিশ ও জেলে’বিষয়ক জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অগণিত দুই কেজির ইলিশ ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিলেন এক সরকারদলীয় সংসদ সদস্য। তিনি নিজে সাম্প্রতিক সময়ে তিন কেজির ইলিশও খেয়েছেন বলেও জানান। যদিও সংলাপে উপস্থিত জেলেরা জানান, তাঁরা মাছ পাচ্ছেন না।
১৭ মে ২০২৩
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
১ ঘণ্টা আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২১ ডিসেম্বর।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
মামলার ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ১০ সেনা কর্মকর্তা।
তাঁরা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।
আসামিদের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষা-বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন পলাতক রয়েছেন।
র্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।
পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জন ব্যক্তিকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২১ ডিসেম্বর।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
মামলার ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ১০ সেনা কর্মকর্তা।
তাঁরা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।
আসামিদের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষা-বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন পলাতক রয়েছেন।
র্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।
পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জন ব্যক্তিকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

‘উপকূলের ইলিশ ও জেলে’বিষয়ক জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অগণিত দুই কেজির ইলিশ ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিলেন এক সরকারদলীয় সংসদ সদস্য। তিনি নিজে সাম্প্রতিক সময়ে তিন কেজির ইলিশও খেয়েছেন বলেও জানান। যদিও সংলাপে উপস্থিত জেলেরা জানান, তাঁরা মাছ পাচ্ছেন না।
১৭ মে ২০২৩
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
১ ঘণ্টা আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
২ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
গত শুক্রবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
গত শুক্রবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

‘উপকূলের ইলিশ ও জেলে’বিষয়ক জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অগণিত দুই কেজির ইলিশ ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিলেন এক সরকারদলীয় সংসদ সদস্য। তিনি নিজে সাম্প্রতিক সময়ে তিন কেজির ইলিশও খেয়েছেন বলেও জানান। যদিও সংলাপে উপস্থিত জেলেরা জানান, তাঁরা মাছ পাচ্ছেন না।
১৭ মে ২০২৩
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
১ ঘণ্টা আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
২ ঘণ্টা আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগে