নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুন ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। পাশাপাশি শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তার করে ১৬ জুন ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে বলা হয়েছে।
আজ রোববার শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম তিন আসামির সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছেন। সেই সঙ্গে তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে জুলাই-আগস্টে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণের নির্দেশনা চেয়েছেন।
জুলাই–আগস্টে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এটি দ্বিতীয় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ। এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ২৫ মে ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। এখনো ওই মামলায় অভিযোগ গঠন হয়নি। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর তা আমলে নেবেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর অভিযোগ গঠন করা হবে। মূলত অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়েই শুরু হবে বিচার। তাই ঈদুল আজহার ছুটির পর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হবে বলে জানিয়েছে ট্রাইব্যুনালের একটি সূত্র।
এর আগে গত ১২ মে শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। পরে প্রতিবেদনের বিষয়টি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
চিফ প্রসিকিউটর প্রতিবেদনের বিষয়ে বলেন, প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের বিষয়ে উসকানি এবং সরাসরি নির্দেশ। এ বিষয়ে তাঁর বহু কলরেকর্ড, অডিও-ভিডিও পাওয়া গেছে। পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট তিনটি ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবেদনে এসেছে, প্রায় দেড় হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছে, ২৫ হাজারের বেশি মানুষকে গুলি করে আহত করা হয়েছে, নারীদের ওপর বিশেষভাবে সহিংসতা চালানো হয়েছে, লাশ একত্রিত করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিতে বাধা দেওয়া হয়েছে, পোস্টমর্টেম করতে বাধা দেওয়া হয়েছে এবং চিকিৎসকদের চিকিৎসা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘হাসপাতালে শেখ হাসিনা নিজে গিয়ে বলেছিলেন, এসব ভর্তি রোগীদের যাতে চিকিৎসা দেওয়া না হয়। রোগীরা যখন যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে হাসপাতাল থেকে চলে যেতে চেয়েছিলেন, তাঁদের সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। যাতে পচে গেলে কেটে ফেলতে হয়, সে রকম নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া আন্দোলনকারীদের ওপর দায় চাপানোর জন্য বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় নিজেদের লোক দিয়ে অগ্নিসংযোগের নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।’
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, জুলাই–আগস্টের ঘটনায় গত ১০ এপ্রিল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ৩৩০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। যেখানে প্রায় সবগুলোতেই শেখ হাসিনার নাম রয়েছে। এরপরও শুধু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে একটি বিবিধ মামলা হয়। এরপর পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আর আনুষ্ঠানিক অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যুক্ত করা হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুন ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। পাশাপাশি শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তার করে ১৬ জুন ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে বলা হয়েছে।
আজ রোববার শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম তিন আসামির সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছেন। সেই সঙ্গে তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে জুলাই-আগস্টে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণের নির্দেশনা চেয়েছেন।
জুলাই–আগস্টে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এটি দ্বিতীয় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ। এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ২৫ মে ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। এখনো ওই মামলায় অভিযোগ গঠন হয়নি। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর তা আমলে নেবেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর অভিযোগ গঠন করা হবে। মূলত অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়েই শুরু হবে বিচার। তাই ঈদুল আজহার ছুটির পর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হবে বলে জানিয়েছে ট্রাইব্যুনালের একটি সূত্র।
এর আগে গত ১২ মে শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। পরে প্রতিবেদনের বিষয়টি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
চিফ প্রসিকিউটর প্রতিবেদনের বিষয়ে বলেন, প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের বিষয়ে উসকানি এবং সরাসরি নির্দেশ। এ বিষয়ে তাঁর বহু কলরেকর্ড, অডিও-ভিডিও পাওয়া গেছে। পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট তিনটি ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবেদনে এসেছে, প্রায় দেড় হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছে, ২৫ হাজারের বেশি মানুষকে গুলি করে আহত করা হয়েছে, নারীদের ওপর বিশেষভাবে সহিংসতা চালানো হয়েছে, লাশ একত্রিত করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিতে বাধা দেওয়া হয়েছে, পোস্টমর্টেম করতে বাধা দেওয়া হয়েছে এবং চিকিৎসকদের চিকিৎসা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘হাসপাতালে শেখ হাসিনা নিজে গিয়ে বলেছিলেন, এসব ভর্তি রোগীদের যাতে চিকিৎসা দেওয়া না হয়। রোগীরা যখন যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে হাসপাতাল থেকে চলে যেতে চেয়েছিলেন, তাঁদের সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি। যাতে পচে গেলে কেটে ফেলতে হয়, সে রকম নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া আন্দোলনকারীদের ওপর দায় চাপানোর জন্য বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় নিজেদের লোক দিয়ে অগ্নিসংযোগের নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।’
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, জুলাই–আগস্টের ঘটনায় গত ১০ এপ্রিল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ৩৩০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। যেখানে প্রায় সবগুলোতেই শেখ হাসিনার নাম রয়েছে। এরপরও শুধু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে একটি বিবিধ মামলা হয়। এরপর পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আর আনুষ্ঠানিক অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যুক্ত করা হয়।
রেলযাত্রা নিয়ে মানুষের ভোগান্তির গল্পের শেষ নেই। সময়মতো ট্রেন না ছাড়া, দরকারি টিকিট না পাওয়া, অপরিচ্ছন্ন আসন, নোংরা প্ল্যাটফর্ম— এমন অভিযোগের দীর্ঘ তালিকা রয়েছে যাত্রী-মনে। ট্রেনে ও স্টেশনে সেসব অভিযোগ জানানোর জন্য রয়েছে বড় আকারের রুলটানা খাতা, যার সরকারি নাম ‘কমপ্লেইন রেজিস্ট্রার বুক’।
১৭ মিনিট আগেঅবশেষে ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড কেনার জট খুলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসের (সেপ্টেম্বর) প্রথম সপ্তাহ থেকে ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড হাতে পাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইডেনটিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পের মাধ্যমে ২ কোটি ৩৬ লাখ ৩৪ হাজার কার্ড কিনছে...
২ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে, যেখানে সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এ বি এম আব্দুস সাত্তার নাম উল্লেখ না করে কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। আমরা এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। প্রমাণ উপস্থাপন বা ব্যক্তিদের...
৮ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থাতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে
১ দিন আগে