নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মানুষের মধ্যে যে ভোট বিমুখতা তৈরি হয়েছে, সেটি লক্ষ্য করেছেন সদ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ জন্য মানুষকে ভোটকেন্দ্রমুখী করাকেই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন তিনি।
ইসি গঠন করে আজ শনিবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গেজেট প্রকাশের পর রাতে পরীবাগের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হাবিবুল আউয়াল। বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এটা আমাদের একটা হেরিটেজ যে (নির্বাচনে) কিছুটা সহিংসতা হয়। কারণ সবাই তার প্রার্থীকে জয়ী করতে চায়। এটা করতে গিয়ে সমর্থকদের মধ্যে উল্লাসের কারণে হোক বা স্বতঃস্ফূর্ততার কারণেই হোক অনেক সময় সাংঘর্ষিক হয়ে যায়, সেই জিনিসটা আমরা চাইব না। সহিংসতা ও সাংঘর্ষিক অবস্থাটা যতটা কমিয়ে আনা যায়, যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে সেই দায়িত্বটা পালন করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন চেষ্টা করবে।’
‘একই সঙ্গে বটম লেভেলে যে এজেন্সিগুলো আছে, তাঁরা যদি তাঁদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে স্ব স্ব দায়িত্বগুলো সমভাবে পালন না করেন তাহলে কিন্তু আপনাদের কাঙ্ক্ষিত সফলতা পরিপূর্ণভাবে পাবেন না। সে জন্য আমি আবেদন করব, আমাদের সবাইকে আন্তরিক হতে হবে, দায়িত্ব পালনে সচেতন হতে হবে, এজেন্সিগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে, প্রেসকেও তার দায়িত্ব পালন করতে হবে। সবাই চাইলে নির্বাচনটা সুন্দর ও সুষ্ঠু হবে, সেটাই আমার প্রত্যাশা।’ যোগ করেন নতুন সিইসি।
মানুষকে ভোটমুখী করতে কী উদ্যোগ নেবেন, এ প্রশ্নে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘মানুষকে ভোটকেন্দ্রমুখী করার চেষ্টাই তো আমাদের করতে হবে। সেটাই তো বড় একটা চ্যালেঞ্জ। মানুষের মধ্যে যেন আস্থা ফিরে আসে, নির্বাচন হবে এবং ভোটাধিকার প্রয়োগ হবে, ভোটাধিকার যে গুরুত্বপূর্ণ অধিকার, সম্পদ, এটা যে একটা পাওয়ার, ভোটারদের মধ্যেও এই সেনসেটাইজেশনটা ক্রিয়েট করা দরকার। প্রত্যেকটা মানুষের একটা ভোটের অধিকার আছে, সেটাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে। কিছুটা ভোট বিমুখতা আমরা লক্ষ্য করেছি। নিজেদের ভোটারদের ভোটকেন্দ্র নিয়ে যেতে প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলেরও দায়িত্ব রয়েছে।’
রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন নিয়ে যাতে প্রশ্ন তুলতে না পারে, সে জন্য কী পদক্ষেপ নেবে, এমন প্রশ্নে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা সকলের সঙ্গে কথা বলব। আমার বিশ্বাস আমার সহকর্মীরাও এগ্রি করবেন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড যেটা সেটা তো আরও নিচে গিয়ে, ওপরের যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড— আমরা তো একটি দলের সঙ্গে কথা বলব তা নয়, সব দলের সঙ্গে কথা বলব, তাদের সহায়তা কামনা করব, তাঁরা কী প্রত্যাশা করেন, আমরা কতটুকু প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব— এটা কিন্তু টু ওয়ে ট্রাফিক— এটা আলোচনা হবে। আমি আশা করি বিএনপিও আসবে।’
‘নির্বাচন বর্জন করে নয়, নির্বাচনে দৃঢ় ও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে— নির্বাচনের ক্ষেত্রটা কিন্তু মন্থর না— আমার শৈশব থেকে আমি দেখে এসেছি, গ্রামে যে বাপ-চাচাদের ইলেকশন, ইউনিয়ন কাউন্সিলের (পরিষদের) মেম্বার-চেয়ারম্যান (নির্বাচন) সেখানেও কিন্তু আজ থেকে ৬০-৭০ বছর আগেও আমি ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখেছি। সেটাকে মেনে নিয়েই আমাদের নির্বাচন করতে হবে। এটা নির্বাচনের একটা অপরিহার্য অনুষঙ্গ— কিছুটা সাংঘর্ষিক হবে, সে জন্য আমি মাঠ ছেড়ে চলে যাব, নির্বাচন করব না…আপনি মাঠ ছেড়ে দিয়ে বলবেন নির্বাচন হয়নি, তাহলেও কিন্তু হবে না।’ যোগ করেন সিইসি।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আন্তরিকভাবে যদি আমি দায়িত্ব পালন না করি নিশ্চয়ই আমার বিবেকের কাছে দায়ী থাকব। আমি চাইব শপথের প্রতি অনুগত থেকে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করি। প্রতিবন্ধকতা আসবে কী আসবে না তা তো আগাম বলতে পারব না।’
এদিকে সার্চ কমিটি যখন বিভিন্ন পক্ষের কাছ থেকে নাম আহ্বান করেছিল তখন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছিলেন তিনি কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ আটজনের নাম প্রস্তাব করেছেন। হাবিবুল আউয়ালকে সিইসি করায় ডা. জাফরুল্লাহ খুশি হয়েছেন বলেও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
তবে সিইসি হিসেবে নিয়োগের জন্য নাম কে প্রস্তাব করেছিলেন তা জানেন না হাবিবুল আউয়াল। নিজেও নাম প্রস্তাব করেননি বলে জানান তিনি। হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের ওপর শক্ত দায়িত্ব আরোপিত হয়েছে।’
নবনিযুক্ত সিইসি বলেন, ‘শপথ নেওয়ার পর বিগত কমিশন কতটা সফল, কতটা বিফল সেটা পর্যালোচনা করতে হবে। কোনো ক্ষেত্রে বিফল হলে কেন বিফল হলো, সফল হলে কোন কৌশল অবলম্বন করে সফল হয়েছে সেটাও আমাদের দেখতে হবে। কিছুটা অভিজ্ঞতা আমরা আগের কমিশন থেকে নিতে পারব। বিগত কমিশনে যারা ছিলেন তাঁদের আমন্ত্রণ জানাব, পরামর্শ নেব।
মানুষের মধ্যে যে ভোট বিমুখতা তৈরি হয়েছে, সেটি লক্ষ্য করেছেন সদ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ জন্য মানুষকে ভোটকেন্দ্রমুখী করাকেই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন তিনি।
ইসি গঠন করে আজ শনিবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গেজেট প্রকাশের পর রাতে পরীবাগের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হাবিবুল আউয়াল। বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এটা আমাদের একটা হেরিটেজ যে (নির্বাচনে) কিছুটা সহিংসতা হয়। কারণ সবাই তার প্রার্থীকে জয়ী করতে চায়। এটা করতে গিয়ে সমর্থকদের মধ্যে উল্লাসের কারণে হোক বা স্বতঃস্ফূর্ততার কারণেই হোক অনেক সময় সাংঘর্ষিক হয়ে যায়, সেই জিনিসটা আমরা চাইব না। সহিংসতা ও সাংঘর্ষিক অবস্থাটা যতটা কমিয়ে আনা যায়, যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে সেই দায়িত্বটা পালন করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন চেষ্টা করবে।’
‘একই সঙ্গে বটম লেভেলে যে এজেন্সিগুলো আছে, তাঁরা যদি তাঁদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে স্ব স্ব দায়িত্বগুলো সমভাবে পালন না করেন তাহলে কিন্তু আপনাদের কাঙ্ক্ষিত সফলতা পরিপূর্ণভাবে পাবেন না। সে জন্য আমি আবেদন করব, আমাদের সবাইকে আন্তরিক হতে হবে, দায়িত্ব পালনে সচেতন হতে হবে, এজেন্সিগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে, প্রেসকেও তার দায়িত্ব পালন করতে হবে। সবাই চাইলে নির্বাচনটা সুন্দর ও সুষ্ঠু হবে, সেটাই আমার প্রত্যাশা।’ যোগ করেন নতুন সিইসি।
মানুষকে ভোটমুখী করতে কী উদ্যোগ নেবেন, এ প্রশ্নে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘মানুষকে ভোটকেন্দ্রমুখী করার চেষ্টাই তো আমাদের করতে হবে। সেটাই তো বড় একটা চ্যালেঞ্জ। মানুষের মধ্যে যেন আস্থা ফিরে আসে, নির্বাচন হবে এবং ভোটাধিকার প্রয়োগ হবে, ভোটাধিকার যে গুরুত্বপূর্ণ অধিকার, সম্পদ, এটা যে একটা পাওয়ার, ভোটারদের মধ্যেও এই সেনসেটাইজেশনটা ক্রিয়েট করা দরকার। প্রত্যেকটা মানুষের একটা ভোটের অধিকার আছে, সেটাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে। কিছুটা ভোট বিমুখতা আমরা লক্ষ্য করেছি। নিজেদের ভোটারদের ভোটকেন্দ্র নিয়ে যেতে প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলেরও দায়িত্ব রয়েছে।’
রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন নিয়ে যাতে প্রশ্ন তুলতে না পারে, সে জন্য কী পদক্ষেপ নেবে, এমন প্রশ্নে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা সকলের সঙ্গে কথা বলব। আমার বিশ্বাস আমার সহকর্মীরাও এগ্রি করবেন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড যেটা সেটা তো আরও নিচে গিয়ে, ওপরের যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড— আমরা তো একটি দলের সঙ্গে কথা বলব তা নয়, সব দলের সঙ্গে কথা বলব, তাদের সহায়তা কামনা করব, তাঁরা কী প্রত্যাশা করেন, আমরা কতটুকু প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব— এটা কিন্তু টু ওয়ে ট্রাফিক— এটা আলোচনা হবে। আমি আশা করি বিএনপিও আসবে।’
‘নির্বাচন বর্জন করে নয়, নির্বাচনে দৃঢ় ও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে— নির্বাচনের ক্ষেত্রটা কিন্তু মন্থর না— আমার শৈশব থেকে আমি দেখে এসেছি, গ্রামে যে বাপ-চাচাদের ইলেকশন, ইউনিয়ন কাউন্সিলের (পরিষদের) মেম্বার-চেয়ারম্যান (নির্বাচন) সেখানেও কিন্তু আজ থেকে ৬০-৭০ বছর আগেও আমি ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখেছি। সেটাকে মেনে নিয়েই আমাদের নির্বাচন করতে হবে। এটা নির্বাচনের একটা অপরিহার্য অনুষঙ্গ— কিছুটা সাংঘর্ষিক হবে, সে জন্য আমি মাঠ ছেড়ে চলে যাব, নির্বাচন করব না…আপনি মাঠ ছেড়ে দিয়ে বলবেন নির্বাচন হয়নি, তাহলেও কিন্তু হবে না।’ যোগ করেন সিইসি।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আন্তরিকভাবে যদি আমি দায়িত্ব পালন না করি নিশ্চয়ই আমার বিবেকের কাছে দায়ী থাকব। আমি চাইব শপথের প্রতি অনুগত থেকে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করি। প্রতিবন্ধকতা আসবে কী আসবে না তা তো আগাম বলতে পারব না।’
এদিকে সার্চ কমিটি যখন বিভিন্ন পক্ষের কাছ থেকে নাম আহ্বান করেছিল তখন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছিলেন তিনি কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ আটজনের নাম প্রস্তাব করেছেন। হাবিবুল আউয়ালকে সিইসি করায় ডা. জাফরুল্লাহ খুশি হয়েছেন বলেও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
তবে সিইসি হিসেবে নিয়োগের জন্য নাম কে প্রস্তাব করেছিলেন তা জানেন না হাবিবুল আউয়াল। নিজেও নাম প্রস্তাব করেননি বলে জানান তিনি। হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের ওপর শক্ত দায়িত্ব আরোপিত হয়েছে।’
নবনিযুক্ত সিইসি বলেন, ‘শপথ নেওয়ার পর বিগত কমিশন কতটা সফল, কতটা বিফল সেটা পর্যালোচনা করতে হবে। কোনো ক্ষেত্রে বিফল হলে কেন বিফল হলো, সফল হলে কোন কৌশল অবলম্বন করে সফল হয়েছে সেটাও আমাদের দেখতে হবে। কিছুটা অভিজ্ঞতা আমরা আগের কমিশন থেকে নিতে পারব। বিগত কমিশনে যারা ছিলেন তাঁদের আমন্ত্রণ জানাব, পরামর্শ নেব।
নির্বাচনের নামে দেশের জনগণকে তিনবার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে—এই অভিযোগ তুলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনজন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, একাধিক সাবেক কমিশনার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা
১৭ মিনিট আগেসরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে থাকা সচিবালয়ের কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে পর্যালোচনা কমিটি। তাঁদের সঙ্গে আগামী বুধবার ফের বৈঠক করবে কমিটি।
১ ঘণ্টা আগেসাক্ষাৎকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যে ভাষাগত, সাংস্কৃতিক ও অভিন্ন মূল্যবোধকেন্দ্রিক আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে, তা অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের ঊর্ধ্বে বলে উল্লেখ করেন। তিনি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
২ ঘণ্টা আগেভোট কারচুপি, সাজানো ও প্রহসনের নির্বাচনের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন...
৪ ঘণ্টা আগে