আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

কারাগারের ভেতরে ‘অদৃশ্য’ এক আর্থিক লেনদেনের জাল বিস্তৃত হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। বন্দীদের নানা সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা করতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে স্বজনেরা টাকা পাঠাচ্ছেন কারারক্ষীদের কাছে। বিনিময়ে বন্দীদের কারাগারেই মিলছে মোবাইল ফোন ব্যবহার, মাদকসেবন, বাইরের খাবার কিংবা ফাঁকিবাজির সুযোগ। অবৈধ এই লেনদেনে কোনো কোনো কারারক্ষী ফেঁসে গেলেও এসব বন্ধ হচ্ছে না।
কারা অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ তদন্তে কারারক্ষীদের এ রকম অবৈধ লেনদেনের তথ্য উঠে এসেছে। অনেক কারারক্ষী নিজের বা বিশ্বস্ত আত্মীয়-পরিজনের নামে থাকা নগদ, বিকাশের মতো বিভিন্ন মোবাইল আর্থিক সেবার নম্বর দিয়ে থাকেন বন্দীর স্বজনদের। ওই নম্বরগুলোতে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ঢুকছে। সেবা দেওয়ার বিনিময়ে কারারক্ষীরা পান কমিশন।
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের রক্ষী আব্দুল কাদের একজন বন্দীর স্বজনের কাছ থেকে বিকাশে টাকা নিলেও বন্দীকে কোনো সুবিধা দেননি। ওই বন্দীর স্বজনেরা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। তদন্তে কাদেরের ঘুষ গ্রহণের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে বদলি করা হয়।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আব্দুল্ল্যাহেল আল-আমিন বলেন, ‘কারারক্ষী আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার পর তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যখনই এ রকম অভিযোগ আসছে তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
আব্দুল্ল্যাহেল আল-আমিন বলেন, ‘কোনো বন্দীর স্বজন যদি কারাগারে এসে পিসি কার্ডে টাকা জমা না দিতে পারেন, তাহলে আমাদের অফিশিয়াল নম্বরের মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা জমা দিতে পারেন। কিন্তু কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত লেনদেন করা যাবে না।’
প্রসঙ্গত, কারাগারে বন্দীদের নিজের প্রয়োজনে ব্যবহারের অর্থ রাখার জন্য অনুমোদিত পিসি (ব্যক্তিগত তহবিল) কার্ডের ব্যবস্থা আছে। তাতে রাখার জন্য মানি অর্ডার, মোবাইল ব্যাংকিং বা সশরীরে কারাগারে এসে প্রধান রক্ষীর কাছে অর্থ দেওয়ার ব্যবস্থা আছে।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের এক বন্দীর স্বজন তার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, “প্রথমে কারা ফোর্সের একজন আমাদের বলে, ‘ভাই আপনার লোকটা অসুস্থ, হাসপাতালে রাখতে চাইলে কিছু করতে হবে।’ পরে সে বিকাশ নম্বর দেয়। ওই নম্বরে এক হাজার টাকা পাঠাই। এরপর থেকে প্রতি সপ্তাহেই কোনো না কোনো অজুহাতে টাকা চাইতো।”
কারারক্ষীরা সাধারণত সরাসরি টাকা নেন না, হয় স্বজন না হয় কারাগারের আশপাশের কোন দোকানের মোবাইল নম্বর দেন।
কারা অধিদপ্তরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এটা এখন ওপেন সিক্রেট। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের তথ্য ঘাটলেই দেখা যাবে, কারা কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত কিছু নম্বরে নিয়মিত টাকা যাচ্ছে।’
তথ্য বলছে, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, কাশিমপুর, রাজশাহী, যশোর ও চট্টগ্রামের কারাগারগুলোতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন বেশি হচ্ছে।
এসব অবৈধ লেনদেন ঠেকাতে কারা অধিদপ্তর অননুমোদিতভাবে কাউকে অর্থ না দেওয়ার জন্য গত কয়েক মাস ধরে একটি নোটিশ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করছে।
অবৈধ অর্থ লেনদেন ছাড়াও রক্ষী ও অন্য কর্মীদের সহযোগিতায় প্রায়ই বন্দীরা কারাগারে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ পান। গত ৫ মার্চ খুলনা কারাগারের ৩০ নম্বর সেলের ১০ নম্বর কক্ষ তল্লাশি করে একটি ভিভো ব্র্যান্ডের মোবাইল ও চার্জার পান কারা কর্মকর্তারা। ওই কক্ষে শাহাদাত হোসেন লিটন ওরফে খোঁড়া লিটন নামে এক সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি ছিলেন। তদন্তের পর লিটনের সঙ্গে যোগসাজশের প্রমাণ পেলে কারাগারের ফ্যাক্টরি ওভারসিয়ার আব্দুর রহীমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
কারাসূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রধানত বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়া, সামান্য অসুস্থতায়ও হাসপাতাল ওয়ার্ডে স্থানান্তর ইত্যাদি সুবিধার বিনিময়ে অর্থ হাতবদল হয়। মাদক বাণিজ্যের টাকার লেনদেনও হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ে।
মো. বদরুজ্জামান শিকদার নামে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের এক রক্ষী বন্দীর স্ত্রীর কাছ থেকে মোবাইলে অর্থ নিয়ে ধরা পরেন গত মে মাসে। অর্থ দেওয়া হলেও ওই নারীর স্বামী কারাগারে বাড়তি সুবিধা পাননি। এরপর রক্ষী বদরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী নারী। কর্তৃপক্ষের তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। বদরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেন, ‘কারাগার হচ্ছে সংশোধনের স্থান, অথচ এখানে টাকা দিলে নিয়ম ভাঙার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এই অঘোষিত অর্থনীতির বলি হচ্ছে সাধারণ বন্দীরা, যাদের পক্ষে ঘুষ দেওয়া সম্ভব নয়। এই ঘুষচক্র ঠেকাতে প্রয়োজন প্রযুক্তি নির্ভর নজরদারি, আর্থিক লেনদেনের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্ত।’
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোতাহের হোসেন বলেন, ‘মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কোনো অবৈধ লেনদেন হলে তা তদন্তসাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে আমরা কিছু কারারক্ষীকে এ ধরনের অনিয়মের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। অনেককে বদলি করা হয়েছে।’
আরও খবর পড়ুন:

কারাগারের ভেতরে ‘অদৃশ্য’ এক আর্থিক লেনদেনের জাল বিস্তৃত হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। বন্দীদের নানা সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা করতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে স্বজনেরা টাকা পাঠাচ্ছেন কারারক্ষীদের কাছে। বিনিময়ে বন্দীদের কারাগারেই মিলছে মোবাইল ফোন ব্যবহার, মাদকসেবন, বাইরের খাবার কিংবা ফাঁকিবাজির সুযোগ। অবৈধ এই লেনদেনে কোনো কোনো কারারক্ষী ফেঁসে গেলেও এসব বন্ধ হচ্ছে না।
কারা অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ তদন্তে কারারক্ষীদের এ রকম অবৈধ লেনদেনের তথ্য উঠে এসেছে। অনেক কারারক্ষী নিজের বা বিশ্বস্ত আত্মীয়-পরিজনের নামে থাকা নগদ, বিকাশের মতো বিভিন্ন মোবাইল আর্থিক সেবার নম্বর দিয়ে থাকেন বন্দীর স্বজনদের। ওই নম্বরগুলোতে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ঢুকছে। সেবা দেওয়ার বিনিময়ে কারারক্ষীরা পান কমিশন।
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের রক্ষী আব্দুল কাদের একজন বন্দীর স্বজনের কাছ থেকে বিকাশে টাকা নিলেও বন্দীকে কোনো সুবিধা দেননি। ওই বন্দীর স্বজনেরা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। তদন্তে কাদেরের ঘুষ গ্রহণের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে বদলি করা হয়।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আব্দুল্ল্যাহেল আল-আমিন বলেন, ‘কারারক্ষী আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার পর তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যখনই এ রকম অভিযোগ আসছে তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
আব্দুল্ল্যাহেল আল-আমিন বলেন, ‘কোনো বন্দীর স্বজন যদি কারাগারে এসে পিসি কার্ডে টাকা জমা না দিতে পারেন, তাহলে আমাদের অফিশিয়াল নম্বরের মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা জমা দিতে পারেন। কিন্তু কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত লেনদেন করা যাবে না।’
প্রসঙ্গত, কারাগারে বন্দীদের নিজের প্রয়োজনে ব্যবহারের অর্থ রাখার জন্য অনুমোদিত পিসি (ব্যক্তিগত তহবিল) কার্ডের ব্যবস্থা আছে। তাতে রাখার জন্য মানি অর্ডার, মোবাইল ব্যাংকিং বা সশরীরে কারাগারে এসে প্রধান রক্ষীর কাছে অর্থ দেওয়ার ব্যবস্থা আছে।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের এক বন্দীর স্বজন তার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, “প্রথমে কারা ফোর্সের একজন আমাদের বলে, ‘ভাই আপনার লোকটা অসুস্থ, হাসপাতালে রাখতে চাইলে কিছু করতে হবে।’ পরে সে বিকাশ নম্বর দেয়। ওই নম্বরে এক হাজার টাকা পাঠাই। এরপর থেকে প্রতি সপ্তাহেই কোনো না কোনো অজুহাতে টাকা চাইতো।”
কারারক্ষীরা সাধারণত সরাসরি টাকা নেন না, হয় স্বজন না হয় কারাগারের আশপাশের কোন দোকানের মোবাইল নম্বর দেন।
কারা অধিদপ্তরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এটা এখন ওপেন সিক্রেট। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের তথ্য ঘাটলেই দেখা যাবে, কারা কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত কিছু নম্বরে নিয়মিত টাকা যাচ্ছে।’
তথ্য বলছে, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, কাশিমপুর, রাজশাহী, যশোর ও চট্টগ্রামের কারাগারগুলোতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন বেশি হচ্ছে।
এসব অবৈধ লেনদেন ঠেকাতে কারা অধিদপ্তর অননুমোদিতভাবে কাউকে অর্থ না দেওয়ার জন্য গত কয়েক মাস ধরে একটি নোটিশ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করছে।
অবৈধ অর্থ লেনদেন ছাড়াও রক্ষী ও অন্য কর্মীদের সহযোগিতায় প্রায়ই বন্দীরা কারাগারে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ পান। গত ৫ মার্চ খুলনা কারাগারের ৩০ নম্বর সেলের ১০ নম্বর কক্ষ তল্লাশি করে একটি ভিভো ব্র্যান্ডের মোবাইল ও চার্জার পান কারা কর্মকর্তারা। ওই কক্ষে শাহাদাত হোসেন লিটন ওরফে খোঁড়া লিটন নামে এক সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি ছিলেন। তদন্তের পর লিটনের সঙ্গে যোগসাজশের প্রমাণ পেলে কারাগারের ফ্যাক্টরি ওভারসিয়ার আব্দুর রহীমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
কারাসূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রধানত বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়া, সামান্য অসুস্থতায়ও হাসপাতাল ওয়ার্ডে স্থানান্তর ইত্যাদি সুবিধার বিনিময়ে অর্থ হাতবদল হয়। মাদক বাণিজ্যের টাকার লেনদেনও হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ে।
মো. বদরুজ্জামান শিকদার নামে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের এক রক্ষী বন্দীর স্ত্রীর কাছ থেকে মোবাইলে অর্থ নিয়ে ধরা পরেন গত মে মাসে। অর্থ দেওয়া হলেও ওই নারীর স্বামী কারাগারে বাড়তি সুবিধা পাননি। এরপর রক্ষী বদরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী নারী। কর্তৃপক্ষের তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। বদরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেন, ‘কারাগার হচ্ছে সংশোধনের স্থান, অথচ এখানে টাকা দিলে নিয়ম ভাঙার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এই অঘোষিত অর্থনীতির বলি হচ্ছে সাধারণ বন্দীরা, যাদের পক্ষে ঘুষ দেওয়া সম্ভব নয়। এই ঘুষচক্র ঠেকাতে প্রয়োজন প্রযুক্তি নির্ভর নজরদারি, আর্থিক লেনদেনের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্ত।’
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোতাহের হোসেন বলেন, ‘মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কোনো অবৈধ লেনদেন হলে তা তদন্তসাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে আমরা কিছু কারারক্ষীকে এ ধরনের অনিয়মের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। অনেককে বদলি করা হয়েছে।’
আরও খবর পড়ুন:

বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল, স্বচ্ছ ও বিনিয়োগবান্ধব করতে সাংগঠনিক কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বিনিয়োগের প্রতিটি ধাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই নতুন কাঠামো সাজানো হয়েছে, যাতে বিনিয়োগকারীরা আরও দ্রুত এবং কার্যকর সেবা পান।
১২ মিনিট আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এটিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার সঙ্গে মিলিয়ে কিছু বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তবে আজ রোববার ফেসবুকের এক পোস্টে বিষয়টি খোলাসা করেছেন উপদেষ্টা নিজেই। সেই সঙ্গে সাত ঘণ্টা আগে দেওয়া ওই পোস্টে উপদেষ্টা জানতে চেয়েছেন, এ উপহার নিয়ে তিনি কী করবেন।
৩৬ মিনিট আগে
বক্তারা বলেন, বিদেশি এয়ারলাইনসের জিএসএ এজেন্টগুলোর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জীবিকা জড়িত। এই আইন বাতিল করা হলে বিপুলসংখ্যক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে এবং সরকার বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ওপর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হবে।
১ ঘণ্টা আগে
গণভোটের সময় নিয়ে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘গণভোট ইলেকশনের দিন হতে পারে, আগেও হতে পারে। আমরা চেয়েছিলাম, গণভোট যাতে সুষ্ঠু হয় এবং গণভোটে যাতে মানুষের অংশগ্রহণ ভয়ভীতিহীনভাবে নিশ্চিত করানো যায়। কারণ, গণভোট আপনি আগে দিলে যে উপকারিতা, ইলেকশনের দিন দিলে একই উপকারিতা।’
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল, স্বচ্ছ ও বিনিয়োগবান্ধব করতে সাংগঠনিক কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বিনিয়োগের প্রতিটি ধাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই নতুন কাঠামো সাজানো হয়েছে, যাতে বিনিয়োগকারীরা আরও দ্রুত এবং কার্যকর সেবা পান।
আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিডা জানায়, নতুন কাঠামোর ফলে দায়িত্ব ও কর্তব্যে আসবে স্পষ্টতা, কাজের গতি বাড়বে এবং সেবার মান উন্নত হবে। পাশাপাশি সেবার মান মূল্যায়নের জন্য সূচকভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি ‘কি পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটরস’ (কেপিআই)—চালু করা হয়েছে।
নতুন কাঠামোয় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নির্বাহী সদস্যপদে সরকারি কর্মকর্তার পাশাপাশি বেসরকারি খাতের পেশাজীবীদের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি এবং ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন ইউনিটকে পৃথকভাবে গঠন, প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ ডেস্ক চালু এবং খাতভিত্তিক বিশেষজ্ঞ ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার নিয়োগের উদ্যোগ।
বিডার এই পুনর্গঠন সরকারের ঘোষিত ৩২ দফা বিনিয়োগ পরিবেশ সংস্কার কর্মপরিকল্পনার অংশ। এর লক্ষ্য, বাংলাদেশকে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আরও প্রতিযোগিতামূলক ও আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
নতুন কাঠামো অনুযায়ী বিডার কার্যক্রম পরিচালিত হবে পাঁচটি মূল অনুবিভাগ বা উইংয়ের মাধ্যমে—ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি, অপারেশনস, ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। প্রতিটি ইউনিট বিনিয়োগের জীবনচক্রের নির্দিষ্ট পর্যায়ে কাজ করবে।
গত শনিবার রাজধানীর বিডা মাল্টিপারপাস হলে নতুন কাঠামো নিয়ে আয়োজিত অবহিতকরণ সভায় সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, বিডা কোনো সাধারণ সরকারি দপ্তর নয়; এটি বিনিয়োগকারীকেন্দ্রিক একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ পরিবেশ দ্রুত বদলাচ্ছে—আমাদেরও সেই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এই কাঠামোগত সংস্কার দেশি ও বিদেশি অংশীজনদের দীর্ঘদিনের পরামর্শের ফল। এখন আমরা সেটিকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছি।
এদিকে সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের জাতীয় কমিটি ইতিমধ্যে দেশের সব বিনিয়োগ সংস্থা (আইপিএ) একীভূত করার রোডম্যাপ প্রণয়ন করছে। এতে বিনিয়োগকারীরা বিচ্ছিন্ন সেবার পরিবর্তে একক প্ল্যাটফর্ম থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবেন।
বিডা জানিয়েছে, নতুন কাঠামোর বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং শিগগিরই এর বিস্তারিত তথ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল, স্বচ্ছ ও বিনিয়োগবান্ধব করতে সাংগঠনিক কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বিনিয়োগের প্রতিটি ধাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই নতুন কাঠামো সাজানো হয়েছে, যাতে বিনিয়োগকারীরা আরও দ্রুত এবং কার্যকর সেবা পান।
আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিডা জানায়, নতুন কাঠামোর ফলে দায়িত্ব ও কর্তব্যে আসবে স্পষ্টতা, কাজের গতি বাড়বে এবং সেবার মান উন্নত হবে। পাশাপাশি সেবার মান মূল্যায়নের জন্য সূচকভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি ‘কি পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটরস’ (কেপিআই)—চালু করা হয়েছে।
নতুন কাঠামোয় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নির্বাহী সদস্যপদে সরকারি কর্মকর্তার পাশাপাশি বেসরকারি খাতের পেশাজীবীদের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি এবং ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন ইউনিটকে পৃথকভাবে গঠন, প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ ডেস্ক চালু এবং খাতভিত্তিক বিশেষজ্ঞ ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার নিয়োগের উদ্যোগ।
বিডার এই পুনর্গঠন সরকারের ঘোষিত ৩২ দফা বিনিয়োগ পরিবেশ সংস্কার কর্মপরিকল্পনার অংশ। এর লক্ষ্য, বাংলাদেশকে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আরও প্রতিযোগিতামূলক ও আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
নতুন কাঠামো অনুযায়ী বিডার কার্যক্রম পরিচালিত হবে পাঁচটি মূল অনুবিভাগ বা উইংয়ের মাধ্যমে—ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি, অপারেশনস, ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। প্রতিটি ইউনিট বিনিয়োগের জীবনচক্রের নির্দিষ্ট পর্যায়ে কাজ করবে।
গত শনিবার রাজধানীর বিডা মাল্টিপারপাস হলে নতুন কাঠামো নিয়ে আয়োজিত অবহিতকরণ সভায় সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, বিডা কোনো সাধারণ সরকারি দপ্তর নয়; এটি বিনিয়োগকারীকেন্দ্রিক একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ পরিবেশ দ্রুত বদলাচ্ছে—আমাদেরও সেই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এই কাঠামোগত সংস্কার দেশি ও বিদেশি অংশীজনদের দীর্ঘদিনের পরামর্শের ফল। এখন আমরা সেটিকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছি।
এদিকে সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের জাতীয় কমিটি ইতিমধ্যে দেশের সব বিনিয়োগ সংস্থা (আইপিএ) একীভূত করার রোডম্যাপ প্রণয়ন করছে। এতে বিনিয়োগকারীরা বিচ্ছিন্ন সেবার পরিবর্তে একক প্ল্যাটফর্ম থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবেন।
বিডা জানিয়েছে, নতুন কাঠামোর বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং শিগগিরই এর বিস্তারিত তথ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

কারাগারের ভেতরে ‘অদৃশ্য’ এক আর্থিক লেনদেনের জাল বিস্তৃত হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। বন্দীদের নানা সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা করতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে স্বজনেরা টাকা পাঠাচ্ছেন কারারক্ষীদের কাছে। বিনিময়ে বন্দীদের কারাগারেই মিলছে মোবাইল ফোন ব্যবহার, মাদকসেবন, বাইরের খাবার কিংবা ফাঁকিবাজির সুযোগ।
১৭ আগস্ট ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এটিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার সঙ্গে মিলিয়ে কিছু বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তবে আজ রোববার ফেসবুকের এক পোস্টে বিষয়টি খোলাসা করেছেন উপদেষ্টা নিজেই। সেই সঙ্গে সাত ঘণ্টা আগে দেওয়া ওই পোস্টে উপদেষ্টা জানতে চেয়েছেন, এ উপহার নিয়ে তিনি কী করবেন।
৩৬ মিনিট আগে
বক্তারা বলেন, বিদেশি এয়ারলাইনসের জিএসএ এজেন্টগুলোর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জীবিকা জড়িত। এই আইন বাতিল করা হলে বিপুলসংখ্যক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে এবং সরকার বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ওপর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হবে।
১ ঘণ্টা আগে
গণভোটের সময় নিয়ে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘গণভোট ইলেকশনের দিন হতে পারে, আগেও হতে পারে। আমরা চেয়েছিলাম, গণভোট যাতে সুষ্ঠু হয় এবং গণভোটে যাতে মানুষের অংশগ্রহণ ভয়ভীতিহীনভাবে নিশ্চিত করানো যায়। কারণ, গণভোট আপনি আগে দিলে যে উপকারিতা, ইলেকশনের দিন দিলে একই উপকারিতা।’
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকায় নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেল ওহাব সালদানি একটি নৌকা উপহার দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে। গতকাল শনিবার (১ অক্টোবর) আলজেরিয়া বিপ্লবের ৭১তম বার্ষিকী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ উপহার দেন। তবে এই উপহার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এটিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার সঙ্গে মিলিয়ে কিছু বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তবে আজ রোববার ফেসবুকের এক পোস্টে বিষয়টি খোলাসা করেছেন উপদেষ্টা নিজেই। সেই সঙ্গে সাত ঘণ্টা আগে দেওয়া ওই পোস্টে উপদেষ্টা জানতে চেয়েছেন, এ উপহার নিয়ে তিনি কী করবেন।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির লিখেছেন, ‘গত সন্ধ্যায় আলজেরিয়ার জাতীয় দিবসে, আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মনোনয়নক্রমে, প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেই। অনুষ্ঠানে আমাকে পালতোলা দাঁড় পরিচালনাকারী মাঝিসহ নৌকার প্রতিকৃতি উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। কূটনৈতিক সৌজন্যবশত আমি তা গ্রহণ করি। উপহারটিতে দূতাবাসের নাম লিখিত আছে। লক্ষ করুন, এটার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীকের কোনো মিল নেই।’
পরামর্শ চেয়ে তিনি লেখেন, ‘এখন আমি এটি আলজেরীয় দূতাবাসে ফেরত পাঠাতে পারি। এটা অসৌজন্যমূলক ও হীনমন্যতার শামিল হবে; সরকারি তোশাখানায় জমা দিতে পারি। যদিও এটা খুব মূল্যবান কিছু নয়; শৈলান প্রবীণ নিবাসে রাখতে পারি; অথবা নিজে রেখে দিতে পারি।’
শেষে তিনি লেখেন, ‘পাঠকের পরামর্শ পেলে উপকৃত হব।’
উপদেষ্টার ওই পোস্টে প্রায় ৬৩২টি মন্তব্য দেখা গেছে। এখানে বিভিন্নজন বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। লোকমান হাকিম নামে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, ‘সবদিক বিবেচনায় সরাসরি তোশাখানায় জমা দিতে পারেন স্যার।’ ওয়াহিদ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘আপনার মতো বিচক্ষণ ব্যক্তি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারদর্শী তাই অন্যের পরামর্শ প্রয়োজন নাই।’
মোহাম্মদ আলী ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, ‘তোষাখানায় জমা দেয়াই উত্তম। আর সঙ্গে অবশ্যই আলজেরিয়ার দুতাবাস কে ভবিষ্যত এর পরিবর্তে অন্য কোনো কিছু যেমন জাতীয় স্মৃতিসৌধ ইত্যাদি দেয়ার পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।’
মাহবুব আলম নামে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, ‘স্যার, শৈলান প্রবীণ নিবাসে রেখে দেন, আমাদের শ্রদ্ধাভাজন সিনিয়র সিটিজেন রা তাদের শৈশবের নৌকা আর খাল-বিল এর স্মৃতি চারন করতে পারবে।’
সর্বশেষ এক ঘণ্টা আগে দেওয়া এক পোস্টে উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তিনি আলজেরীয় দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত উপহারটি সরকারি তোষাখানায় সংরক্ষণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠিয়েছেন। সেই সঙ্গে ফেসবুকে মতামতের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
উপদেষ্টা তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘গত রাতে আলজেরীয় দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত উপহারটি সরকারি তোষাখানায় সংরক্ষণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রেরণ করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দপ্তর থেকে এ জন্য প্রাপ্তি স্বীকার পত্র দেয়া হয়েছে। আপনাদের মতামতের জন্য ধন্যবাদ।’
প্রসঙ্গত, গতকাল রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ঢাকার আলজেরিয়া দূতাবাস ১৯৫৪ সালের গৌরবময় বিপ্লবের ৭১তম বার্ষিকী উদ্যাপন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এ সময় মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে নৌকা উপহার দেন ঢাকায় নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেল ওহাব সালদানি। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা অংশ নেন।

ঢাকায় নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেল ওহাব সালদানি একটি নৌকা উপহার দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে। গতকাল শনিবার (১ অক্টোবর) আলজেরিয়া বিপ্লবের ৭১তম বার্ষিকী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ উপহার দেন। তবে এই উপহার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এটিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার সঙ্গে মিলিয়ে কিছু বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তবে আজ রোববার ফেসবুকের এক পোস্টে বিষয়টি খোলাসা করেছেন উপদেষ্টা নিজেই। সেই সঙ্গে সাত ঘণ্টা আগে দেওয়া ওই পোস্টে উপদেষ্টা জানতে চেয়েছেন, এ উপহার নিয়ে তিনি কী করবেন।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির লিখেছেন, ‘গত সন্ধ্যায় আলজেরিয়ার জাতীয় দিবসে, আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মনোনয়নক্রমে, প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেই। অনুষ্ঠানে আমাকে পালতোলা দাঁড় পরিচালনাকারী মাঝিসহ নৌকার প্রতিকৃতি উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। কূটনৈতিক সৌজন্যবশত আমি তা গ্রহণ করি। উপহারটিতে দূতাবাসের নাম লিখিত আছে। লক্ষ করুন, এটার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীকের কোনো মিল নেই।’
পরামর্শ চেয়ে তিনি লেখেন, ‘এখন আমি এটি আলজেরীয় দূতাবাসে ফেরত পাঠাতে পারি। এটা অসৌজন্যমূলক ও হীনমন্যতার শামিল হবে; সরকারি তোশাখানায় জমা দিতে পারি। যদিও এটা খুব মূল্যবান কিছু নয়; শৈলান প্রবীণ নিবাসে রাখতে পারি; অথবা নিজে রেখে দিতে পারি।’
শেষে তিনি লেখেন, ‘পাঠকের পরামর্শ পেলে উপকৃত হব।’
উপদেষ্টার ওই পোস্টে প্রায় ৬৩২টি মন্তব্য দেখা গেছে। এখানে বিভিন্নজন বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। লোকমান হাকিম নামে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, ‘সবদিক বিবেচনায় সরাসরি তোশাখানায় জমা দিতে পারেন স্যার।’ ওয়াহিদ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘আপনার মতো বিচক্ষণ ব্যক্তি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারদর্শী তাই অন্যের পরামর্শ প্রয়োজন নাই।’
মোহাম্মদ আলী ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, ‘তোষাখানায় জমা দেয়াই উত্তম। আর সঙ্গে অবশ্যই আলজেরিয়ার দুতাবাস কে ভবিষ্যত এর পরিবর্তে অন্য কোনো কিছু যেমন জাতীয় স্মৃতিসৌধ ইত্যাদি দেয়ার পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।’
মাহবুব আলম নামে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, ‘স্যার, শৈলান প্রবীণ নিবাসে রেখে দেন, আমাদের শ্রদ্ধাভাজন সিনিয়র সিটিজেন রা তাদের শৈশবের নৌকা আর খাল-বিল এর স্মৃতি চারন করতে পারবে।’
সর্বশেষ এক ঘণ্টা আগে দেওয়া এক পোস্টে উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তিনি আলজেরীয় দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত উপহারটি সরকারি তোষাখানায় সংরক্ষণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠিয়েছেন। সেই সঙ্গে ফেসবুকে মতামতের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
উপদেষ্টা তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘গত রাতে আলজেরীয় দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত উপহারটি সরকারি তোষাখানায় সংরক্ষণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রেরণ করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দপ্তর থেকে এ জন্য প্রাপ্তি স্বীকার পত্র দেয়া হয়েছে। আপনাদের মতামতের জন্য ধন্যবাদ।’
প্রসঙ্গত, গতকাল রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ঢাকার আলজেরিয়া দূতাবাস ১৯৫৪ সালের গৌরবময় বিপ্লবের ৭১তম বার্ষিকী উদ্যাপন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এ সময় মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে নৌকা উপহার দেন ঢাকায় নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেল ওহাব সালদানি। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা অংশ নেন।

কারাগারের ভেতরে ‘অদৃশ্য’ এক আর্থিক লেনদেনের জাল বিস্তৃত হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। বন্দীদের নানা সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা করতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে স্বজনেরা টাকা পাঠাচ্ছেন কারারক্ষীদের কাছে। বিনিময়ে বন্দীদের কারাগারেই মিলছে মোবাইল ফোন ব্যবহার, মাদকসেবন, বাইরের খাবার কিংবা ফাঁকিবাজির সুযোগ।
১৭ আগস্ট ২০২৫
বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল, স্বচ্ছ ও বিনিয়োগবান্ধব করতে সাংগঠনিক কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বিনিয়োগের প্রতিটি ধাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই নতুন কাঠামো সাজানো হয়েছে, যাতে বিনিয়োগকারীরা আরও দ্রুত এবং কার্যকর সেবা পান।
১২ মিনিট আগে
বক্তারা বলেন, বিদেশি এয়ারলাইনসের জিএসএ এজেন্টগুলোর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জীবিকা জড়িত। এই আইন বাতিল করা হলে বিপুলসংখ্যক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে এবং সরকার বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ওপর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হবে।
১ ঘণ্টা আগে
গণভোটের সময় নিয়ে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘গণভোট ইলেকশনের দিন হতে পারে, আগেও হতে পারে। আমরা চেয়েছিলাম, গণভোট যাতে সুষ্ঠু হয় এবং গণভোটে যাতে মানুষের অংশগ্রহণ ভয়ভীতিহীনভাবে নিশ্চিত করানো যায়। কারণ, গণভোট আপনি আগে দিলে যে উপকারিতা, ইলেকশনের দিন দিলে একই উপকারিতা।’
২ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচার বন্ধ, বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা, দেশীয় কর্মসংস্থান সুরক্ষা ও যাত্রীসেবা উন্নত করার লক্ষ্যে বিদেশি এয়ারলাইনসের জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) নিয়োগ আইন অপরিবর্তিত রাখার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তাঁরা এ দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, বিদেশি এয়ারলাইনসের জিএসএ এজেন্টগুলোর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জীবিকা জড়িত। এই আইন বাতিল হলে বিপুলসংখ্যক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে এবং সরকার বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ওপর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হবে।
এতে ভোক্তা হয়রানি বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা।
মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওমান এয়ারের জিএসএ ‘এয়ার গ্যালাক্সি’র কর্মকর্তা নাবিলা। এ ছাড়া বক্তব্য দেন এয়ার ফ্রান্সের জিএসএ ‘বেঙ্গল এয়ারলিফট’-এর মুনির এবং সাউদিয়া এয়ারলাইনসের জিএসএ ‘ইউনাইটেড লিংক’-এর কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, জিএসএগুলো এয়ারলাইনস ও যাত্রীদের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে এবং মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা বিদেশি সদর দপ্তরে পৌঁছে দেয়, যা শুধু বিদেশি কান্ট্রি ম্যানেজারদের পক্ষে সম্ভব নয়। ১৯৭০-এর দশক থেকে জিএসএ বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের উপস্থিতি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্যান অ্যাম, ইউনাইটেড, লুফথানসা ও কেএলএমের মতো বিখ্যাত এয়ারলাইনস চালু করতে দেশীয় জিএসএরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, জিএসএ নিয়োগের চলমান নিয়ম ভাঙা হলে প্রতিবছর সরকার প্রায় ১০০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব হারাবে।
অতীত অভিজ্ঞতার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, একসময় এমিরেটস, কাতার এয়ারওয়েজ, সাউদিয়া, থাই এয়ারওয়েজ ও এয়ার ইন্ডিয়া জিএসএ ছাড়া বাংলাদেশে পরিচালিত হতো। তখন বাজারে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও দীর্ঘ টিকিট লাইনের অভিযোগ উঠেছিল—বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে। জিএসএ বাধ্যতামূলক হওয়ার পর পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে উন্নত হয়।
মানববন্ধন শেষে প্রধান উপদেষ্টা, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পৃথকভাবে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচার বন্ধ, বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা, দেশীয় কর্মসংস্থান সুরক্ষা ও যাত্রীসেবা উন্নত করার লক্ষ্যে বিদেশি এয়ারলাইনসের জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) নিয়োগ আইন অপরিবর্তিত রাখার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তাঁরা এ দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, বিদেশি এয়ারলাইনসের জিএসএ এজেন্টগুলোর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জীবিকা জড়িত। এই আইন বাতিল হলে বিপুলসংখ্যক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে এবং সরকার বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ওপর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হবে।
এতে ভোক্তা হয়রানি বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা।
মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওমান এয়ারের জিএসএ ‘এয়ার গ্যালাক্সি’র কর্মকর্তা নাবিলা। এ ছাড়া বক্তব্য দেন এয়ার ফ্রান্সের জিএসএ ‘বেঙ্গল এয়ারলিফট’-এর মুনির এবং সাউদিয়া এয়ারলাইনসের জিএসএ ‘ইউনাইটেড লিংক’-এর কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, জিএসএগুলো এয়ারলাইনস ও যাত্রীদের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে এবং মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা বিদেশি সদর দপ্তরে পৌঁছে দেয়, যা শুধু বিদেশি কান্ট্রি ম্যানেজারদের পক্ষে সম্ভব নয়। ১৯৭০-এর দশক থেকে জিএসএ বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের উপস্থিতি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্যান অ্যাম, ইউনাইটেড, লুফথানসা ও কেএলএমের মতো বিখ্যাত এয়ারলাইনস চালু করতে দেশীয় জিএসএরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, জিএসএ নিয়োগের চলমান নিয়ম ভাঙা হলে প্রতিবছর সরকার প্রায় ১০০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব হারাবে।
অতীত অভিজ্ঞতার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, একসময় এমিরেটস, কাতার এয়ারওয়েজ, সাউদিয়া, থাই এয়ারওয়েজ ও এয়ার ইন্ডিয়া জিএসএ ছাড়া বাংলাদেশে পরিচালিত হতো। তখন বাজারে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও দীর্ঘ টিকিট লাইনের অভিযোগ উঠেছিল—বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে। জিএসএ বাধ্যতামূলক হওয়ার পর পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে উন্নত হয়।
মানববন্ধন শেষে প্রধান উপদেষ্টা, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পৃথকভাবে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

কারাগারের ভেতরে ‘অদৃশ্য’ এক আর্থিক লেনদেনের জাল বিস্তৃত হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। বন্দীদের নানা সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা করতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে স্বজনেরা টাকা পাঠাচ্ছেন কারারক্ষীদের কাছে। বিনিময়ে বন্দীদের কারাগারেই মিলছে মোবাইল ফোন ব্যবহার, মাদকসেবন, বাইরের খাবার কিংবা ফাঁকিবাজির সুযোগ।
১৭ আগস্ট ২০২৫
বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল, স্বচ্ছ ও বিনিয়োগবান্ধব করতে সাংগঠনিক কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বিনিয়োগের প্রতিটি ধাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই নতুন কাঠামো সাজানো হয়েছে, যাতে বিনিয়োগকারীরা আরও দ্রুত এবং কার্যকর সেবা পান।
১২ মিনিট আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এটিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার সঙ্গে মিলিয়ে কিছু বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তবে আজ রোববার ফেসবুকের এক পোস্টে বিষয়টি খোলাসা করেছেন উপদেষ্টা নিজেই। সেই সঙ্গে সাত ঘণ্টা আগে দেওয়া ওই পোস্টে উপদেষ্টা জানতে চেয়েছেন, এ উপহার নিয়ে তিনি কী করবেন।
৩৬ মিনিট আগে
গণভোটের সময় নিয়ে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘গণভোট ইলেকশনের দিন হতে পারে, আগেও হতে পারে। আমরা চেয়েছিলাম, গণভোট যাতে সুষ্ঠু হয় এবং গণভোটে যাতে মানুষের অংশগ্রহণ ভয়ভীতিহীনভাবে নিশ্চিত করানো যায়। কারণ, গণভোট আপনি আগে দিলে যে উপকারিতা, ইলেকশনের দিন দিলে একই উপকারিতা।’
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গণভোট নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী ‘মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে’ মন্তব্য করে দল দুটির উদ্দেশে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ‘আপনাদের এই ধরনের যুদ্ধ নির্বাচনকে ব্যাহত করবে। নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য দুই দলকে আহ্বান জানাব—নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। গণভোটের সময় নিয়ে আপনারা কুতর্ক এড়িয়ে চলুন।’
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
গণভোটের সময় নিয়ে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘গণভোট ইলেকশনের দিন হতে পারে, আগেও হতে পারে। আমরা চেয়েছিলাম, গণভোট যাতে সুষ্ঠু হয় এবং গণভোটে যাতে মানুষের অংশগ্রহণ ভয়ভীতিহীনভাবে নিশ্চিত করানো যায়। কারণ, গণভোট আপনি আগে দিলে যে উপকারিতা, ইলেকশনের দিন দিলে একই উপকারিতা।’

গণভোট নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী ‘মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে’ মন্তব্য করে দল দুটির উদ্দেশে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ‘আপনাদের এই ধরনের যুদ্ধ নির্বাচনকে ব্যাহত করবে। নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য দুই দলকে আহ্বান জানাব—নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। গণভোটের সময় নিয়ে আপনারা কুতর্ক এড়িয়ে চলুন।’
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
গণভোটের সময় নিয়ে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘গণভোট ইলেকশনের দিন হতে পারে, আগেও হতে পারে। আমরা চেয়েছিলাম, গণভোট যাতে সুষ্ঠু হয় এবং গণভোটে যাতে মানুষের অংশগ্রহণ ভয়ভীতিহীনভাবে নিশ্চিত করানো যায়। কারণ, গণভোট আপনি আগে দিলে যে উপকারিতা, ইলেকশনের দিন দিলে একই উপকারিতা।’

কারাগারের ভেতরে ‘অদৃশ্য’ এক আর্থিক লেনদেনের জাল বিস্তৃত হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। বন্দীদের নানা সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা করতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে স্বজনেরা টাকা পাঠাচ্ছেন কারারক্ষীদের কাছে। বিনিময়ে বন্দীদের কারাগারেই মিলছে মোবাইল ফোন ব্যবহার, মাদকসেবন, বাইরের খাবার কিংবা ফাঁকিবাজির সুযোগ।
১৭ আগস্ট ২০২৫
বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল, স্বচ্ছ ও বিনিয়োগবান্ধব করতে সাংগঠনিক কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বিনিয়োগের প্রতিটি ধাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই নতুন কাঠামো সাজানো হয়েছে, যাতে বিনিয়োগকারীরা আরও দ্রুত এবং কার্যকর সেবা পান।
১২ মিনিট আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এটিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার সঙ্গে মিলিয়ে কিছু বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তবে আজ রোববার ফেসবুকের এক পোস্টে বিষয়টি খোলাসা করেছেন উপদেষ্টা নিজেই। সেই সঙ্গে সাত ঘণ্টা আগে দেওয়া ওই পোস্টে উপদেষ্টা জানতে চেয়েছেন, এ উপহার নিয়ে তিনি কী করবেন।
৩৬ মিনিট আগে
বক্তারা বলেন, বিদেশি এয়ারলাইনসের জিএসএ এজেন্টগুলোর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জীবিকা জড়িত। এই আইন বাতিল করা হলে বিপুলসংখ্যক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে এবং সরকার বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ওপর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হবে।
১ ঘণ্টা আগে