Ajker Patrika

আগের কমিশন পেনশনসহ কিছু সুবিধা চেয়েছিল, আমরা একমত নই: ইসি আলমগীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২৩, ১৭: ৫১
আগের কমিশন পেনশনসহ কিছু সুবিধা চেয়েছিল, আমরা একমত নই: ইসি আলমগীর

কে এম নূরুল হুদা কমিশন পেনশনসহ বাড়তি কিছু সুযোগ-সুবিধা চেয়েছিল। বর্তমান কমিশন যার সঙ্গে একমত নয়। তাই সেগুলো বাদ দিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন। আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। 

নির্বাচন কমিশনারদের সুযোগ-সুবিধার কোনো পরিবর্তন আসছে কি না জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘১৯৮৩ সালে যে অধ্যাদেশ আছে, তা অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং হাইকোর্টের বিচারপতির সমান অন্য নির্বাচন কমিশনাররা সুযোগ-সুবিধা পান। অন্য সুযোগ-সুবিধাগুলো সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সমান পাবেন। গত কমিশন এই সংক্রান্ত আইনের খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল, তারা আবার সেটা ফেরত পাঠিয়েছে যে বর্তমান কমিশনের মতামত কী। তখন আমরা দেখলাম যে খসড়া আইনে পেনশনের বিষয়টা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। আমরা যেটা বলেছি যে আমরা ওইটার সঙ্গে একমত নই। ১৯৮৩ সালের অধ্যাদেশ যেটা ছিল, সামরিক আইনে, যেগুলো বাতিল করা হয়েছে আমরা সে অনুযায়ী সম্মানী ও ভাতা বিষয়টি কেবল বাংলায় করে নেওয়া হয়েছে। নতুন করে সংযোজন-বিয়োজন কিছুই হবে না। অধ্যাদেশে যা ছিল তা-ই থাকবে।’ 

মো. আলমগীর বলেন, ‘আগের কমিশন পেনশন চেয়েছিল, আমরা একমত হইনি। নতুন কিছু সুযোগ-সুবিধা চেয়েছিল আগের কমিশন। সেটা আমরা বলেছি যুক্তিযুক্ত নয়।’ 

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘প্রতিদিন ভোটার হচ্ছে। যখন তফসিল দেব আমরা ঘোষণা দেব যে এই তারিখের পরে যাঁরা ভোটার হবেন, তাঁরা এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না।’ 

রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, ‘রোহিঙ্গা ভোটার হওয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো সুযোগ নাই। কারণ, কয়েক ধাপে ওখানে আবেদন যাচাই করা হয়। তবে এখন শুনছি যে কোনো কোনো রোহিঙ্গা অন্য এলাকায় চলে গিয়ে ভোটার হওয়ার চেষ্টা করছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।’ 

ভোটকেন্দ্র হলেই সেখানে সংসদ ভোট হবে, তার নিশ্চয়তা নেই
ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুতের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, ‘আইনে বলা আছে, নির্বাচন কমিশন ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রণয়ন করবে। যখন তফসিল ঘোষণা হবে, তখন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তালিকা দেবে। একটা নীতিমালা আছে যে কোথায় ভোটকেন্দ্র করা যাবে, কোথায় করা যাবে না। আমাদের কর্মকর্তা থাকলে ভালো হবে—এটা আমরা মনে করি না। ভালো হতে পারে, মন্দও হতে পারে। আমরা বিবেচনা করে দেখলাম স্টেকহোল্ডার (অংশীজন) আরও আছে, তাদের সঙ্গে নিয়ে কাজটা করলে আরও ভালো হবে। তখন আমরা শিক্ষা বিভাগকে নিলাম। কারণ, প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের। কাজেই সবাইকে নিয়ে কমিটি করলে একক কোনো ব্যক্তির প্রভাব থাকবে না।’ 

মো. আলমগীর বলেন, ‘আমরা ভোটকেন্দ্র করার সময় অভিযোগ পাই। একজন কর্মকর্তার ওপর দায়িত্ব দেওয়া থাকলে অনেকেই সেখানে প্রভাব বিস্তার করে। তারা চাপের মুখে থাকে। বাস্তবতা হলো এই চাপ অতিক্রম করা কঠিন হয়। চাপ যাতে না দিতে পারে এবং ন্যায়সংগত ভোটকেন্দ্র যাতে হয়—সে জন্য আমরা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে পুলিশ, শিক্ষা ও আমাদের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কমিটি করা হয়েছে। এতে একক কোনো সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না। এ ছাড়া এতগুলো কর্মকর্তার ওপর চাপ প্রয়োগ করাও সম্ভব হবে না। আবার তারা তালিকা করার পর অভিযোগ আসলে তা শুনানির পর চূড়ান্ত হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত