নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের মাঝে আত্মিক উন্নয়ন তথা মেধা, মূল্যবোধ, দেশাত্মবোধ, মমত্ববোধের সমন্বয় ঘটিয়ে আমরা একটি উন্নত মানবিক সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। দেশের মানুষের সেই মনন তৈরিতে সাংবাদিকেরা এগিয়ে আসবেন সেটিই প্রত্যাশা।’
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
জহুর হোসেন চৌধুরী জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন কমিটি আয়োজিত এ সভায় জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।
প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন স্বাগত বক্তব্য দেন এবং সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল হক ভূঁইয়া ও ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতির স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন। কিন্তু সেটির পেছনে কিছু প্রথিতযশা মানুষ, কিছু লেখক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকদের অনবদ্য ভূমিকা না থাকলে জাতির মনন তৈরি হতো না। তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন জহুর হোসেন চৌধুরী।’
‘আমার কাছে সাংবাদিকতা একটি ব্রত মনে হয়। যারা জহুর হোসেন চৌধুরীর সময় সাংবাদিকতা করেছেন কিংবা আজ থেকে ৪০ বছর আগেও যারা সাংবাদিকতা শুরু করেছেন তখন সাংবাদিকতা ব্রত ছিল না।’ যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।
সাংবাদিকতা শুধু একটি পেশা নয়, অনেক সাংবাদিকের কাছে এটি একটি ব্রত—উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘দেশ গঠনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশ গঠনটা কেমন সেটিও একটি প্রশ্ন। পাশ্চাত্যের মতো শুধু বস্তুগত উন্নয়নই নয়, প্রয়োজন মানবিক সামাজিক রাষ্ট্র গঠন। এ জন্য প্রয়োজন মানবিকতার বিকাশ, যে মানবিকতা দিনে দিনে লোপ পাচ্ছে। উন্নয়নের সঙ্গে যন্ত্রের ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে মানুষও যন্ত্র হয়ে যাচ্ছে। সেখান থেকে মানুষকে রক্ষা করতে হবে সমাজকে রক্ষা করতে হলে, সে জন্য মানবিকতার উন্নয়ন প্রয়োজন।’
‘মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে হয়, রাজনীতিবিদদের দায়িত্ব হচ্ছে জাতিকে স্বপ্ন দেখানো, একই সঙ্গে সাংবাদিকরাও পারেন স্বপ্ন দেখাতে’, বলেন হাছান মাহমুদ। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মতো শক্ত মনের মানুষ, যাকে শিবির দু’বার জবাই করতে চেয়েছিল, ২১ আগস্ট মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি, বহুবার মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছি, কিন্তু সেই আমাকেও সাংবাদিকদের অনেক রিপোর্ট কাঁদায়, ভাবায়।’
জহুর হোসেন চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘আপনাদের কাছে নিবেদন থাকবে, জহুর হোসেন চৌধুরীরা যেভাবে তাঁদের লেখনীর মাধ্যমে সাংবাদিকতার নীতি-আদর্শ আজীবন লালন করে যেভাবে দেশ ও সমাজের তৃতীয় নয়ন উন্মোচন করেছেন, সমাজকে সঠিক চিন্তার দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, আজকের প্রেক্ষাপটেও একটি মানবিক সামাজিক মূল্যবোধ রাষ্ট্র গঠনে অবদান রেখে সেই কাজটি আপনারা করবেন।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার তাঁর বক্তৃতায় সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরীর মেধা ও মননশীল সাংবাদিকতাকে সংবাদপত্র দুনিয়ায় একটি উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেন।
সভা শেষে আয়োজক ও অতিথিরা বিভিন্ন পত্রিকায় জহুর হোসেন চৌধুরীর কলাম সংকলন ‘দরবার-ই-জহুর কলাম’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। ‘আবিষ্কার’ প্রকাশিত ২৪০ পৃষ্ঠার এ গ্রন্থটি সবাইকে পড়ার অনুরোধ জানান সভার সভাপতি ডা. এ কে আজাদ চৌধুরী।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের মাঝে আত্মিক উন্নয়ন তথা মেধা, মূল্যবোধ, দেশাত্মবোধ, মমত্ববোধের সমন্বয় ঘটিয়ে আমরা একটি উন্নত মানবিক সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। দেশের মানুষের সেই মনন তৈরিতে সাংবাদিকেরা এগিয়ে আসবেন সেটিই প্রত্যাশা।’
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
জহুর হোসেন চৌধুরী জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন কমিটি আয়োজিত এ সভায় জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।
প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন স্বাগত বক্তব্য দেন এবং সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল হক ভূঁইয়া ও ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতির স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন। কিন্তু সেটির পেছনে কিছু প্রথিতযশা মানুষ, কিছু লেখক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকদের অনবদ্য ভূমিকা না থাকলে জাতির মনন তৈরি হতো না। তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন জহুর হোসেন চৌধুরী।’
‘আমার কাছে সাংবাদিকতা একটি ব্রত মনে হয়। যারা জহুর হোসেন চৌধুরীর সময় সাংবাদিকতা করেছেন কিংবা আজ থেকে ৪০ বছর আগেও যারা সাংবাদিকতা শুরু করেছেন তখন সাংবাদিকতা ব্রত ছিল না।’ যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।
সাংবাদিকতা শুধু একটি পেশা নয়, অনেক সাংবাদিকের কাছে এটি একটি ব্রত—উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘দেশ গঠনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশ গঠনটা কেমন সেটিও একটি প্রশ্ন। পাশ্চাত্যের মতো শুধু বস্তুগত উন্নয়নই নয়, প্রয়োজন মানবিক সামাজিক রাষ্ট্র গঠন। এ জন্য প্রয়োজন মানবিকতার বিকাশ, যে মানবিকতা দিনে দিনে লোপ পাচ্ছে। উন্নয়নের সঙ্গে যন্ত্রের ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে মানুষও যন্ত্র হয়ে যাচ্ছে। সেখান থেকে মানুষকে রক্ষা করতে হবে সমাজকে রক্ষা করতে হলে, সে জন্য মানবিকতার উন্নয়ন প্রয়োজন।’
‘মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে হয়, রাজনীতিবিদদের দায়িত্ব হচ্ছে জাতিকে স্বপ্ন দেখানো, একই সঙ্গে সাংবাদিকরাও পারেন স্বপ্ন দেখাতে’, বলেন হাছান মাহমুদ। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মতো শক্ত মনের মানুষ, যাকে শিবির দু’বার জবাই করতে চেয়েছিল, ২১ আগস্ট মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি, বহুবার মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছি, কিন্তু সেই আমাকেও সাংবাদিকদের অনেক রিপোর্ট কাঁদায়, ভাবায়।’
জহুর হোসেন চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘আপনাদের কাছে নিবেদন থাকবে, জহুর হোসেন চৌধুরীরা যেভাবে তাঁদের লেখনীর মাধ্যমে সাংবাদিকতার নীতি-আদর্শ আজীবন লালন করে যেভাবে দেশ ও সমাজের তৃতীয় নয়ন উন্মোচন করেছেন, সমাজকে সঠিক চিন্তার দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, আজকের প্রেক্ষাপটেও একটি মানবিক সামাজিক মূল্যবোধ রাষ্ট্র গঠনে অবদান রেখে সেই কাজটি আপনারা করবেন।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার তাঁর বক্তৃতায় সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরীর মেধা ও মননশীল সাংবাদিকতাকে সংবাদপত্র দুনিয়ায় একটি উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেন।
সভা শেষে আয়োজক ও অতিথিরা বিভিন্ন পত্রিকায় জহুর হোসেন চৌধুরীর কলাম সংকলন ‘দরবার-ই-জহুর কলাম’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। ‘আবিষ্কার’ প্রকাশিত ২৪০ পৃষ্ঠার এ গ্রন্থটি সবাইকে পড়ার অনুরোধ জানান সভার সভাপতি ডা. এ কে আজাদ চৌধুরী।
স্বাস্থ্যের দুটি বড় প্রকল্প; বাস্তবায়ন কাল ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৯ সালের জুন। বিস্তারিত প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুযায়ী, মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৯ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। এত বড় প্রকল্প গ্রহণের আগে চালানো হয়নি কোনো প্রকার সমীক্ষা, এমনকি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই পর্যন্ত করা হয়নি। শুধু তা-ই নয়,
২ ঘণ্টা আগেশর্ত সাপেক্ষে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের প্রস্তাবে একমত বিএনপি। এ ক্ষেত্রে দলটির শর্ত—সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে সাংবিধানিক কমিটি করা যাবে না। তাই প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্ধারণে অধিকাংশ দল একমত হলেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গেল ঝুলে। আবার জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের
৩ ঘণ্টা আগেসরকার মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স (শূন্য সহনশীলতা)’ নীতির কথা বললেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। ২০২০ সাল থেকে পাঁচ বছরে নিম্ন আদালতে রায় হওয়া মামলার ৫৭ শতাংশেরই আসামি খালাস পেয়েছেন। এসব মামলার রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে কোনো আপিলও করা হয়নি। এজাহার থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে সংশ্লিষ্ট
৪ ঘণ্টা আগেফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, থ্রেডস, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেটাকে সামাজিক সম্প্রীতি ব্যাহত করে এবং ঘৃণা ছড়ায় এমন অপতথ্যের মোকাবিলায় আরও কার্যকর উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
৮ ঘণ্টা আগে