Ajker Patrika

সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ছুটি বাতিল

সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ছুটি বাতিল

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ বাংলাদেশের স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসার প্রেক্ষাপটে উপকূলীয় ১৬ জেলার অধিবাসীদের দেরি না করে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। তিনি বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলা এবং দুর্গত মানুষের পাশে থাকার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।’

আজ রোববার সচিবালয়ে আন্তমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার পর প্রতিমন্ত্রী ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানান। 

ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহা বিপৎসংকেত জারি করা হয়েছে। ৮ লাখের বেশি মানুষ ইতিমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছেন। বাকিদের আসার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলে আপাতত স্কুল খোলা থাকবে, তবে ক্লাস বন্ধ থাকবে। শেষবারের মতো আহ্বান জানাব, বিলম্ব না করে, কালক্ষেপণ না করে, যে সকল এলাকা অ্যাফেক্টেড হওয়ার আশঙ্কা ইতিমধ্যে ঘোষিত হয়েছে সবাই এক্ষুনি নিরাপদ আশ্রয়ে যান। 

ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকিতে থাকা উপকূলীয় ১৬ জেলার মধ্যে রয়েছে-খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর। 

প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিকভাবে আমাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন জানিয়ে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাঁর নেতৃত্ব এবং পরামর্শে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি। আমরা ইতিমধ্যে আট থেকে নয় হাজার আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করে রেডি করে রেখেছি। সবগুলো আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার বিস্কুট, পানি ও চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে গেছে। 

উপকূলীয় এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়ের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতদের বলা হয়েছে তারা যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি থেকে মানুষকে আশ্রয়ের ব্যাপারে সহযোগিতা করতে পারে। 

আমরা গতকাল বলেছিলাম আজ ভোর থেকেই দুর্যোগ শুরু হতে পারে। ঝড়ের গতিটা কম বলে এটি আজ ভোরে আসেনি। 

গতকাল এর গতি ছিল ঘণ্টায় ১৬ থেকে ১৭ কিলোমিটার কিন্তু ভোররাতে এটির গতি কমে ১০ এর নিচে ঘণ্টায় ছয় কিলোমিটারে নেমে এসেছে। 

ঝড়ের কারণে দেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে জানিয়ে মহিববুর বলেন, ঝড় আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমরা মনে করছি বৃষ্টিপাতের জন্য সারা দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পাহাড়ি এলাকায় ব্যাপকভাবে ভূমিধস হওয়ার আশঙ্কা আছে। শহর-গ্রাম, সিটি করপোরেশন, পৌরসভায় জলাবদ্ধতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যানজট হতে পারে, স্বাভাবিক যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে। ঝড় শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। লঞ্চ-স্টিমার যেগুলো চলাচল করছে সেগুলো বন্ধ থাকবে। আজ সন্ধ্যা থেকে আগামীকাল সকাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু টানেলও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত