Ajker Patrika

আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় স্বস্তিতে সারা দেশের মানুষ: প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১২ মে ২০২৫, ১৯: ১১
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় সারা দেশের মানুষ স্বস্তি পেয়েছে। তারা হত্যা ও ডাকাতি করেছে, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, জনগণের সকল অধিকার খর্ব করেছে। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তারা ২ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন দেখলে বুঝতে পারবেন, কত জঘন্য কাজ আওয়ামী লীগ করেছে।’

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্সে’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম এ কথা বলেন। এ সময় জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে হবে বলেও জানান তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শাসনামলে গত ১৫ বছরে সাড়ে ৩ হাজার মানুষ গুমের শিকার হয়েছে। এমনকি বাচ্চা পর্যন্ত গুম হয়েছে। আওয়ামীর কার্যক্রম নিষিদ্ধে পুরো দেশের মানুষ স্বস্তি পেয়েছে।’

এক রাতের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আসলেও, শেখ হাসিনার পতনের গত ৯ মাসেও কেন আসেনি—এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মানুষকে খুন, গুম ও হত্যা করেছে। এখনো তারা ভয়াবহ মিথ্যাচার করেই যাচ্ছে। এসবের কারণে দেশের জনগণ নিষিদ্ধের দাবি ওঠালে আওয়ামীর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়। এটি শুধু জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দাবি নয়, প্রায় সকল বড় দলেরও দাবি ছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক।’

১৪ দলের শুধু আওয়ামী নিষিদ্ধ হলো কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘জুলাই গণহত্যায় আওয়ামী লীগের কথা বলা হয়েছে, বাকি দলগুলোর তো সহযোগিতা ছিল না। জাতিসংঘের প্রতিবেদন দেখলে বুঝবেন কীভাবে গণহত্যা চালিয়েছে, আর কারা চালিয়েছে।’

শফিকুল আলম জানান, ‘হত্যার পাশাপাশি আওয়ামী লীগ অর্থ আত্মসাৎ থেকে শুরু করে ব্যাংক ডাকাতি করেছে। ইসলামী ব্যাংক থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকা তারা নিয়ে গেছে। ফার্মার্স ব্যাংক থেকে ২-৩ শ কোটি টাকা নিয়ে গেছে। মানুষ হত্যা করেছে। তারপরও আওয়ামী লীগের বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই। তারা এখনো পর্যন্ত একের পর এক গুজব ও ভয়াবহ মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।’

শেয়ারবাজারে কারসাজি ও লুটপাটের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘২০১০ সালে শেয়ারবাজারে যে ভয়াবহ ডাকাতি হয়েছে তারা এখনো আইনের আওতায় আসেনি। এ জন্য বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে এসে ঠেকেছে। এখানে যেন ডাকাতির আড্ডাখানা না হয় সে জন্য সরকার চেষ্টা করছে। আমরা দক্ষ লোক দিয়ে শেয়ারবাজারের মিনিংফুল রিফর্ম করতে চাই, যাতে দ্বিগুণ হারে শেয়ারবাজার ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে পারে।’

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় ‘মিট দ্য রিপোর্টার্সে’—এ সভাপতিত্ব করেন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন। উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ—এর সহসভাপতি গাজী আনোয়ার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

তোরা যারা রাজাকার, সময় থাকতে বাংলা ছাড়: ফেসবুকে বাকের মজুমদার

কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতি, স্থায়ী বসবাসের আবেদনে অপেক্ষা ১০ বছর

যুদ্ধ বলিউডের সিনেমা নয়: ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান

রাজপথের চাপে কোনো বিচার করা সম্ভব নয়: চিফ প্রসিকিউটর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত