গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার নেপথ্যের ঘটনা জানতে পেরেছে পুলিশ। ফাঁদে ফেলে প্রতারণার একটি ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে অপরাধীদের রোষে পড়েন তুহিন। এরপর তাঁকে ধাওয়া করে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
আজ শনিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর ওয়্যারলেস গেট এলাকায় জিএমপির সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অপরাধ দমনে পুলিশকে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়ে জিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সাংবাদিক হত্যার দায় আমরা এড়াতে পারি না। আমাদের ব্যর্থতা ও জনবলস্বল্পতা রয়েছে। পুলিশের একার পক্ষে অপরাধ দমন করা সম্ভব হয় না। এখানে জনগণের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন হয়।’
জিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের ওপর ছিল। আমরা প্রিভেন্ট করতে পারিনি। প্রিভেনশন সব সময় করা যায় না। বিশ্বের কোনো দেশ ক্রাইম একেবারে শূন্যতে নিয়ে আসতে পারেনি। তাই আমাদের শত চেষ্টার পরও ক্রাইম হয়ে যেতে পারে। যে ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।’
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ড. নাজমুল করিম খান বলেন, ‘এই ঘটনার প্রথম ভিকটিম বাদশা মিয়া স্থানীয় একটি এটিএম বুথ থেকে ২৫ হাজার টাকা তোলেন। বিষয়টি দেখে তাঁকে ফাঁসানোর জন্য গোলাপি (গ্রেপ্তার নারী) বাদশাকে হানি ট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা করেন। গোলাপির সঙ্গে কথাবার্তার একপর্যায়ে বাদশা মিয়া বুঝতে পারেন, তাঁকে হানি ট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। কথাবার্তার একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হতে দেখা যায় এবং বাদশা মিয়া গোলাপিকে ঘুষি মারেন। সিসিটিভি ফুটেজে সেই দৃশ্য দেখা গেছে।’
জিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গোলাপিকে ঘুষি মারার পরপরই ওত পেতে থাকা গোলাপির ৫-৬ সহযোগী এগিয়ে এসে চাপাতি দিয়ে বাদশা মিয়াকে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। বাদশা মিয়া সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। এ সময় ভিডিও ধারণ করছিলেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন। তুহিনের ভিডিও ধারণ করার বিষয়টি আসামিরা দেখে ফেলে। তারা বুঝে যায়, এই ভিডিওর মাধ্যমে তাদের অপরাধ প্রকাশ পেয়ে যাবে। আসামিরা সাংবাদিক তুহিনের মোবাইল ফোন থেকে ভিডিওটি মুছে ফেলার দাবি করে, এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ায়। একপর্যায়ে তারা তুহিনকে ধাওয়া করে। তুহিন একটি চা স্টলে আশ্রয় নিলে তাঁকে সেখান থেকে ধরে এনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।’
পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করি। ফুটেজ দেখে আমরা ৮ জনকে চিহ্নিত করেছি। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি একজনকেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে পারব।’
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সংঘবদ্ধ চক্রের অপরাধের চিত্র ধারণ করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন সাংবাদিক। এ ঘটনায় আমাদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ আছে, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী আছে। সব তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। তুহিনের মরদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে চার্জশিট দিতে পারব। আমরা আশা করি, দ্রুততম সময়ে তাদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সাজার সংস্কৃতি নিশ্চিত করা গেলে ক্রাইম দমন করা যাবে। আসামিরা যদি অপরাধ না-ও স্বীকার, তবে এভিডেন্সই তাদের অপরাধ প্রমাণ করবে।’
জিএমপি কমিশনার জানান, সাংবাদিক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন জামালপুরের মেলান্দহ থানার মাহমুদপুর এলাকার মোবারকের ছেলে মিজান ওরফে কেটু মিজান (৩৫), তাঁর স্ত্রী গোলাপি (২৫), পাবনার ফরিদপুর উপজেলার সোনাহারা গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে মো. স্বাধীন (২৮), খুলনার সোনাডাঙ্গা উপজেলার ময়লাপোতার হানিফের ছেলে আল আমিন (২১), কুমিল্লার হোমনা থানার আন্তপুর গ্রামের হানিফ ভূঁইয়ার ছেলে শাহজালাল (৩২), পাবনার চাটমোহর থানার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের কিয়ামুদ্দিনের ছেলে মো. ফয়সাল হাসান (২৩) এবং সুমন নামের একজন।
হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি কেটু মিজানের নামে ১৫টি মামলা রয়েছে। কেটু মিজানের স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপি প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। অপর আসামি আল আমিনের বিরুদ্ধে ২টি, আসামি স্বাধীনের নামে ২টি, আসামি শাহজালালের বিরুদ্ধে ৮টি এবং আসামি ফয়সাল হাসানের বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার নেপথ্যের ঘটনা জানতে পেরেছে পুলিশ। ফাঁদে ফেলে প্রতারণার একটি ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে অপরাধীদের রোষে পড়েন তুহিন। এরপর তাঁকে ধাওয়া করে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
আজ শনিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর ওয়্যারলেস গেট এলাকায় জিএমপির সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অপরাধ দমনে পুলিশকে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়ে জিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সাংবাদিক হত্যার দায় আমরা এড়াতে পারি না। আমাদের ব্যর্থতা ও জনবলস্বল্পতা রয়েছে। পুলিশের একার পক্ষে অপরাধ দমন করা সম্ভব হয় না। এখানে জনগণের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন হয়।’
জিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের ওপর ছিল। আমরা প্রিভেন্ট করতে পারিনি। প্রিভেনশন সব সময় করা যায় না। বিশ্বের কোনো দেশ ক্রাইম একেবারে শূন্যতে নিয়ে আসতে পারেনি। তাই আমাদের শত চেষ্টার পরও ক্রাইম হয়ে যেতে পারে। যে ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।’
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ড. নাজমুল করিম খান বলেন, ‘এই ঘটনার প্রথম ভিকটিম বাদশা মিয়া স্থানীয় একটি এটিএম বুথ থেকে ২৫ হাজার টাকা তোলেন। বিষয়টি দেখে তাঁকে ফাঁসানোর জন্য গোলাপি (গ্রেপ্তার নারী) বাদশাকে হানি ট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা করেন। গোলাপির সঙ্গে কথাবার্তার একপর্যায়ে বাদশা মিয়া বুঝতে পারেন, তাঁকে হানি ট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। কথাবার্তার একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হতে দেখা যায় এবং বাদশা মিয়া গোলাপিকে ঘুষি মারেন। সিসিটিভি ফুটেজে সেই দৃশ্য দেখা গেছে।’
জিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গোলাপিকে ঘুষি মারার পরপরই ওত পেতে থাকা গোলাপির ৫-৬ সহযোগী এগিয়ে এসে চাপাতি দিয়ে বাদশা মিয়াকে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। বাদশা মিয়া সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। এ সময় ভিডিও ধারণ করছিলেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন। তুহিনের ভিডিও ধারণ করার বিষয়টি আসামিরা দেখে ফেলে। তারা বুঝে যায়, এই ভিডিওর মাধ্যমে তাদের অপরাধ প্রকাশ পেয়ে যাবে। আসামিরা সাংবাদিক তুহিনের মোবাইল ফোন থেকে ভিডিওটি মুছে ফেলার দাবি করে, এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ায়। একপর্যায়ে তারা তুহিনকে ধাওয়া করে। তুহিন একটি চা স্টলে আশ্রয় নিলে তাঁকে সেখান থেকে ধরে এনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।’
পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করি। ফুটেজ দেখে আমরা ৮ জনকে চিহ্নিত করেছি। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি একজনকেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে পারব।’
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সংঘবদ্ধ চক্রের অপরাধের চিত্র ধারণ করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন সাংবাদিক। এ ঘটনায় আমাদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ আছে, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী আছে। সব তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। তুহিনের মরদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে চার্জশিট দিতে পারব। আমরা আশা করি, দ্রুততম সময়ে তাদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সাজার সংস্কৃতি নিশ্চিত করা গেলে ক্রাইম দমন করা যাবে। আসামিরা যদি অপরাধ না-ও স্বীকার, তবে এভিডেন্সই তাদের অপরাধ প্রমাণ করবে।’
জিএমপি কমিশনার জানান, সাংবাদিক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন জামালপুরের মেলান্দহ থানার মাহমুদপুর এলাকার মোবারকের ছেলে মিজান ওরফে কেটু মিজান (৩৫), তাঁর স্ত্রী গোলাপি (২৫), পাবনার ফরিদপুর উপজেলার সোনাহারা গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে মো. স্বাধীন (২৮), খুলনার সোনাডাঙ্গা উপজেলার ময়লাপোতার হানিফের ছেলে আল আমিন (২১), কুমিল্লার হোমনা থানার আন্তপুর গ্রামের হানিফ ভূঁইয়ার ছেলে শাহজালাল (৩২), পাবনার চাটমোহর থানার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের কিয়ামুদ্দিনের ছেলে মো. ফয়সাল হাসান (২৩) এবং সুমন নামের একজন।
হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি কেটু মিজানের নামে ১৫টি মামলা রয়েছে। কেটু মিজানের স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপি প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। অপর আসামি আল আমিনের বিরুদ্ধে ২টি, আসামি স্বাধীনের নামে ২টি, আসামি শাহজালালের বিরুদ্ধে ৮টি এবং আসামি ফয়সাল হাসানের বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:
রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে মেট্রোরেল স্টেশনের পিলারে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লেগে ইমন মোল্লা (২৬) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ১২টার দিকে পল্লবীতে মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনেরা তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাত ২টার...
৪ মিনিট আগেবিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই ১০ বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করলে সে দেশের তুরা জেলা পুলিশ তাদের আটক করে। পরে রোববার বিকেলে নাকুগাঁও আইসিপি দিয়ে তাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিজিবি তাদের নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
৩২ মিনিট আগে৯৬ ঘণ্টা পর আজ (১১ আগস্ট) সকাল ৭ টা থেকে চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কীর্তি নিশান চাকমা।
৩৮ মিনিট আগেনিহত রুপলালের স্ত্রী ভারতী রানী বাদী হয়ে ৭০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে গতকাল রোববার দুপুরে তারাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রাতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেন।
৪১ মিনিট আগে