মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির কারণে চীন ও রাশিয়া থেকে ভারতকে দূরে সরিয়ে রাখতে কয়েক দশকের মার্কিন প্রচেষ্টা ভেস্তে যেতে বসেছে বলে মন্তব্য করেছেন তাঁর সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। বিশেষ করে ‘রুশ তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক’ আরোপকে তিনি এই ব্যর্থতার বড় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
বোল্টন বলেন, চীনের তুলনায় ভারতের ওপর অনেক বেশি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। যেখানে চীনের সঙ্গে সীমিত সময়ের বাণিজ্য যুদ্ধ চালিয়ে পরে তা থামিয়ে রাখা হয়েছে, সেখানে ভারতের ওপর আরোপিত হয়েছে ৫০ শতাংশের বেশি শুল্ক, যার মধ্যে রয়েছে রুশ সমরাস্ত্রে অর্থায়নের অভিযোগে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক।
সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোল্টন বলেন, এই শুল্ক আরোপ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘সবচেয়ে খারাপ ফল’ বয়ে এনেছে। ভারত এতে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, বিশেষ করে যখন তারা দেখেছে চীনের ওপর একই ধরনের শুল্ক আরোপ করা হয়নি।
তাঁর মতে, এই নীতি উল্টো ভারতকে চীন ও রাশিয়ার কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীতে তাদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেওয়ার পথ তৈরি করতে পারে।
এর আগে দ্য হিলে প্রকাশিত এক মতামত নিবন্ধে বোল্টন সতর্ক করেছিলেন, বেইজিংয়ের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের নরম মনোভাব মার্কিন কৌশলগত স্বার্থ বিসর্জনের শামিল হতে পারে। তিনি লিখেছিলেন, ‘বেইজিংয়ের জন্য শুল্ক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে দিল্লির তুলনায় হোয়াইট হাউস বেশি সহনশীল আচরণের দিকে এগোচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। যদি তাই হয়, তবে এটি হবে বিরাট ভুল।’
মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞ ও সাবেক বাণিজ্য কর্মকর্তা ক্রিস্টোফার প্যাডিলা সতর্ক করে বলেছেন, এই শুল্ক দীর্ঘমেয়াদে ভারত–মার্কিন সম্পর্কের ক্ষতি করতে পারে। তাঁর আশঙ্কা, ভবিষ্যতে ভারত প্রশ্ন তুলতে পারে যুক্তরাষ্ট্র আদৌ নির্ভরযোগ্য অংশীদার কি না, কারণ এই শুল্ক আরোপের স্মৃতি দীর্ঘদিন রয়ে যাবে।
এখন পর্যন্ত অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ ভারতের রুশ তেল আমদানি বন্ধ করতে পারেনি। বরং ভারত এই আমদানিকে নিজেদের অধিকার হিসেবে রক্ষা করেছে এবং শুল্ককে ‘অন্যায্য ও অযৌক্তিক’ বলে আখ্যা দিয়েছে। মস্কোও দিল্লিকে সমর্থন জানিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবৈধ বাণিজ্য চাপপ্রয়োগের অভিযোগ তুলেছে। আর এই ঘটনা ঘটেছে ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের ঠিক এক সপ্তাহ আগে।
বোল্টনের মতে, আসন্ন এই বৈঠক পুতিনকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজের এজেন্ডা এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেবে, আর ভারত–শুল্ক ইস্যুও সেই বৃহত্তর কৌশলগত খেলায় পরিণত হতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির কারণে চীন ও রাশিয়া থেকে ভারতকে দূরে সরিয়ে রাখতে কয়েক দশকের মার্কিন প্রচেষ্টা ভেস্তে যেতে বসেছে বলে মন্তব্য করেছেন তাঁর সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। বিশেষ করে ‘রুশ তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক’ আরোপকে তিনি এই ব্যর্থতার বড় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
বোল্টন বলেন, চীনের তুলনায় ভারতের ওপর অনেক বেশি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। যেখানে চীনের সঙ্গে সীমিত সময়ের বাণিজ্য যুদ্ধ চালিয়ে পরে তা থামিয়ে রাখা হয়েছে, সেখানে ভারতের ওপর আরোপিত হয়েছে ৫০ শতাংশের বেশি শুল্ক, যার মধ্যে রয়েছে রুশ সমরাস্ত্রে অর্থায়নের অভিযোগে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক।
সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোল্টন বলেন, এই শুল্ক আরোপ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘সবচেয়ে খারাপ ফল’ বয়ে এনেছে। ভারত এতে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, বিশেষ করে যখন তারা দেখেছে চীনের ওপর একই ধরনের শুল্ক আরোপ করা হয়নি।
তাঁর মতে, এই নীতি উল্টো ভারতকে চীন ও রাশিয়ার কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীতে তাদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেওয়ার পথ তৈরি করতে পারে।
এর আগে দ্য হিলে প্রকাশিত এক মতামত নিবন্ধে বোল্টন সতর্ক করেছিলেন, বেইজিংয়ের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের নরম মনোভাব মার্কিন কৌশলগত স্বার্থ বিসর্জনের শামিল হতে পারে। তিনি লিখেছিলেন, ‘বেইজিংয়ের জন্য শুল্ক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে দিল্লির তুলনায় হোয়াইট হাউস বেশি সহনশীল আচরণের দিকে এগোচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। যদি তাই হয়, তবে এটি হবে বিরাট ভুল।’
মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞ ও সাবেক বাণিজ্য কর্মকর্তা ক্রিস্টোফার প্যাডিলা সতর্ক করে বলেছেন, এই শুল্ক দীর্ঘমেয়াদে ভারত–মার্কিন সম্পর্কের ক্ষতি করতে পারে। তাঁর আশঙ্কা, ভবিষ্যতে ভারত প্রশ্ন তুলতে পারে যুক্তরাষ্ট্র আদৌ নির্ভরযোগ্য অংশীদার কি না, কারণ এই শুল্ক আরোপের স্মৃতি দীর্ঘদিন রয়ে যাবে।
এখন পর্যন্ত অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ ভারতের রুশ তেল আমদানি বন্ধ করতে পারেনি। বরং ভারত এই আমদানিকে নিজেদের অধিকার হিসেবে রক্ষা করেছে এবং শুল্ককে ‘অন্যায্য ও অযৌক্তিক’ বলে আখ্যা দিয়েছে। মস্কোও দিল্লিকে সমর্থন জানিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবৈধ বাণিজ্য চাপপ্রয়োগের অভিযোগ তুলেছে। আর এই ঘটনা ঘটেছে ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের ঠিক এক সপ্তাহ আগে।
বোল্টনের মতে, আসন্ন এই বৈঠক পুতিনকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজের এজেন্ডা এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেবে, আর ভারত–শুল্ক ইস্যুও সেই বৃহত্তর কৌশলগত খেলায় পরিণত হতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:
পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে দুই দেশের সশস্ত্রবাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা আফগানিস্তানের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৯টি চৌকি দখল করেছে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম পিটিভির বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
১৮ মিনিট আগেগাজা সংকট নিয়ে মিসরের অবকাশযাপন কেন্দ্র শারম আল শেখে আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘শান্তি শীর্ষ সম্মেলন’। এতে সভাপতিত্ব করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। সেই সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
২ ঘণ্টা আগেযুদ্ধবিরতি চুক্তির পর গতকাল শনিবার রাতে তেল আবিবে জিম্মি মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক বিশাল সমাবেশে বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ। রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নাম উল্লেখ করতেই জনতা সমস্বরে দুয়োধ্বনি দিতে শুরু করে।
২ ঘণ্টা আগেকাতারের শীর্ষ সরকারি সংস্থা আমিরি দিওয়ানের তিনজন কর্মী মিসরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। লোহিত সাগর উপকূলীয় অবকাশযাপন কেন্দ্র শারম এল-শেইখের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও দুজন আহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে