আবু সাইম, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র থেকে
বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণ বন্ধ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, দেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের গ্যারান্টি দেওয়া যাবে না। কারণ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে গেলে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাহায্য লাগবে।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে জাতিসংঘের চলমান সাধারণ অধিবেশনের দিনের কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক দল না পাঠানো প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অধিকাংশ দেশে কোনো ইলেকশন অবজারভার যায় না। আমেরিকায় বিদেশ থেকে কোনো ইলেকশন অবজারভার আসে না। ইংল্যান্ডে, এমনকি প্রতিবেশী দেশ ভারতেও যায় না। হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলল, তাদের দেশেও পর্যবেক্ষক অনুমোদন দেওয়া হয় না। তাহলে আমার দেশে নির্বাচন হবে, অন্যরা এসে কি ওকালতি করবে? আমাদের দৈন্য অবস্থা, আমরা অনেক দিন উপনিবেশে ছিলাম। তাই বিদেশিরা যদি বলেন এটা ভালো, আমরা মনে করি ভালো। আর বিদেশিরা যদি বলেন কালো, আমরা মনে করি কালো। তবে এখনো একটা কালচার রয়ে গেছে, তাই আমরা বিদেশিদের নির্বাচনে স্বাগত জানাই। কিন্তু আমি মনে করি ইলেকশন পর্যবেক্ষণ সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া উচিত। এটা ভুল সংস্কৃতি। আমরা ২০০৯ থেকে কয়েক হাজার নির্বাচন করেছি। দু-একটি ছাড়া অধিকাংশ সুষ্ঠু হয়েছে।’
এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া।
তাঁর সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সাক্ষাতে আগামী নির্বাচনের প্রসঙ্গ এসেছে। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। তারা বলেছে, শান্তিপূর্ণ হবে কি না। আমরা সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারি না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন শুধু সরকার চাইলে হবে না, দেশের এমন একটা পরিবেশ, সংঘাতবিহীন নির্বাচন করতে সব দলের আন্তরিকতা প্রয়োজন।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের ভোট ছাড়া কেউ ক্ষমতায় আসতে পারে না। যদি কারচুপির মাধ্যমে কেউ ক্ষমতায় আসেও, ওই সরকার বেশি দিন টিকবে না—এ বিষয়ে আমাদের নজির আছে। তবে রাজনৈতিক দল হলে অবশ্যই নির্বাচনে আসবে।’
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণ বন্ধ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, দেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের গ্যারান্টি দেওয়া যাবে না। কারণ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে গেলে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাহায্য লাগবে।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে জাতিসংঘের চলমান সাধারণ অধিবেশনের দিনের কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক দল না পাঠানো প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অধিকাংশ দেশে কোনো ইলেকশন অবজারভার যায় না। আমেরিকায় বিদেশ থেকে কোনো ইলেকশন অবজারভার আসে না। ইংল্যান্ডে, এমনকি প্রতিবেশী দেশ ভারতেও যায় না। হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলল, তাদের দেশেও পর্যবেক্ষক অনুমোদন দেওয়া হয় না। তাহলে আমার দেশে নির্বাচন হবে, অন্যরা এসে কি ওকালতি করবে? আমাদের দৈন্য অবস্থা, আমরা অনেক দিন উপনিবেশে ছিলাম। তাই বিদেশিরা যদি বলেন এটা ভালো, আমরা মনে করি ভালো। আর বিদেশিরা যদি বলেন কালো, আমরা মনে করি কালো। তবে এখনো একটা কালচার রয়ে গেছে, তাই আমরা বিদেশিদের নির্বাচনে স্বাগত জানাই। কিন্তু আমি মনে করি ইলেকশন পর্যবেক্ষণ সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া উচিত। এটা ভুল সংস্কৃতি। আমরা ২০০৯ থেকে কয়েক হাজার নির্বাচন করেছি। দু-একটি ছাড়া অধিকাংশ সুষ্ঠু হয়েছে।’
এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া।
তাঁর সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সাক্ষাতে আগামী নির্বাচনের প্রসঙ্গ এসেছে। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। তারা বলেছে, শান্তিপূর্ণ হবে কি না। আমরা সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারি না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন শুধু সরকার চাইলে হবে না, দেশের এমন একটা পরিবেশ, সংঘাতবিহীন নির্বাচন করতে সব দলের আন্তরিকতা প্রয়োজন।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের ভোট ছাড়া কেউ ক্ষমতায় আসতে পারে না। যদি কারচুপির মাধ্যমে কেউ ক্ষমতায় আসেও, ওই সরকার বেশি দিন টিকবে না—এ বিষয়ে আমাদের নজির আছে। তবে রাজনৈতিক দল হলে অবশ্যই নির্বাচনে আসবে।’
আরও পড়ুন:
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজারবাগে পুলিশ সপ্তাহের তৃতীয় দিনের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সাবেক আইজিপি আব্দুল কাইয়ুম। ‘নাগরিক ভাবনায় জনতার পুলিশ: নিরাপত্তা ও আস্থার বন্ধন’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি বিশেষ আলোচক হিসেবে এসব বক্তব্য দেন...
২০ মিনিট আগেশ্রমিকদের অবস্থান পরিবর্তনের জন্য শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, শ্রমিকদের আগের অবস্থায় রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন।
৪ ঘণ্টা আগেমানবিক সহায়তা পাঠানোর জন্য মিয়ানমারের রাখাইনের সঙ্গে ‘করিডর’ বা ‘প্যাসেজ’ চালুর বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘নীতিগত সিদ্ধান্ত’ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
৯ ঘণ্টা আগেদেশে এক শর মতো শিল্পে নেই ন্যূনতম মজুরিকাঠামো। এখনো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাননি অনেক খাতের শ্রমিকেরা। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ৮৫ শতাংশ শ্রমিকেরই নেই আইনি সুরক্ষা। পর্যাপ্ত মাতৃত্বকালীন ছুটি পান না নারী শ্রমিকেরা। ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের স্বাধীনতা, শ্রমিক সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য
১৫ ঘণ্টা আগে