Ajker Patrika

ক্ষুব্ধ নারী অধিকারকর্মীরা

মুরাদনগরের ঘটনা জাতির লজ্জা

  • ‘মব ও সাম্প্রদায়িকতা দমন না করার পরিণতি’।
  • পরকীয়ার দোহাই দিয়েও অবমাননার সুযোগ নেই।
  • ৫ মাসে ৩৮৩ ধর্ষণ—আসকের তথ্য।
  • আমরা এখনো সভ্য হইনি—তারই প্রমাণ: সংস্কার কমিশনের প্রধান
অর্চি হক, ঢাকা 
ডা. ফওজিয়া মোসলেম, জিনাত আরা হক ও শিরীন হক। ছবি: সংগৃহীত
ডা. ফওজিয়া মোসলেম, জিনাত আরা হক ও শিরীন হক। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা রাষ্ট্র ও জাতির জন্য চরম লজ্জার বলে মনে করছেন মানবাধিকারকর্মীরা। তাঁদের মতে, এ ঘটনা শুধু ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নয়, সামগ্রিকভাবে নারী জনগোষ্ঠীর জীবনের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও মানবাধিকারের ওপর চরম আঘাত। অপরাধীদের ওপর মনোযোগ নিবদ্ধ করার বদলে ঘটনার শিকার ব্যক্তির দোষ খোঁজা এবং তাঁকে হেয় করার প্রবণতার তীব্র নিন্দা করা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে।

নারী অধিকার আন্দোলনের শীর্ষ প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম মুরাদনগরের নারী লাঞ্ছনার বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি ধর্ষণ কি না, তা নিয়ে নানা ধরনের কথা বলে ভিকটিম ব্লেইমিং (ক্ষতিগ্রস্তকেই দোষারোপ) করা হচ্ছে। একজন নারীর ঘরে জোর করে ঢুকে তাঁর ওপর সহিংসতা চালানো এবং বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করা রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নাগরিক নিরাপত্তার গুরুতর সংকটের ইঙ্গিত বহন করে। মুরাদনগরের ঘটনা রাষ্ট্রের জন্য লজ্জা, জাতির জন্য লজ্জা।’

সমাজে মব সংস্কৃতি ও সাম্প্রদায়িকতার বিস্তারের ফলেই নারীরা এভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে মনে করেন মানবাধিকারকর্মীরা। ডা. ফওজিয়া মোসলেম এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘সাম্প্রদায়িকতাকে হয়তো আমরা প্রশ্রয় দিচ্ছি। একে যথাযথভাবে দমন করা হচ্ছে না। জুলাইয়ে আন্দোলনের পর থেকেই আমরা ক্রমান্বয়ে মবকে স্বীকৃতি দিয়ে যাচ্ছি। এর ফল হলো, যারা দুর্বল, তাদের ওপর মবের ভয়াবহতা বেশি হবে। শিক্ষককে জুতার মালা পরানো হয়েছে, আদালতে বন্দীদের ওপর জুতা ছোড়া হচ্ছে। এসব মবকে যদি আমরা এনকারেজ (উদ্বুদ্ধ) করি, তাহলে নারীর ওপর মবের আক্রমণকেও দমাতে পারব না।’

মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, দেশে নারীর প্রতি ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনা নতুন নয়। তবে সম্প্রতি নারীর

ওপর সহিংসতাকারীদের প্রতি সরকারের আপাত নির্লিপ্ততা নারী নির্যাতনকারীদের আরও বেপরোয়া করে তুলেছে। ফলে প্রকাশ্যে, দিনেদুপুরেও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন নারীরা। এ বিষয়ে মানবাধিকার সংগঠন ‘আমরাই পারি’ জোটের প্রধান নির্বাহী জিনাত আরা হক বলেন, ‘নারী হেনস্তাকারীকে মব তৈরি করে থানা থেকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এসব ঘটনায় অপরাধীরা প্রশ্রয় পায়। তারা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।’

মুরাদনগরের ঘটনার পেছনে সরকারের নির্লিপ্ততা দায়ী বলে অভিযোগ করেছে মানবাধিকার সংস্থা আসক। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অপরাধের পেছনে কেবল ব্যক্তি নয়, বরং সরকারের নির্লিপ্ততা ও দীর্ঘদিন ধরে বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগে ব্যর্থতা কাজ করছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন হক এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা এখনো সভ্য হইনি। মুরাদনগরের ঘটনা তারই প্রমাণ।’

ভুক্তভোগী নারীর দোষ খোঁজার প্রবণতারও নিন্দা জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা। তাঁরা বলছেন, ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে অনেকে ‘পরকীয়া’র ট্যাগ দিয়ে নির্যাতিত নারীকেই দোষারোপ করছেন। এটি আরেকটি অপরাধের শামিল। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত জাহান বলেন, ‘পরকীয়ার দোহাই দিয়ে নারীকে অপমানের সুযোগ নেই। এটা ধর্ষণ বা পরকীয়া, যেটাই হোক না কেন, এভাবে একজন নারীর ভিডিও ধারণ করা অপরাধ। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে এ ক্ষেত্রে কারাদণ্ডের বিধান আছে। ওই নারী মামলা তুলে নেওয়ার কথা বললেও সেই সুযোগ নেই।

আইনজীবী ইশরাত জাহান আরও বলেন, ‘এটা রাষ্ট্রবাদী মামলা। অর্থাৎ এই ক্ষতিটা শুধু একজন ব্যক্তির সাথে হয়নি। এটা রাষ্ট্রের সাথে অন্যায় হয়েছে। নির্যাতিত নারী না চালালেও এই মামলা রাষ্ট্র চালাবে, এটা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।’

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, দেশে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ৩৮৩টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে অন্তত ৭১টি ঘটনায় কোনো মামলা দায়েরের তথ্য পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫২৫ জন নারী। হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) তথ্য অনুসারে, ২০২০-২০২৪ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাংলাদেশে কমপক্ষে ১১ হাজার ৭৫৮ জন নারী ও মেয়ে শিশু নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হয়েছে, যার মধ্যে ৬ হাজার ৩০৫ জনকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ২০৭ জনকে যৌন সহিংসতার পর হত্যা করা হয়েছে।

সরকারের মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় মুরাদনগরের ঘটনা ‘নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে’ বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধবিষয়ক মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) প্রকাশ কান্তি চৌধুরী। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের নারী কর্মকর্তারা ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি ট্রমায় (মানসিক আঘাতে বিহ্বল) রয়েছেন। অনলাইনে তাঁর জন্য কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করেছি আমরা। এ ছাড়া তাঁকে সার্বিক সহায়তা দেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে সমন্বিত যোগাযোগব্যবস্থা গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৩
রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

প্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্ত রেখে সড়ক, রেল, বিমান ও নৌপথের সম্মিলিত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘সেন্ট্রাল ইন্টিগ্রেটেড মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট সেক্টর মাস্টার প্ল্যান অব বাংলাদেশ’-সংক্রান্ত প্রান্তিক মূল্যায়ন ও কৌশলগত পরিকল্পনাবিষয়ক আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের যোগাযোগব্যবস্থা খুবই হযবরল অবস্থায় রয়েছে। এটাকে দ্রুত শৃঙ্খলার মধ্যে আনা না গেলে পুরো ব্যবস্থাটা অর্থনীতির জন্য গলার ফাঁসে পরিণত হবে। আমাদের এই কাজটা করতে হবে পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে। নদীর ওপর কোনো আঘাত করা যাবে না। পানিকে শান্ত রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, পানি আমাদের জন্য বিরাট সম্পদ।’

বৈঠকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ একটি প্রাথমিক কৌশলগত পরিকল্পনা উপস্থাপন করে, যা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা পারস্পরিক সমন্বয়ের ভিত্তিতে তৈরি করেন।

পরিকল্পনায় দেখানো হয়, পুরো দেশের সব ধরনের যোগাযোগব্যবস্থা সমন্বয় এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অল্পবিস্তর সংস্কার ও সংযোজনের মাধ্যমে কীভাবে পুরো যোগাযোগব্যবস্থাকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা যায়।

এতে বলা হয়, দেশে বর্তমানে থাকা রেলপথ, নৌপথ এবং সড়কপথের যথাযথ ব্যবহার ও কিছু ক্ষেত্রে কিছুটা বাড়ানো গেলে এ ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি করা সম্ভব।

যোগাযোগ খাতের সবগুলো ব্যবস্থাকে সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা প্রণয়ন করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই পরিকল্পনার ফলে প্রাথমিকভাবে একটি শক্তিশালী ধারণা পাওয়া গেল। এখন এটিকে বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘পুরো পরিকল্পনাটা করতে হবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি মাথায় রেখে। অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক যোগাযোগব্যবস্থার ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা যখন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে নদীর কথা চিন্তা করব, তখন অবশ্যই আমাদের মাথায় রাখতে হবে নদীগুলো আমাদের প্রাণ।’

প্রাথমিক পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন বলেন, যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি সামষ্টিক মডেল দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনভাবে কাজ করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে যেন অর্থনৈতিক লাইফলাইনটা গড়ে ওঠে।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, যেসব ক্ষেত্রে ছোট ছোট কিছু সড়ক নির্মাণ করে দিলেই পুরো অঞ্চলটাকে জাতীয় কানেকটিভিটির মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব, সেসব ক্ষেত্রে দ্রুত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের কাজগুলোকে আরও পরিকল্পিতভাবে করার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগে একটি প্ল্যানার্স উইং গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রামে আরও তিনটি নতুন বন্দর চালু হবে। এটাকে বিবেচনায় রেখে অবশ্যই এসব বন্দর থেকে সড়ক যোগাযোগ যেন সহজ ও কার্যকর হয়, সে বিষয়ে দ্রুততার সঙ্গে উদ্যোগ নিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে সাড়ে ৬ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ সারোয়ার জাহান ও রেজিস্ট্রার মো. মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ রোববার দুদকের উপপরিচালক মো. আলমগীর হোসেন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে মামলাটি করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আরেক উপপরিচালক আক্তারুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৭ সালে সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রবর্তক শাখায় একটি জরুরি তহবিল হিসাব খোলা হয়। ওই হিসাব থেকে কোষাধ্যক্ষ ড. সারোয়ার জাহানের স্বাক্ষরে মোট ৬ কোটি ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩০ টাকা তোলা হয়। কিন্তু তিনি সেই উত্তোলিত টাকার ব্যয়ের কোনো বৈধ কাগজপত্র বা প্রমাণ দিতে পারেননি।

এতে বলা হয়, ব্যাংক এশিয়ার মাধ্যমে সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে একটি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট পরিচালিত হতো। কিন্তু সেই এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম থেকে অর্জিত কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবে জমা না করে বরং ওই আউটলেটে কর্মরত একজন কর্মচারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে ৮৮ হাজার ৭৩৮ টাকা বেতন হিসেবে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া কোনো ঋণ না নেওয়া সত্ত্বেও ঋণ পরিশোধের অজুহাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে আরও ২৮ লাখ ৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

দুদক কর্মকর্তারা জানান, সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি তহবিল থেকে প্রায় ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা এনসিপির, ঢাকার আসনে লড়বেন নাহিদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ০৮
রোববার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: স্ক্রিনশট
রোববার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: স্ক্রিনশট

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর দল ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। নির্বাচনে তিনি ঢাকার একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

আজ রোববার রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা ৩০০ আসন ধরে এগোচ্ছি। প্রার্থীর তালিকা এই মাসেই দিতে পারি।’

আসন্ন নির্বাচনে কোন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন—জানতে চাইলে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমি ঢাকার ছেলে। ঢাকা থেকেই দাঁড়াব।’

সারা দেশে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে এনসিপি। দলটির ৫০টির বেশি জেলা কমিটি ও ৩২৩টি উপজেলা কমিটি রয়েছে। এখন পর্যন্ত যেসব জেলা ও উপজেলায় কমিটি গঠন হয়নি, সেগুলোতে এই মাসের মধ্যে কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানান দলের নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর তার, ৩০ মিনিট বন্ধ মেট্রোরেল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানীর পল্লবী থেকে মিরপুর ১১ নম্বর অংশের মধ্যবর্তী স্থানে মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর তার পড়ে থাকার কারণে রেল চলাচল বন্ধ ছিল। আজ রোববার দুপুরে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।

ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, আজ দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট থেকে ১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত প্রায় ৩০ মিনিট মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়। বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর পড়া তার অপসারণের পর চলাচল স্বাভাবিক হয়।

যাত্রীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

প্রসঙ্গত, মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইন অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ায় এর ওপর যেকোনো বস্তু নিক্ষেপ নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

এর আগেও মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইনের ওপর ঘুড়ি পড়ার ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে রেল চলাচল বন্ধ রাখতে হয়েছিল।

এ নিয়ে গত সাত দিনে তিনবার মেট্রোরেল চলাচল স্থগিতের ঘটনা ঘটল। গত ২৬ অক্টোবর দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেল স্থাপনার বিয়ারিং প্যাড খুলে নিচে পড়ে গেলে এক পথচারী প্রাণ হারান। এর পরপরই মতিঝিল থেকে আগারগাঁও অংশে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। প্রায় ২৩ ঘণ্টা পর ২৭ অক্টোবর বেলা ১১টা থেকে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়।

এরপর দুদিন পর গত ২৯ অক্টোবর রাত ৯টা ১০ মিনিটে বিজয় সরণি-ফার্মগেট সেকশনে ঝাঁকুনি হওয়ায় শাহবাগ থেকে আগারগাঁও অংশে মেট্রো রেল চলাচল স্থগিত রাখা হয়। তবে পরদিন ৩০ অক্টোবর সকাল থেকে মেট্রোরেল আবারও মতিঝিল থেকে উত্তরা পর্যন্ত চালু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত