বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ভিডিও মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দেখানোর মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবারের জেলা প্রশাসক সম্মেলন। নিজের কার্যালয়ের শাপলা হলে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। সম্মেলনের কার্য-অধিবেশনগুলো হবে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ গতকাল শনিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
জুলাই আন্দোলন নিয়ে ডিসিদের কী বার্তা দেবেন—এ প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরুই হবে একটি (জুলাই আন্দোলন) ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে। এই আন্দোলনটা কীভাবে হয়েছিল, কীভাবে আন্দোলনের ফল লাভ হলো, সেই বিবরণ সেখানে থাকবে। ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের পরেই এটি দেখানো হবে। সুতরাং আপনারা বুঝতে পারছেন আমরা সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে এটা দেখতে চাইছি।’ এ ছাড়া বিপ্লবোত্তর আইনশৃঙ্খলার বিষয়টিও তোলা হবে বলে জানান সচিব।
এবার সম্মেলনে ৩৪টি কার্য-অধিবেশন হবে জানিয়ে আব্দুর রশীদ বলেন, বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের কাছ থেকে ১ হাজার ২৪৫টি প্রস্তাব এসেছে। তার মধ্যে কার্যপত্রে অন্তর্ভুক্ত হওয়া ৩৫৪টি প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে।
আলোচনায় ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদার করা; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম; স্থানীয় পর্যায়ে কর্ম-সৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন; সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন; তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স; শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ; স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবারকল্যাণ; পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণরোধ; ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও সমন্বয়ের বিষয়গুলোকে আলোচনার জন্য প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডিসিদের মুক্ত আলোচনা, বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সভা, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ডিসিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে ডিসিদের কার্য-অধিবেশন রয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ডিসিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ রাখা হয়নি।
কেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ডিসিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ রাখা হয়নি—সেই প্রশ্নে আব্দুর রশীদ বলেন, ‘ওনার (রাষ্ট্রপতি) শিডিউলের সঙ্গে মেলেনি।’
গত বছর ডিসি সম্মেলনে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কমেছে। ২০২৪ সালের সম্মেলনের ৪৬ শতাংশ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত বছর ডিসি সম্মেলনে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি মোট ৩৮১টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে ১৭৭টি। বাস্তবায়নাধীন রয়েছে ২০৪টি। বাস্তবায়নের হার ৪৬ শতাংশ।
ব্যাখ্যা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার পর পূর্ববর্তী সরকারের দর্শনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে বিগত জেলা প্রশাসক সম্মেলনগুলোর তুলনায় এ বছর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার কম হয়েছে।
এক প্রশ্নে আব্দুর রশীদ বলেন, ‘গত বছর ডিসি সম্মেলনের বাজেট ছিল ২ কোটি টাকার কিছু বেশি। এবার আমরা ১ কোটি ৭০ লাখ বা এর কাছাকাছি রাখার চেষ্টা করব। আশা করছি এর থেকে কিছু টাকা আমরা বাঁচাতেও পারব।’
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ভিডিও মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দেখানোর মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবারের জেলা প্রশাসক সম্মেলন। নিজের কার্যালয়ের শাপলা হলে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। সম্মেলনের কার্য-অধিবেশনগুলো হবে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ গতকাল শনিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
জুলাই আন্দোলন নিয়ে ডিসিদের কী বার্তা দেবেন—এ প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরুই হবে একটি (জুলাই আন্দোলন) ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে। এই আন্দোলনটা কীভাবে হয়েছিল, কীভাবে আন্দোলনের ফল লাভ হলো, সেই বিবরণ সেখানে থাকবে। ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের পরেই এটি দেখানো হবে। সুতরাং আপনারা বুঝতে পারছেন আমরা সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে এটা দেখতে চাইছি।’ এ ছাড়া বিপ্লবোত্তর আইনশৃঙ্খলার বিষয়টিও তোলা হবে বলে জানান সচিব।
এবার সম্মেলনে ৩৪টি কার্য-অধিবেশন হবে জানিয়ে আব্দুর রশীদ বলেন, বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের কাছ থেকে ১ হাজার ২৪৫টি প্রস্তাব এসেছে। তার মধ্যে কার্যপত্রে অন্তর্ভুক্ত হওয়া ৩৫৪টি প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে।
আলোচনায় ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদার করা; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম; স্থানীয় পর্যায়ে কর্ম-সৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন; সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন; তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স; শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ; স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবারকল্যাণ; পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণরোধ; ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও সমন্বয়ের বিষয়গুলোকে আলোচনার জন্য প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডিসিদের মুক্ত আলোচনা, বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সভা, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ডিসিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে ডিসিদের কার্য-অধিবেশন রয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ডিসিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ রাখা হয়নি।
কেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ডিসিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ রাখা হয়নি—সেই প্রশ্নে আব্দুর রশীদ বলেন, ‘ওনার (রাষ্ট্রপতি) শিডিউলের সঙ্গে মেলেনি।’
গত বছর ডিসি সম্মেলনে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কমেছে। ২০২৪ সালের সম্মেলনের ৪৬ শতাংশ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত বছর ডিসি সম্মেলনে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি মোট ৩৮১টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে ১৭৭টি। বাস্তবায়নাধীন রয়েছে ২০৪টি। বাস্তবায়নের হার ৪৬ শতাংশ।
ব্যাখ্যা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার পর পূর্ববর্তী সরকারের দর্শনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে বিগত জেলা প্রশাসক সম্মেলনগুলোর তুলনায় এ বছর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার কম হয়েছে।
এক প্রশ্নে আব্দুর রশীদ বলেন, ‘গত বছর ডিসি সম্মেলনের বাজেট ছিল ২ কোটি টাকার কিছু বেশি। এবার আমরা ১ কোটি ৭০ লাখ বা এর কাছাকাছি রাখার চেষ্টা করব। আশা করছি এর থেকে কিছু টাকা আমরা বাঁচাতেও পারব।’
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থাতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে
৩১ মিনিট আগেসব ঠিক থাকলে মাস ছয়েক পরে জাতীয় নির্বাচন। প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার পর জোরেশোরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচনের কাজে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা। পুলিশও প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের দায়িত্ব পালনে। এ জন্য ভোটের মাঠে যেসব উপপরিদর্শক (এসআই) ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দায়িত্ব পালন করবেন,
১ ঘণ্টা আগেগত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
৬ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গণমাধ্যমে স্বচ্ছতা, সুরক্ষা ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে এই মূল্যবোধ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধির জন্য সব অংশীজনের একসঙ্গে কাজ করা দরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো গণমাধ্যমে সম্পাদকীয়, পরিচালনাগত বা ব্যবসায়িক দিকগুলোতে হস্তক্ষেপ করেনি।
৭ ঘণ্টা আগে