নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের অন্যতম দাবি ছিল বৈষম্যবিলোপ। অথচ সেই আন্দোলনের পর গঠিত সরকারের দেওয়া বাজেটে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রয়ে গেছে বৈষম্যের ছাপ। প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা করে এমন মতই দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ গতকাল সোমবার বাজেট উপস্থাপন করেছেন। এর পরদিন আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত লেকশোর হোটেলে বাজেট নিয়ে নিজেদের পর্যালোচনা তুলে ধরে সিপিডি।
প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে জমি ও ফ্ল্যাট কেনায় নির্দিষ্ট হারে কালোটাকা বৈধ করার সুযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে।
‘জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬: সিপিডির পর্যালোচনা’ শীর্ষক আয়োজনে নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘সিপিডি সব সময়ই বলে এসেছে—অপ্রদর্শিত অর্থ, অর্থাৎ কালোটাকা বৈধ করার সুযোগ পুরোপুরি বন্ধ করা উচিত। এটি নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করার শামিল। এ প্রস্তাবটি বাজেট থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। এ প্রস্তাব বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা সৃষ্টি করে, যা বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে বাজেট ঘোষণার মূল অঙ্গীকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
কালোটাকা সাদা করার বিষয়ে সিপিডির অবস্থান তুলে ধরে ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, এটা বৈষম্যবিরোধী জুলাই বিপ্লবের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই আন্দোলনের প্রতি সম্মান জানাতে হলে বাজেট থেকে এই বিতর্কিত প্রস্তাব প্রত্যাহার করা জরুরি।
উদাহরণ দিয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, আবাসন খাতের মূল্য অনেক বেশি। এর কারণ এই অপ্রদর্শিত অর্থ। এই অর্থ সেই খাতে সেটার দাম বাড়িয়ে দেয়। ফলে যাঁরা বৈধভাবে আয় করেন তাঁদের জন্য একটা অ্যাপার্টমেন্ট কেনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এতে সমাজে বৈষম্যের সৃষ্টি হয়। জুলাই আন্দোলন হয়েছিল বৈষম্যহীন সমাজের জন্য। বাজেটের প্রত্যয়টা বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করার, সেটার সঙ্গে এ প্রস্তাব চরমভাবে সাংঘর্ষিক।
করকাঠামো বিন্যাসের ক্ষেত্রেও বাজেটে বৈষম্য করা হয়েছে বলে মত দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, ‘বাজেটে প্রবৃদ্ধির বদলে সামগ্রিক উন্নয়ন ও অবকাঠামোর বদলে মানুষের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার যে কথা বলা হয়েছে, কিছু কিছু উদ্যোগ তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মনে করে সিপিডি। করকাঠামো বিন্যাস করতে গিয়ে ছয়টি শ্রেণি করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, নিম্নবিত্ত মানুষের করহার বেশি হবে; কিন্তু উচ্চবিত্তদের কম পড়বে। এটা বৈষম্যমূলক।’
সারা দেশে অঞ্চলভেদে যে ৫ হাজার টাকার করসীমা করা হয়েছে, এটিও বৈষম্যের মধ্যে পড়ে বলে জানান ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকা এবং অন্যান্য জেলায় সেবার সমান সুযোগ থাকে না।
উন্নয়ন বাজেটের আকার নিয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, উন্নয়ন বাজেটের আকার এবার ছোট করা হয়েছে। তবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে উন্নয়ন ব্যয় কমানো উদ্বেগজনক।
প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু ইতিবাচক দিক থাকলেও সামগ্রিকভাবে চলমান অর্থনৈতিক সংকট আমলে নেওয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেন ফাহমিদ খাতুন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের সংকট মোকাবিলায় এসব সংকট আমলে নেওয়া দরকার ছিল। বিশেষ করে রাজস্ব-সংক্রান্ত বেশ কিছু উদ্যোগ বাজেটে ঘোষিত সমতামুখী ও টেকসই উন্নয়ন কাঠামোর ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, বাজেটে পাচার করা অর্থ সম্পর্কে স্পষ্ট খতিয়ান উপস্থাপন করা হয়নি। একদিকে কালোটাকা বৈধ করার প্রস্তাব, অন্যদিকে অর্থ পাচার নিয়ে নীরবতা—সরকারের ঘোষিত নীতির সঙ্গে এর বৈপরীত্য রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
ভবিষ্যতে করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় উন্নীত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সিপিডি। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য তহবিল গঠনের সিদ্ধান্তকেও সাধুবাদ জানায় সংস্থাটি।
অন্যদিকে শিল্পের ক্ষেত্রে কিছু ভালো উদ্যোগ লক্ষ্য করা গেছে বলে জানায় সিপিডি। তবে তারা মনে করে, ক্ষতি পোষাতে সাশ্রয়ী ঋণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির তুলনামূলক সস্তা সরবরাহ থাকা দরকার।
প্রস্তাবিত বাজেটে যুক্তরাষ্ট্রকে আমদানি শুল্ক-করহার পর্যায়ক্রমে হ্রাস এবং দেশটির ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হযেছে। পাশাপাশি ৬৫টি পণ্যের আমদানি শুল্ক হ্রাস,৯টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার এবং ৪৪২টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক হ্রাস করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এভাবে শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়ম অনুযায়ী তা অন্যান্য দেশকেও দিতে হবে বলে জানান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, ‘তা করতে না পারলে বৈষম্য হবে। আবার সবাইকে সুযোগ দিলে বিশাল রাজস্ব হারাবে সরকার। এজন্য রাজস্ব আদায়ে দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। তাই ভালোভাবে বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাজেটের মূল দর্শন হওয়া উচিত ছিল রাজস্বনীতির মাধ্যমে আয়বৈষম্য হ্রাস। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনেও এটি প্রধান দাবি হিসেবে উঠে এসেছে। বাজেটে কর ও অন্যান্য নীতির মাধ্যমে বৈষম্য কমানোর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ফলে নীতিগত দিক থেকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত মেলে না।
অনুষ্ঠানে সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান, গবেষণা ফেলো মুনতাসীর কামাল, সৈয়দ ইউসুফ শাহাদাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের অন্যতম দাবি ছিল বৈষম্যবিলোপ। অথচ সেই আন্দোলনের পর গঠিত সরকারের দেওয়া বাজেটে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রয়ে গেছে বৈষম্যের ছাপ। প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা করে এমন মতই দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ গতকাল সোমবার বাজেট উপস্থাপন করেছেন। এর পরদিন আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত লেকশোর হোটেলে বাজেট নিয়ে নিজেদের পর্যালোচনা তুলে ধরে সিপিডি।
প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে জমি ও ফ্ল্যাট কেনায় নির্দিষ্ট হারে কালোটাকা বৈধ করার সুযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে।
‘জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬: সিপিডির পর্যালোচনা’ শীর্ষক আয়োজনে নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘সিপিডি সব সময়ই বলে এসেছে—অপ্রদর্শিত অর্থ, অর্থাৎ কালোটাকা বৈধ করার সুযোগ পুরোপুরি বন্ধ করা উচিত। এটি নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করার শামিল। এ প্রস্তাবটি বাজেট থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। এ প্রস্তাব বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা সৃষ্টি করে, যা বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে বাজেট ঘোষণার মূল অঙ্গীকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
কালোটাকা সাদা করার বিষয়ে সিপিডির অবস্থান তুলে ধরে ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, এটা বৈষম্যবিরোধী জুলাই বিপ্লবের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই আন্দোলনের প্রতি সম্মান জানাতে হলে বাজেট থেকে এই বিতর্কিত প্রস্তাব প্রত্যাহার করা জরুরি।
উদাহরণ দিয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, আবাসন খাতের মূল্য অনেক বেশি। এর কারণ এই অপ্রদর্শিত অর্থ। এই অর্থ সেই খাতে সেটার দাম বাড়িয়ে দেয়। ফলে যাঁরা বৈধভাবে আয় করেন তাঁদের জন্য একটা অ্যাপার্টমেন্ট কেনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এতে সমাজে বৈষম্যের সৃষ্টি হয়। জুলাই আন্দোলন হয়েছিল বৈষম্যহীন সমাজের জন্য। বাজেটের প্রত্যয়টা বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করার, সেটার সঙ্গে এ প্রস্তাব চরমভাবে সাংঘর্ষিক।
করকাঠামো বিন্যাসের ক্ষেত্রেও বাজেটে বৈষম্য করা হয়েছে বলে মত দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, ‘বাজেটে প্রবৃদ্ধির বদলে সামগ্রিক উন্নয়ন ও অবকাঠামোর বদলে মানুষের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার যে কথা বলা হয়েছে, কিছু কিছু উদ্যোগ তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মনে করে সিপিডি। করকাঠামো বিন্যাস করতে গিয়ে ছয়টি শ্রেণি করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, নিম্নবিত্ত মানুষের করহার বেশি হবে; কিন্তু উচ্চবিত্তদের কম পড়বে। এটা বৈষম্যমূলক।’
সারা দেশে অঞ্চলভেদে যে ৫ হাজার টাকার করসীমা করা হয়েছে, এটিও বৈষম্যের মধ্যে পড়ে বলে জানান ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকা এবং অন্যান্য জেলায় সেবার সমান সুযোগ থাকে না।
উন্নয়ন বাজেটের আকার নিয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, উন্নয়ন বাজেটের আকার এবার ছোট করা হয়েছে। তবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে উন্নয়ন ব্যয় কমানো উদ্বেগজনক।
প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু ইতিবাচক দিক থাকলেও সামগ্রিকভাবে চলমান অর্থনৈতিক সংকট আমলে নেওয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেন ফাহমিদ খাতুন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের সংকট মোকাবিলায় এসব সংকট আমলে নেওয়া দরকার ছিল। বিশেষ করে রাজস্ব-সংক্রান্ত বেশ কিছু উদ্যোগ বাজেটে ঘোষিত সমতামুখী ও টেকসই উন্নয়ন কাঠামোর ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, বাজেটে পাচার করা অর্থ সম্পর্কে স্পষ্ট খতিয়ান উপস্থাপন করা হয়নি। একদিকে কালোটাকা বৈধ করার প্রস্তাব, অন্যদিকে অর্থ পাচার নিয়ে নীরবতা—সরকারের ঘোষিত নীতির সঙ্গে এর বৈপরীত্য রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
ভবিষ্যতে করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় উন্নীত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সিপিডি। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য তহবিল গঠনের সিদ্ধান্তকেও সাধুবাদ জানায় সংস্থাটি।
অন্যদিকে শিল্পের ক্ষেত্রে কিছু ভালো উদ্যোগ লক্ষ্য করা গেছে বলে জানায় সিপিডি। তবে তারা মনে করে, ক্ষতি পোষাতে সাশ্রয়ী ঋণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির তুলনামূলক সস্তা সরবরাহ থাকা দরকার।
প্রস্তাবিত বাজেটে যুক্তরাষ্ট্রকে আমদানি শুল্ক-করহার পর্যায়ক্রমে হ্রাস এবং দেশটির ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হযেছে। পাশাপাশি ৬৫টি পণ্যের আমদানি শুল্ক হ্রাস,৯টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার এবং ৪৪২টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক হ্রাস করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এভাবে শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়ম অনুযায়ী তা অন্যান্য দেশকেও দিতে হবে বলে জানান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, ‘তা করতে না পারলে বৈষম্য হবে। আবার সবাইকে সুযোগ দিলে বিশাল রাজস্ব হারাবে সরকার। এজন্য রাজস্ব আদায়ে দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। তাই ভালোভাবে বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাজেটের মূল দর্শন হওয়া উচিত ছিল রাজস্বনীতির মাধ্যমে আয়বৈষম্য হ্রাস। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনেও এটি প্রধান দাবি হিসেবে উঠে এসেছে। বাজেটে কর ও অন্যান্য নীতির মাধ্যমে বৈষম্য কমানোর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ফলে নীতিগত দিক থেকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত মেলে না।
অনুষ্ঠানে সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান, গবেষণা ফেলো মুনতাসীর কামাল, সৈয়দ ইউসুফ শাহাদাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের অন্যতম দাবি ছিল বৈষম্যবিলোপ। অথচ সেই আন্দোলনের পর গঠিত সরকারের দেওয়া বাজেটে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রয়ে গেছে বৈষম্যের ছাপ। প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা করে এমন মতই দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ গতকাল সোমবার বাজেট উপস্থাপন করেছেন। এর পরদিন আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত লেকশোর হোটেলে বাজেট নিয়ে নিজেদের পর্যালোচনা তুলে ধরে সিপিডি।
প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে জমি ও ফ্ল্যাট কেনায় নির্দিষ্ট হারে কালোটাকা বৈধ করার সুযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে।
‘জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬: সিপিডির পর্যালোচনা’ শীর্ষক আয়োজনে নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘সিপিডি সব সময়ই বলে এসেছে—অপ্রদর্শিত অর্থ, অর্থাৎ কালোটাকা বৈধ করার সুযোগ পুরোপুরি বন্ধ করা উচিত। এটি নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করার শামিল। এ প্রস্তাবটি বাজেট থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। এ প্রস্তাব বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা সৃষ্টি করে, যা বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে বাজেট ঘোষণার মূল অঙ্গীকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
কালোটাকা সাদা করার বিষয়ে সিপিডির অবস্থান তুলে ধরে ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, এটা বৈষম্যবিরোধী জুলাই বিপ্লবের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই আন্দোলনের প্রতি সম্মান জানাতে হলে বাজেট থেকে এই বিতর্কিত প্রস্তাব প্রত্যাহার করা জরুরি।
উদাহরণ দিয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, আবাসন খাতের মূল্য অনেক বেশি। এর কারণ এই অপ্রদর্শিত অর্থ। এই অর্থ সেই খাতে সেটার দাম বাড়িয়ে দেয়। ফলে যাঁরা বৈধভাবে আয় করেন তাঁদের জন্য একটা অ্যাপার্টমেন্ট কেনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এতে সমাজে বৈষম্যের সৃষ্টি হয়। জুলাই আন্দোলন হয়েছিল বৈষম্যহীন সমাজের জন্য। বাজেটের প্রত্যয়টা বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করার, সেটার সঙ্গে এ প্রস্তাব চরমভাবে সাংঘর্ষিক।
করকাঠামো বিন্যাসের ক্ষেত্রেও বাজেটে বৈষম্য করা হয়েছে বলে মত দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, ‘বাজেটে প্রবৃদ্ধির বদলে সামগ্রিক উন্নয়ন ও অবকাঠামোর বদলে মানুষের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার যে কথা বলা হয়েছে, কিছু কিছু উদ্যোগ তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মনে করে সিপিডি। করকাঠামো বিন্যাস করতে গিয়ে ছয়টি শ্রেণি করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, নিম্নবিত্ত মানুষের করহার বেশি হবে; কিন্তু উচ্চবিত্তদের কম পড়বে। এটা বৈষম্যমূলক।’
সারা দেশে অঞ্চলভেদে যে ৫ হাজার টাকার করসীমা করা হয়েছে, এটিও বৈষম্যের মধ্যে পড়ে বলে জানান ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকা এবং অন্যান্য জেলায় সেবার সমান সুযোগ থাকে না।
উন্নয়ন বাজেটের আকার নিয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, উন্নয়ন বাজেটের আকার এবার ছোট করা হয়েছে। তবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে উন্নয়ন ব্যয় কমানো উদ্বেগজনক।
প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু ইতিবাচক দিক থাকলেও সামগ্রিকভাবে চলমান অর্থনৈতিক সংকট আমলে নেওয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেন ফাহমিদ খাতুন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের সংকট মোকাবিলায় এসব সংকট আমলে নেওয়া দরকার ছিল। বিশেষ করে রাজস্ব-সংক্রান্ত বেশ কিছু উদ্যোগ বাজেটে ঘোষিত সমতামুখী ও টেকসই উন্নয়ন কাঠামোর ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, বাজেটে পাচার করা অর্থ সম্পর্কে স্পষ্ট খতিয়ান উপস্থাপন করা হয়নি। একদিকে কালোটাকা বৈধ করার প্রস্তাব, অন্যদিকে অর্থ পাচার নিয়ে নীরবতা—সরকারের ঘোষিত নীতির সঙ্গে এর বৈপরীত্য রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
ভবিষ্যতে করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় উন্নীত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সিপিডি। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য তহবিল গঠনের সিদ্ধান্তকেও সাধুবাদ জানায় সংস্থাটি।
অন্যদিকে শিল্পের ক্ষেত্রে কিছু ভালো উদ্যোগ লক্ষ্য করা গেছে বলে জানায় সিপিডি। তবে তারা মনে করে, ক্ষতি পোষাতে সাশ্রয়ী ঋণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির তুলনামূলক সস্তা সরবরাহ থাকা দরকার।
প্রস্তাবিত বাজেটে যুক্তরাষ্ট্রকে আমদানি শুল্ক-করহার পর্যায়ক্রমে হ্রাস এবং দেশটির ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হযেছে। পাশাপাশি ৬৫টি পণ্যের আমদানি শুল্ক হ্রাস,৯টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার এবং ৪৪২টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক হ্রাস করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এভাবে শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়ম অনুযায়ী তা অন্যান্য দেশকেও দিতে হবে বলে জানান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, ‘তা করতে না পারলে বৈষম্য হবে। আবার সবাইকে সুযোগ দিলে বিশাল রাজস্ব হারাবে সরকার। এজন্য রাজস্ব আদায়ে দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। তাই ভালোভাবে বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাজেটের মূল দর্শন হওয়া উচিত ছিল রাজস্বনীতির মাধ্যমে আয়বৈষম্য হ্রাস। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনেও এটি প্রধান দাবি হিসেবে উঠে এসেছে। বাজেটে কর ও অন্যান্য নীতির মাধ্যমে বৈষম্য কমানোর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ফলে নীতিগত দিক থেকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত মেলে না।
অনুষ্ঠানে সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান, গবেষণা ফেলো মুনতাসীর কামাল, সৈয়দ ইউসুফ শাহাদাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের অন্যতম দাবি ছিল বৈষম্যবিলোপ। অথচ সেই আন্দোলনের পর গঠিত সরকারের দেওয়া বাজেটে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রয়ে গেছে বৈষম্যের ছাপ। প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা করে এমন মতই দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ গতকাল সোমবার বাজেট উপস্থাপন করেছেন। এর পরদিন আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত লেকশোর হোটেলে বাজেট নিয়ে নিজেদের পর্যালোচনা তুলে ধরে সিপিডি।
প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে জমি ও ফ্ল্যাট কেনায় নির্দিষ্ট হারে কালোটাকা বৈধ করার সুযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে।
‘জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬: সিপিডির পর্যালোচনা’ শীর্ষক আয়োজনে নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘সিপিডি সব সময়ই বলে এসেছে—অপ্রদর্শিত অর্থ, অর্থাৎ কালোটাকা বৈধ করার সুযোগ পুরোপুরি বন্ধ করা উচিত। এটি নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করার শামিল। এ প্রস্তাবটি বাজেট থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। এ প্রস্তাব বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা সৃষ্টি করে, যা বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে বাজেট ঘোষণার মূল অঙ্গীকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
কালোটাকা সাদা করার বিষয়ে সিপিডির অবস্থান তুলে ধরে ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, এটা বৈষম্যবিরোধী জুলাই বিপ্লবের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই আন্দোলনের প্রতি সম্মান জানাতে হলে বাজেট থেকে এই বিতর্কিত প্রস্তাব প্রত্যাহার করা জরুরি।
উদাহরণ দিয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, আবাসন খাতের মূল্য অনেক বেশি। এর কারণ এই অপ্রদর্শিত অর্থ। এই অর্থ সেই খাতে সেটার দাম বাড়িয়ে দেয়। ফলে যাঁরা বৈধভাবে আয় করেন তাঁদের জন্য একটা অ্যাপার্টমেন্ট কেনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এতে সমাজে বৈষম্যের সৃষ্টি হয়। জুলাই আন্দোলন হয়েছিল বৈষম্যহীন সমাজের জন্য। বাজেটের প্রত্যয়টা বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করার, সেটার সঙ্গে এ প্রস্তাব চরমভাবে সাংঘর্ষিক।
করকাঠামো বিন্যাসের ক্ষেত্রেও বাজেটে বৈষম্য করা হয়েছে বলে মত দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, ‘বাজেটে প্রবৃদ্ধির বদলে সামগ্রিক উন্নয়ন ও অবকাঠামোর বদলে মানুষের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার যে কথা বলা হয়েছে, কিছু কিছু উদ্যোগ তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মনে করে সিপিডি। করকাঠামো বিন্যাস করতে গিয়ে ছয়টি শ্রেণি করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, নিম্নবিত্ত মানুষের করহার বেশি হবে; কিন্তু উচ্চবিত্তদের কম পড়বে। এটা বৈষম্যমূলক।’
সারা দেশে অঞ্চলভেদে যে ৫ হাজার টাকার করসীমা করা হয়েছে, এটিও বৈষম্যের মধ্যে পড়ে বলে জানান ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকা এবং অন্যান্য জেলায় সেবার সমান সুযোগ থাকে না।
উন্নয়ন বাজেটের আকার নিয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, উন্নয়ন বাজেটের আকার এবার ছোট করা হয়েছে। তবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে উন্নয়ন ব্যয় কমানো উদ্বেগজনক।
প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু ইতিবাচক দিক থাকলেও সামগ্রিকভাবে চলমান অর্থনৈতিক সংকট আমলে নেওয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেন ফাহমিদ খাতুন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের সংকট মোকাবিলায় এসব সংকট আমলে নেওয়া দরকার ছিল। বিশেষ করে রাজস্ব-সংক্রান্ত বেশ কিছু উদ্যোগ বাজেটে ঘোষিত সমতামুখী ও টেকসই উন্নয়ন কাঠামোর ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, বাজেটে পাচার করা অর্থ সম্পর্কে স্পষ্ট খতিয়ান উপস্থাপন করা হয়নি। একদিকে কালোটাকা বৈধ করার প্রস্তাব, অন্যদিকে অর্থ পাচার নিয়ে নীরবতা—সরকারের ঘোষিত নীতির সঙ্গে এর বৈপরীত্য রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
ভবিষ্যতে করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় উন্নীত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সিপিডি। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য তহবিল গঠনের সিদ্ধান্তকেও সাধুবাদ জানায় সংস্থাটি।
অন্যদিকে শিল্পের ক্ষেত্রে কিছু ভালো উদ্যোগ লক্ষ্য করা গেছে বলে জানায় সিপিডি। তবে তারা মনে করে, ক্ষতি পোষাতে সাশ্রয়ী ঋণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির তুলনামূলক সস্তা সরবরাহ থাকা দরকার।
প্রস্তাবিত বাজেটে যুক্তরাষ্ট্রকে আমদানি শুল্ক-করহার পর্যায়ক্রমে হ্রাস এবং দেশটির ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হযেছে। পাশাপাশি ৬৫টি পণ্যের আমদানি শুল্ক হ্রাস,৯টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার এবং ৪৪২টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক হ্রাস করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এভাবে শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়ম অনুযায়ী তা অন্যান্য দেশকেও দিতে হবে বলে জানান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, ‘তা করতে না পারলে বৈষম্য হবে। আবার সবাইকে সুযোগ দিলে বিশাল রাজস্ব হারাবে সরকার। এজন্য রাজস্ব আদায়ে দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। তাই ভালোভাবে বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাজেটের মূল দর্শন হওয়া উচিত ছিল রাজস্বনীতির মাধ্যমে আয়বৈষম্য হ্রাস। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনেও এটি প্রধান দাবি হিসেবে উঠে এসেছে। বাজেটে কর ও অন্যান্য নীতির মাধ্যমে বৈষম্য কমানোর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ফলে নীতিগত দিক থেকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত মেলে না।
অনুষ্ঠানে সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান, গবেষণা ফেলো মুনতাসীর কামাল, সৈয়দ ইউসুফ শাহাদাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন সাবেক এপিএসের নৌযান জব্দের আবেদনে বলেন, আসামি মনির হোসেন ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৫৬ হাজার ১৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে নিজের ভোগদখলে রেখেছেন।
১৩ মিনিট আগে
কাজী আনিস আহমেদের ক্রোক হওয়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ৪৯ দশমিক ৪৩ একর জমি ও গুলশানের একটি প্লট। এসব সম্পদের দাম ৭ কোটি ২০ লাখ ৭২ হাজার ৮৪৬ টাকা।
৪২ মিনিট আগে
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী বছর ২০২৬ সালে সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি, যার মধ্যে ১১ দিনই পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিং করে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মনির হোসেনের নামে থাকা দুটি নৌযান জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
নৌযান দুটি হচ্ছে এমডি সেইলর-১ ও এমডি সেইলর-২; যার মূল্য ১০ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন সাবেক এপিএসের নৌযান জব্দের আবেদনে বলেন, আসামি মনির হোসেন ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৫৬ হাজার ১৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে নিজের ভোগদখলে রেখেছেন।
তিনি নিজ নামে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে ৩১ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৮৩৪ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে সন্দেহজনক অসংখ্য লেনদেন করেন।
এই অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১), মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় মনির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
আসামি তাঁর সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। মামলা নিষ্পত্তির আগে এসব সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তাই এসব সম্পদ জব্দ একান্ত প্রয়োজন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মনির হোসেনের নামে থাকা দুটি নৌযান জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
নৌযান দুটি হচ্ছে এমডি সেইলর-১ ও এমডি সেইলর-২; যার মূল্য ১০ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন সাবেক এপিএসের নৌযান জব্দের আবেদনে বলেন, আসামি মনির হোসেন ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৫৬ হাজার ১৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে নিজের ভোগদখলে রেখেছেন।
তিনি নিজ নামে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে ৩১ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৮৩৪ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে সন্দেহজনক অসংখ্য লেনদেন করেন।
এই অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১), মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় মনির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
আসামি তাঁর সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। মামলা নিষ্পত্তির আগে এসব সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তাই এসব সম্পদ জব্দ একান্ত প্রয়োজন।

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের অন্যতম দাবি ছিল বৈষম্যবিলোপ। অথচ সেই আন্দোলনের পর গঠিত সরকারের দেওয়া বাজেটে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রয়ে গেছে বৈষম্যের ছাপ। প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা করে এমন মতই দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
০৩ জুন ২০২৫
কাজী আনিস আহমেদের ক্রোক হওয়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ৪৯ দশমিক ৪৩ একর জমি ও গুলশানের একটি প্লট। এসব সম্পদের দাম ৭ কোটি ২০ লাখ ৭২ হাজার ৮৪৬ টাকা।
৪২ মিনিট আগে
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী বছর ২০২৬ সালে সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি, যার মধ্যে ১১ দিনই পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিং করে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেমকন গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাজী আনিস আহমেদের ৭ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক ও ১০৭ কোটি টাকার হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
কাজী আনিস আহমেদের ক্রোক হওয়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ৪৯ দশমিক ৪৩ একর জমি ও গুলশানের একটি প্লট। এসব সম্পদের দাম ৭ কোটি ২০ লাখ ৭২ হাজার ৮৪৬ টাকা।
আর অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৩৯টি বিও হিসাবের ৮৪ কোটি ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮২৫ টাকা। এ ছাড়া রয়েছে ২০টি ব্যাংক হিসাবের ২২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
কাজী আনিস আহমেদের এসব সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধের নির্দেশ চেয়ে আদালতের কাছে করা আবেদনে দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিন বলেন, জেমকন গ্রুপের সিইও আসামি কাজী আনিস আহমেদ অবৈধভাবে বিপুল অর্থ ও সম্পদের মালিক হয়েছেন। তিনি জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৮০ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ৮৯৫ টাকার সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন। এই অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর মামলা করে দুদক।
আবেদনে বলা হয়, কাজী আনিস আহমেদ নিজের, যৌথ ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত ২০টি হিসাবে ৪০ কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৬৫১ টাকা জমা ও ৩৮ কোটি ৪৫ লাখ ৩০ হাজার ৩০৪ টাকা উত্তোলন করেছেন, যা তিনি তাঁর ব্যবসায় যে পরিমাণ মূলধন বিনিয়োগ করেছেন, তার তুলনায় অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক মর্মে প্রতীয়মান হয়। মানি লন্ডারিং আইনেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলার তদন্তকালে কাজী আনিসের স্থাবর ও অস্থাবর যেসব সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে, তা ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। কারণ, দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে, এসব সম্পদ তিনি বিক্রি, হস্তান্তর ও স্থানান্তর করতে পারেন। যদি তা হয়, তাহলে মামলার তদন্তে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে এবং অবৈধ সম্পদ তিনি অন্যত্র সরিয়ে ফেললে রাষ্ট্রের ক্ষতি হবে।
একই তদন্ত কর্মকর্তা আজ কাজী আনিসের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করলে আদালত সেই আবেদনও মঞ্জুর করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেমকন গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাজী আনিস আহমেদের ৭ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক ও ১০৭ কোটি টাকার হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
কাজী আনিস আহমেদের ক্রোক হওয়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ৪৯ দশমিক ৪৩ একর জমি ও গুলশানের একটি প্লট। এসব সম্পদের দাম ৭ কোটি ২০ লাখ ৭২ হাজার ৮৪৬ টাকা।
আর অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৩৯টি বিও হিসাবের ৮৪ কোটি ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮২৫ টাকা। এ ছাড়া রয়েছে ২০টি ব্যাংক হিসাবের ২২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
কাজী আনিস আহমেদের এসব সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধের নির্দেশ চেয়ে আদালতের কাছে করা আবেদনে দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিন বলেন, জেমকন গ্রুপের সিইও আসামি কাজী আনিস আহমেদ অবৈধভাবে বিপুল অর্থ ও সম্পদের মালিক হয়েছেন। তিনি জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৮০ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ৮৯৫ টাকার সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন। এই অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর মামলা করে দুদক।
আবেদনে বলা হয়, কাজী আনিস আহমেদ নিজের, যৌথ ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত ২০টি হিসাবে ৪০ কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৬৫১ টাকা জমা ও ৩৮ কোটি ৪৫ লাখ ৩০ হাজার ৩০৪ টাকা উত্তোলন করেছেন, যা তিনি তাঁর ব্যবসায় যে পরিমাণ মূলধন বিনিয়োগ করেছেন, তার তুলনায় অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক মর্মে প্রতীয়মান হয়। মানি লন্ডারিং আইনেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলার তদন্তকালে কাজী আনিসের স্থাবর ও অস্থাবর যেসব সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে, তা ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। কারণ, দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে, এসব সম্পদ তিনি বিক্রি, হস্তান্তর ও স্থানান্তর করতে পারেন। যদি তা হয়, তাহলে মামলার তদন্তে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে এবং অবৈধ সম্পদ তিনি অন্যত্র সরিয়ে ফেললে রাষ্ট্রের ক্ষতি হবে।
একই তদন্ত কর্মকর্তা আজ কাজী আনিসের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করলে আদালত সেই আবেদনও মঞ্জুর করেন।

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের অন্যতম দাবি ছিল বৈষম্যবিলোপ। অথচ সেই আন্দোলনের পর গঠিত সরকারের দেওয়া বাজেটে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রয়ে গেছে বৈষম্যের ছাপ। প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা করে এমন মতই দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
০৩ জুন ২০২৫
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন সাবেক এপিএসের নৌযান জব্দের আবেদনে বলেন, আসামি মনির হোসেন ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৫৬ হাজার ১৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে নিজের ভোগদখলে রেখেছেন।
১৩ মিনিট আগে
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী বছর ২০২৬ সালে সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি, যার মধ্যে ১১ দিনই পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিং করে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গ্রাহকদের ৮৫৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় এক্সিম ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন।
গ্রাহকদের শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় আজ বিকেলে ফিরোজ হোসেনকে আদালতে হাজির করে দুদক।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
অন্যদিকে ফিরোজের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের বিশেষ পিপি দেলোয়ার জাহান রুমি তাঁর জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে আজ দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে দুদকের সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজের নেতৃত্বে একটি দল সাবেক এমডিকে গ্রেপ্তার করে।
এক্সিম ব্যাংকের ৮৫৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে গত ১৭ আগস্ট ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ও এমডি ফিরোজ হোসেনসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
ওকে: জসীম
জাতীয়
ট্যাগ: এক্সিম ব্যাংক, এমডি, কারাগার, আদালত, টাকা আত্মসাৎ, দুদক
মেটা:
ছবি: Firoz (national)
ক্যাপশন:
পজিশন: ৫

গ্রাহকদের ৮৫৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় এক্সিম ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন।
গ্রাহকদের শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় আজ বিকেলে ফিরোজ হোসেনকে আদালতে হাজির করে দুদক।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
অন্যদিকে ফিরোজের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের বিশেষ পিপি দেলোয়ার জাহান রুমি তাঁর জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে আজ দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে দুদকের সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজের নেতৃত্বে একটি দল সাবেক এমডিকে গ্রেপ্তার করে।
এক্সিম ব্যাংকের ৮৫৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে গত ১৭ আগস্ট ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ও এমডি ফিরোজ হোসেনসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
ওকে: জসীম
জাতীয়
ট্যাগ: এক্সিম ব্যাংক, এমডি, কারাগার, আদালত, টাকা আত্মসাৎ, দুদক
মেটা:
ছবি: Firoz (national)
ক্যাপশন:
পজিশন: ৫

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের অন্যতম দাবি ছিল বৈষম্যবিলোপ। অথচ সেই আন্দোলনের পর গঠিত সরকারের দেওয়া বাজেটে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রয়ে গেছে বৈষম্যের ছাপ। প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা করে এমন মতই দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
০৩ জুন ২০২৫
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন সাবেক এপিএসের নৌযান জব্দের আবেদনে বলেন, আসামি মনির হোসেন ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৫৬ হাজার ১৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে নিজের ভোগদখলে রেখেছেন।
১৩ মিনিট আগে
কাজী আনিস আহমেদের ক্রোক হওয়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ৪৯ দশমিক ৪৩ একর জমি ও গুলশানের একটি প্লট। এসব সম্পদের দাম ৭ কোটি ২০ লাখ ৭২ হাজার ৮৪৬ টাকা।
৪২ মিনিট আগে
আগামী বছর ২০২৬ সালে সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি, যার মধ্যে ১১ দিনই পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিং করে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী বছর ২০২৬ সালে সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি, যার মধ্যে ১১ দিনই পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। সেখানেই ছুটির তালিকা অনুমোদন করা হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিং করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আগামী বছর নির্বাহী আদেশে এবং সাধারণ ছুটি মিলিয়ে মোট ছুটি ২৮ দিন। যার মধ্যে ১১ দিন শুক্র ও শনিবার পড়েছে। মূল ছুটি ১৭ দিন।

আগামী বছর ২০২৬ সালে সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি, যার মধ্যে ১১ দিনই পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। সেখানেই ছুটির তালিকা অনুমোদন করা হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিং করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আগামী বছর নির্বাহী আদেশে এবং সাধারণ ছুটি মিলিয়ে মোট ছুটি ২৮ দিন। যার মধ্যে ১১ দিন শুক্র ও শনিবার পড়েছে। মূল ছুটি ১৭ দিন।

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের অন্যতম দাবি ছিল বৈষম্যবিলোপ। অথচ সেই আন্দোলনের পর গঠিত সরকারের দেওয়া বাজেটে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রয়ে গেছে বৈষম্যের ছাপ। প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা করে এমন মতই দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
০৩ জুন ২০২৫
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন সাবেক এপিএসের নৌযান জব্দের আবেদনে বলেন, আসামি মনির হোসেন ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৫৬ হাজার ১৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে নিজের ভোগদখলে রেখেছেন।
১৩ মিনিট আগে
কাজী আনিস আহমেদের ক্রোক হওয়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ৪৯ দশমিক ৪৩ একর জমি ও গুলশানের একটি প্লট। এসব সম্পদের দাম ৭ কোটি ২০ লাখ ৭২ হাজার ৮৪৬ টাকা।
৪২ মিনিট আগে
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন।
১ ঘণ্টা আগে