Ajker Patrika

মডেল মেঘনা আলমের পাসপোর্ট ফেরতের আবেদন আবারও নামঞ্জুর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত
মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদা দাবির মামলায় আলোচিত মডেল মেঘনা আলমের জব্দ করা পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে করা আবেদন আবারও নামঞ্জুর করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম নামঞ্জুরের এই আদেশ দেন।

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর একই আদালত মেঘনা আলমের পাসপোর্ট ফেরতের আবেদন নামঞ্জুর করেছিলেন।

আজ মেঘনা আলমের পক্ষে তাঁর আইনজীবী মহিমা বাঁধন ও মহাসিন রেজা পলাশ পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে আবেদন করেন। তাঁরা আদালতকে বলেন, পেশাগত কারণে মেঘনা আলমকে প্রায়ই বিদেশ যেতে হয়। তাই তাঁর পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হোক।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এর বিরোধিতা করে বলেন, মামলাটি গুরুতর অভিযোগের। এখনো তদন্ত চলছে। এ কারণে পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে না। শুনানি শেষে আদালত নামঞ্জুর করেন।

এদিকে মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারের সময় জব্দ করা ম্যাকবুক, দুটি মোবাইল ফোনসেট ও ল্যাপটপের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা আজও প্রতিবেদন দাখিল না করায় সেগুলো ফেরতের বিষয়ে আদেশ হয়নি।

গত ২২ জুন মেঘনা আলম তাঁর কাছ থেকে জব্দ করা ম্যাকবুক, পাসপোর্ট, মোবাইল ও ল্যাপটপ জিম্মায় নেওয়ার আবেদন করেন। গত ২৯ জুলাই ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত তদন্ত কর্মকর্তাকে মোবাইল ও ল্যাপটপে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো উপাদান আছে কি না, তা তদন্তের নির্দেশ দেন।

গত ২৮ এপ্রিল মেঘনা আলমের ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল করা হয়। অন্যদিকে আদালত তাঁকে জামিন দেন। ওই দিনই কারামুক্ত হন তিনি। এর পর থেকে তিনি জামিনে আছেন।

গত ৯ এপ্রিল বাসা থেকে আটক হন মেঘনা আলম। পরদিন ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মডেল মেঘনাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ১৭ এপ্রিল কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে মেঘনাকে ধানমন্ডি থানার চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

মেঘনা আলম ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেওয়ান সমির এবং আরও দু-তিনজন পরস্পর যোগসাজশে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনা করেন। এই অভিযোগে গত ১৫ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল আলিম মামলাটি দায়ের করেন।​

মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্তরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য, যারা সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনী ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে ব্ল্যাকমেল করে অর্থ আদায় করতেন।​

অভিযোগে বলা হয়, গত ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি জাপানি রেস্টুরেন্টে এক কূটনীতিকের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনায় বৈঠক করে তারা।​

মেঘনা আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। শুনানি শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার পাসপোর্ট ফেরতের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। অন্যদিকে ল্যাপটপ এবং মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্ট তদন্ত কর্মকর্তা দাখিল না করায় সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। বিচারব্যবস্থা ধীর গতিতে চলছে। আমি ত্বরান্বিত করার দাবি জানাই।’

অবশ্য মেঘনা আলম বলেন, ‘আজ বিজ্ঞ আদালত তদন্ত কর্মকর্তাকে ফরেনসিক রিপোর্ট দাখিল করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

ঘুষ হিসেবে নেওয়া টাকা ভাগাভাগিতে ফাঁকি দেন না তিনি

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ