এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
১৯৮৭ সালের অর্থ আত্মসাতের একটি মামলায় পাঁচ বছরের সাজা হয়েছিল নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খগাখড়ীবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনের। ১৯৮৮ সালে কিছুদিন কারাভোগও করেন তিনি। এরপর হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত হন। ১৯৮৭ সালের ওই মামলা থেকে গত বছর খালাস পান বেলায়েত হোসেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বেলায়েত হোসেন চেয়ারম্যান থাকাকালীন পল্লীপূর্ত কর্মসূচির আওতায় ১৯৮৪-৮৫ অর্থবছরে তিনটি প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ৫১ হাজার ৭৭৬ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। তখন তাঁর বিরুদ্ধে পরিষদের ৯ জন ইউপি সদস্য অভিযোগ করেন। অভিযোগ অনুসন্ধান করে নীলফামারীর তৎকালীন দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে ১৯৮৭ সালের ৩১ মার্চ ডিমলা থানায় মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, খগাখড়ীবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন অনুমোদিত তিনটি প্রকল্পের জন্য ১৯৮৫ সালের ১০ এপ্রিল ডিমলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ৫১ হাজার ৭৭৬ টাকা চেয়ে আবেদন করেন। ১৬ এপ্রিল সমপরিমাণ টাকার চেক প্রদান করা হয় বেলায়েত হোসেনকে। তিনি ওই টাকা পরিষদের জমা-খরচ বইতে জমা দেখান। পরে তা সাবসিডিয়ারি ক্যাশ বই এবং অগ্রিম রেজিস্ট্রারে স্থানান্তর করেন। পরে তিনটি প্রকল্পের মধ্যে একটির আংশিক কাজ করে এবং বাকি দুটির কোনো কাজ না করেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
ওই মামলার তদন্ত শেষে ১৯৮৭ সালের ৮ অক্টোবর চার্জশিট দেয় পুলিশ। বিচার শেষে বেলায়েত হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে পৃথক ধারায় পাঁচ বছর ও দুই বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে আত্মসাৎ করা টাকা তাঁকে জরিমানাও করা হয়। অনাদায়ে তাঁকে আরও এক বছর কারাবাসের নির্দেশ দেন আদালত। নীলফামারীর তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ মো. আলী আজগর খান ১৯৮৮ সালের ১৫ আগস্ট ওই রায় দেন। রায়ের পর বেলায়েত হোসেনকে কারাগারে পাঠান আদালত।
এদিকে বিচারিক আদালতের রায়ের পর একই বছর হাইকোর্টে আপিল করেন বেলায়েত হোসেন। হাইকোর্ট তাঁকে ১৯৮৮ সালের ২ নভেম্বর জামিন দেন। এরপর থেকে মামলাটি আর শুনানি হয়নি। সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী পুরোনো মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দিলে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর বেঞ্চ আপিল গ্রহণ করে গত বছরের ১০ আগস্ট বেলায়েতকে খালাস দেন। এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। রায়ের কপি এসেছে আজকের পত্রিকার হাতে।
খালাসের রায়ে হাইকোর্ট বলেন, বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে আনা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পারেনি। তাই আপিল মঞ্জুর করা হলো এবং বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করা হলো। সেই সঙ্গে তাঁকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হলো।
জানতে চাইলে খালাস পাওয়া ৭১ বছর বয়সী বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তখনকার উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে রাজনৈতিক কারণে বিরোধ ছিল। তিনি সাজানো নাটক করে মামলা করিয়েছেন। আরও একটি মামলা করা হয়েছিল রংপুরে। সেই মামলায়ও তাঁকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এসব মামলার কারণে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দুদকের করা এই মামলায় আড়াই মাস কারাগারে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। পরে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বের হতে হয়েছে।
জানতে চাইলে এই মামলায় থাকা দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী শাহীন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়েছে আসামিকে। দীর্ঘ সময় পার হওয়া খুবই দুঃখজনক। কারণ যৌক্তিক সময়ের মধ্যে বিচার পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। মামলা নিষ্পত্তি করতে দীর্ঘদিন লাগলে বিচারপ্রার্থী তাঁর সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। এই দায় রাষ্ট্রের। শুরুতে আপিলটিতে দুদককে পক্ষে করা হয়নি। সম্প্রতি পুরোনো মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিলে দুদক পক্ষভুক্ত হয়ে শুনানিতে অংশ নেয়। দুদকের পুরোনো আপিলগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
১৯৮৭ সালের অর্থ আত্মসাতের একটি মামলায় পাঁচ বছরের সাজা হয়েছিল নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খগাখড়ীবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনের। ১৯৮৮ সালে কিছুদিন কারাভোগও করেন তিনি। এরপর হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত হন। ১৯৮৭ সালের ওই মামলা থেকে গত বছর খালাস পান বেলায়েত হোসেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বেলায়েত হোসেন চেয়ারম্যান থাকাকালীন পল্লীপূর্ত কর্মসূচির আওতায় ১৯৮৪-৮৫ অর্থবছরে তিনটি প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ৫১ হাজার ৭৭৬ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। তখন তাঁর বিরুদ্ধে পরিষদের ৯ জন ইউপি সদস্য অভিযোগ করেন। অভিযোগ অনুসন্ধান করে নীলফামারীর তৎকালীন দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে ১৯৮৭ সালের ৩১ মার্চ ডিমলা থানায় মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, খগাখড়ীবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন অনুমোদিত তিনটি প্রকল্পের জন্য ১৯৮৫ সালের ১০ এপ্রিল ডিমলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ৫১ হাজার ৭৭৬ টাকা চেয়ে আবেদন করেন। ১৬ এপ্রিল সমপরিমাণ টাকার চেক প্রদান করা হয় বেলায়েত হোসেনকে। তিনি ওই টাকা পরিষদের জমা-খরচ বইতে জমা দেখান। পরে তা সাবসিডিয়ারি ক্যাশ বই এবং অগ্রিম রেজিস্ট্রারে স্থানান্তর করেন। পরে তিনটি প্রকল্পের মধ্যে একটির আংশিক কাজ করে এবং বাকি দুটির কোনো কাজ না করেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
ওই মামলার তদন্ত শেষে ১৯৮৭ সালের ৮ অক্টোবর চার্জশিট দেয় পুলিশ। বিচার শেষে বেলায়েত হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে পৃথক ধারায় পাঁচ বছর ও দুই বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে আত্মসাৎ করা টাকা তাঁকে জরিমানাও করা হয়। অনাদায়ে তাঁকে আরও এক বছর কারাবাসের নির্দেশ দেন আদালত। নীলফামারীর তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ মো. আলী আজগর খান ১৯৮৮ সালের ১৫ আগস্ট ওই রায় দেন। রায়ের পর বেলায়েত হোসেনকে কারাগারে পাঠান আদালত।
এদিকে বিচারিক আদালতের রায়ের পর একই বছর হাইকোর্টে আপিল করেন বেলায়েত হোসেন। হাইকোর্ট তাঁকে ১৯৮৮ সালের ২ নভেম্বর জামিন দেন। এরপর থেকে মামলাটি আর শুনানি হয়নি। সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী পুরোনো মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দিলে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর বেঞ্চ আপিল গ্রহণ করে গত বছরের ১০ আগস্ট বেলায়েতকে খালাস দেন। এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। রায়ের কপি এসেছে আজকের পত্রিকার হাতে।
খালাসের রায়ে হাইকোর্ট বলেন, বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে আনা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পারেনি। তাই আপিল মঞ্জুর করা হলো এবং বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করা হলো। সেই সঙ্গে তাঁকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হলো।
জানতে চাইলে খালাস পাওয়া ৭১ বছর বয়সী বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তখনকার উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে রাজনৈতিক কারণে বিরোধ ছিল। তিনি সাজানো নাটক করে মামলা করিয়েছেন। আরও একটি মামলা করা হয়েছিল রংপুরে। সেই মামলায়ও তাঁকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এসব মামলার কারণে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দুদকের করা এই মামলায় আড়াই মাস কারাগারে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। পরে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বের হতে হয়েছে।
জানতে চাইলে এই মামলায় থাকা দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী শাহীন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়েছে আসামিকে। দীর্ঘ সময় পার হওয়া খুবই দুঃখজনক। কারণ যৌক্তিক সময়ের মধ্যে বিচার পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। মামলা নিষ্পত্তি করতে দীর্ঘদিন লাগলে বিচারপ্রার্থী তাঁর সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। এই দায় রাষ্ট্রের। শুরুতে আপিলটিতে দুদককে পক্ষে করা হয়নি। সম্প্রতি পুরোনো মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিলে দুদক পক্ষভুক্ত হয়ে শুনানিতে অংশ নেয়। দুদকের পুরোনো আপিলগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
নরসিংদীর হাড়িদোয়া নদীর দখলদার ও দূষণকারীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, নরসিংদীর জেলা প্রশাসক এবং নরসিংদীর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালককে এ তালিকা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সরকার জানিয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নানা মানবাধিকার লঙ্ঘন, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল, যার বিচার আন্তর
৩ ঘণ্টা আগেপুলিশ হত্যাকারী ফোর্স হতে পারে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে বিষয় বোঝাতে চেয়েছে, যে অস্ত্রের গুলির ফলে নিশ্চিত মৃত্যু হয়, যেগুলো থেকে বুলেট নির্গত হয়—সেগুলো আমরা এড়িয়ে যাব। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করব। তবে আমরা এটা
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় উদ্বেগ জানিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ মঙ্গলবার দিল্লিতে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রশ্নের জবাবে এই উদ্বেগের কথা জানান।
৫ ঘণ্টা আগে