অনলাইন ডেস্ক
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের তথ্যানুসন্ধান দলের প্রতিবেদনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অকাট্য দলিল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন বাহিনী হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছে বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের টার্গেট করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ১৪০০ মানুষের মধ্যে শিশু ১১৮ জন। এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে, যাতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে যায়। যাঁরা আহত হয়েছিলেন, তাঁদের চিকিৎসাসেবা নিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমাদের তদন্ত সংস্থা ও জাতিসংঘের তদন্তের মধ্যে মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই। তদন্ত সংস্থার প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে প্রকাশিত প্রতিবেদনের (জাতিসংঘের) মিল রয়েছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, তৎকালীন সরকারপ্রধানের দায়দায়িত্বে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো সম্পৃক্ত ছিল। যেসব অফিসার এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণে পাওয়া যাবে, জাতিসংঘ সুপারিশ করেছে তাদের প্রত্যেককে সাসপেন্ড করার জন্য। ন্যায্য ও নিরপেক্ষ বিচার যাতে হতে পারে। আমরা এটার ব্যাপারে সব সময় জোর দিয়েছি। যেহেতু এসব কর্মকর্তা বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য, তাঁদের বরখাস্ত না করা হলে আসামিদের প্রভাবের কারণে সাক্ষীরা আদালতে আসতে ভয় পাবেন। তদন্তপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে এবং বিচারপ্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। জাতিসংঘের শুধু একটা কনসার্ন (উদ্বেগ) আছে মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারটা নিয়ে। মৃত্যুদণ্ড যদি দেওয়াও হয় সেটা যাতে স্থগিত রাখা হয়, এ রকম একটা প্রস্তাব করেছে। যেহেতু আমাদের ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের কাছে ক্ষমতা আছে, তাঁরা কী ধরনের দণ্ড দেবেন কী দেবেন না, সেটা পরে দেখা যাবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদন থেকে এটা স্পষ্ট হয়েছে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও নির্দেশে বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সরাসরি মারণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। যেসব অস্ত্র তারা ব্যবহার করেছে সেটারও পরিসংখ্যান দিয়েছে জাতিসংঘ। শটগানের গুলি ছিল ১২ শতাংশ, পিস্তলের গুলি ছিল ২০ শতাংশ, মিলিটারি রাইফেলের গুলি ছিল ৬৬ শতাংশ এবং অন্যান্য অস্ত্রের আঘাত ছিল ২০ শতাংশ। এই অস্ত্রের ব্যবহার ও আহত-নিহতের পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র ওয়াইডস্প্রেড ও সিস্টেমেটিকভাবে একটা জনগোষ্ঠীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তাদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য। এটা মানবতাবিরোধী অপরাধের পক্ষে একটা সুস্পষ্ট ও জোরালো প্রমাণ। এটি ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে একটা এভিডেন্স হিসেবে ট্রাইব্যুনালে আসবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, যেহেতু জাতিসংঘ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও সর্বজন গ্রহণযোগ্য একটা সংস্থা, তাই এ প্রতিবেদন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। আমরা মনে করি, কোনো দলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে প্রতিবেদনটি করা হয়নি। প্রসিকিউশনের সঙ্গেও কথা বলেননি জাতিসংঘের তদন্তকারীরা। তাঁরা অপরাধীদের সঙ্গে কথা বলেছেন, ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। যেখানে কথা বলা দরকার সেই জায়গায় বলেছেন। সুতরাং এটা অকাট্য দলিল-প্রমাণ হিসেবে এই আদালতে (ট্রাইব্যুনাল) ব্যবহার করা যাবে। সেটা আমরা ব্যবহার করব।
আয়নাঘর সম্পর্কে তাজুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ বছর ধরে সাবেক সরকার সিস্টেমেটিক পদ্ধতিতে বাংলাদেশের ভিন্ন মতকে দমন করার জন্য, গোপনে বন্দী ও গোপনে নির্যাতন যে একটি সংস্কৃতিতে পরিণত করেছিল, সেটা উন্মোচিত হয়েছে। যে বীভৎসতার চিত্র দেখেছি, তা কল্পনা করা যায় না। আমরা দেখেছি এই নির্যাতন কেন্দ্রের আলামত বিনষ্ট করা হয়েছে। যেখানে ঝোলানো হতো সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। যারা নির্যাতন কেন্দ্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল, আমরা তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে চাই।
বিচার সম্পর্কে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিচার তাদের নিজস্ব আইনে করা যায় কি না, এমন কথা উঠছে। সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩, সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত। আইনটির সব আইনের ওপরে বিশেষ মর্যাদা আছে। এই আইনে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে যেসব অপরাধ আছে তার বিচার করা যায়। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর আইনে, র্যাব, বিজিবির কোনো আইনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি ও কমান্ড রেসপনসিবিলিটির বিচার এসব আইনে করার সুযোগ নেই। সুতরাং বাহিনীর মধ্যে থেকে যাঁরা এসব অপরাধ করেছেন, তাঁদের বিচার করার উপযুক্ত ফোরাম হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে আমরা রাষ্ট্রকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলব–নির্দ্বিধায় আদালতের আদেশগুলো তাঁরা যাতে পালন করেন। সব বাহিনী, সব ব্যক্তিকে বলব বিচারব্যবস্থায় সাহায্য করা আপনাদের দায়িত্ব। কোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কখনো রাষ্ট্র ও জনগণের ওপরে হতে পারে না। কোনো ব্যক্তি আইনের ঊর্ধ্বে হতে পারে না। আমি অনুরোধ করব সরকার যাতে জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিষয়টি রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের বিষয়। তবে দলগতভাবে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে সেই অপরাধে দল বা সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আমাদের আইনে আছে। সে ক্ষেত্রে দলের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করা বা অভিযোগ নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। সেটি ভবিষ্যতে করা হবে কি না, আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে অভিযোগ তথ্য-প্রমাণাদি এখনো পর্যন্ত বিদ্যমান আছে। প্রয়োজন হলে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের তথ্যানুসন্ধান দলের প্রতিবেদনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অকাট্য দলিল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন বাহিনী হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছে বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের টার্গেট করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ১৪০০ মানুষের মধ্যে শিশু ১১৮ জন। এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে, যাতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে যায়। যাঁরা আহত হয়েছিলেন, তাঁদের চিকিৎসাসেবা নিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমাদের তদন্ত সংস্থা ও জাতিসংঘের তদন্তের মধ্যে মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই। তদন্ত সংস্থার প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে প্রকাশিত প্রতিবেদনের (জাতিসংঘের) মিল রয়েছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, তৎকালীন সরকারপ্রধানের দায়দায়িত্বে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো সম্পৃক্ত ছিল। যেসব অফিসার এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণে পাওয়া যাবে, জাতিসংঘ সুপারিশ করেছে তাদের প্রত্যেককে সাসপেন্ড করার জন্য। ন্যায্য ও নিরপেক্ষ বিচার যাতে হতে পারে। আমরা এটার ব্যাপারে সব সময় জোর দিয়েছি। যেহেতু এসব কর্মকর্তা বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য, তাঁদের বরখাস্ত না করা হলে আসামিদের প্রভাবের কারণে সাক্ষীরা আদালতে আসতে ভয় পাবেন। তদন্তপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে এবং বিচারপ্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। জাতিসংঘের শুধু একটা কনসার্ন (উদ্বেগ) আছে মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারটা নিয়ে। মৃত্যুদণ্ড যদি দেওয়াও হয় সেটা যাতে স্থগিত রাখা হয়, এ রকম একটা প্রস্তাব করেছে। যেহেতু আমাদের ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের কাছে ক্ষমতা আছে, তাঁরা কী ধরনের দণ্ড দেবেন কী দেবেন না, সেটা পরে দেখা যাবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদন থেকে এটা স্পষ্ট হয়েছে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও নির্দেশে বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সরাসরি মারণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। যেসব অস্ত্র তারা ব্যবহার করেছে সেটারও পরিসংখ্যান দিয়েছে জাতিসংঘ। শটগানের গুলি ছিল ১২ শতাংশ, পিস্তলের গুলি ছিল ২০ শতাংশ, মিলিটারি রাইফেলের গুলি ছিল ৬৬ শতাংশ এবং অন্যান্য অস্ত্রের আঘাত ছিল ২০ শতাংশ। এই অস্ত্রের ব্যবহার ও আহত-নিহতের পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র ওয়াইডস্প্রেড ও সিস্টেমেটিকভাবে একটা জনগোষ্ঠীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তাদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য। এটা মানবতাবিরোধী অপরাধের পক্ষে একটা সুস্পষ্ট ও জোরালো প্রমাণ। এটি ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে একটা এভিডেন্স হিসেবে ট্রাইব্যুনালে আসবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, যেহেতু জাতিসংঘ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও সর্বজন গ্রহণযোগ্য একটা সংস্থা, তাই এ প্রতিবেদন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। আমরা মনে করি, কোনো দলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে প্রতিবেদনটি করা হয়নি। প্রসিকিউশনের সঙ্গেও কথা বলেননি জাতিসংঘের তদন্তকারীরা। তাঁরা অপরাধীদের সঙ্গে কথা বলেছেন, ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। যেখানে কথা বলা দরকার সেই জায়গায় বলেছেন। সুতরাং এটা অকাট্য দলিল-প্রমাণ হিসেবে এই আদালতে (ট্রাইব্যুনাল) ব্যবহার করা যাবে। সেটা আমরা ব্যবহার করব।
আয়নাঘর সম্পর্কে তাজুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ বছর ধরে সাবেক সরকার সিস্টেমেটিক পদ্ধতিতে বাংলাদেশের ভিন্ন মতকে দমন করার জন্য, গোপনে বন্দী ও গোপনে নির্যাতন যে একটি সংস্কৃতিতে পরিণত করেছিল, সেটা উন্মোচিত হয়েছে। যে বীভৎসতার চিত্র দেখেছি, তা কল্পনা করা যায় না। আমরা দেখেছি এই নির্যাতন কেন্দ্রের আলামত বিনষ্ট করা হয়েছে। যেখানে ঝোলানো হতো সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। যারা নির্যাতন কেন্দ্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল, আমরা তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে চাই।
বিচার সম্পর্কে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিচার তাদের নিজস্ব আইনে করা যায় কি না, এমন কথা উঠছে। সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩, সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত। আইনটির সব আইনের ওপরে বিশেষ মর্যাদা আছে। এই আইনে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে যেসব অপরাধ আছে তার বিচার করা যায়। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর আইনে, র্যাব, বিজিবির কোনো আইনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি ও কমান্ড রেসপনসিবিলিটির বিচার এসব আইনে করার সুযোগ নেই। সুতরাং বাহিনীর মধ্যে থেকে যাঁরা এসব অপরাধ করেছেন, তাঁদের বিচার করার উপযুক্ত ফোরাম হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে আমরা রাষ্ট্রকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলব–নির্দ্বিধায় আদালতের আদেশগুলো তাঁরা যাতে পালন করেন। সব বাহিনী, সব ব্যক্তিকে বলব বিচারব্যবস্থায় সাহায্য করা আপনাদের দায়িত্ব। কোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কখনো রাষ্ট্র ও জনগণের ওপরে হতে পারে না। কোনো ব্যক্তি আইনের ঊর্ধ্বে হতে পারে না। আমি অনুরোধ করব সরকার যাতে জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিষয়টি রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের বিষয়। তবে দলগতভাবে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে সেই অপরাধে দল বা সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আমাদের আইনে আছে। সে ক্ষেত্রে দলের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করা বা অভিযোগ নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। সেটি ভবিষ্যতে করা হবে কি না, আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে অভিযোগ তথ্য-প্রমাণাদি এখনো পর্যন্ত বিদ্যমান আছে। প্রয়োজন হলে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
রেলযাত্রা নিয়ে মানুষের ভোগান্তির গল্পের শেষ নেই। সময়মতো ট্রেন না ছাড়া, দরকারি টিকিট না পাওয়া, অপরিচ্ছন্ন আসন, নোংরা প্ল্যাটফর্ম— এমন অভিযোগের দীর্ঘ তালিকা রয়েছে যাত্রী-মনে। ট্রেনে ও স্টেশনে সেসব অভিযোগ জানানোর জন্য রয়েছে বড় আকারের রুলটানা খাতা, যার সরকারি নাম ‘কমপ্লেইন রেজিস্ট্রার বুক’।
২৫ মিনিট আগেঅবশেষে ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড কেনার জট খুলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসের (সেপ্টেম্বর) প্রথম সপ্তাহ থেকে ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড হাতে পাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইডেনটিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পের মাধ্যমে ২ কোটি ৩৬ লাখ ৩৪ হাজার কার্ড কিনছে...
২ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে, যেখানে সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এ বি এম আব্দুস সাত্তার নাম উল্লেখ না করে কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। আমরা এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। প্রমাণ উপস্থাপন বা ব্যক্তিদের...
৯ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থাতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে
১ দিন আগে