নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘প্রত্যাশা অনুযায়ী মিডিয়ার সংস্কার হয়নি। ডিজিএফআই আগে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করত, এখনো সেই চর্চা রয়েছে। মিডিয়া রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমি দায়িত্বে থাকাকালে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন করেছিলাম। তাদের দায়িত্ব ছিল পুরো বিষয়টি সংস্কার প্রস্তাব করে সরকারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা। আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছিল, যারা ফ্যাসিবাদের দোসর সংবাদমাধ্যমের কর্মী, তাদের বিচারের আওতায় আনা।’
আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাহিদ এসব কথা বলেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ জবানবন্দি দেন। এ মামলার আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক রয়েছেন। আর অপর আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ নিয়ে এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৪৭ জন।
সেনাবাহিনীর প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘সেনাবাহিনীর যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের এক বছরেও গ্রেপ্তার করা হয়নি। আমি নিজে গুম কমিশনে অভিযোগ দিয়েছি। গুমের ঘটনা ও অভ্যুত্থানে রামপুরা-বাড্ডাসহ বিভিন্ন স্থানে সেনা কর্মকর্তারা গুলি চালিয়েছেন, তাঁদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? এ বিষয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে—কোনো চাপ আছে কি না। তবে আমি আহ্বান জানাব, কোনো চাপ থাকলেও এগুলো বিবেচনায় না নিয়ে যাতে আইন ফলো করা হয় এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হয়।’
এর আগে ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দিতে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গত বছরের ৪ আগস্ট শাহবাগে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করি। ওই দিনই ৬ আগস্ট মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি ঘোষণা করি। তবে সরকার কারফিউ ঘোষণা করে এবং দেশব্যাপী ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। আমরা জানতে পারি, ৬ আগস্টের কর্মসূচি ব্যর্থ করার উদ্দেশ্যে সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হবে, আমাদের হত্যা বা গুম করা হতে পারে। এ জন্য আমরা মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি এক দিন এগিয়ে ৫ আগস্ট নির্ধারণ করি।’
নাহিদ বলেন, ‘৫ আগস্ট সারা দেশের মানুষ ঢাকায় আসতে থাকে। আমরা শাহবাগে অবস্থান করি। শহীদ মিনার ও চানখাঁরপুল এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়। সেনাবাহিনী একপর্যায়ে শাহবাগের রাস্তা ছেড়ে দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে জনসমুদ্রে পরিণত হয়। আমরা শুনতে পাই, ঢাকার প্রবেশমুখগুলো দিয়ে লাখ লাখ মানুষ ঢাকায় প্রবেশ করেছে। আমরা মিছিল নিয়ে শাহবাগ থেকে গণভবনের উদ্দেশে রওনা দিই। পথিমধ্যে খবর পাই, গণবিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে হেলিকপ্টারে করে পালিয়ে গেছে। ওই দিন সারা দেশে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞের খবর পাই।’
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সংবাদ সম্মেলন করে আমরা সমন্বয়কেরা সব রাজবন্দীর মুক্তির ও অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠনের দাবি জানাই। আমরা আরও দাবি জানাই যে, কোনো ধরনের সেনাশাসন বা সেনাসমর্থিত শাসন আমরা মেনে নেব না। পুলিশ ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এমনকি হেলিকপ্টার থেকেও গুলি চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গুলি চালায় এবং নির্যাতন করে।’ সব হত্যাকাণ্ড ও নৃশংস ঘটনার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশ ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যাঁরা প্রধান, তাঁদের দায়ী করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি ট্রাইব্যুনালের কাছে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
আন্দোলন প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অন্য সমন্বয়ক ও ছাত্রনেতাদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ২০ জুলাই কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিই। সব মিডিয়াতে ঘোষণাটি পাঠালেও কোনো ইলেকট্রনিক মিডিয়া তা প্রচার করেনি। সেদিন রাতে জানতে পারি যে, সরকার কারফিউ ঘোষণা করেছে। বন্ধুর বাসা থেকে রাত আড়াইটার দিকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কয়েকজন আমাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে, চোখে কালো কাপড় বেঁধে আটক করে প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে যায়। প্রাইভেট কারে উঠিয়েই আমাকে মারধর করতে থাকে। এরপর আমাকে একটি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আমাকে কিছুক্ষণ পরপর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় হ্যান্ডকাফ ও চোখে কালো কাপড় বেঁধে রাখত। আন্দোলনে কারা জড়িত, কেন আন্দোলন বন্ধ হচ্ছে না—এসব জিজ্ঞাসা করত। নির্যাতনের ফলে আমি কয়েক দফা জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। তারা জানায়, আমাকে গুম করা হয়েছে। আন্দোলন না থামালে কখনো বের হতে পারব না। ২৪ ঘণ্টা পর শেষরাতের দিকে আমাকে পূর্বাচল এলাকায় একটি ব্রিজের পাশে চোখ বাঁধা অবস্থায় রেখে চলে যায়।’
নাহিদ আরও বলেন, ‘আমি ঢাকার গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গুম ও নির্যাতনের কথা প্রকাশ করি। হাসপাতাল থেকে জানতে পারি, অনেক সমন্বয়ককে গুম করা হয়েছে। সমন্বয়ক হাসনাত, সারজিস ও হাসিবকে ডিজিএফআই জোর করে তুলে নিয়ে তিনজন মন্ত্রীর সঙ্গে বসিয়েছে। সেই ছবি মিডিয়ায় প্রচার করা হয়। ২২ জুলাই ডিজিএফআই কর্মকর্তা লে. কর্নেল সারোয়ার হাসপাতালে গিয়ে আন্দোলন স্থগিত করতে চাপ দেয় এবং বলে—গুম হওয়া অন্য সমন্বয়কদের জীবিত ফেরত চাইলে আন্দোলন প্রত্যাহার করতে হবে। ২৩ জুলাই ডিজিএফআই ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এবং আমাকে জোরপূর্বক হাসপাতাল থেকে সেখানে নিয়ে যায়। সেখানে আন্দোলন সমাপ্তির ঘোষণা দেওয়ার চাপ থাকলেও আমি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিই। পরে ডিজিএফআই আমাকে হাসপাতালে ফেরত নিয়ে আসে।’
নাহিদ বলেন, ‘ডিজিএফআইয়ের কথামতো সংবাদ সম্মেলনে কথা না বলায় তারা আমাকে পুনরায় গুম করার হুমকি দেয়। ২৪ জুলাই সমন্বয়ক বাকের ও আসিফকে গুম অবস্থা থেকে মুক্তি দেওয়া হলে তারা এই হাসপাতালে ভর্তি হয়। তখন থেকে হাসপাতালকে সম্পূর্ণ নজরদারির মধ্যে রাখা হয়। হাসপাতালের ইন্টারনেট, টেলিফোন ও পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। আমাদের সঙ্গে কাউকে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। ২৬ জুলাই ডিবি পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তি হাসপাতালে গিয়ে আমাদের তিনজনকে ডিবি অফিসে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে ডিবিপ্রধান হারুন আন্দোলন স্থগিত করতে বলে। অন্যথায় আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা করা হবে বলে হুমকি দেয়। আমরা রাজি হইনি। পরদিন সমন্বয়ক হাসনাত ও সারজিসকে ডিবি অফিসে তুলে আনা হয়। পরে সমন্বয়ক নুসরাতকেও আনা হয়। সেখানে আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও শারীরিক নির্যাতন করে। আমাকে ওষুধ দেওয়া হয়নি। আমাদের অভিভাবকদেরও সেখানে নিয়ে আন্দোলন বন্ধ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়।’
ডিবি অফিসের বর্ণনা দিয়ে নাহিদ বলেন, ‘আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার না করলে আরও নারী সমন্বয়কদের তুলে নিয়ে নির্যাতনের হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য তাদের লিখিত একটি বক্তব্য আমাকে দিয়ে জোরপূর্বক পাঠ করিয়ে তা ভিডিও করে মিডিয়ায় প্রচার করা হয়। তারা আমাদের জানায়, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে তুলে আনা, আটক রাখা ও নির্যাতন করা হয়েছে। ডিবিপ্রধান হারুন আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। আমরা প্রত্যাখ্যান করে আমরণ অনশন শুরু করি। আমরা প্রায় ৩০ ঘণ্টার বেশি সময় সেখানে অনশন করে অসুস্থ হয়ে পড়লে ১ আগস্ট ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই দিন প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমরা ছয়জন সমন্বয়ক জানাই, ডিবি অফিসে জোর করে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিই।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘প্রত্যাশা অনুযায়ী মিডিয়ার সংস্কার হয়নি। ডিজিএফআই আগে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করত, এখনো সেই চর্চা রয়েছে। মিডিয়া রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমি দায়িত্বে থাকাকালে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন করেছিলাম। তাদের দায়িত্ব ছিল পুরো বিষয়টি সংস্কার প্রস্তাব করে সরকারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা। আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছিল, যারা ফ্যাসিবাদের দোসর সংবাদমাধ্যমের কর্মী, তাদের বিচারের আওতায় আনা।’
আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাহিদ এসব কথা বলেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ জবানবন্দি দেন। এ মামলার আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক রয়েছেন। আর অপর আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ নিয়ে এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৪৭ জন।
সেনাবাহিনীর প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘সেনাবাহিনীর যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের এক বছরেও গ্রেপ্তার করা হয়নি। আমি নিজে গুম কমিশনে অভিযোগ দিয়েছি। গুমের ঘটনা ও অভ্যুত্থানে রামপুরা-বাড্ডাসহ বিভিন্ন স্থানে সেনা কর্মকর্তারা গুলি চালিয়েছেন, তাঁদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? এ বিষয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে—কোনো চাপ আছে কি না। তবে আমি আহ্বান জানাব, কোনো চাপ থাকলেও এগুলো বিবেচনায় না নিয়ে যাতে আইন ফলো করা হয় এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হয়।’
এর আগে ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দিতে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গত বছরের ৪ আগস্ট শাহবাগে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করি। ওই দিনই ৬ আগস্ট মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি ঘোষণা করি। তবে সরকার কারফিউ ঘোষণা করে এবং দেশব্যাপী ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। আমরা জানতে পারি, ৬ আগস্টের কর্মসূচি ব্যর্থ করার উদ্দেশ্যে সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হবে, আমাদের হত্যা বা গুম করা হতে পারে। এ জন্য আমরা মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি এক দিন এগিয়ে ৫ আগস্ট নির্ধারণ করি।’
নাহিদ বলেন, ‘৫ আগস্ট সারা দেশের মানুষ ঢাকায় আসতে থাকে। আমরা শাহবাগে অবস্থান করি। শহীদ মিনার ও চানখাঁরপুল এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়। সেনাবাহিনী একপর্যায়ে শাহবাগের রাস্তা ছেড়ে দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে জনসমুদ্রে পরিণত হয়। আমরা শুনতে পাই, ঢাকার প্রবেশমুখগুলো দিয়ে লাখ লাখ মানুষ ঢাকায় প্রবেশ করেছে। আমরা মিছিল নিয়ে শাহবাগ থেকে গণভবনের উদ্দেশে রওনা দিই। পথিমধ্যে খবর পাই, গণবিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে হেলিকপ্টারে করে পালিয়ে গেছে। ওই দিন সারা দেশে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞের খবর পাই।’
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সংবাদ সম্মেলন করে আমরা সমন্বয়কেরা সব রাজবন্দীর মুক্তির ও অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠনের দাবি জানাই। আমরা আরও দাবি জানাই যে, কোনো ধরনের সেনাশাসন বা সেনাসমর্থিত শাসন আমরা মেনে নেব না। পুলিশ ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এমনকি হেলিকপ্টার থেকেও গুলি চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গুলি চালায় এবং নির্যাতন করে।’ সব হত্যাকাণ্ড ও নৃশংস ঘটনার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশ ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যাঁরা প্রধান, তাঁদের দায়ী করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি ট্রাইব্যুনালের কাছে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
আন্দোলন প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অন্য সমন্বয়ক ও ছাত্রনেতাদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ২০ জুলাই কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিই। সব মিডিয়াতে ঘোষণাটি পাঠালেও কোনো ইলেকট্রনিক মিডিয়া তা প্রচার করেনি। সেদিন রাতে জানতে পারি যে, সরকার কারফিউ ঘোষণা করেছে। বন্ধুর বাসা থেকে রাত আড়াইটার দিকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কয়েকজন আমাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে, চোখে কালো কাপড় বেঁধে আটক করে প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে যায়। প্রাইভেট কারে উঠিয়েই আমাকে মারধর করতে থাকে। এরপর আমাকে একটি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আমাকে কিছুক্ষণ পরপর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় হ্যান্ডকাফ ও চোখে কালো কাপড় বেঁধে রাখত। আন্দোলনে কারা জড়িত, কেন আন্দোলন বন্ধ হচ্ছে না—এসব জিজ্ঞাসা করত। নির্যাতনের ফলে আমি কয়েক দফা জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। তারা জানায়, আমাকে গুম করা হয়েছে। আন্দোলন না থামালে কখনো বের হতে পারব না। ২৪ ঘণ্টা পর শেষরাতের দিকে আমাকে পূর্বাচল এলাকায় একটি ব্রিজের পাশে চোখ বাঁধা অবস্থায় রেখে চলে যায়।’
নাহিদ আরও বলেন, ‘আমি ঢাকার গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গুম ও নির্যাতনের কথা প্রকাশ করি। হাসপাতাল থেকে জানতে পারি, অনেক সমন্বয়ককে গুম করা হয়েছে। সমন্বয়ক হাসনাত, সারজিস ও হাসিবকে ডিজিএফআই জোর করে তুলে নিয়ে তিনজন মন্ত্রীর সঙ্গে বসিয়েছে। সেই ছবি মিডিয়ায় প্রচার করা হয়। ২২ জুলাই ডিজিএফআই কর্মকর্তা লে. কর্নেল সারোয়ার হাসপাতালে গিয়ে আন্দোলন স্থগিত করতে চাপ দেয় এবং বলে—গুম হওয়া অন্য সমন্বয়কদের জীবিত ফেরত চাইলে আন্দোলন প্রত্যাহার করতে হবে। ২৩ জুলাই ডিজিএফআই ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এবং আমাকে জোরপূর্বক হাসপাতাল থেকে সেখানে নিয়ে যায়। সেখানে আন্দোলন সমাপ্তির ঘোষণা দেওয়ার চাপ থাকলেও আমি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিই। পরে ডিজিএফআই আমাকে হাসপাতালে ফেরত নিয়ে আসে।’
নাহিদ বলেন, ‘ডিজিএফআইয়ের কথামতো সংবাদ সম্মেলনে কথা না বলায় তারা আমাকে পুনরায় গুম করার হুমকি দেয়। ২৪ জুলাই সমন্বয়ক বাকের ও আসিফকে গুম অবস্থা থেকে মুক্তি দেওয়া হলে তারা এই হাসপাতালে ভর্তি হয়। তখন থেকে হাসপাতালকে সম্পূর্ণ নজরদারির মধ্যে রাখা হয়। হাসপাতালের ইন্টারনেট, টেলিফোন ও পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। আমাদের সঙ্গে কাউকে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। ২৬ জুলাই ডিবি পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তি হাসপাতালে গিয়ে আমাদের তিনজনকে ডিবি অফিসে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে ডিবিপ্রধান হারুন আন্দোলন স্থগিত করতে বলে। অন্যথায় আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা করা হবে বলে হুমকি দেয়। আমরা রাজি হইনি। পরদিন সমন্বয়ক হাসনাত ও সারজিসকে ডিবি অফিসে তুলে আনা হয়। পরে সমন্বয়ক নুসরাতকেও আনা হয়। সেখানে আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও শারীরিক নির্যাতন করে। আমাকে ওষুধ দেওয়া হয়নি। আমাদের অভিভাবকদেরও সেখানে নিয়ে আন্দোলন বন্ধ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়।’
ডিবি অফিসের বর্ণনা দিয়ে নাহিদ বলেন, ‘আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার না করলে আরও নারী সমন্বয়কদের তুলে নিয়ে নির্যাতনের হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য তাদের লিখিত একটি বক্তব্য আমাকে দিয়ে জোরপূর্বক পাঠ করিয়ে তা ভিডিও করে মিডিয়ায় প্রচার করা হয়। তারা আমাদের জানায়, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে তুলে আনা, আটক রাখা ও নির্যাতন করা হয়েছে। ডিবিপ্রধান হারুন আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। আমরা প্রত্যাখ্যান করে আমরণ অনশন শুরু করি। আমরা প্রায় ৩০ ঘণ্টার বেশি সময় সেখানে অনশন করে অসুস্থ হয়ে পড়লে ১ আগস্ট ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই দিন প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমরা ছয়জন সমন্বয়ক জানাই, ডিবি অফিসে জোর করে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিই।’

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা আরও তিন মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও পাঁচজন। আজ রোববার (২ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এ সাক্ষ্য দেন তাঁরা। তাঁরা সবাই তিন মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা
৩ ঘণ্টা আগে
অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারিতে হলেও মেলা অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ রোববার আপিল বিভাগে প্রথমে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন নেপালের প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেন।
৪ ঘণ্টা আগে
লিখিত বিবৃতিতে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টিলগ্নে যে মৌলিক দুর্বলতার বীজ বপন করা হয়েছিল, তা কেন অব্যাহত রাখতে হবে, তা বোধগম্য নয়। কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সাত সদস্যের মধ্যে দুজনকে খণ্ডকালীন নিয়োগের বিধান বৈষম্যমূলক এবং সদস্যদের মধ্যে মর্যাদা ও এখতিয়ারে বিভাজন তৈরি করে, যা প্রতিষ্ঠানটির...
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা করে তিনটি প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে করা তিনটি মামলায় আরও পাঁচজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ রোববার (২ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এ তাঁরা সাক্ষ্য দেন।
এই পাঁচ সাক্ষীর প্রত্যেকে তিন মামলাতেই সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। তাঁদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক রবিউল ইসলাম ৯ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানান।
এই তিন মামলায় গত ১৩ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। সেদিন তিন মামলার বাদী যথাক্রমে দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া এবং এস এম রাশেদুল হাসান সাক্ষ্য দেন। পরে পাঁচটি তারিখে আরও ২০ জন সাক্ষ্য দেন।
এ তিন মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, শেখ রেহানার দুই মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক এবং ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিকে আসামি করা হয়েছে। একটি মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিকসহ ১৭ জন; আরেক মামলায় শেখ হাসিনা, আজমিনা সিদ্দিকসহ ১৮ জন এবং অপর মামলায় শেখ হাসিনা, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ ১৮ জন আসামি।
তবে প্রতিটি মামলায় শেখ হাসিনা এবং রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তা আসামি। তাঁদের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করা রাজউকের সাবেক সদস্য খুরশিদ আলমের পক্ষে আজ সাক্ষীদের জেরা করা হয়। অন্যরা পলাতক থাকায় তাঁদের অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে-মেয়ে এবং তাঁর বোন, বোনের এক মেয়ে ও ছেলের নামে ১০ কাঠা করে ছয়টি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে এ তিনটিসহ মোট ছয়টি মামলা করেছে দুদক। বাকি তিনটি মামলা করা হয় শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ অন্যদের বিরুদ্ধে। ওই তিন মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এ।
এ ছয়টি মামলার অভিযোগপত্রে শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবারের সদস্যরাসহ ২৯ জন আসামি। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা করে তিনটি প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে করা তিনটি মামলায় আরও পাঁচজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ রোববার (২ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এ তাঁরা সাক্ষ্য দেন।
এই পাঁচ সাক্ষীর প্রত্যেকে তিন মামলাতেই সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। তাঁদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক রবিউল ইসলাম ৯ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানান।
এই তিন মামলায় গত ১৩ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। সেদিন তিন মামলার বাদী যথাক্রমে দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া এবং এস এম রাশেদুল হাসান সাক্ষ্য দেন। পরে পাঁচটি তারিখে আরও ২০ জন সাক্ষ্য দেন।
এ তিন মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, শেখ রেহানার দুই মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক এবং ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিকে আসামি করা হয়েছে। একটি মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিকসহ ১৭ জন; আরেক মামলায় শেখ হাসিনা, আজমিনা সিদ্দিকসহ ১৮ জন এবং অপর মামলায় শেখ হাসিনা, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ ১৮ জন আসামি।
তবে প্রতিটি মামলায় শেখ হাসিনা এবং রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তা আসামি। তাঁদের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করা রাজউকের সাবেক সদস্য খুরশিদ আলমের পক্ষে আজ সাক্ষীদের জেরা করা হয়। অন্যরা পলাতক থাকায় তাঁদের অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে-মেয়ে এবং তাঁর বোন, বোনের এক মেয়ে ও ছেলের নামে ১০ কাঠা করে ছয়টি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে এ তিনটিসহ মোট ছয়টি মামলা করেছে দুদক। বাকি তিনটি মামলা করা হয় শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ অন্যদের বিরুদ্ধে। ওই তিন মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এ।
এ ছয়টি মামলার অভিযোগপত্রে শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবারের সদস্যরাসহ ২৯ জন আসামি। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘প্রত্যাশা অনুযায়ী মিডিয়ার সংস্কার হয়নি। ডিজিএফআই আগে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করত, এখনো সেই চর্চা রয়েছে। মিডিয়া রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমি দায়িত্বে থাকাকালে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন করেছিলাম।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারিতে হলেও মেলা অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ রোববার আপিল বিভাগে প্রথমে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন নেপালের প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেন।
৪ ঘণ্টা আগে
লিখিত বিবৃতিতে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টিলগ্নে যে মৌলিক দুর্বলতার বীজ বপন করা হয়েছিল, তা কেন অব্যাহত রাখতে হবে, তা বোধগম্য নয়। কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সাত সদস্যের মধ্যে দুজনকে খণ্ডকালীন নিয়োগের বিধান বৈষম্যমূলক এবং সদস্যদের মধ্যে মর্যাদা ও এখতিয়ারে বিভাজন তৈরি করে, যা প্রতিষ্ঠানটির...
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারিতে হলেও মেলা অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাপুসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে অমর একুশে বইমেলা ২০২৬-এর সময় নির্ধারণ বিষয়ে সমিতির প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে বাপুস মেলার কয়েকটি সম্ভাব্য সময়ের কথা উপস্থাপন করে। পাশাপাশি রাষ্ট্রের নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থার পরামর্শও সেখানে পর্যালোচনা করা হয়। সবকিছু মিলিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপর ফেব্রুয়ারি মাসে মেলা আয়োজনের প্রস্তাবকে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাস্তবসম্মত বলে গ্রহণ করা হয়েছে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, নির্বাচনের তারিখ নির্দিষ্ট হওয়ার পরেই মেলার তারিখ ঘোষণা করা হবে।
অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ আয়োজনের বিষয়ে বাংলা একাডেমি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে।
এর আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং রমজানের কারণে অমর একুশে বইমেলা-২০২৬-এর সময় এগিয়ে এনে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে স্থগিত করা হয়।

অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারিতে হলেও মেলা অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাপুসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে অমর একুশে বইমেলা ২০২৬-এর সময় নির্ধারণ বিষয়ে সমিতির প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে বাপুস মেলার কয়েকটি সম্ভাব্য সময়ের কথা উপস্থাপন করে। পাশাপাশি রাষ্ট্রের নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থার পরামর্শও সেখানে পর্যালোচনা করা হয়। সবকিছু মিলিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপর ফেব্রুয়ারি মাসে মেলা আয়োজনের প্রস্তাবকে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাস্তবসম্মত বলে গ্রহণ করা হয়েছে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, নির্বাচনের তারিখ নির্দিষ্ট হওয়ার পরেই মেলার তারিখ ঘোষণা করা হবে।
অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ আয়োজনের বিষয়ে বাংলা একাডেমি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে।
এর আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং রমজানের কারণে অমর একুশে বইমেলা-২০২৬-এর সময় এগিয়ে এনে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে স্থগিত করা হয়।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘প্রত্যাশা অনুযায়ী মিডিয়ার সংস্কার হয়নি। ডিজিএফআই আগে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করত, এখনো সেই চর্চা রয়েছে। মিডিয়া রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমি দায়িত্বে থাকাকালে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন করেছিলাম।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা আরও তিন মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও পাঁচজন। আজ রোববার (২ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এ সাক্ষ্য দেন তাঁরা। তাঁরা সবাই তিন মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা
৩ ঘণ্টা আগে
আজ রোববার আপিল বিভাগে প্রথমে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন নেপালের প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেন।
৪ ঘণ্টা আগে
লিখিত বিবৃতিতে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টিলগ্নে যে মৌলিক দুর্বলতার বীজ বপন করা হয়েছিল, তা কেন অব্যাহত রাখতে হবে, তা বোধগম্য নয়। কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সাত সদস্যের মধ্যে দুজনকে খণ্ডকালীন নিয়োগের বিধান বৈষম্যমূলক এবং সদস্যদের মধ্যে মর্যাদা ও এখতিয়ারে বিভাজন তৈরি করে, যা প্রতিষ্ঠানটির...
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নেপালের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ মান সিং রাউতকে আপিল বিভাগে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার আপিল বিভাগে প্রথমে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন নেপালের প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেন।
নেপালের প্রধান বিচারপতি আপিল বিভাগে চলমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি পর্যবেক্ষণ করেন।
পরে সংবর্ধনার জবাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন তিনি।
এ সময় আপিল বিভাগে নেপালের উচ্চ আদালতের বিচারপতি, বাংলাদেশে নেপালের রাষ্ট্রদূত, ইউএনডিপির প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
আজ শুরুতে বিএনপি মহাসচিবের পক্ষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা-সংক্রান্ত আপিল শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। এরপর বিরতি শেষে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ নেপালের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে আবার এজলাসে আসেন। নেপালের প্রধান বিচারপতিকে বসানো হয় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির ডান পাশের চেয়ারে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানিতে বিএনপি মহাসচিবের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা-সংক্রান্ত আপিল শুনানি বেলা ১টা পর্যন্ত চলে। পরে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়।
শুনানিতে যা বললেন রুহুল কুদ্দুস
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আপিল বিভাগের তিনজন বিচারপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখার পক্ষে রায় দিয়েছেন আর চারজন রায় দেন বাতিলের পক্ষে। সংক্ষিপ্ত রায়ে পরবর্তী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার জন্য বলা হয়েছিল। খায়রুল হক (সাবেক প্রধান বিচারপতি) অবসরের ১৬ মাস পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় দেন। তবে সেখানে পরবর্তী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার বিষয়টি ছিল না। প্রকাশ্য আদালতে রায় দেওয়ার পর করণিক ভুল ছাড়া আর কোনো কিছু পরিবর্তন করা যায় না।
রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আপিল বিভাগের রায়ে বলা হয়েছে, অবসরের ছয় মাসের মধ্যে রায়ে স্বাক্ষর করতে হবে। আর এই রায়ে স্বাক্ষর করা হয়েছে অবসরের ১৬ মাস পর। গণতন্ত্রের স্বার্থে, আইনের শাসনের স্বার্থে, বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে এ বি এম খায়রুল হকের দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
এদিকে আদালত থেকে বের হয়ে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমি শুনানিতে বলেছি, দেশের মধ্যে এই যে মারামারি, দিনের ভোট রাতে হয়েছে এবং কোনো ভোটই হয়নি—সবকিছুর মূলেই খায়রুল হক। খায়রুল হক দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছেন। তাঁর এই ব্যবহারের কারণেই আজকে ভোট নিয়ে অনিশ্চয়তা। খায়রুল হকের ওই রায় কোনোভাবেই থাকতে পারে না। ওই রায় থাকলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকে না।’

নেপালের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ মান সিং রাউতকে আপিল বিভাগে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার আপিল বিভাগে প্রথমে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন নেপালের প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেন।
নেপালের প্রধান বিচারপতি আপিল বিভাগে চলমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি পর্যবেক্ষণ করেন।
পরে সংবর্ধনার জবাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন তিনি।
এ সময় আপিল বিভাগে নেপালের উচ্চ আদালতের বিচারপতি, বাংলাদেশে নেপালের রাষ্ট্রদূত, ইউএনডিপির প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
আজ শুরুতে বিএনপি মহাসচিবের পক্ষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা-সংক্রান্ত আপিল শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। এরপর বিরতি শেষে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ নেপালের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে আবার এজলাসে আসেন। নেপালের প্রধান বিচারপতিকে বসানো হয় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির ডান পাশের চেয়ারে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানিতে বিএনপি মহাসচিবের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা-সংক্রান্ত আপিল শুনানি বেলা ১টা পর্যন্ত চলে। পরে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়।
শুনানিতে যা বললেন রুহুল কুদ্দুস
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আপিল বিভাগের তিনজন বিচারপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখার পক্ষে রায় দিয়েছেন আর চারজন রায় দেন বাতিলের পক্ষে। সংক্ষিপ্ত রায়ে পরবর্তী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার জন্য বলা হয়েছিল। খায়রুল হক (সাবেক প্রধান বিচারপতি) অবসরের ১৬ মাস পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় দেন। তবে সেখানে পরবর্তী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার বিষয়টি ছিল না। প্রকাশ্য আদালতে রায় দেওয়ার পর করণিক ভুল ছাড়া আর কোনো কিছু পরিবর্তন করা যায় না।
রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আপিল বিভাগের রায়ে বলা হয়েছে, অবসরের ছয় মাসের মধ্যে রায়ে স্বাক্ষর করতে হবে। আর এই রায়ে স্বাক্ষর করা হয়েছে অবসরের ১৬ মাস পর। গণতন্ত্রের স্বার্থে, আইনের শাসনের স্বার্থে, বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে এ বি এম খায়রুল হকের দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
এদিকে আদালত থেকে বের হয়ে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমি শুনানিতে বলেছি, দেশের মধ্যে এই যে মারামারি, দিনের ভোট রাতে হয়েছে এবং কোনো ভোটই হয়নি—সবকিছুর মূলেই খায়রুল হক। খায়রুল হক দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছেন। তাঁর এই ব্যবহারের কারণেই আজকে ভোট নিয়ে অনিশ্চয়তা। খায়রুল হকের ওই রায় কোনোভাবেই থাকতে পারে না। ওই রায় থাকলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকে না।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘প্রত্যাশা অনুযায়ী মিডিয়ার সংস্কার হয়নি। ডিজিএফআই আগে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করত, এখনো সেই চর্চা রয়েছে। মিডিয়া রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমি দায়িত্বে থাকাকালে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন করেছিলাম।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা আরও তিন মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও পাঁচজন। আজ রোববার (২ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এ সাক্ষ্য দেন তাঁরা। তাঁরা সবাই তিন মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা
৩ ঘণ্টা আগে
অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারিতে হলেও মেলা অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
লিখিত বিবৃতিতে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টিলগ্নে যে মৌলিক দুর্বলতার বীজ বপন করা হয়েছিল, তা কেন অব্যাহত রাখতে হবে, তা বোধগম্য নয়। কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সাত সদস্যের মধ্যে দুজনকে খণ্ডকালীন নিয়োগের বিধান বৈষম্যমূলক এবং সদস্যদের মধ্যে মর্যাদা ও এখতিয়ারে বিভাজন তৈরি করে, যা প্রতিষ্ঠানটির...
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ বৈষম্যমূলক কমিশন গঠনে সহায়ক ধারা ও প্রতিষ্ঠানটির স্বাধীনতা ক্ষুণ্নের ঝুঁকি সৃষ্টিকারী দুর্বল বিধান অব্যাহত থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধন এনে কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছে।
আজ রোববার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা জানান।
এই অধ্যাদেশের ফলে মানবাধিকার কমিশনের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে বলেও মনে করে টিআইবি।
লিখিত বিবৃতিতে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টিলগ্নে যে মৌলিক দুর্বলতার বীজ বপন করা হয়েছিল, তা কেন অব্যাহত রাখতে হবে, তা বোধগম্য নয়। কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সাত সদস্যের মধ্যে দুজনকে খণ্ডকালীন নিয়োগের বিধান বৈষম্যমূলক এবং সদস্যদের মধ্যে মর্যাদা ও এখতিয়ারে বিভাজন তৈরি করে, যা প্রতিষ্ঠানটির অকার্যকরতার অন্যতম কারণ।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কমিশনের সব সদস্যের পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা ও দায়িত্ব-কর্তব্যে সমতা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি এই বিধান সংশোধন করে কমিশনের কার্যক্রমে গতিশীলতা ও কার্যকরতা আনা জরুরি।
ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, চেয়ারপারসন ও কমিশনার বাছাইয়ে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া এবং প্রাথমিকভাবে বাছাই করা প্রার্থীদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশের প্রস্তাব টিআইবি দিয়েছিল, কিন্তু তা গৃহীত হয়নি। তা ছাড়া কোনো সংস্থার আটকস্থল যদি কমিশনের নিকট আইনবহির্ভূত মনে হয়, তবে তা বন্ধের ক্ষমতা ও দায়ীদের জবাবদিহি নিশ্চিতের সুপারিশও উপেক্ষিত হয়েছে, যা হতাশাজনক।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, মানবাধিকার সংরক্ষণের পরিপন্থী কোনো আইন সংশোধনের সুপারিশ করার ক্ষমতা কমিশনের থাকা উচিত।
টিআইবির মতে, অধ্যাদেশে ধারা ১৪-তে ‘মানবাধিকারসংক্রান্ত অন্য কোনো আইন এই আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে এই আইন প্রাধান্য পাবে’–এই অংশ যুক্ত করা হলে ভবিষ্যতে মানবাধিকার বিষয়ে আইনগত সংঘাত এড়ানো সহজ হতো।
এ ছাড়া সব অভিযোগে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক অনুসন্ধানের বিধান বাতিল করে আমলযোগ্য অভিযোগে সরাসরি তদন্তের সুযোগ রাখার প্রস্তাবও গৃহীত হয়নি।
টিআইবির আশঙ্কা, এতে অপ্রয়োজনীয় দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হবে এবং ভুক্তভোগীর হয়রানি ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কর্মকর্তা বা সরকারি কর্মচারীকে কমিশনে প্রেষণে নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ সীমা নির্ধারণ এবং প্রেষণপ্রক্রিয়াকে যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পরিচালনার প্রস্তাবও অগ্রাহ্য করা হয়েছে। এমনকি কমিশনের দ্বিমতের ভিত্তিতে কোনো প্রেষণ প্রত্যাখ্যানের সুযোগের বিধান রাখার সুপারিশও বিবেচিত হয়নি।
টিআইবি মনে করে, কমিশনের আয়-ব্যয়ের বার্ষিক নিরীক্ষা সম্পন্নের পর তা ওয়েবসাইটে প্রকাশের বিধান যুক্ত করা উচিত। এসব সংস্কারই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সত্যিকার অর্থে স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।

উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ বৈষম্যমূলক কমিশন গঠনে সহায়ক ধারা ও প্রতিষ্ঠানটির স্বাধীনতা ক্ষুণ্নের ঝুঁকি সৃষ্টিকারী দুর্বল বিধান অব্যাহত থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধন এনে কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছে।
আজ রোববার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা জানান।
এই অধ্যাদেশের ফলে মানবাধিকার কমিশনের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে বলেও মনে করে টিআইবি।
লিখিত বিবৃতিতে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টিলগ্নে যে মৌলিক দুর্বলতার বীজ বপন করা হয়েছিল, তা কেন অব্যাহত রাখতে হবে, তা বোধগম্য নয়। কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সাত সদস্যের মধ্যে দুজনকে খণ্ডকালীন নিয়োগের বিধান বৈষম্যমূলক এবং সদস্যদের মধ্যে মর্যাদা ও এখতিয়ারে বিভাজন তৈরি করে, যা প্রতিষ্ঠানটির অকার্যকরতার অন্যতম কারণ।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কমিশনের সব সদস্যের পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা ও দায়িত্ব-কর্তব্যে সমতা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি এই বিধান সংশোধন করে কমিশনের কার্যক্রমে গতিশীলতা ও কার্যকরতা আনা জরুরি।
ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, চেয়ারপারসন ও কমিশনার বাছাইয়ে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া এবং প্রাথমিকভাবে বাছাই করা প্রার্থীদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশের প্রস্তাব টিআইবি দিয়েছিল, কিন্তু তা গৃহীত হয়নি। তা ছাড়া কোনো সংস্থার আটকস্থল যদি কমিশনের নিকট আইনবহির্ভূত মনে হয়, তবে তা বন্ধের ক্ষমতা ও দায়ীদের জবাবদিহি নিশ্চিতের সুপারিশও উপেক্ষিত হয়েছে, যা হতাশাজনক।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, মানবাধিকার সংরক্ষণের পরিপন্থী কোনো আইন সংশোধনের সুপারিশ করার ক্ষমতা কমিশনের থাকা উচিত।
টিআইবির মতে, অধ্যাদেশে ধারা ১৪-তে ‘মানবাধিকারসংক্রান্ত অন্য কোনো আইন এই আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে এই আইন প্রাধান্য পাবে’–এই অংশ যুক্ত করা হলে ভবিষ্যতে মানবাধিকার বিষয়ে আইনগত সংঘাত এড়ানো সহজ হতো।
এ ছাড়া সব অভিযোগে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক অনুসন্ধানের বিধান বাতিল করে আমলযোগ্য অভিযোগে সরাসরি তদন্তের সুযোগ রাখার প্রস্তাবও গৃহীত হয়নি।
টিআইবির আশঙ্কা, এতে অপ্রয়োজনীয় দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হবে এবং ভুক্তভোগীর হয়রানি ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কর্মকর্তা বা সরকারি কর্মচারীকে কমিশনে প্রেষণে নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ সীমা নির্ধারণ এবং প্রেষণপ্রক্রিয়াকে যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পরিচালনার প্রস্তাবও অগ্রাহ্য করা হয়েছে। এমনকি কমিশনের দ্বিমতের ভিত্তিতে কোনো প্রেষণ প্রত্যাখ্যানের সুযোগের বিধান রাখার সুপারিশও বিবেচিত হয়নি।
টিআইবি মনে করে, কমিশনের আয়-ব্যয়ের বার্ষিক নিরীক্ষা সম্পন্নের পর তা ওয়েবসাইটে প্রকাশের বিধান যুক্ত করা উচিত। এসব সংস্কারই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সত্যিকার অর্থে স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘প্রত্যাশা অনুযায়ী মিডিয়ার সংস্কার হয়নি। ডিজিএফআই আগে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করত, এখনো সেই চর্চা রয়েছে। মিডিয়া রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমি দায়িত্বে থাকাকালে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন করেছিলাম।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা আরও তিন মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও পাঁচজন। আজ রোববার (২ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এ সাক্ষ্য দেন তাঁরা। তাঁরা সবাই তিন মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা
৩ ঘণ্টা আগে
অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারিতে হলেও মেলা অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ রোববার আপিল বিভাগে প্রথমে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন নেপালের প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেন।
৪ ঘণ্টা আগে