নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের আবেদন শুনানি পিছিয়েছে। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের জামিন আবেদনের ওপর শুনানির নতুন তারিখ ২২ নভেম্বর ধার্য করেন।
মির্জা ফখরুলের পক্ষে তাঁর আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ ২ নভেম্বর আদালতে জামিনের আবেদন করেন। আজ শুনানি শুরু হলে হঠাৎ রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করা হয়। এই আবেদন নিয়ে মির্জা ফখরুলের পক্ষে নিয়োজিত বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা তুমুল হইচই শুরু করেন। পরে আদালত শুনানির তারিখ পিছিয়ে দেন।
অ্যাডভোকেট মেজবাহ আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা-কর্মীরা বেলা ১টার দিকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালান।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক মফিজুর রহমান মামলা দায়ের করেন।
২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসভবন থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
এই মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, বরকত উল্লাহ বুলুসহ ৭২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও আসামি রয়েছেন।
আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সিনিয়র আইনজীবী মহসীন মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, গোলাম মোস্তফা, আব্দুল লতিফ তালুকদার, খুরশীদ মিয়া আলম, জয়নুল আবেদীন মেজবাহ প্রমুখ।
বেলা পৌনে ৩টার দিকে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন শুনানি শুরু করলে সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) নুরুল মুত্তাকিন আদালতকে বলেন, ‘বিজ্ঞ মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু আজ অসুস্থ। শুনানির জন্য আমরা সময় চাচ্ছি।’
আদালত বলেন, ‘সময় চেয়েছেন আপনাদের তো কোনো পিটিশন নেই।’ আদালত সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন করেন, ‘কোনো পিটিশন ছাড়া আপনারা সময় চান কীভাবে?’
রাষ্ট্রপক্ষ এ সময় বলেন, ‘আমরা সময়ের আবেদন দিচ্ছি।’ আদালত আবেদন দিতে বলেন।
তখন মির্জা ফখরুলের পক্ষে দুই শতাধিক আইনজীবী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘জামিনের আবেদন শুনানিতে পিপির প্রয়োজন নেই। অতিরিক্ত পিপি রয়েছেন।’
আদালতে উপস্থিত মহানগর অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল আদালতকে বলেন, ‘পিপি সাহেব নিজেই শুনানি করবেন। কাজেই সময় দেওয়া হোক।’
এ সময় মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছি, রাষ্ট্রপক্ষ কালক্ষেপণ করতে চাচ্ছে।’
আইনজীবীরা বলেন, ‘যেহেতু রাষ্ট্রপক্ষ সময় চাচ্ছেন। আইনজীবী বন্ধু পিপি সাহেব অসুস্থ। সেটি বিবেচনায় নিয়ে আমরাও পরে শুনানি করতে চাই।’ আদালতকে বলেন, ‘কাল অথবা পরশু শুনানির তারিখ ধার্য করলে আমরা সেই দিন শুনানি করব।’
আদালত বলেন, ‘ঠিক আছে আপনারা চলে যান, আমি তারিখ পরে জানাব।’ এরপর বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা হইচই করেন। তাঁরা বলেন, ‘এখনই তারিখ ঘোষণা করতে হবে।’
মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা বলেন, ‘এ দেশে আদালত এত অসহায়—এটা আমরা বিশ্বাস করতে চাই না। একটা তারিখ ধার্য করতে আলোচনার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না।’
তুমুল হইচইয়ের মধ্যে মির্জা ফখরুলের সিনিয়র আইনজীবীদের অনুরোধে বেলা সাড়ে ৩টার সময় আদালত এজলাস থেকে নেমে যান। আইনজীবীরা বলেন, ‘আপনি ভেতরে গিয়ে একটি তারিখ নির্ধারণ করে আসেন।’
বিচারক ১৫ মিনিট তাঁর চেম্বারে অবস্থান করে পরে এজলাসে উঠে আগামী ২২ তারিখ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
বাইরে বের হয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও খুরশিদ মিয়া আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মির্জা ফখরুলকে দীর্ঘদিন আটকে রাখার একটা কৌশল নিয়ে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আজ আদালতে হাজির হননি। তাই রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেছে।’ তাঁরা বলেন, ‘আদালতকেও অনেক অসহায় মনে হয়েছে। তিনি নিজে তারিখ ধার্য করতে পারেননি।’
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের আবেদন শুনানি পিছিয়েছে। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের জামিন আবেদনের ওপর শুনানির নতুন তারিখ ২২ নভেম্বর ধার্য করেন।
মির্জা ফখরুলের পক্ষে তাঁর আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ ২ নভেম্বর আদালতে জামিনের আবেদন করেন। আজ শুনানি শুরু হলে হঠাৎ রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করা হয়। এই আবেদন নিয়ে মির্জা ফখরুলের পক্ষে নিয়োজিত বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা তুমুল হইচই শুরু করেন। পরে আদালত শুনানির তারিখ পিছিয়ে দেন।
অ্যাডভোকেট মেজবাহ আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা-কর্মীরা বেলা ১টার দিকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালান।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক মফিজুর রহমান মামলা দায়ের করেন।
২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসভবন থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
এই মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, বরকত উল্লাহ বুলুসহ ৭২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও আসামি রয়েছেন।
আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সিনিয়র আইনজীবী মহসীন মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, গোলাম মোস্তফা, আব্দুল লতিফ তালুকদার, খুরশীদ মিয়া আলম, জয়নুল আবেদীন মেজবাহ প্রমুখ।
বেলা পৌনে ৩টার দিকে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন শুনানি শুরু করলে সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) নুরুল মুত্তাকিন আদালতকে বলেন, ‘বিজ্ঞ মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু আজ অসুস্থ। শুনানির জন্য আমরা সময় চাচ্ছি।’
আদালত বলেন, ‘সময় চেয়েছেন আপনাদের তো কোনো পিটিশন নেই।’ আদালত সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন করেন, ‘কোনো পিটিশন ছাড়া আপনারা সময় চান কীভাবে?’
রাষ্ট্রপক্ষ এ সময় বলেন, ‘আমরা সময়ের আবেদন দিচ্ছি।’ আদালত আবেদন দিতে বলেন।
তখন মির্জা ফখরুলের পক্ষে দুই শতাধিক আইনজীবী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘জামিনের আবেদন শুনানিতে পিপির প্রয়োজন নেই। অতিরিক্ত পিপি রয়েছেন।’
আদালতে উপস্থিত মহানগর অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল আদালতকে বলেন, ‘পিপি সাহেব নিজেই শুনানি করবেন। কাজেই সময় দেওয়া হোক।’
এ সময় মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছি, রাষ্ট্রপক্ষ কালক্ষেপণ করতে চাচ্ছে।’
আইনজীবীরা বলেন, ‘যেহেতু রাষ্ট্রপক্ষ সময় চাচ্ছেন। আইনজীবী বন্ধু পিপি সাহেব অসুস্থ। সেটি বিবেচনায় নিয়ে আমরাও পরে শুনানি করতে চাই।’ আদালতকে বলেন, ‘কাল অথবা পরশু শুনানির তারিখ ধার্য করলে আমরা সেই দিন শুনানি করব।’
আদালত বলেন, ‘ঠিক আছে আপনারা চলে যান, আমি তারিখ পরে জানাব।’ এরপর বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা হইচই করেন। তাঁরা বলেন, ‘এখনই তারিখ ঘোষণা করতে হবে।’
মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা বলেন, ‘এ দেশে আদালত এত অসহায়—এটা আমরা বিশ্বাস করতে চাই না। একটা তারিখ ধার্য করতে আলোচনার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না।’
তুমুল হইচইয়ের মধ্যে মির্জা ফখরুলের সিনিয়র আইনজীবীদের অনুরোধে বেলা সাড়ে ৩টার সময় আদালত এজলাস থেকে নেমে যান। আইনজীবীরা বলেন, ‘আপনি ভেতরে গিয়ে একটি তারিখ নির্ধারণ করে আসেন।’
বিচারক ১৫ মিনিট তাঁর চেম্বারে অবস্থান করে পরে এজলাসে উঠে আগামী ২২ তারিখ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
বাইরে বের হয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও খুরশিদ মিয়া আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মির্জা ফখরুলকে দীর্ঘদিন আটকে রাখার একটা কৌশল নিয়ে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আজ আদালতে হাজির হননি। তাই রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেছে।’ তাঁরা বলেন, ‘আদালতকেও অনেক অসহায় মনে হয়েছে। তিনি নিজে তারিখ ধার্য করতে পারেননি।’
আন্তঃরাষ্ট্রীয় গুমের সঙ্গে জড়িত ছিল বাংলাদেশ ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গুম হওয়া ব্যক্তিদের আদান-প্রদান করত। গুম কমিশনের দ্বিতীয় প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
১ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে স্পিকারের শপথ পড়ানোর বিধান নিয়ে জারি করা রুল শুনানির জন্য আগামী ৭ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে। ওইদিন বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের বেঞ্চে এই বিষয়ে শুনানি হবে বলে সোমবার আজকের পত্রিকাকে জানান রিটকারীর আইনজীবী ওমর ফারুক।
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকার চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা ব্যবস্থা তৈরির উদ্যোগে বাংলাদেশকে ‘যুক্ত’ করায় দেশ দুটি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ কিছু দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ঝামেলা বাড়বে।
৬ ঘণ্টা আগেফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি, নৌকাবাইচের মতো অনুমোদিত খেলায় আর্থিক ঝুঁকি তৈরি হলে সেগুলোকে জুয়া হিসেবে গণ্য করা হবে। এ জন্য দুই বছর কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। জুয়া নিয়ে ফেসবুকে প্রচার করলেও দেওয়া হবে জেল-জরিমানা। অফলাইন ও অনলাইনে জুয়া খেলাকে নিয়ন্ত্রণ করতে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করেছে
১২ ঘণ্টা আগে