অনলাইন ডেস্ক
সদ্য সমাপ্ত ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানে সহিংসতা ও পুলিশি হামলার শিকার হয়েছেন ১০ হাজার ৪৭২ জন। সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে নিহত হয়েছেন ৮৮১ জন, আহত হয়েছেন ৭ হাজার ৮৭৩ জন। এ ছাড়া হুমকির শিকার ৯৩৩ জন, নির্যাতনের শিকার ৭৩১ এবং নিখোঁজ রয়েছেন ৫৪ জন।
বিদায়ী বছরে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গতকাল মঙ্গলবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও নিজেদের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদনের পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৮৭৬টি। যার মধ্যে অগ্নিসংযোগ ৩৩৩, ভাঙচুর, লুটপাট ৩০০, সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি আক্রমণ ২২৩ এবং মন্দির ও মাজারে আক্রমণের ২০টি ঘটনা রয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, রাজনৈতিক সহিংসতা ও জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে এ বছর ১ হাজার ৫২০টি মামলা হয়। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৩ হাজার ৪৬৮ জন। সুনির্দিষ্টভাবে আসামি করা হয়েছে ৬৮ হাজার ৩৬৮ এবং অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৪ লাখ ২৪ হাজার ৪৭৯ জনকে। অর্থাৎ রাজনৈতিক সহিংসতা ও গণ-অভ্যুত্থানের ১ হাজার ৫২০ মামলায় আসামি ৪ লাখ ৯২ হাজার ৮৪৭ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কোটা আন্দোলন ও সরকার পতনের আন্দোলন ঘিরে জুলাই-আগস্ট মাসে যেসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তাকে ‘জুলাই গণহত্যা’ নামে অভিহিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এসব মৃত্যুর ঘটনায় যেসব হত্যা মামলা হয়েছে, সেগুলোর এজাহারের ধরন প্রায় সবই একই রকমের, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে ঢালাওভাবে। ফলে এসব মামলা প্রমাণ করে বিচার কতটা নিশ্চিত করা যাবে, তা নিয়ে সংশয়ের অবকাশ থেকে যায়। এ ছাড়া এসব মামলার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে বিবাদীপক্ষের আইনজীবীদের আদালতে দাঁড়াতে না দেওয়ায় বিবাদীর আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না পেয়ে সঠিক বিচার থেকে বঞ্চিত হবে, যা বিচারব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা ও প্রশ্ন উঠতে পারে।
এমএসএফ মনে করে, ২০২৪ সালে দেশে বিরাজমান সামগ্রিক রাজনৈতিক, সামাজিক, গণতান্ত্রিক, আইনি পরিবেশ ও মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিল লক্ষণীয়ভাবে উদ্বেগজনক। এ বছর বাংলাদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদমুক্ত একটি দেশ পেয়েছে। মানবাধিকার পরিস্থিতির বিশ্লেষণে অন্যতম উদ্বেগের বিষয় ছিল যথেচ্ছ রাজনৈতিক সহিংসতা, গায়েবি মামলা, গণগ্রেপ্তারের পাশাপাশি নির্বাচনী সহিংসতা। এ বছর সংখ্যালঘু নির্যাতন ও গণপিটুনির ঘটনা বেড়েছে। নতুন আকারে শুরু হয়েছে মাজারে হামলা ও ভাঙচুর।
সদ্য সমাপ্ত ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানে সহিংসতা ও পুলিশি হামলার শিকার হয়েছেন ১০ হাজার ৪৭২ জন। সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে নিহত হয়েছেন ৮৮১ জন, আহত হয়েছেন ৭ হাজার ৮৭৩ জন। এ ছাড়া হুমকির শিকার ৯৩৩ জন, নির্যাতনের শিকার ৭৩১ এবং নিখোঁজ রয়েছেন ৫৪ জন।
বিদায়ী বছরে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গতকাল মঙ্গলবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও নিজেদের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদনের পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৮৭৬টি। যার মধ্যে অগ্নিসংযোগ ৩৩৩, ভাঙচুর, লুটপাট ৩০০, সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি আক্রমণ ২২৩ এবং মন্দির ও মাজারে আক্রমণের ২০টি ঘটনা রয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, রাজনৈতিক সহিংসতা ও জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে এ বছর ১ হাজার ৫২০টি মামলা হয়। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৩ হাজার ৪৬৮ জন। সুনির্দিষ্টভাবে আসামি করা হয়েছে ৬৮ হাজার ৩৬৮ এবং অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৪ লাখ ২৪ হাজার ৪৭৯ জনকে। অর্থাৎ রাজনৈতিক সহিংসতা ও গণ-অভ্যুত্থানের ১ হাজার ৫২০ মামলায় আসামি ৪ লাখ ৯২ হাজার ৮৪৭ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কোটা আন্দোলন ও সরকার পতনের আন্দোলন ঘিরে জুলাই-আগস্ট মাসে যেসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তাকে ‘জুলাই গণহত্যা’ নামে অভিহিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এসব মৃত্যুর ঘটনায় যেসব হত্যা মামলা হয়েছে, সেগুলোর এজাহারের ধরন প্রায় সবই একই রকমের, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে ঢালাওভাবে। ফলে এসব মামলা প্রমাণ করে বিচার কতটা নিশ্চিত করা যাবে, তা নিয়ে সংশয়ের অবকাশ থেকে যায়। এ ছাড়া এসব মামলার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে বিবাদীপক্ষের আইনজীবীদের আদালতে দাঁড়াতে না দেওয়ায় বিবাদীর আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না পেয়ে সঠিক বিচার থেকে বঞ্চিত হবে, যা বিচারব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা ও প্রশ্ন উঠতে পারে।
এমএসএফ মনে করে, ২০২৪ সালে দেশে বিরাজমান সামগ্রিক রাজনৈতিক, সামাজিক, গণতান্ত্রিক, আইনি পরিবেশ ও মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিল লক্ষণীয়ভাবে উদ্বেগজনক। এ বছর বাংলাদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদমুক্ত একটি দেশ পেয়েছে। মানবাধিকার পরিস্থিতির বিশ্লেষণে অন্যতম উদ্বেগের বিষয় ছিল যথেচ্ছ রাজনৈতিক সহিংসতা, গায়েবি মামলা, গণগ্রেপ্তারের পাশাপাশি নির্বাচনী সহিংসতা। এ বছর সংখ্যালঘু নির্যাতন ও গণপিটুনির ঘটনা বেড়েছে। নতুন আকারে শুরু হয়েছে মাজারে হামলা ও ভাঙচুর।
জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার অনুরোধ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘একটু ছাড় দেওয়ার জায়গায় আসুন। আপনারা আসছেন, আরেকটু আগান। আরেকটু আগালে দ্রুত জুলাই সনদ করার মাধ্যমে এ অংশ (সংলাপ) শেষ করতে পারি।’
১ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিএনপি।
২ ঘণ্টা আগেদেশের মৎস্যজীবীদের বড় অংশকে জেলে হিসেবে নিবন্ধনের আওতায় এনেছে সরকার। অভিযোগ রয়েছে, নিবন্ধিত জেলেদের তালিকায় অনিয়ম-প্রতারণার মাধ্যমে অন্য পেশাজীবীরা ঢুকে পড়েছেন। এতে মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় দেওয়া বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক প্রকৃত জেলে।
৫ ঘণ্টা আগেবিগত আওয়ামী লীগ আমলের শতাধিক সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বর্তমানে কারাগারে। তাঁদের অধিকাংশই বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন। তাঁরা হত্যা, হত্যাচেষ্টা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, দুর্নীতি, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের মুখে।
১১ ঘণ্টা আগে