নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জ্বালানি তেলের বিক্রয় কমিশন ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানোসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে পেট্রল পাম্প মালিক সমিতি। দাবি না মানা হলে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশের সব ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলনে বিরত থাকার হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি।
আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস্ অ্যান্ড পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মো. মিজানুর রহমান রতন।
লিখিত বক্তব্যে মিজানুর রহমান বলেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও বিপিসি কর্তৃপক্ষ একক সিদ্ধান্তে বিবেচনাহীনভাবে জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর কমিশন লিটারপ্রতি মাত্র ২০ পয়সা বাড়িয়েছে। দুঃখজনকভাবে বিপিসি ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের প্রতি চরম উদাসীনতা দেখিয়েছে।
জ্বালানি তেল বিক্রয়ে তাদের লোকসান ঠেকাতে লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়িয়েছে। অথচ যাদের মাধ্যমে এই পুরো তেল বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, তাদের ব্যবসার প্রতি বিন্দুমাত্র সুবিচার করা হয়নি। ফলে সব জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন।
মিজানুর রহমান জানান, বাংলাদেশের অধিকাংশ পেট্রলপাম্পই প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার লিটারের নিচে ডিজেল বিক্রি করে থাকে। ফলে ২০ পয়সা দিয়ে গড়ে তাদের মাসিক ১২ হাজার টাকা আয় বৃদ্ধি পায়, যা দিয়ে অতিরিক্ত মূলধন বিনিয়োগ এবং সকল বৃদ্ধি পাওয়া খরচ চালানো একেবারে দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা দাবি বাস্তবায়নে ও হরতাল-ধর্মঘটে কখনই যেতে চায়নি। আমরা আলাপ-আলোচনা ও বৈঠকের মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধান করতে চেয়েছি। গত তিন বছর ধরে দাবি-দাওয়া নিয়ে বহু পত্র দিয়েছি এবং আলোচনা করেছি, বৈঠক করেছি। অথচ বৈঠক হচ্ছে ঠিকই কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন করা হয়নি। শেষ পর্যন্ত অ্যাসোসিয়েশনের মতামত উপেক্ষা করে একক সিদ্ধান্তে সরকার জ্বালানি তেল ডিজেলের ২০ পয়সা বিক্রয় কমিশন ধার্য করে, যা জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের আশাহত করেছে।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাবিদাওয়া বাস্তবায়ন ও জ্বালানি তেলের বিক্রয় কমিশন ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানো না হলে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশের সব ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলনে বিরত থাকবে। আন্দোলন ছাড়া দাবি আদায় সম্ভব নয় বিধায় সব জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
দাবির ব্যাপারে পেট্রলপাম্প মালিক সমিতির সভাপতি সাজ্জাদুল করিম কাবুল বলেন, বর্তমানে কমিশন রয়েছে ২ দশমিক ৯২ শতাংশ। ৩০ টাকা থেকে তেলের দাম ৮০ টাকা বেড়েছে। এটা যদি তখন থেকে বাড়ানো হতো, তাহলে এটাকে এত বেশি মনে হতো না। এটা এখন পুঞ্জীভূত বলে এত বেশি মনে হচ্ছে।
মালিক সমিতির অন্যান্য দাবি হলো: জ্বালানি তেল বিক্রয়ের প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ করতে হবে। জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট, যা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের পেট্রলপাম্পের প্রবেশদ্বারের ভূমির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল করা। কারণ প্রবেশদ্বার ব্যবহারকারীরা, অর্থাৎ সব যানবাহন সরকারের নিয়ম অনুযায়ী কর প্রদান করে। ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়া অন্য দপ্তর বা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। মালিক কর্তৃক প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংকলরি শ্রমিকদের পাঁচ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বিমা প্রথা চালু করার জন্য বিমা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সব জ্বালানি ডিপো সংলগ্ন ট্যাংকলরি শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত শৌচাগার ও বিশ্রামাগার নিশ্চিত করতে হবে।
জ্বালানি তেলের বিক্রয় কমিশন ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানোসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে পেট্রল পাম্প মালিক সমিতি। দাবি না মানা হলে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশের সব ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলনে বিরত থাকার হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি।
আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস্ অ্যান্ড পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মো. মিজানুর রহমান রতন।
লিখিত বক্তব্যে মিজানুর রহমান বলেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও বিপিসি কর্তৃপক্ষ একক সিদ্ধান্তে বিবেচনাহীনভাবে জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর কমিশন লিটারপ্রতি মাত্র ২০ পয়সা বাড়িয়েছে। দুঃখজনকভাবে বিপিসি ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের প্রতি চরম উদাসীনতা দেখিয়েছে।
জ্বালানি তেল বিক্রয়ে তাদের লোকসান ঠেকাতে লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়িয়েছে। অথচ যাদের মাধ্যমে এই পুরো তেল বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, তাদের ব্যবসার প্রতি বিন্দুমাত্র সুবিচার করা হয়নি। ফলে সব জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন।
মিজানুর রহমান জানান, বাংলাদেশের অধিকাংশ পেট্রলপাম্পই প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার লিটারের নিচে ডিজেল বিক্রি করে থাকে। ফলে ২০ পয়সা দিয়ে গড়ে তাদের মাসিক ১২ হাজার টাকা আয় বৃদ্ধি পায়, যা দিয়ে অতিরিক্ত মূলধন বিনিয়োগ এবং সকল বৃদ্ধি পাওয়া খরচ চালানো একেবারে দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা দাবি বাস্তবায়নে ও হরতাল-ধর্মঘটে কখনই যেতে চায়নি। আমরা আলাপ-আলোচনা ও বৈঠকের মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধান করতে চেয়েছি। গত তিন বছর ধরে দাবি-দাওয়া নিয়ে বহু পত্র দিয়েছি এবং আলোচনা করেছি, বৈঠক করেছি। অথচ বৈঠক হচ্ছে ঠিকই কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন করা হয়নি। শেষ পর্যন্ত অ্যাসোসিয়েশনের মতামত উপেক্ষা করে একক সিদ্ধান্তে সরকার জ্বালানি তেল ডিজেলের ২০ পয়সা বিক্রয় কমিশন ধার্য করে, যা জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের আশাহত করেছে।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাবিদাওয়া বাস্তবায়ন ও জ্বালানি তেলের বিক্রয় কমিশন ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানো না হলে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশের সব ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলনে বিরত থাকবে। আন্দোলন ছাড়া দাবি আদায় সম্ভব নয় বিধায় সব জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
দাবির ব্যাপারে পেট্রলপাম্প মালিক সমিতির সভাপতি সাজ্জাদুল করিম কাবুল বলেন, বর্তমানে কমিশন রয়েছে ২ দশমিক ৯২ শতাংশ। ৩০ টাকা থেকে তেলের দাম ৮০ টাকা বেড়েছে। এটা যদি তখন থেকে বাড়ানো হতো, তাহলে এটাকে এত বেশি মনে হতো না। এটা এখন পুঞ্জীভূত বলে এত বেশি মনে হচ্ছে।
মালিক সমিতির অন্যান্য দাবি হলো: জ্বালানি তেল বিক্রয়ের প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ করতে হবে। জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট, যা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের পেট্রলপাম্পের প্রবেশদ্বারের ভূমির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল করা। কারণ প্রবেশদ্বার ব্যবহারকারীরা, অর্থাৎ সব যানবাহন সরকারের নিয়ম অনুযায়ী কর প্রদান করে। ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়া অন্য দপ্তর বা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। মালিক কর্তৃক প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংকলরি শ্রমিকদের পাঁচ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বিমা প্রথা চালু করার জন্য বিমা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সব জ্বালানি ডিপো সংলগ্ন ট্যাংকলরি শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত শৌচাগার ও বিশ্রামাগার নিশ্চিত করতে হবে।
‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়ব এ দেশ নতুন করে’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাপী পালিত হবে মহান মে দিবস। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ও আহত শ্রমিকদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে মে দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে শ্রম মন্ত্রণালয়।
১০ মিনিট আগেবহু বঞ্চনার শিকার হওয়া অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আনসার উদ্দিন খান পাঠানকে অবশেষে দুই বছর মেয়াদে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত সংস্থায় কো-অর্ডিনেটর হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
২৩ মিনিট আগে২০২৪ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে বিশেষ আবাসন প্রকল্পে নির্মিত ৩০০ ঘর হস্তান্তর করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। দেশের চারটি জেলা—ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলায় এই ঘরগুলো বিতরণ করা হয়। আজ বুধবার সকালে প্রধান উপদেষ্টা নিজ কার্যালয় থেকে...
১ ঘণ্টা আগেবিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে না নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) একেএম শহিদুর রহমান। তিনি বলেন, পুলিশ ক্যাডারে কাউকে সুপারিশ করার আগেই তাঁর বৈবাহিক, শারীরিক ও অন্যান্য বিষয়াদি খতিয়ে দেখা দরকার।
১ ঘণ্টা আগে