নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা মামলায় চার আসামিকে আগামী ৯ এপ্রিল হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আজ রোববার প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। সেই সঙ্গে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ৯ এপ্রিলের মধ্যে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
যাঁদের হাজির করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন এএসআই আমীর হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরীফুল ইসলাম ও তৎকালীন সময়ে বেরোবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এমরান চৌধুরী আকাশ।
এর আগে শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আসামিরা অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। তাঁদেরকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন তিনি। পরে ট্রাইব্যুনাল ৯ এপ্রিল তাঁদের হাজির করার নির্দেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিষয়ে প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই মামলার তদন্ত প্রায় শেষ। আশা করছি, ৯ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা যাবে।’
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সব ঘটনাতেই শেখ হাসিনা হুকুমের আসামি। তাঁর নির্দেশেই সারা দেশে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে আমরা পৃথকভাবে প্রতিবেদন দাখিল করব।’
আসামিদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসহযোগিতার বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আগের চেয়ে অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে বিক্ষোভের সময় গত বছরের ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে প্রতিবাদমুখর নিরস্ত্র আবু সাঈদকে পুলিশ গুলি করে। সহপাঠীরা সাঈদকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।
আবু সাঈদকে পুলিশের গুলি করার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হন বহু মানুষ, যাতে আরও গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা মামলায় চার আসামিকে আগামী ৯ এপ্রিল হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আজ রোববার প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। সেই সঙ্গে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ৯ এপ্রিলের মধ্যে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
যাঁদের হাজির করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন এএসআই আমীর হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরীফুল ইসলাম ও তৎকালীন সময়ে বেরোবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এমরান চৌধুরী আকাশ।
এর আগে শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আসামিরা অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। তাঁদেরকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন তিনি। পরে ট্রাইব্যুনাল ৯ এপ্রিল তাঁদের হাজির করার নির্দেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিষয়ে প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই মামলার তদন্ত প্রায় শেষ। আশা করছি, ৯ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা যাবে।’
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সব ঘটনাতেই শেখ হাসিনা হুকুমের আসামি। তাঁর নির্দেশেই সারা দেশে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে আমরা পৃথকভাবে প্রতিবেদন দাখিল করব।’
আসামিদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসহযোগিতার বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আগের চেয়ে অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে বিক্ষোভের সময় গত বছরের ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে প্রতিবাদমুখর নিরস্ত্র আবু সাঈদকে পুলিশ গুলি করে। সহপাঠীরা সাঈদকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।
আবু সাঈদকে পুলিশের গুলি করার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হন বহু মানুষ, যাতে আরও গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন।
জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার অনুরোধ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘একটু ছাড় দেওয়ার জায়গায় আসুন। আপনারা আসছেন, আরেকটু আগান। আরেকটু আগালে দ্রুত জুলাই সনদ করার মাধ্যমে এ অংশ (সংলাপ) শেষ করতে পারি।’
১ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিএনপি।
২ ঘণ্টা আগেদেশের মৎস্যজীবীদের বড় অংশকে জেলে হিসেবে নিবন্ধনের আওতায় এনেছে সরকার। অভিযোগ রয়েছে, নিবন্ধিত জেলেদের তালিকায় অনিয়ম-প্রতারণার মাধ্যমে অন্য পেশাজীবীরা ঢুকে পড়েছেন। এতে মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় দেওয়া বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক প্রকৃত জেলে।
৫ ঘণ্টা আগেবিগত আওয়ামী লীগ আমলের শতাধিক সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বর্তমানে কারাগারে। তাঁদের অধিকাংশই বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন। তাঁরা হত্যা, হত্যাচেষ্টা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, দুর্নীতি, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের মুখে।
১১ ঘণ্টা আগে