
দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলার মধ্যে অন্যতম নোয়াখালী, কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুর। এই জেলাগুলো থেকে এখনো সুসংবাদ পাওয়া যাচ্ছে না। লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার বানভাসি মানুষেরা ত্রাণ পাচ্ছে না। টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালীর ৮ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে চাঁদপুরের নতুন নতুন এলাকা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান গতকাল সোমবার জানান, বন্যাকবলিত ১১ জেলার ৭৪টি উপজেলার মোট ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৭ লাখ ১ হাজার ২০৪ জন। মারা গেছে ২৩ জন।
নোয়াখালীর বন্যার পানি লক্ষ্মীপুরের রহমতখালী খাল হয়ে লক্ষ্মীপুরের লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩ থেকে ৬ ইঞ্চি পানি বেড়েছে বলে জানিয়েছে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পানিবন্দী অন্তত ৮ লাখ বাসিন্দা। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। রামগতি আবহাওয়া সতর্কীকরণ অফিসের কর্মকর্তা সৌরভ হোসেন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৮০ মিলিমিটার। বন্যার অবনতি হচ্ছে। আরও কয়েক দিন বৃষ্টি থাকবে। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
লক্ষ্মীপুরে এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে ত্রাণ ও সুপেয় পানির সংকট। সদর উপজেলার লাহারকান্দি উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে গতকাল ভোরে আবদুল মালেক নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। কমলনগরে মাছ ধরতে গিয়ে খালে বন্যার পানির স্রোতে ডুবে মো. হৃদয় হোসেন (১৩) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বন্যার অবনতির সঙ্গে ত্রাণসংকট বাড়ছে। বিভিন্ন সংগঠন ও সরকারের পক্ষ থেকে যে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে, তা অপ্রতুল। আবার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় অনেক এলাকায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানো যাচ্ছে না। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ উজ জামান বলেন, রোববারের চেয়ে নিম্নাঞ্চলে কোথাও কোথাও ১০ সেমি পানি বেড়েছে। তিন দিন ধরে পানি অনেক বাড়ছে। বন্যার আরও অবনতি হচ্ছে।
কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানি কিছুটা কমলেও উন্নতি হয়নি বন্যার পরিস্থিতি। প্রতিদিনেই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম। বাড়ছে পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা। ত্রাণের সমস্যা না থাকলেও হচ্ছে না সুষম বণ্টন। সুপেয় পানির অভাব, বস্ত্র, পানিবাহিত রোগসহ নানা সমস্যায় ঝুড়ি ভারী হচ্ছে প্রতিদিনই। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলার ১৭টি উপজেলার মধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে ১৪টি উপজেলা। এতে পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ২৬ হাজার ১০৯ জন। জেলার ৭২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৭৮ হাজার মানুষ। বেসরকারি হিসাবমতে, পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা আরও বেশি বলে স্থানীয়ভাবে জানা যায়।
জেলার নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার বন্যায় আটকে পড়া গ্রামবাসীর মধ্যে পর্যাপ্ত ত্রাণ না পৌঁছানোর কারণে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে বানভাসি মানুষের মধ্যে। এসব এলাকার অধিকাংশ ইউনিয়নে এখনো কোনো ত্রাণ পৌঁছায়নি। মুছাপুর বাঁধ ভাঙার কারণে নাঙ্গলকোটের তিনটি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। গতকাল স্রোতে পড়ে নাঙ্গলকোটের ঢালুয়া ইউনিয়নে আকতার আলী (২৬) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নাঙ্গলকোট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকি বলেন, ‘উপজেলাটির দুর্গম এলাকাগুলোতে পানি বৃদ্ধি ও যাতায়াতব্যবস্থা না থাকায় এখন পর্যন্ত কোনো খাবার পৌঁছায়নি। তবে আমরা স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
নোয়াখালীর ৮ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। গত শনিবার রাত থেকে একটানা মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি ও ফেনী থেকে নেমে আসা বন্যার পানিতে সেনবাগ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, বেগমগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আরও কয়েকটি নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত এলাকাগুলোয় পানিবন্দী ও গৃহহীন হয়ে পড়েছে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। বন্যাকবলিত এলাকাতে দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।
এদিকে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে নোয়াখালীর প্রধান ও আঞ্চলিক মহাসড়কগুলো। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফেনী থেকে নেমে আসা বন্যার পানি ও গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণের ফলে জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। একই সঙ্গে ফেনী-চৌমুহনী, চৌমুহনী-মাইজদী, চৌমুহনী-লক্ষ্মীপুর, সোনাপুর-কবিরহাট ও সোনাপুর-কুমিল্লা সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠে গেছে।
সরকারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলার তালিকায় রয়েছে ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার। এতে নেই চাঁদপুর। যদিও চাঁদপুরের শাহারাস্তি উপজেলায় উজানের পানি নেমে গত দুই দিনে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে পাঁচ শতাধিক পরিবার। তানিয়া আক্তার নামের এক গৃহবধূ বলেন, ‘আমরাও শিশুদের নিয়ে গত দুই দিন এই আশ্রয়কেন্দ্রে আছি। আমাদের বাড়িঘর সব পানিতে তলিয়ে গেছে; এখন কী অবস্থায় আছে, তা-ও জানি না।’
গতকাল সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত উপজেলার সুচিপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ বাড়িঘর পানির নিচে এবং রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। একইভাবে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের এবং গবাদিপশুর ঘর।
কুমিল্লার বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নে। ইউনিয়নের পিপলকড়া, ভবানীপুর, সানন্দকড়া, রসুলপুরসহ বেশ কিছু গ্রামে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে।
উন্নতি যেসব জেলায়
ফেনীতে অতি বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। অধিকাংশ এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। ফেনী সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলা থেকে কমেছে বন্যার পানি। জেলার ৭৫ শতাংশ মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার অচল রয়েছে বলে সন্ধ্যায় জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও কসবায় সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। পানি কমে যাওয়ায় বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে বন্যাদুর্গতরা। তবে বাড়ি ফিরে অনেকেই আর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাচ্ছে না।

দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলার মধ্যে অন্যতম নোয়াখালী, কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুর। এই জেলাগুলো থেকে এখনো সুসংবাদ পাওয়া যাচ্ছে না। লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার বানভাসি মানুষেরা ত্রাণ পাচ্ছে না। টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালীর ৮ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে চাঁদপুরের নতুন নতুন এলাকা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান গতকাল সোমবার জানান, বন্যাকবলিত ১১ জেলার ৭৪টি উপজেলার মোট ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৭ লাখ ১ হাজার ২০৪ জন। মারা গেছে ২৩ জন।
নোয়াখালীর বন্যার পানি লক্ষ্মীপুরের রহমতখালী খাল হয়ে লক্ষ্মীপুরের লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩ থেকে ৬ ইঞ্চি পানি বেড়েছে বলে জানিয়েছে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পানিবন্দী অন্তত ৮ লাখ বাসিন্দা। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। রামগতি আবহাওয়া সতর্কীকরণ অফিসের কর্মকর্তা সৌরভ হোসেন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৮০ মিলিমিটার। বন্যার অবনতি হচ্ছে। আরও কয়েক দিন বৃষ্টি থাকবে। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
লক্ষ্মীপুরে এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে ত্রাণ ও সুপেয় পানির সংকট। সদর উপজেলার লাহারকান্দি উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে গতকাল ভোরে আবদুল মালেক নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। কমলনগরে মাছ ধরতে গিয়ে খালে বন্যার পানির স্রোতে ডুবে মো. হৃদয় হোসেন (১৩) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বন্যার অবনতির সঙ্গে ত্রাণসংকট বাড়ছে। বিভিন্ন সংগঠন ও সরকারের পক্ষ থেকে যে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে, তা অপ্রতুল। আবার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় অনেক এলাকায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানো যাচ্ছে না। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ উজ জামান বলেন, রোববারের চেয়ে নিম্নাঞ্চলে কোথাও কোথাও ১০ সেমি পানি বেড়েছে। তিন দিন ধরে পানি অনেক বাড়ছে। বন্যার আরও অবনতি হচ্ছে।
কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানি কিছুটা কমলেও উন্নতি হয়নি বন্যার পরিস্থিতি। প্রতিদিনেই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম। বাড়ছে পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা। ত্রাণের সমস্যা না থাকলেও হচ্ছে না সুষম বণ্টন। সুপেয় পানির অভাব, বস্ত্র, পানিবাহিত রোগসহ নানা সমস্যায় ঝুড়ি ভারী হচ্ছে প্রতিদিনই। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলার ১৭টি উপজেলার মধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে ১৪টি উপজেলা। এতে পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ২৬ হাজার ১০৯ জন। জেলার ৭২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৭৮ হাজার মানুষ। বেসরকারি হিসাবমতে, পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা আরও বেশি বলে স্থানীয়ভাবে জানা যায়।
জেলার নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার বন্যায় আটকে পড়া গ্রামবাসীর মধ্যে পর্যাপ্ত ত্রাণ না পৌঁছানোর কারণে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে বানভাসি মানুষের মধ্যে। এসব এলাকার অধিকাংশ ইউনিয়নে এখনো কোনো ত্রাণ পৌঁছায়নি। মুছাপুর বাঁধ ভাঙার কারণে নাঙ্গলকোটের তিনটি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। গতকাল স্রোতে পড়ে নাঙ্গলকোটের ঢালুয়া ইউনিয়নে আকতার আলী (২৬) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নাঙ্গলকোট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকি বলেন, ‘উপজেলাটির দুর্গম এলাকাগুলোতে পানি বৃদ্ধি ও যাতায়াতব্যবস্থা না থাকায় এখন পর্যন্ত কোনো খাবার পৌঁছায়নি। তবে আমরা স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
নোয়াখালীর ৮ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। গত শনিবার রাত থেকে একটানা মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি ও ফেনী থেকে নেমে আসা বন্যার পানিতে সেনবাগ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, বেগমগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আরও কয়েকটি নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত এলাকাগুলোয় পানিবন্দী ও গৃহহীন হয়ে পড়েছে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। বন্যাকবলিত এলাকাতে দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।
এদিকে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে নোয়াখালীর প্রধান ও আঞ্চলিক মহাসড়কগুলো। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফেনী থেকে নেমে আসা বন্যার পানি ও গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণের ফলে জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। একই সঙ্গে ফেনী-চৌমুহনী, চৌমুহনী-মাইজদী, চৌমুহনী-লক্ষ্মীপুর, সোনাপুর-কবিরহাট ও সোনাপুর-কুমিল্লা সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠে গেছে।
সরকারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলার তালিকায় রয়েছে ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার। এতে নেই চাঁদপুর। যদিও চাঁদপুরের শাহারাস্তি উপজেলায় উজানের পানি নেমে গত দুই দিনে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে পাঁচ শতাধিক পরিবার। তানিয়া আক্তার নামের এক গৃহবধূ বলেন, ‘আমরাও শিশুদের নিয়ে গত দুই দিন এই আশ্রয়কেন্দ্রে আছি। আমাদের বাড়িঘর সব পানিতে তলিয়ে গেছে; এখন কী অবস্থায় আছে, তা-ও জানি না।’
গতকাল সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত উপজেলার সুচিপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ বাড়িঘর পানির নিচে এবং রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। একইভাবে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের এবং গবাদিপশুর ঘর।
কুমিল্লার বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নে। ইউনিয়নের পিপলকড়া, ভবানীপুর, সানন্দকড়া, রসুলপুরসহ বেশ কিছু গ্রামে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে।
উন্নতি যেসব জেলায়
ফেনীতে অতি বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। অধিকাংশ এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। ফেনী সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলা থেকে কমেছে বন্যার পানি। জেলার ৭৫ শতাংশ মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার অচল রয়েছে বলে সন্ধ্যায় জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও কসবায় সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। পানি কমে যাওয়ায় বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে বন্যাদুর্গতরা। তবে বাড়ি ফিরে অনেকেই আর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাচ্ছে না।

দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলার মধ্যে অন্যতম নোয়াখালী, কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুর। এই জেলাগুলো থেকে এখনো সুসংবাদ পাওয়া যাচ্ছে না। লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার বানভাসি মানুষেরা ত্রাণ পাচ্ছে না। টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালীর ৮ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে চাঁদপুরের নতুন নতুন এলাকা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান গতকাল সোমবার জানান, বন্যাকবলিত ১১ জেলার ৭৪টি উপজেলার মোট ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৭ লাখ ১ হাজার ২০৪ জন। মারা গেছে ২৩ জন।
নোয়াখালীর বন্যার পানি লক্ষ্মীপুরের রহমতখালী খাল হয়ে লক্ষ্মীপুরের লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩ থেকে ৬ ইঞ্চি পানি বেড়েছে বলে জানিয়েছে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পানিবন্দী অন্তত ৮ লাখ বাসিন্দা। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। রামগতি আবহাওয়া সতর্কীকরণ অফিসের কর্মকর্তা সৌরভ হোসেন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৮০ মিলিমিটার। বন্যার অবনতি হচ্ছে। আরও কয়েক দিন বৃষ্টি থাকবে। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
লক্ষ্মীপুরে এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে ত্রাণ ও সুপেয় পানির সংকট। সদর উপজেলার লাহারকান্দি উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে গতকাল ভোরে আবদুল মালেক নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। কমলনগরে মাছ ধরতে গিয়ে খালে বন্যার পানির স্রোতে ডুবে মো. হৃদয় হোসেন (১৩) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বন্যার অবনতির সঙ্গে ত্রাণসংকট বাড়ছে। বিভিন্ন সংগঠন ও সরকারের পক্ষ থেকে যে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে, তা অপ্রতুল। আবার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় অনেক এলাকায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানো যাচ্ছে না। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ উজ জামান বলেন, রোববারের চেয়ে নিম্নাঞ্চলে কোথাও কোথাও ১০ সেমি পানি বেড়েছে। তিন দিন ধরে পানি অনেক বাড়ছে। বন্যার আরও অবনতি হচ্ছে।
কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানি কিছুটা কমলেও উন্নতি হয়নি বন্যার পরিস্থিতি। প্রতিদিনেই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম। বাড়ছে পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা। ত্রাণের সমস্যা না থাকলেও হচ্ছে না সুষম বণ্টন। সুপেয় পানির অভাব, বস্ত্র, পানিবাহিত রোগসহ নানা সমস্যায় ঝুড়ি ভারী হচ্ছে প্রতিদিনই। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলার ১৭টি উপজেলার মধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে ১৪টি উপজেলা। এতে পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ২৬ হাজার ১০৯ জন। জেলার ৭২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৭৮ হাজার মানুষ। বেসরকারি হিসাবমতে, পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা আরও বেশি বলে স্থানীয়ভাবে জানা যায়।
জেলার নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার বন্যায় আটকে পড়া গ্রামবাসীর মধ্যে পর্যাপ্ত ত্রাণ না পৌঁছানোর কারণে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে বানভাসি মানুষের মধ্যে। এসব এলাকার অধিকাংশ ইউনিয়নে এখনো কোনো ত্রাণ পৌঁছায়নি। মুছাপুর বাঁধ ভাঙার কারণে নাঙ্গলকোটের তিনটি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। গতকাল স্রোতে পড়ে নাঙ্গলকোটের ঢালুয়া ইউনিয়নে আকতার আলী (২৬) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নাঙ্গলকোট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকি বলেন, ‘উপজেলাটির দুর্গম এলাকাগুলোতে পানি বৃদ্ধি ও যাতায়াতব্যবস্থা না থাকায় এখন পর্যন্ত কোনো খাবার পৌঁছায়নি। তবে আমরা স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
নোয়াখালীর ৮ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। গত শনিবার রাত থেকে একটানা মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি ও ফেনী থেকে নেমে আসা বন্যার পানিতে সেনবাগ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, বেগমগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আরও কয়েকটি নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত এলাকাগুলোয় পানিবন্দী ও গৃহহীন হয়ে পড়েছে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। বন্যাকবলিত এলাকাতে দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।
এদিকে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে নোয়াখালীর প্রধান ও আঞ্চলিক মহাসড়কগুলো। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফেনী থেকে নেমে আসা বন্যার পানি ও গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণের ফলে জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। একই সঙ্গে ফেনী-চৌমুহনী, চৌমুহনী-মাইজদী, চৌমুহনী-লক্ষ্মীপুর, সোনাপুর-কবিরহাট ও সোনাপুর-কুমিল্লা সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠে গেছে।
সরকারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলার তালিকায় রয়েছে ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার। এতে নেই চাঁদপুর। যদিও চাঁদপুরের শাহারাস্তি উপজেলায় উজানের পানি নেমে গত দুই দিনে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে পাঁচ শতাধিক পরিবার। তানিয়া আক্তার নামের এক গৃহবধূ বলেন, ‘আমরাও শিশুদের নিয়ে গত দুই দিন এই আশ্রয়কেন্দ্রে আছি। আমাদের বাড়িঘর সব পানিতে তলিয়ে গেছে; এখন কী অবস্থায় আছে, তা-ও জানি না।’
গতকাল সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত উপজেলার সুচিপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ বাড়িঘর পানির নিচে এবং রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। একইভাবে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের এবং গবাদিপশুর ঘর।
কুমিল্লার বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নে। ইউনিয়নের পিপলকড়া, ভবানীপুর, সানন্দকড়া, রসুলপুরসহ বেশ কিছু গ্রামে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে।
উন্নতি যেসব জেলায়
ফেনীতে অতি বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। অধিকাংশ এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। ফেনী সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলা থেকে কমেছে বন্যার পানি। জেলার ৭৫ শতাংশ মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার অচল রয়েছে বলে সন্ধ্যায় জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও কসবায় সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। পানি কমে যাওয়ায় বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে বন্যাদুর্গতরা। তবে বাড়ি ফিরে অনেকেই আর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাচ্ছে না।

দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলার মধ্যে অন্যতম নোয়াখালী, কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুর। এই জেলাগুলো থেকে এখনো সুসংবাদ পাওয়া যাচ্ছে না। লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার বানভাসি মানুষেরা ত্রাণ পাচ্ছে না। টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালীর ৮ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে চাঁদপুরের নতুন নতুন এলাকা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান গতকাল সোমবার জানান, বন্যাকবলিত ১১ জেলার ৭৪টি উপজেলার মোট ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৭ লাখ ১ হাজার ২০৪ জন। মারা গেছে ২৩ জন।
নোয়াখালীর বন্যার পানি লক্ষ্মীপুরের রহমতখালী খাল হয়ে লক্ষ্মীপুরের লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩ থেকে ৬ ইঞ্চি পানি বেড়েছে বলে জানিয়েছে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পানিবন্দী অন্তত ৮ লাখ বাসিন্দা। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। রামগতি আবহাওয়া সতর্কীকরণ অফিসের কর্মকর্তা সৌরভ হোসেন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৮০ মিলিমিটার। বন্যার অবনতি হচ্ছে। আরও কয়েক দিন বৃষ্টি থাকবে। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
লক্ষ্মীপুরে এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে ত্রাণ ও সুপেয় পানির সংকট। সদর উপজেলার লাহারকান্দি উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে গতকাল ভোরে আবদুল মালেক নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। কমলনগরে মাছ ধরতে গিয়ে খালে বন্যার পানির স্রোতে ডুবে মো. হৃদয় হোসেন (১৩) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বন্যার অবনতির সঙ্গে ত্রাণসংকট বাড়ছে। বিভিন্ন সংগঠন ও সরকারের পক্ষ থেকে যে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে, তা অপ্রতুল। আবার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় অনেক এলাকায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানো যাচ্ছে না। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ উজ জামান বলেন, রোববারের চেয়ে নিম্নাঞ্চলে কোথাও কোথাও ১০ সেমি পানি বেড়েছে। তিন দিন ধরে পানি অনেক বাড়ছে। বন্যার আরও অবনতি হচ্ছে।
কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানি কিছুটা কমলেও উন্নতি হয়নি বন্যার পরিস্থিতি। প্রতিদিনেই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম। বাড়ছে পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা। ত্রাণের সমস্যা না থাকলেও হচ্ছে না সুষম বণ্টন। সুপেয় পানির অভাব, বস্ত্র, পানিবাহিত রোগসহ নানা সমস্যায় ঝুড়ি ভারী হচ্ছে প্রতিদিনই। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলার ১৭টি উপজেলার মধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে ১৪টি উপজেলা। এতে পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ২৬ হাজার ১০৯ জন। জেলার ৭২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৭৮ হাজার মানুষ। বেসরকারি হিসাবমতে, পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা আরও বেশি বলে স্থানীয়ভাবে জানা যায়।
জেলার নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার বন্যায় আটকে পড়া গ্রামবাসীর মধ্যে পর্যাপ্ত ত্রাণ না পৌঁছানোর কারণে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে বানভাসি মানুষের মধ্যে। এসব এলাকার অধিকাংশ ইউনিয়নে এখনো কোনো ত্রাণ পৌঁছায়নি। মুছাপুর বাঁধ ভাঙার কারণে নাঙ্গলকোটের তিনটি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। গতকাল স্রোতে পড়ে নাঙ্গলকোটের ঢালুয়া ইউনিয়নে আকতার আলী (২৬) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নাঙ্গলকোট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকি বলেন, ‘উপজেলাটির দুর্গম এলাকাগুলোতে পানি বৃদ্ধি ও যাতায়াতব্যবস্থা না থাকায় এখন পর্যন্ত কোনো খাবার পৌঁছায়নি। তবে আমরা স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
নোয়াখালীর ৮ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। গত শনিবার রাত থেকে একটানা মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি ও ফেনী থেকে নেমে আসা বন্যার পানিতে সেনবাগ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, বেগমগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আরও কয়েকটি নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত এলাকাগুলোয় পানিবন্দী ও গৃহহীন হয়ে পড়েছে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। বন্যাকবলিত এলাকাতে দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।
এদিকে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে নোয়াখালীর প্রধান ও আঞ্চলিক মহাসড়কগুলো। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফেনী থেকে নেমে আসা বন্যার পানি ও গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণের ফলে জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। একই সঙ্গে ফেনী-চৌমুহনী, চৌমুহনী-মাইজদী, চৌমুহনী-লক্ষ্মীপুর, সোনাপুর-কবিরহাট ও সোনাপুর-কুমিল্লা সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠে গেছে।
সরকারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলার তালিকায় রয়েছে ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার। এতে নেই চাঁদপুর। যদিও চাঁদপুরের শাহারাস্তি উপজেলায় উজানের পানি নেমে গত দুই দিনে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে পাঁচ শতাধিক পরিবার। তানিয়া আক্তার নামের এক গৃহবধূ বলেন, ‘আমরাও শিশুদের নিয়ে গত দুই দিন এই আশ্রয়কেন্দ্রে আছি। আমাদের বাড়িঘর সব পানিতে তলিয়ে গেছে; এখন কী অবস্থায় আছে, তা-ও জানি না।’
গতকাল সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত উপজেলার সুচিপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ বাড়িঘর পানির নিচে এবং রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। একইভাবে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের এবং গবাদিপশুর ঘর।
কুমিল্লার বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নে। ইউনিয়নের পিপলকড়া, ভবানীপুর, সানন্দকড়া, রসুলপুরসহ বেশ কিছু গ্রামে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে।
উন্নতি যেসব জেলায়
ফেনীতে অতি বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। অধিকাংশ এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। ফেনী সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলা থেকে কমেছে বন্যার পানি। জেলার ৭৫ শতাংশ মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার অচল রয়েছে বলে সন্ধ্যায় জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও কসবায় সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। পানি কমে যাওয়ায় বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে বন্যাদুর্গতরা। তবে বাড়ি ফিরে অনেকেই আর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাচ্ছে না।

প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
৩২ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগে
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া
১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, পছন্দসই পদায়নের জন্য রাজনৈতিক পদলেহন পরিহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আইন বৃহত্তর রাজনীতির একটা অঙ্গ হলেও বিচারকদের রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠার প্রয়াস রপ্ত করতে হয়। কেবল ক্ষমতাবান শাসকশ্রেণির পক্ষে প্রয়োজনীয় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব নিলে বিচার বিভাগের আলাদা কোনো অস্তিত্বেরই প্রয়োজন নেই। সে কাজের জন্য নির্বাহী বিভাগ ও পুলিশই যথেষ্ট। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ভিত্তি যে আদর্শকেই ধারণ করে গড়ে ওঠুক না কেন, বিচারকদের সুনীতি ও সুবিবেচনা বজায় রেখে কাজ করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আজ রোববার জেলা ও মহানগর দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে দেওয়া বিদায়ী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গত বছরের ১১ আগস্ট ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন রেফাত আহমেদ। অবসর নেওয়ার আগে আজ বিদায়ী ভাষণ দেন তিনি। ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন রেফাত আহমেদ।
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে। শুনানিকালে কোনো বিশেষ পদবিধারী ব্যক্তি বা ক্ষমতাবান পক্ষকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া বিচারকের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত নয়।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘এই পৃথক সচিবালয় (সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়) প্রতিষ্ঠার কোনো স্বার্থকতা নেই, যদি না আমরা ব্যক্তিগত অসততার ব্যাপারে সতর্ক থাকি। একটি স্বাধীন সচিবালয় কেবল শুরু, সর্বশেষ উদ্দেশ্য নয়। আপনাদের উচিত, সততা আর যোগ্যতার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া। অনুপার্জিত অর্থের বাসনা, অন্যায্য বিলাসী জীবন এবং অসংগত ক্ষমতার প্রতিপত্তি যদি আমাদের মনকে কলুষিত করে রাখে, তাহলে পৃথিবীর কোনো আইনি বিধানই আমাদের সামষ্টিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারবে না।’
বিচারকদের উদ্দেশে রেফাত আহমেদ আরও বলেন, ‘উন্নত জীবনমান ও কর্মপরিবেশের প্রতি প্রত্যাশা কখনোই ব্যক্তিগত ভোগ, আত্মতুষ্টি কিংবা সামাজিক মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্য হতে পারে না। এর অন্তরে থাকতে হবে বিচারিক সক্ষমতার উন্নয়ন, জ্ঞানচর্চার সম্প্রসারণ এবং উচ্চমানের কর্মদক্ষতা অর্জনের সৎ প্রেরণা। এটি অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় চাকরিকালীন প্রশিক্ষণ সংস্কৃতি এখনো কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আমরা এখনো একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারিনি। তবে বিদ্যমান সুযোগের ন্যূনতম সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিচারকদের বড় অংশের অনীহা ও কার্পণ্য পরিলক্ষিত হয়। তাই আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ—জ্ঞান অর্জন ও পাঠাভ্যাসকে আপনারা জীবনের পরম দায় হিসেবে নেবেন।’

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, পছন্দসই পদায়নের জন্য রাজনৈতিক পদলেহন পরিহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আইন বৃহত্তর রাজনীতির একটা অঙ্গ হলেও বিচারকদের রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠার প্রয়াস রপ্ত করতে হয়। কেবল ক্ষমতাবান শাসকশ্রেণির পক্ষে প্রয়োজনীয় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব নিলে বিচার বিভাগের আলাদা কোনো অস্তিত্বেরই প্রয়োজন নেই। সে কাজের জন্য নির্বাহী বিভাগ ও পুলিশই যথেষ্ট। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ভিত্তি যে আদর্শকেই ধারণ করে গড়ে ওঠুক না কেন, বিচারকদের সুনীতি ও সুবিবেচনা বজায় রেখে কাজ করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আজ রোববার জেলা ও মহানগর দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে দেওয়া বিদায়ী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গত বছরের ১১ আগস্ট ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন রেফাত আহমেদ। অবসর নেওয়ার আগে আজ বিদায়ী ভাষণ দেন তিনি। ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন রেফাত আহমেদ।
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে। শুনানিকালে কোনো বিশেষ পদবিধারী ব্যক্তি বা ক্ষমতাবান পক্ষকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া বিচারকের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত নয়।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘এই পৃথক সচিবালয় (সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়) প্রতিষ্ঠার কোনো স্বার্থকতা নেই, যদি না আমরা ব্যক্তিগত অসততার ব্যাপারে সতর্ক থাকি। একটি স্বাধীন সচিবালয় কেবল শুরু, সর্বশেষ উদ্দেশ্য নয়। আপনাদের উচিত, সততা আর যোগ্যতার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া। অনুপার্জিত অর্থের বাসনা, অন্যায্য বিলাসী জীবন এবং অসংগত ক্ষমতার প্রতিপত্তি যদি আমাদের মনকে কলুষিত করে রাখে, তাহলে পৃথিবীর কোনো আইনি বিধানই আমাদের সামষ্টিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারবে না।’
বিচারকদের উদ্দেশে রেফাত আহমেদ আরও বলেন, ‘উন্নত জীবনমান ও কর্মপরিবেশের প্রতি প্রত্যাশা কখনোই ব্যক্তিগত ভোগ, আত্মতুষ্টি কিংবা সামাজিক মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্য হতে পারে না। এর অন্তরে থাকতে হবে বিচারিক সক্ষমতার উন্নয়ন, জ্ঞানচর্চার সম্প্রসারণ এবং উচ্চমানের কর্মদক্ষতা অর্জনের সৎ প্রেরণা। এটি অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় চাকরিকালীন প্রশিক্ষণ সংস্কৃতি এখনো কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আমরা এখনো একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারিনি। তবে বিদ্যমান সুযোগের ন্যূনতম সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিচারকদের বড় অংশের অনীহা ও কার্পণ্য পরিলক্ষিত হয়। তাই আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ—জ্ঞান অর্জন ও পাঠাভ্যাসকে আপনারা জীবনের পরম দায় হিসেবে নেবেন।’

দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলার মধ্যে অন্যতম নোয়াখালী, কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুর। এই জেলাগুলো থেকে এখনো সুসংবাদ পাওয়া যাচ্ছে না। লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার বানভাসি মানুষেরা ত্রাণ পাচ্ছে না। টানা বৃষ্টিতে
২৭ আগস্ট ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগে
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া
১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘আজকে একটা বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলত আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের ডেকেছিলাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে এই পর্যন্ত উদ্ভূত বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। সামনের আমাদের কার্যক্রম এবং কৌশল কী হওয়া উচিত—সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং তাঁদের বিভিন্ন মত শুনেছি।’
সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময় একটা ঘটনা, যেটা আমাদের সবার সবাইকে উদ্বিগ্ন করেছে। শরিফ ওসমান হাদির ওপরে চোরাগোপ্তা হামলা। সেটা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলছি না। সেখানকার আরও কিছু বিষয় সম্বন্ধে আমরা অবহিত হয়েছে। যেগুলোর সাথে নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশনের স্বার্থ জড়িত।’
সানাউল্লাহ বলেন, ‘এখানে কয়েকটা বিষয় উঠে এসেছে যে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হচ্ছে সন্দেহভাজন হিসেবে। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই একটা সখ্যতা গড়ে তুলে অত্যন্ত কাছে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে তার একটা অতীত আছে, পেছনে তার একটা রাজনৈতিক ইন্টারেসিডেন্স (মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ) আছে এবং তার একটা ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে। সেটা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে আমরা জানতে পারলাম যে রেবেল হান্ট বিশেষ করে—এক শুরু হওয়ার পর থেকে যেসব সন্ত্রাসীদের অ্যারেস্ট করা হয়েছিল, তাদের একটা বড় সংখ্যা ইতিমধ্যে জামিন পেয়ে গেছে এবং তারা সমাজে বিরাজ করছে। এটা নিয়ে আমাদের কী করণীয়—সেটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।’
দেশে চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সামনেও যে এটা সম্ভাবনা নাই, তা-ও বলছি না। আজকের মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে করে এই ধরনের হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে বা এগুলো যাতে কঠোর হস্তে দমন করা হয় ... নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মেসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার। নির্বাচন নিয়ে কোনো আশঙ্কা নাই।’
প্রার্থীদের বৈধ অস্ত্র ও লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য নজরে আনলে এই নির্বাচন কমিশনার বলে, ‘আমার সাথে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কমিশনের সাথে কোনো আলোচনা হয়েছে বলে আমার জানা নাই। উনি কী মন্তব্য করেছেন, কোন প্রেক্ষাপটে করেছেন, আমি যদি জানি পরে আমি আলোকপাত করতে পারব।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘আজকে একটা বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলত আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের ডেকেছিলাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে এই পর্যন্ত উদ্ভূত বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। সামনের আমাদের কার্যক্রম এবং কৌশল কী হওয়া উচিত—সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং তাঁদের বিভিন্ন মত শুনেছি।’
সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময় একটা ঘটনা, যেটা আমাদের সবার সবাইকে উদ্বিগ্ন করেছে। শরিফ ওসমান হাদির ওপরে চোরাগোপ্তা হামলা। সেটা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলছি না। সেখানকার আরও কিছু বিষয় সম্বন্ধে আমরা অবহিত হয়েছে। যেগুলোর সাথে নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশনের স্বার্থ জড়িত।’
সানাউল্লাহ বলেন, ‘এখানে কয়েকটা বিষয় উঠে এসেছে যে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হচ্ছে সন্দেহভাজন হিসেবে। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই একটা সখ্যতা গড়ে তুলে অত্যন্ত কাছে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে তার একটা অতীত আছে, পেছনে তার একটা রাজনৈতিক ইন্টারেসিডেন্স (মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ) আছে এবং তার একটা ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে। সেটা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে আমরা জানতে পারলাম যে রেবেল হান্ট বিশেষ করে—এক শুরু হওয়ার পর থেকে যেসব সন্ত্রাসীদের অ্যারেস্ট করা হয়েছিল, তাদের একটা বড় সংখ্যা ইতিমধ্যে জামিন পেয়ে গেছে এবং তারা সমাজে বিরাজ করছে। এটা নিয়ে আমাদের কী করণীয়—সেটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।’
দেশে চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সামনেও যে এটা সম্ভাবনা নাই, তা-ও বলছি না। আজকের মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে করে এই ধরনের হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে বা এগুলো যাতে কঠোর হস্তে দমন করা হয় ... নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মেসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার। নির্বাচন নিয়ে কোনো আশঙ্কা নাই।’
প্রার্থীদের বৈধ অস্ত্র ও লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য নজরে আনলে এই নির্বাচন কমিশনার বলে, ‘আমার সাথে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কমিশনের সাথে কোনো আলোচনা হয়েছে বলে আমার জানা নাই। উনি কী মন্তব্য করেছেন, কোন প্রেক্ষাপটে করেছেন, আমি যদি জানি পরে আমি আলোকপাত করতে পারব।’

দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলার মধ্যে অন্যতম নোয়াখালী, কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুর। এই জেলাগুলো থেকে এখনো সুসংবাদ পাওয়া যাচ্ছে না। লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার বানভাসি মানুষেরা ত্রাণ পাচ্ছে না। টানা বৃষ্টিতে
২৭ আগস্ট ২০২৪
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
৩২ মিনিট আগে
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া
১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহান বিজয় দিবসের ৫৪তম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে ৫৪টি জাতীয় পতাকা উড়িয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ৫৪ জন প্যারাট্রুপার। এই দলে থাকবেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে স্কাই ডাইভিং করবেন তিনি।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানাই।’
এদিন একই পেজে দেওয়া আরেক পোস্টে বলা হয়, ‘এই বিজয় দিবসে চলে আসুন দলে দলে, এক অবিস্মরণীয় এয়ার শো দেখতে। বিজয়ের ৫৪তম বছরে, ৫৪ জন প্যারাট্রুপার, ৫৪টি জাতীয় পতাকা হাতে বিমান থেকে অবতরণ করবেন, গড়বেন বিশ্ব রেকর্ড। এয়ার শো উপভোগ করতে ব্যবহার করবেন আইডিবির উল্টো পাশের তালতলা গেট। গেট খোলা হবে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৮টায়। ১০টার মধ্যেই সবাইকে নির্ধারিত স্থানে সমবেত হওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গত সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে স্বাধীনতার ৫৪ বছর উদ্যাপনে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার পতাকা হাতে স্কাই ডাইভিং করবেন। এটি হবে বিশ্বের বুকে সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং, যা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়বে।

মহান বিজয় দিবসের ৫৪তম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে ৫৪টি জাতীয় পতাকা উড়িয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ৫৪ জন প্যারাট্রুপার। এই দলে থাকবেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে স্কাই ডাইভিং করবেন তিনি।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানাই।’
এদিন একই পেজে দেওয়া আরেক পোস্টে বলা হয়, ‘এই বিজয় দিবসে চলে আসুন দলে দলে, এক অবিস্মরণীয় এয়ার শো দেখতে। বিজয়ের ৫৪তম বছরে, ৫৪ জন প্যারাট্রুপার, ৫৪টি জাতীয় পতাকা হাতে বিমান থেকে অবতরণ করবেন, গড়বেন বিশ্ব রেকর্ড। এয়ার শো উপভোগ করতে ব্যবহার করবেন আইডিবির উল্টো পাশের তালতলা গেট। গেট খোলা হবে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৮টায়। ১০টার মধ্যেই সবাইকে নির্ধারিত স্থানে সমবেত হওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গত সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে স্বাধীনতার ৫৪ বছর উদ্যাপনে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার পতাকা হাতে স্কাই ডাইভিং করবেন। এটি হবে বিশ্বের বুকে সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং, যা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়বে।

দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলার মধ্যে অন্যতম নোয়াখালী, কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুর। এই জেলাগুলো থেকে এখনো সুসংবাদ পাওয়া যাচ্ছে না। লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার বানভাসি মানুষেরা ত্রাণ পাচ্ছে না। টানা বৃষ্টিতে
২৭ আগস্ট ২০২৪
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
৩২ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগে
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল সরবরাহ করবে পুলিশ।
আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল সরবরাহ করবে পুলিশ।
আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলার মধ্যে অন্যতম নোয়াখালী, কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুর। এই জেলাগুলো থেকে এখনো সুসংবাদ পাওয়া যাচ্ছে না। লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার বানভাসি মানুষেরা ত্রাণ পাচ্ছে না। টানা বৃষ্টিতে
২৭ আগস্ট ২০২৪
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
৩২ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগে
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া
১ ঘণ্টা আগে