নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: সহিংসতা, নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় বিশ্বের আট কোটির বেশি মানুষ নিজেদের আবাস ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ২০২০ সাল শেষে সারা বিশ্বে বাস্তুচ্যুত অবস্থায় ছিল ৮ কোটি ২৪ লাখ মানুষ। ইতিহাসে এর আগে এত মানুষ কখনো গৃহহারা ছিল না। তবে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে শরণার্থী কমেছে ৪ শতাংশ। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) ‘গ্লোবাল ট্রেন্ডস রিপোর্টে’ এসব তথ্য উঠে এসেছে। শুক্রবার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিবেদন প্রকাশের এক ভার্চ্যুয়াল সভায় এ কথা জানানো হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ৪ শতাংশ শরণার্থী কমেছে। তবে এটা খুব আশাজাগানিয়া কিছু নয়। কারণ এই কমে যাওয়ার কারণ হলো ইরান ২০১৫ সালের পর এই প্রথম তাদের শরণার্থীবিষয়ক তথ্য জানিয়েছে। সেই তথ্য বলছে, ইরান থেকে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৩০০ শরণার্থী কমেছে।
ইউএনএইচসিআরের গ্লোবাল ট্রেন্ডস রিপোর্টে বলা হয়েছে, বর্তমান বিশ্বের মোট শরণার্থীর ৬৮ শতাংশই মাত্র পাঁচটি দেশের। এই দেশগুলো হলো সিরিয়া (৬৭ লাখ), ভেনেজুয়েলা (৪ লাখ), আফগানিস্তান (২৬ লাখ), দক্ষিণ সুদান (২২ লাখ) এবং মিয়ানমার (১১ লাখ)। বিশ্বের মোট বাস্তুচ্যুত মানুষের ১৩ শতাংশকেই জায়গা দিয়েছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইরান। আর মোট শরণার্থীর ৮৬ শতাংশই উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। ২০২০ সালে মাত্র ৩৪ হাজার ৪০০ জন শরণার্থীকে পুনর্বাসিত করা সম্ভব হয়েছে। এই সংখ্যাটা এর আগের বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ মাত্র। ২০১৯ সালে ১ লাখ ৭ হাজার ৮০০ জনকে পুনর্বাসিত করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ৮ কোটি ২৪ লাখ মানুষের মধ্যে ৪ কোটি ৮০ লাখ বাস্তুচ্যুত হয়েছে নিজ দেশের ভেতরে। বাকিরা বাধ্য হয়েছেন দেশ ছাড়তে।
গ্লোবাল ট্রেন্ডস রিপোর্ট-২০১৯–এ বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৯৫ লাখ। এক বছরে এই সংখ্যাটা বেড়েছে প্রায় ৩০ লাখ। ইউএনএইচসিআর তাদের প্রতিবেদনে বিশ্বের সব দেশকে সংঘাত, নিপীড়ন বা অন্য হুমকির কারণে উদ্বাস্তুদের নিরাপদ আশ্রয় ফিরে পেতে সাহায্য করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিবেদন প্রকাশের ভার্চুয়াল সভায় ব্র্যাক বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, বাংলাদেশ ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। এটা সারা বিশ্বেই একটা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তবে এতসংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার ফলে স্থানীয় মানুষ এবং পরিবেশপ্রতিবেশও কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই শরণার্থীদের তাদের নিজেদের আবাসস্থলে শান্তিপূর্ণভাবে ফিরিয়ে নেওয়া দরকার।
ইউএনএইচসিআরের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক ইন্দ্রিকা রাতওয়াত্তে বলেন, বর্তমানে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সৃষ্টি করছে। একধরনের অনিশ্চয়তায়, অবহেলায় দিন কাটাচ্ছে শত–সহস্র মানুষ। তাদের জন্য প্রয়োজন একেবারে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি। তাদের দুর্ভোগের মূল কারণগুলো সমাধানে সবার একসঙ্গে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই।
ঢাকা: সহিংসতা, নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় বিশ্বের আট কোটির বেশি মানুষ নিজেদের আবাস ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ২০২০ সাল শেষে সারা বিশ্বে বাস্তুচ্যুত অবস্থায় ছিল ৮ কোটি ২৪ লাখ মানুষ। ইতিহাসে এর আগে এত মানুষ কখনো গৃহহারা ছিল না। তবে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে শরণার্থী কমেছে ৪ শতাংশ। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) ‘গ্লোবাল ট্রেন্ডস রিপোর্টে’ এসব তথ্য উঠে এসেছে। শুক্রবার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিবেদন প্রকাশের এক ভার্চ্যুয়াল সভায় এ কথা জানানো হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ৪ শতাংশ শরণার্থী কমেছে। তবে এটা খুব আশাজাগানিয়া কিছু নয়। কারণ এই কমে যাওয়ার কারণ হলো ইরান ২০১৫ সালের পর এই প্রথম তাদের শরণার্থীবিষয়ক তথ্য জানিয়েছে। সেই তথ্য বলছে, ইরান থেকে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৩০০ শরণার্থী কমেছে।
ইউএনএইচসিআরের গ্লোবাল ট্রেন্ডস রিপোর্টে বলা হয়েছে, বর্তমান বিশ্বের মোট শরণার্থীর ৬৮ শতাংশই মাত্র পাঁচটি দেশের। এই দেশগুলো হলো সিরিয়া (৬৭ লাখ), ভেনেজুয়েলা (৪ লাখ), আফগানিস্তান (২৬ লাখ), দক্ষিণ সুদান (২২ লাখ) এবং মিয়ানমার (১১ লাখ)। বিশ্বের মোট বাস্তুচ্যুত মানুষের ১৩ শতাংশকেই জায়গা দিয়েছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইরান। আর মোট শরণার্থীর ৮৬ শতাংশই উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। ২০২০ সালে মাত্র ৩৪ হাজার ৪০০ জন শরণার্থীকে পুনর্বাসিত করা সম্ভব হয়েছে। এই সংখ্যাটা এর আগের বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ মাত্র। ২০১৯ সালে ১ লাখ ৭ হাজার ৮০০ জনকে পুনর্বাসিত করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ৮ কোটি ২৪ লাখ মানুষের মধ্যে ৪ কোটি ৮০ লাখ বাস্তুচ্যুত হয়েছে নিজ দেশের ভেতরে। বাকিরা বাধ্য হয়েছেন দেশ ছাড়তে।
গ্লোবাল ট্রেন্ডস রিপোর্ট-২০১৯–এ বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৯৫ লাখ। এক বছরে এই সংখ্যাটা বেড়েছে প্রায় ৩০ লাখ। ইউএনএইচসিআর তাদের প্রতিবেদনে বিশ্বের সব দেশকে সংঘাত, নিপীড়ন বা অন্য হুমকির কারণে উদ্বাস্তুদের নিরাপদ আশ্রয় ফিরে পেতে সাহায্য করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিবেদন প্রকাশের ভার্চুয়াল সভায় ব্র্যাক বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, বাংলাদেশ ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। এটা সারা বিশ্বেই একটা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তবে এতসংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার ফলে স্থানীয় মানুষ এবং পরিবেশপ্রতিবেশও কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই শরণার্থীদের তাদের নিজেদের আবাসস্থলে শান্তিপূর্ণভাবে ফিরিয়ে নেওয়া দরকার।
ইউএনএইচসিআরের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক ইন্দ্রিকা রাতওয়াত্তে বলেন, বর্তমানে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সৃষ্টি করছে। একধরনের অনিশ্চয়তায়, অবহেলায় দিন কাটাচ্ছে শত–সহস্র মানুষ। তাদের জন্য প্রয়োজন একেবারে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি। তাদের দুর্ভোগের মূল কারণগুলো সমাধানে সবার একসঙ্গে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই।
জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার অনুরোধ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘একটু ছাড় দেওয়ার জায়গায় আসুন। আপনারা আসছেন, আরেকটু আগান। আরেকটু আগালে দ্রুত জুলাই সনদ করার মাধ্যমে এ অংশ (সংলাপ) শেষ করতে পারি।’
২ মিনিট আগেসাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিএনপি।
২২ মিনিট আগেদেশের মৎস্যজীবীদের বড় অংশকে জেলে হিসেবে নিবন্ধনের আওতায় এনেছে সরকার। অভিযোগ রয়েছে, নিবন্ধিত জেলেদের তালিকায় অনিয়ম-প্রতারণার মাধ্যমে অন্য পেশাজীবীরা ঢুকে পড়েছেন। এতে মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় দেওয়া বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক প্রকৃত জেলে।
৪ ঘণ্টা আগেবিগত আওয়ামী লীগ আমলের শতাধিক সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বর্তমানে কারাগারে। তাঁদের অধিকাংশই বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন। তাঁরা হত্যা, হত্যাচেষ্টা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, দুর্নীতি, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের মুখে।
১০ ঘণ্টা আগে