নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আউট অব কান্ট্রি ভোটিং (ওসিভি) বিষয়ে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও লন্ডনপ্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে অনলাইনে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান তিনি।
প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ভোটার তালিকায় নাম থাকা বাধ্যতামূলক। যিনি ভোটার হয়েছেন, তাঁরই এনআইডি রয়েছে। তাই এবার এনআইডি ছাড়া ভোট দেওয়া যাবে না। সশরীর ভোট ও নো ভিসা রিকয়ার্ড আমলে নেওয়া সম্ভব হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কার্যক্রম স্থগিত থাকা দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আছে। সমর্থকদের ভোট দেওয়ার বিষয়টি নিষিদ্ধ নেই। তাই সমর্থকেরা ভোট দিতে পারবেন।
প্রবাসীদের ভোটপ্রতি ৭০০ টাকা ব্যয় হবে জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এর মধ্যে ৫০০ টাকা যাবে প্রবাসে আনা-নেওয়ায়। আর ২০০ টাকা অন্যান্য খাতে। পোস্টাল ব্যালটে নিবন্ধন ও ভোট দেওয়ার হার কম। ব্যয়বহুল হলেও যৌক্তিক বিবেচনায় পোস্টাল ভোটিং করা হচ্ছে আর প্রত্যাশাকেও সীমিত রাখতে হবে। পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়া, আনা-নেওয়ায় ভোটারের কোনো অর্থ ব্যয় করতে হবে না। সরকার পুরো অর্থ ব্যয় করবে।
পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বৈশ্বিক চিত্র জানিয়ে তিনি বলেন, প্রবাসীদের পোস্টাল ভোটিংয়ে নিবন্ধনের হার মাত্র ২ দশমিক ৭ শতাংশ। এদের মধ্যে ভোট দেওয়ার প্রবণতাও ৩০ শতাংশের নিচে। ভারতে সর্বশেষ ৪ কোটি প্রবাসীর মধ্যে ১ লাখ ১৯ হাজার নিবন্ধন করেছেন, ভোট দিয়েছেন মাত্র ২ হাজার ৯০০ জন। মালয়েশিয়ায় প্রায় ১৮ লাখ প্রবাসী আছেন। তাঁরা গত তিনটা নির্বাচন ধরে চেষ্টা করে সর্বশেষ নির্বাচনে নিবন্ধন করতে পেরেছিলেন ৫৪ হাজার। যদিও তাঁদের নিবন্ধনে একটা নেগেটিভ ইনসেনটিভ কাজ করে। কারণ, তাঁদের এই খরচটা বহন করতে হয় ইনডিভিজুয়াল ভোটারের। দেশ এই খরচ বহন করে না।
সানাউল্লাহ জানান, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকারে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পর বর্তমান নির্বাচন কমিশন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে শুরু করে এবং আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটের বাকি থাকে ২০-২১ দিন। ব্যালট ছাপানোর পর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পৌঁছাতে সময় লাগে ১০-১২ দিন। তখন বাকি থাকে ৭-১০ দিন। যাঁরা প্রবাসে থাকেন, তাঁদের জন্য এই ৭-১০ দিনের মধ্যে ব্যালট আনা-নেওয়া সম্ভব ছিল। তাই আজ পর্যন্ত একটি ভোটও প্রবাস থেকে কাস্ট করা যায়নি।
এই সীমাবদ্ধতা মাথায় রেখে বর্তমান ইসির উদ্যোগ তুলে ধরে মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘যাঁরা অনলাইনে নিবন্ধন করবেন, তাঁদের কাছে ব্যালটটা আগেই চলে যাবে। ব্যালট হবে শুধু প্রতীকসংবলিত। যখন প্রতীক বরাদ্দ হবে, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা কনফার্ম হবে। প্রার্থী তালিকা দেখার পর ভোট দেবেন এবং ভোট দেওয়ার পরে উনি খামটি আবার ফেরত পাঠাবেন।
‘আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মূলত দুটি। পোস্টাল ব্যালটের ব্যাপারে অন্য চ্যালেঞ্জগুলো তো আছেই। এক নম্বর চ্যালেঞ্জ হচ্ছে গোপনীয়তার। ইনডিভিজুয়াল ভোটাররা যেন এই গোপনীয়তাটা রক্ষা করেন এবং সময়মতো ভোট দেন। কেউ যেন তাঁর ভোটে তাঁকে ইনফ্লুয়েন্স করতে না পারে। তাঁর ভোটটা তিনি কাকে দিয়েছেন, এটা যেন ডাইভার্স না হয় এবং এটা তাঁর ডিক্লারেশনের মধ্যেও থাকবে। তিনিও একটা আন্ডারটেকিং দেবেন ইনডিভিজুয়াল ভোটার।’
এ ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টির বিষয়ে জোর দেন ইসি।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা নিশ্চিত হওয়ার পরে কিন্তু (প্রবাসীর) ভোট শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু যদি কোনো আসনে শেষ মুহূর্তে আদালতের আদেশে প্রার্থী তালিকা পরিবর্তন হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে সেই আসনে বিদেশ থেকে সংগৃহীত সব ভোট বাদ পড়ে যাবে। এই একটা চ্যালেঞ্জ আছে।
পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এক-চতুর্থাংশ ব্যালট নষ্ট হয়। পৃথিবীতে এই পদ্ধতিতে প্রবাসী ভোটের অয়েস্টেজের হার হচ্ছে ২৪ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি চারটি ব্যালটের মধ্যে একটিই সময়মতো পৌঁছায় না। তারপরও দেড় কোটি প্রবাসীর আগ্রহের কারণে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগটি সৃষ্টি করা হচ্ছে, বলেন তিনি।
এ সময় ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, যাঁরা নিবন্ধন করবেন, তাঁদের ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানান।
৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভোটার হওয়ার সুযোগ রয়েছে জানিয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘আবেদন করার সময় বাংলাদেশি মোবাইল নম্বর দেওয়ার কথা বলা হলেও অনেকে প্রবাসের নম্বর দেন। এতে কার্যক্রম দেরি হয়। আমরা বাংলাদেশে থাকা আত্মীয়দের মোবাইল নম্বর দিতে বলি। কারণ, যাতে সহজে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আউট অব কান্ট্রি ভোটিং (ওসিভি) বিষয়ে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও লন্ডনপ্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে অনলাইনে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান তিনি।
প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ভোটার তালিকায় নাম থাকা বাধ্যতামূলক। যিনি ভোটার হয়েছেন, তাঁরই এনআইডি রয়েছে। তাই এবার এনআইডি ছাড়া ভোট দেওয়া যাবে না। সশরীর ভোট ও নো ভিসা রিকয়ার্ড আমলে নেওয়া সম্ভব হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কার্যক্রম স্থগিত থাকা দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আছে। সমর্থকদের ভোট দেওয়ার বিষয়টি নিষিদ্ধ নেই। তাই সমর্থকেরা ভোট দিতে পারবেন।
প্রবাসীদের ভোটপ্রতি ৭০০ টাকা ব্যয় হবে জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এর মধ্যে ৫০০ টাকা যাবে প্রবাসে আনা-নেওয়ায়। আর ২০০ টাকা অন্যান্য খাতে। পোস্টাল ব্যালটে নিবন্ধন ও ভোট দেওয়ার হার কম। ব্যয়বহুল হলেও যৌক্তিক বিবেচনায় পোস্টাল ভোটিং করা হচ্ছে আর প্রত্যাশাকেও সীমিত রাখতে হবে। পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়া, আনা-নেওয়ায় ভোটারের কোনো অর্থ ব্যয় করতে হবে না। সরকার পুরো অর্থ ব্যয় করবে।
পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বৈশ্বিক চিত্র জানিয়ে তিনি বলেন, প্রবাসীদের পোস্টাল ভোটিংয়ে নিবন্ধনের হার মাত্র ২ দশমিক ৭ শতাংশ। এদের মধ্যে ভোট দেওয়ার প্রবণতাও ৩০ শতাংশের নিচে। ভারতে সর্বশেষ ৪ কোটি প্রবাসীর মধ্যে ১ লাখ ১৯ হাজার নিবন্ধন করেছেন, ভোট দিয়েছেন মাত্র ২ হাজার ৯০০ জন। মালয়েশিয়ায় প্রায় ১৮ লাখ প্রবাসী আছেন। তাঁরা গত তিনটা নির্বাচন ধরে চেষ্টা করে সর্বশেষ নির্বাচনে নিবন্ধন করতে পেরেছিলেন ৫৪ হাজার। যদিও তাঁদের নিবন্ধনে একটা নেগেটিভ ইনসেনটিভ কাজ করে। কারণ, তাঁদের এই খরচটা বহন করতে হয় ইনডিভিজুয়াল ভোটারের। দেশ এই খরচ বহন করে না।
সানাউল্লাহ জানান, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকারে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পর বর্তমান নির্বাচন কমিশন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে শুরু করে এবং আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটের বাকি থাকে ২০-২১ দিন। ব্যালট ছাপানোর পর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পৌঁছাতে সময় লাগে ১০-১২ দিন। তখন বাকি থাকে ৭-১০ দিন। যাঁরা প্রবাসে থাকেন, তাঁদের জন্য এই ৭-১০ দিনের মধ্যে ব্যালট আনা-নেওয়া সম্ভব ছিল। তাই আজ পর্যন্ত একটি ভোটও প্রবাস থেকে কাস্ট করা যায়নি।
এই সীমাবদ্ধতা মাথায় রেখে বর্তমান ইসির উদ্যোগ তুলে ধরে মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘যাঁরা অনলাইনে নিবন্ধন করবেন, তাঁদের কাছে ব্যালটটা আগেই চলে যাবে। ব্যালট হবে শুধু প্রতীকসংবলিত। যখন প্রতীক বরাদ্দ হবে, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা কনফার্ম হবে। প্রার্থী তালিকা দেখার পর ভোট দেবেন এবং ভোট দেওয়ার পরে উনি খামটি আবার ফেরত পাঠাবেন।
‘আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মূলত দুটি। পোস্টাল ব্যালটের ব্যাপারে অন্য চ্যালেঞ্জগুলো তো আছেই। এক নম্বর চ্যালেঞ্জ হচ্ছে গোপনীয়তার। ইনডিভিজুয়াল ভোটাররা যেন এই গোপনীয়তাটা রক্ষা করেন এবং সময়মতো ভোট দেন। কেউ যেন তাঁর ভোটে তাঁকে ইনফ্লুয়েন্স করতে না পারে। তাঁর ভোটটা তিনি কাকে দিয়েছেন, এটা যেন ডাইভার্স না হয় এবং এটা তাঁর ডিক্লারেশনের মধ্যেও থাকবে। তিনিও একটা আন্ডারটেকিং দেবেন ইনডিভিজুয়াল ভোটার।’
এ ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টির বিষয়ে জোর দেন ইসি।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা নিশ্চিত হওয়ার পরে কিন্তু (প্রবাসীর) ভোট শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু যদি কোনো আসনে শেষ মুহূর্তে আদালতের আদেশে প্রার্থী তালিকা পরিবর্তন হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে সেই আসনে বিদেশ থেকে সংগৃহীত সব ভোট বাদ পড়ে যাবে। এই একটা চ্যালেঞ্জ আছে।
পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এক-চতুর্থাংশ ব্যালট নষ্ট হয়। পৃথিবীতে এই পদ্ধতিতে প্রবাসী ভোটের অয়েস্টেজের হার হচ্ছে ২৪ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি চারটি ব্যালটের মধ্যে একটিই সময়মতো পৌঁছায় না। তারপরও দেড় কোটি প্রবাসীর আগ্রহের কারণে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগটি সৃষ্টি করা হচ্ছে, বলেন তিনি।
এ সময় ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, যাঁরা নিবন্ধন করবেন, তাঁদের ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানান।
৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভোটার হওয়ার সুযোগ রয়েছে জানিয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘আবেদন করার সময় বাংলাদেশি মোবাইল নম্বর দেওয়ার কথা বলা হলেও অনেকে প্রবাসের নম্বর দেন। এতে কার্যক্রম দেরি হয়। আমরা বাংলাদেশে থাকা আত্মীয়দের মোবাইল নম্বর দিতে বলি। কারণ, যাতে সহজে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আউট অব কান্ট্রি ভোটিং (ওসিভি) বিষয়ে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও লন্ডনপ্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে অনলাইনে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান তিনি।
প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ভোটার তালিকায় নাম থাকা বাধ্যতামূলক। যিনি ভোটার হয়েছেন, তাঁরই এনআইডি রয়েছে। তাই এবার এনআইডি ছাড়া ভোট দেওয়া যাবে না। সশরীর ভোট ও নো ভিসা রিকয়ার্ড আমলে নেওয়া সম্ভব হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কার্যক্রম স্থগিত থাকা দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আছে। সমর্থকদের ভোট দেওয়ার বিষয়টি নিষিদ্ধ নেই। তাই সমর্থকেরা ভোট দিতে পারবেন।
প্রবাসীদের ভোটপ্রতি ৭০০ টাকা ব্যয় হবে জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এর মধ্যে ৫০০ টাকা যাবে প্রবাসে আনা-নেওয়ায়। আর ২০০ টাকা অন্যান্য খাতে। পোস্টাল ব্যালটে নিবন্ধন ও ভোট দেওয়ার হার কম। ব্যয়বহুল হলেও যৌক্তিক বিবেচনায় পোস্টাল ভোটিং করা হচ্ছে আর প্রত্যাশাকেও সীমিত রাখতে হবে। পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়া, আনা-নেওয়ায় ভোটারের কোনো অর্থ ব্যয় করতে হবে না। সরকার পুরো অর্থ ব্যয় করবে।
পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বৈশ্বিক চিত্র জানিয়ে তিনি বলেন, প্রবাসীদের পোস্টাল ভোটিংয়ে নিবন্ধনের হার মাত্র ২ দশমিক ৭ শতাংশ। এদের মধ্যে ভোট দেওয়ার প্রবণতাও ৩০ শতাংশের নিচে। ভারতে সর্বশেষ ৪ কোটি প্রবাসীর মধ্যে ১ লাখ ১৯ হাজার নিবন্ধন করেছেন, ভোট দিয়েছেন মাত্র ২ হাজার ৯০০ জন। মালয়েশিয়ায় প্রায় ১৮ লাখ প্রবাসী আছেন। তাঁরা গত তিনটা নির্বাচন ধরে চেষ্টা করে সর্বশেষ নির্বাচনে নিবন্ধন করতে পেরেছিলেন ৫৪ হাজার। যদিও তাঁদের নিবন্ধনে একটা নেগেটিভ ইনসেনটিভ কাজ করে। কারণ, তাঁদের এই খরচটা বহন করতে হয় ইনডিভিজুয়াল ভোটারের। দেশ এই খরচ বহন করে না।
সানাউল্লাহ জানান, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকারে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পর বর্তমান নির্বাচন কমিশন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে শুরু করে এবং আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটের বাকি থাকে ২০-২১ দিন। ব্যালট ছাপানোর পর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পৌঁছাতে সময় লাগে ১০-১২ দিন। তখন বাকি থাকে ৭-১০ দিন। যাঁরা প্রবাসে থাকেন, তাঁদের জন্য এই ৭-১০ দিনের মধ্যে ব্যালট আনা-নেওয়া সম্ভব ছিল। তাই আজ পর্যন্ত একটি ভোটও প্রবাস থেকে কাস্ট করা যায়নি।
এই সীমাবদ্ধতা মাথায় রেখে বর্তমান ইসির উদ্যোগ তুলে ধরে মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘যাঁরা অনলাইনে নিবন্ধন করবেন, তাঁদের কাছে ব্যালটটা আগেই চলে যাবে। ব্যালট হবে শুধু প্রতীকসংবলিত। যখন প্রতীক বরাদ্দ হবে, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা কনফার্ম হবে। প্রার্থী তালিকা দেখার পর ভোট দেবেন এবং ভোট দেওয়ার পরে উনি খামটি আবার ফেরত পাঠাবেন।
‘আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মূলত দুটি। পোস্টাল ব্যালটের ব্যাপারে অন্য চ্যালেঞ্জগুলো তো আছেই। এক নম্বর চ্যালেঞ্জ হচ্ছে গোপনীয়তার। ইনডিভিজুয়াল ভোটাররা যেন এই গোপনীয়তাটা রক্ষা করেন এবং সময়মতো ভোট দেন। কেউ যেন তাঁর ভোটে তাঁকে ইনফ্লুয়েন্স করতে না পারে। তাঁর ভোটটা তিনি কাকে দিয়েছেন, এটা যেন ডাইভার্স না হয় এবং এটা তাঁর ডিক্লারেশনের মধ্যেও থাকবে। তিনিও একটা আন্ডারটেকিং দেবেন ইনডিভিজুয়াল ভোটার।’
এ ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টির বিষয়ে জোর দেন ইসি।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা নিশ্চিত হওয়ার পরে কিন্তু (প্রবাসীর) ভোট শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু যদি কোনো আসনে শেষ মুহূর্তে আদালতের আদেশে প্রার্থী তালিকা পরিবর্তন হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে সেই আসনে বিদেশ থেকে সংগৃহীত সব ভোট বাদ পড়ে যাবে। এই একটা চ্যালেঞ্জ আছে।
পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এক-চতুর্থাংশ ব্যালট নষ্ট হয়। পৃথিবীতে এই পদ্ধতিতে প্রবাসী ভোটের অয়েস্টেজের হার হচ্ছে ২৪ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি চারটি ব্যালটের মধ্যে একটিই সময়মতো পৌঁছায় না। তারপরও দেড় কোটি প্রবাসীর আগ্রহের কারণে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগটি সৃষ্টি করা হচ্ছে, বলেন তিনি।
এ সময় ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, যাঁরা নিবন্ধন করবেন, তাঁদের ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানান।
৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভোটার হওয়ার সুযোগ রয়েছে জানিয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘আবেদন করার সময় বাংলাদেশি মোবাইল নম্বর দেওয়ার কথা বলা হলেও অনেকে প্রবাসের নম্বর দেন। এতে কার্যক্রম দেরি হয়। আমরা বাংলাদেশে থাকা আত্মীয়দের মোবাইল নম্বর দিতে বলি। কারণ, যাতে সহজে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আউট অব কান্ট্রি ভোটিং (ওসিভি) বিষয়ে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও লন্ডনপ্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে অনলাইনে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান তিনি।
প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ভোটার তালিকায় নাম থাকা বাধ্যতামূলক। যিনি ভোটার হয়েছেন, তাঁরই এনআইডি রয়েছে। তাই এবার এনআইডি ছাড়া ভোট দেওয়া যাবে না। সশরীর ভোট ও নো ভিসা রিকয়ার্ড আমলে নেওয়া সম্ভব হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কার্যক্রম স্থগিত থাকা দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আছে। সমর্থকদের ভোট দেওয়ার বিষয়টি নিষিদ্ধ নেই। তাই সমর্থকেরা ভোট দিতে পারবেন।
প্রবাসীদের ভোটপ্রতি ৭০০ টাকা ব্যয় হবে জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এর মধ্যে ৫০০ টাকা যাবে প্রবাসে আনা-নেওয়ায়। আর ২০০ টাকা অন্যান্য খাতে। পোস্টাল ব্যালটে নিবন্ধন ও ভোট দেওয়ার হার কম। ব্যয়বহুল হলেও যৌক্তিক বিবেচনায় পোস্টাল ভোটিং করা হচ্ছে আর প্রত্যাশাকেও সীমিত রাখতে হবে। পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়া, আনা-নেওয়ায় ভোটারের কোনো অর্থ ব্যয় করতে হবে না। সরকার পুরো অর্থ ব্যয় করবে।
পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বৈশ্বিক চিত্র জানিয়ে তিনি বলেন, প্রবাসীদের পোস্টাল ভোটিংয়ে নিবন্ধনের হার মাত্র ২ দশমিক ৭ শতাংশ। এদের মধ্যে ভোট দেওয়ার প্রবণতাও ৩০ শতাংশের নিচে। ভারতে সর্বশেষ ৪ কোটি প্রবাসীর মধ্যে ১ লাখ ১৯ হাজার নিবন্ধন করেছেন, ভোট দিয়েছেন মাত্র ২ হাজার ৯০০ জন। মালয়েশিয়ায় প্রায় ১৮ লাখ প্রবাসী আছেন। তাঁরা গত তিনটা নির্বাচন ধরে চেষ্টা করে সর্বশেষ নির্বাচনে নিবন্ধন করতে পেরেছিলেন ৫৪ হাজার। যদিও তাঁদের নিবন্ধনে একটা নেগেটিভ ইনসেনটিভ কাজ করে। কারণ, তাঁদের এই খরচটা বহন করতে হয় ইনডিভিজুয়াল ভোটারের। দেশ এই খরচ বহন করে না।
সানাউল্লাহ জানান, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকারে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পর বর্তমান নির্বাচন কমিশন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে শুরু করে এবং আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটের বাকি থাকে ২০-২১ দিন। ব্যালট ছাপানোর পর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পৌঁছাতে সময় লাগে ১০-১২ দিন। তখন বাকি থাকে ৭-১০ দিন। যাঁরা প্রবাসে থাকেন, তাঁদের জন্য এই ৭-১০ দিনের মধ্যে ব্যালট আনা-নেওয়া সম্ভব ছিল। তাই আজ পর্যন্ত একটি ভোটও প্রবাস থেকে কাস্ট করা যায়নি।
এই সীমাবদ্ধতা মাথায় রেখে বর্তমান ইসির উদ্যোগ তুলে ধরে মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘যাঁরা অনলাইনে নিবন্ধন করবেন, তাঁদের কাছে ব্যালটটা আগেই চলে যাবে। ব্যালট হবে শুধু প্রতীকসংবলিত। যখন প্রতীক বরাদ্দ হবে, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা কনফার্ম হবে। প্রার্থী তালিকা দেখার পর ভোট দেবেন এবং ভোট দেওয়ার পরে উনি খামটি আবার ফেরত পাঠাবেন।
‘আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মূলত দুটি। পোস্টাল ব্যালটের ব্যাপারে অন্য চ্যালেঞ্জগুলো তো আছেই। এক নম্বর চ্যালেঞ্জ হচ্ছে গোপনীয়তার। ইনডিভিজুয়াল ভোটাররা যেন এই গোপনীয়তাটা রক্ষা করেন এবং সময়মতো ভোট দেন। কেউ যেন তাঁর ভোটে তাঁকে ইনফ্লুয়েন্স করতে না পারে। তাঁর ভোটটা তিনি কাকে দিয়েছেন, এটা যেন ডাইভার্স না হয় এবং এটা তাঁর ডিক্লারেশনের মধ্যেও থাকবে। তিনিও একটা আন্ডারটেকিং দেবেন ইনডিভিজুয়াল ভোটার।’
এ ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টির বিষয়ে জোর দেন ইসি।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা নিশ্চিত হওয়ার পরে কিন্তু (প্রবাসীর) ভোট শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু যদি কোনো আসনে শেষ মুহূর্তে আদালতের আদেশে প্রার্থী তালিকা পরিবর্তন হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে সেই আসনে বিদেশ থেকে সংগৃহীত সব ভোট বাদ পড়ে যাবে। এই একটা চ্যালেঞ্জ আছে।
পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এক-চতুর্থাংশ ব্যালট নষ্ট হয়। পৃথিবীতে এই পদ্ধতিতে প্রবাসী ভোটের অয়েস্টেজের হার হচ্ছে ২৪ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি চারটি ব্যালটের মধ্যে একটিই সময়মতো পৌঁছায় না। তারপরও দেড় কোটি প্রবাসীর আগ্রহের কারণে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগটি সৃষ্টি করা হচ্ছে, বলেন তিনি।
এ সময় ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, যাঁরা নিবন্ধন করবেন, তাঁদের ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানান।
৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভোটার হওয়ার সুযোগ রয়েছে জানিয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘আবেদন করার সময় বাংলাদেশি মোবাইল নম্বর দেওয়ার কথা বলা হলেও অনেকে প্রবাসের নম্বর দেন। এতে কার্যক্রম দেরি হয়। আমরা বাংলাদেশে থাকা আত্মীয়দের মোবাইল নম্বর দিতে বলি। কারণ, যাতে সহজে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়।’

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী।
১ ঘণ্টা আগে
প্রেস উইং জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী। পরিকল্পিতভাবে একযোগে বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। বিজয়ের পরই তাঁদের অনেকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহের সন্ধান মেলে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী স্থানীয় আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যরাই মূলত বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছিল। আর এই দুই বাহিনীর মূল শক্তি ছিল স্বাধীনতাবিরোধী প্রধান রাজনৈতিক শক্তি জামায়াতে ইসলামীর তখনকার সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতাকর্মীরা। পাকসেনাদের আত্মসমর্পণের আগে ঢাকা শহরে ঘন ঘন কারফিউয়ের মধ্যে মাইক্রোবাস নিয়ে বেরিয়ে অনেক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নেওয়া হয়েছিল। তাদের সহায়তা করেছিল ছাত্রসংঘের নেতাকর্মীরা।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৩ সালে ৩ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় জন শিক্ষক, ছয় জন সাংবাদিক ও তিনজন চিকিৎসকসহ ১৮ বুদ্ধিজীবীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ছাত্রসংঘের দুই কেন্দ্রীয় নেতা ও আলবদর কমান্ডার আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। পলাতক আশরাফুজ্জামান বর্তমানে আছেন যুক্তরাষ্ট্রে, আর মুঈনুদ্দীন যুক্তরাজ্যে। দুই দেশই তাদের ফেরত দিচ্ছে না।
ট্রাইব্যনালের ১৫৪ পৃষ্ঠার রায়ে উঠে এসেছে, কীভাবে আশরাফুজ্জামান ও মুঈনুদ্দীন ১৯৭১ সালের ১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আল বদর সদস্যদের নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ ও হত্যার পর বধ্যভূমিতে লাশ গুম করেছিলেন। আশরাফুজ্জামান ছিলেন হত্যাযজ্ঞের ‘চিফ এক্সিকিউটর’ ও মুঈনুদ্দীন ‘অপারেশন ইনচার্জ’। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আশরাফুজ্জামানের নাখালপাড়ার বাসা থেকে উদ্ধার করা ব্যক্তিগত দিনপঞ্জিতে হত্যার পরিকল্পনা ও একটি তালিকাও পাওয়া যায়।
জামায়াতের এই দুই ছাত্র নেতা ও তাদের সহযোগীদের হাতে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নাট্যকার মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ড. সিরাজুল হক খান, ড. আবুল খায়ের, ড. ফয়জুল মহিউদ্দিন, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা ও ড. সন্তোষ ভট্টাচার্য।

সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেন, সৈয়দ নাজমুল হক, এএনএম গোলাম মুস্তাফা, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, সেলিনা পারভীন, শহীদুল্লাহ কায়সার এবং চিকিৎসক মো. মর্তুজা, মো. ফজলে রাব্বি ও আলিম চৌধুরীকেও হত্যার পর গুম করে তারা।
‘ফ্যাসিস্ট’ জামায়াত
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে দল হিসাবে জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের রায়ে উঠে এসেছিল। আদালত বলেছিল, সেই সময় জামায়াতে ইসলামী একটি ফ্যাসিস্ট সংগঠন হিসাবে কাজ করেছে। ‘কিলিং স্কোয়াড’ আল বদরের নিয়ন্ত্রণ জামায়াতের হাতেই ছিল।
রায়ে বলা হয়, এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, ফ্যাসিস্ট জামায়াতে ইসলামীর সংগঠিত মহাপরিকল্পনার আলোকেই সে সময় আল বদর বাহিনীকে নামানো হয়। বাঙালি জাতিকে প্যারালাইজড করতে তারা বুদ্ধিজীবী-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিহীন করতে চেয়েছিল।
একাত্তরের ১৩ ডিসেম্বর দৈনিক শিলালিপির সম্পাদক সেলিনা পারভীনকে অপহরণের পর হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করে রায়ে বলা হয়, ‘সন্তানের জন্য সেলিনা পারভীন প্রাণ ভিক্ষা চান, তাকে ছেড়ে দিতে বলেন। তার ছোট একটি ছেলে রয়েছে, যাকে দেখাশুনা করার আর কেউ নেই। কিন্তু নিষ্ঠুর হত্যাকারীরা তাকে ছাড়েনি। বেয়নেট দিয়ে তাকে তাতক্ষণিকভাবে হত্যা করা হয় বলে প্রসিকিউশনের ২২ নম্বর সাক্ষী জানিয়েছেন। সেলিনা পারভীন ছিলেন একজন মা। ভীতিকর আক্রমণ কেবল সেলিনা পারভীনের ওপরই করা হয় নাই। বরং মাতৃত্বের ওপরও হয়েছে। এটা বরং মাতৃহন্তাও। অবর্ণনীয় এই নিষ্ঠুরতা মানবতার বিবেককে আঘাত করেছে।’
এর আগে জামায়াতের মুক্তিযুদ্ধকালীন আমির গোলাম আযমের যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায়ে দলটিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ আখ্যা দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। জিয়াউর রহমান ও এরশাদ সরকারের আমলে পুলিশ প্রহরায় মুঈনুদ্দীনকে দেশে আসার সুযোগ করে দেয়ায় ওই দুই সামরিক শাসককেও ধিক্কার জানানো হয়েছে রায়ের পর্যবেক্ষণে।
রায়ে বলা হয়, ‘এটা জাতির বড় একটি বিরাট লজ্জা (গ্রেট শেম) যে, জিয়া ও এরশাদ তাকে গ্রামের বাড়িতে যেতে দিয়েছেন। আত্মগোপনে গিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া এই আসামিকে সে সময় পুলিশি নিরাপত্তাও দেয়া হয়। বিচারের মুখোমুখি করার পরিবর্তে তাকে রাষ্ট্রীয় মেশিনারি দিয়ে সম্মান দেয়া হলো।’

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী। পরিকল্পিতভাবে একযোগে বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। বিজয়ের পরই তাঁদের অনেকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহের সন্ধান মেলে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী স্থানীয় আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যরাই মূলত বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছিল। আর এই দুই বাহিনীর মূল শক্তি ছিল স্বাধীনতাবিরোধী প্রধান রাজনৈতিক শক্তি জামায়াতে ইসলামীর তখনকার সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতাকর্মীরা। পাকসেনাদের আত্মসমর্পণের আগে ঢাকা শহরে ঘন ঘন কারফিউয়ের মধ্যে মাইক্রোবাস নিয়ে বেরিয়ে অনেক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নেওয়া হয়েছিল। তাদের সহায়তা করেছিল ছাত্রসংঘের নেতাকর্মীরা।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৩ সালে ৩ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় জন শিক্ষক, ছয় জন সাংবাদিক ও তিনজন চিকিৎসকসহ ১৮ বুদ্ধিজীবীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ছাত্রসংঘের দুই কেন্দ্রীয় নেতা ও আলবদর কমান্ডার আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। পলাতক আশরাফুজ্জামান বর্তমানে আছেন যুক্তরাষ্ট্রে, আর মুঈনুদ্দীন যুক্তরাজ্যে। দুই দেশই তাদের ফেরত দিচ্ছে না।
ট্রাইব্যনালের ১৫৪ পৃষ্ঠার রায়ে উঠে এসেছে, কীভাবে আশরাফুজ্জামান ও মুঈনুদ্দীন ১৯৭১ সালের ১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আল বদর সদস্যদের নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ ও হত্যার পর বধ্যভূমিতে লাশ গুম করেছিলেন। আশরাফুজ্জামান ছিলেন হত্যাযজ্ঞের ‘চিফ এক্সিকিউটর’ ও মুঈনুদ্দীন ‘অপারেশন ইনচার্জ’। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আশরাফুজ্জামানের নাখালপাড়ার বাসা থেকে উদ্ধার করা ব্যক্তিগত দিনপঞ্জিতে হত্যার পরিকল্পনা ও একটি তালিকাও পাওয়া যায়।
জামায়াতের এই দুই ছাত্র নেতা ও তাদের সহযোগীদের হাতে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নাট্যকার মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ড. সিরাজুল হক খান, ড. আবুল খায়ের, ড. ফয়জুল মহিউদ্দিন, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা ও ড. সন্তোষ ভট্টাচার্য।

সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেন, সৈয়দ নাজমুল হক, এএনএম গোলাম মুস্তাফা, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, সেলিনা পারভীন, শহীদুল্লাহ কায়সার এবং চিকিৎসক মো. মর্তুজা, মো. ফজলে রাব্বি ও আলিম চৌধুরীকেও হত্যার পর গুম করে তারা।
‘ফ্যাসিস্ট’ জামায়াত
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে দল হিসাবে জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের রায়ে উঠে এসেছিল। আদালত বলেছিল, সেই সময় জামায়াতে ইসলামী একটি ফ্যাসিস্ট সংগঠন হিসাবে কাজ করেছে। ‘কিলিং স্কোয়াড’ আল বদরের নিয়ন্ত্রণ জামায়াতের হাতেই ছিল।
রায়ে বলা হয়, এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, ফ্যাসিস্ট জামায়াতে ইসলামীর সংগঠিত মহাপরিকল্পনার আলোকেই সে সময় আল বদর বাহিনীকে নামানো হয়। বাঙালি জাতিকে প্যারালাইজড করতে তারা বুদ্ধিজীবী-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিহীন করতে চেয়েছিল।
একাত্তরের ১৩ ডিসেম্বর দৈনিক শিলালিপির সম্পাদক সেলিনা পারভীনকে অপহরণের পর হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করে রায়ে বলা হয়, ‘সন্তানের জন্য সেলিনা পারভীন প্রাণ ভিক্ষা চান, তাকে ছেড়ে দিতে বলেন। তার ছোট একটি ছেলে রয়েছে, যাকে দেখাশুনা করার আর কেউ নেই। কিন্তু নিষ্ঠুর হত্যাকারীরা তাকে ছাড়েনি। বেয়নেট দিয়ে তাকে তাতক্ষণিকভাবে হত্যা করা হয় বলে প্রসিকিউশনের ২২ নম্বর সাক্ষী জানিয়েছেন। সেলিনা পারভীন ছিলেন একজন মা। ভীতিকর আক্রমণ কেবল সেলিনা পারভীনের ওপরই করা হয় নাই। বরং মাতৃত্বের ওপরও হয়েছে। এটা বরং মাতৃহন্তাও। অবর্ণনীয় এই নিষ্ঠুরতা মানবতার বিবেককে আঘাত করেছে।’
এর আগে জামায়াতের মুক্তিযুদ্ধকালীন আমির গোলাম আযমের যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায়ে দলটিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ আখ্যা দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। জিয়াউর রহমান ও এরশাদ সরকারের আমলে পুলিশ প্রহরায় মুঈনুদ্দীনকে দেশে আসার সুযোগ করে দেয়ায় ওই দুই সামরিক শাসককেও ধিক্কার জানানো হয়েছে রায়ের পর্যবেক্ষণে।
রায়ে বলা হয়, ‘এটা জাতির বড় একটি বিরাট লজ্জা (গ্রেট শেম) যে, জিয়া ও এরশাদ তাকে গ্রামের বাড়িতে যেতে দিয়েছেন। আত্মগোপনে গিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া এই আসামিকে সে সময় পুলিশি নিরাপত্তাও দেয়া হয়। বিচারের মুখোমুখি করার পরিবর্তে তাকে রাষ্ট্রীয় মেশিনারি দিয়ে সম্মান দেয়া হলো।’

প্রবাসীদের ভোটপ্রতি ৭০০ টাকা ব্যয় হবে জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এর মধ্যে ৫০০ টাকা যাবে প্রবাসে আনা-নেওয়ায়। আর ২০০ টাকা অন্যান্য খাতে। পোস্টাল ব্যালটে নিবন্ধন ও ভোট দেওয়ার হার কম। ব্যয়বহুল হলেও যৌক্তিক বিবেচনায় পোস্টাল ভোটিং করা হচ্ছে; আর প্রত্যাশাকেও সীমিত রাখতে হবে।
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রেস উইং জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।
আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাকসিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ওসমান হাদির চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তাঁর চিকিৎসাপ্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ড. ইউনূস।
ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।
আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাকসিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ওসমান হাদির চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তাঁর চিকিৎসাপ্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ড. ইউনূস।
ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রবাসীদের ভোটপ্রতি ৭০০ টাকা ব্যয় হবে জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এর মধ্যে ৫০০ টাকা যাবে প্রবাসে আনা-নেওয়ায়। আর ২০০ টাকা অন্যান্য খাতে। পোস্টাল ব্যালটে নিবন্ধন ও ভোট দেওয়ার হার কম। ব্যয়বহুল হলেও যৌক্তিক বিবেচনায় পোস্টাল ভোটিং করা হচ্ছে; আর প্রত্যাশাকেও সীমিত রাখতে হবে।
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী।
১ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, পছন্দসই পদায়নের জন্য রাজনৈতিক পদলেহন পরিহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আইন বৃহত্তর রাজনীতির একটা অঙ্গ হলেও বিচারকদের রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠার প্রয়াস রপ্ত করতে হয়। কেবল ক্ষমতাবান শাসকশ্রেণির পক্ষে প্রয়োজনীয় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব নিলে বিচার বিভাগের আলাদা কোনো অস্তিত্বেরই প্রয়োজন নেই। সে কাজের জন্য নির্বাহী বিভাগ ও পুলিশই যথেষ্ট। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ভিত্তি যে আদর্শকেই ধারণ করে গড়ে ওঠুক না কেন, বিচারকদের সুনীতি ও সুবিবেচনা বজায় রেখে কাজ করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আজ রোববার জেলা ও মহানগর দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে দেওয়া বিদায়ী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গত বছরের ১১ আগস্ট ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন রেফাত আহমেদ। অবসর নেওয়ার আগে আজ বিদায়ী ভাষণ দেন তিনি। ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন রেফাত আহমেদ।
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে। শুনানিকালে কোনো বিশেষ পদবিধারী ব্যক্তি বা ক্ষমতাবান পক্ষকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া বিচারকের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত নয়।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘এই পৃথক সচিবালয় (সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়) প্রতিষ্ঠার কোনো স্বার্থকতা নেই, যদি না আমরা ব্যক্তিগত অসততার ব্যাপারে সতর্ক থাকি। একটি স্বাধীন সচিবালয় কেবল শুরু, সর্বশেষ উদ্দেশ্য নয়। আপনাদের উচিত, সততা আর যোগ্যতার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া। অনুপার্জিত অর্থের বাসনা, অন্যায্য বিলাসী জীবন এবং অসংগত ক্ষমতার প্রতিপত্তি যদি আমাদের মনকে কলুষিত করে রাখে, তাহলে পৃথিবীর কোনো আইনি বিধানই আমাদের সামষ্টিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারবে না।’
বিচারকদের উদ্দেশে রেফাত আহমেদ আরও বলেন, ‘উন্নত জীবনমান ও কর্মপরিবেশের প্রতি প্রত্যাশা কখনোই ব্যক্তিগত ভোগ, আত্মতুষ্টি কিংবা সামাজিক মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্য হতে পারে না। এর অন্তরে থাকতে হবে বিচারিক সক্ষমতার উন্নয়ন, জ্ঞানচর্চার সম্প্রসারণ এবং উচ্চমানের কর্মদক্ষতা অর্জনের সৎ প্রেরণা। এটি অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় চাকরিকালীন প্রশিক্ষণ সংস্কৃতি এখনো কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আমরা এখনো একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারিনি। তবে বিদ্যমান সুযোগের ন্যূনতম সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিচারকদের বড় অংশের অনীহা ও কার্পণ্য পরিলক্ষিত হয়। তাই আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ—জ্ঞান অর্জন ও পাঠাভ্যাসকে আপনারা জীবনের পরম দায় হিসেবে নেবেন।’

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, পছন্দসই পদায়নের জন্য রাজনৈতিক পদলেহন পরিহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আইন বৃহত্তর রাজনীতির একটা অঙ্গ হলেও বিচারকদের রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠার প্রয়াস রপ্ত করতে হয়। কেবল ক্ষমতাবান শাসকশ্রেণির পক্ষে প্রয়োজনীয় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব নিলে বিচার বিভাগের আলাদা কোনো অস্তিত্বেরই প্রয়োজন নেই। সে কাজের জন্য নির্বাহী বিভাগ ও পুলিশই যথেষ্ট। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ভিত্তি যে আদর্শকেই ধারণ করে গড়ে ওঠুক না কেন, বিচারকদের সুনীতি ও সুবিবেচনা বজায় রেখে কাজ করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আজ রোববার জেলা ও মহানগর দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে দেওয়া বিদায়ী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গত বছরের ১১ আগস্ট ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন রেফাত আহমেদ। অবসর নেওয়ার আগে আজ বিদায়ী ভাষণ দেন তিনি। ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন রেফাত আহমেদ।
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে। শুনানিকালে কোনো বিশেষ পদবিধারী ব্যক্তি বা ক্ষমতাবান পক্ষকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া বিচারকের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত নয়।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘এই পৃথক সচিবালয় (সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়) প্রতিষ্ঠার কোনো স্বার্থকতা নেই, যদি না আমরা ব্যক্তিগত অসততার ব্যাপারে সতর্ক থাকি। একটি স্বাধীন সচিবালয় কেবল শুরু, সর্বশেষ উদ্দেশ্য নয়। আপনাদের উচিত, সততা আর যোগ্যতার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া। অনুপার্জিত অর্থের বাসনা, অন্যায্য বিলাসী জীবন এবং অসংগত ক্ষমতার প্রতিপত্তি যদি আমাদের মনকে কলুষিত করে রাখে, তাহলে পৃথিবীর কোনো আইনি বিধানই আমাদের সামষ্টিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারবে না।’
বিচারকদের উদ্দেশে রেফাত আহমেদ আরও বলেন, ‘উন্নত জীবনমান ও কর্মপরিবেশের প্রতি প্রত্যাশা কখনোই ব্যক্তিগত ভোগ, আত্মতুষ্টি কিংবা সামাজিক মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্য হতে পারে না। এর অন্তরে থাকতে হবে বিচারিক সক্ষমতার উন্নয়ন, জ্ঞানচর্চার সম্প্রসারণ এবং উচ্চমানের কর্মদক্ষতা অর্জনের সৎ প্রেরণা। এটি অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় চাকরিকালীন প্রশিক্ষণ সংস্কৃতি এখনো কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আমরা এখনো একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারিনি। তবে বিদ্যমান সুযোগের ন্যূনতম সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিচারকদের বড় অংশের অনীহা ও কার্পণ্য পরিলক্ষিত হয়। তাই আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ—জ্ঞান অর্জন ও পাঠাভ্যাসকে আপনারা জীবনের পরম দায় হিসেবে নেবেন।’

প্রবাসীদের ভোটপ্রতি ৭০০ টাকা ব্যয় হবে জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এর মধ্যে ৫০০ টাকা যাবে প্রবাসে আনা-নেওয়ায়। আর ২০০ টাকা অন্যান্য খাতে। পোস্টাল ব্যালটে নিবন্ধন ও ভোট দেওয়ার হার কম। ব্যয়বহুল হলেও যৌক্তিক বিবেচনায় পোস্টাল ভোটিং করা হচ্ছে; আর প্রত্যাশাকেও সীমিত রাখতে হবে।
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী।
১ ঘণ্টা আগে
প্রেস উইং জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘আজকে একটা বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলত আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের ডেকেছিলাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে এই পর্যন্ত উদ্ভূত বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। সামনের আমাদের কার্যক্রম এবং কৌশল কী হওয়া উচিত—সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং তাঁদের বিভিন্ন মত শুনেছি।’
সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময় একটা ঘটনা, যেটা আমাদের সবার সবাইকে উদ্বিগ্ন করেছে। শরিফ ওসমান হাদির ওপরে চোরাগোপ্তা হামলা। সেটা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলছি না। সেখানকার আরও কিছু বিষয় সম্বন্ধে আমরা অবহিত হয়েছে। যেগুলোর সাথে নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশনের স্বার্থ জড়িত।’
সানাউল্লাহ বলেন, ‘এখানে কয়েকটা বিষয় উঠে এসেছে যে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হচ্ছে সন্দেহভাজন হিসেবে। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই একটা সখ্যতা গড়ে তুলে অত্যন্ত কাছে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে তার একটা অতীত আছে, পেছনে তার একটা রাজনৈতিক ইন্টারেসিডেন্স (মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ) আছে এবং তার একটা ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে। সেটা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে আমরা জানতে পারলাম যে রেবেল হান্ট বিশেষ করে—এক শুরু হওয়ার পর থেকে যেসব সন্ত্রাসীদের অ্যারেস্ট করা হয়েছিল, তাদের একটা বড় সংখ্যা ইতিমধ্যে জামিন পেয়ে গেছে এবং তারা সমাজে বিরাজ করছে। এটা নিয়ে আমাদের কী করণীয়—সেটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।’
দেশে চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সামনেও যে এটা সম্ভাবনা নাই, তা-ও বলছি না। আজকের মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে করে এই ধরনের হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে বা এগুলো যাতে কঠোর হস্তে দমন করা হয় ... নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মেসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার। নির্বাচন নিয়ে কোনো আশঙ্কা নাই।’
প্রার্থীদের বৈধ অস্ত্র ও লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য নজরে আনলে এই নির্বাচন কমিশনার বলে, ‘আমার সাথে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কমিশনের সাথে কোনো আলোচনা হয়েছে বলে আমার জানা নাই। উনি কী মন্তব্য করেছেন, কোন প্রেক্ষাপটে করেছেন, আমি যদি জানি পরে আমি আলোকপাত করতে পারব।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘আজকে একটা বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলত আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের ডেকেছিলাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে এই পর্যন্ত উদ্ভূত বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। সামনের আমাদের কার্যক্রম এবং কৌশল কী হওয়া উচিত—সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং তাঁদের বিভিন্ন মত শুনেছি।’
সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময় একটা ঘটনা, যেটা আমাদের সবার সবাইকে উদ্বিগ্ন করেছে। শরিফ ওসমান হাদির ওপরে চোরাগোপ্তা হামলা। সেটা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলছি না। সেখানকার আরও কিছু বিষয় সম্বন্ধে আমরা অবহিত হয়েছে। যেগুলোর সাথে নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশনের স্বার্থ জড়িত।’
সানাউল্লাহ বলেন, ‘এখানে কয়েকটা বিষয় উঠে এসেছে যে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হচ্ছে সন্দেহভাজন হিসেবে। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই একটা সখ্যতা গড়ে তুলে অত্যন্ত কাছে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে তার একটা অতীত আছে, পেছনে তার একটা রাজনৈতিক ইন্টারেসিডেন্স (মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ) আছে এবং তার একটা ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে। সেটা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে আমরা জানতে পারলাম যে রেবেল হান্ট বিশেষ করে—এক শুরু হওয়ার পর থেকে যেসব সন্ত্রাসীদের অ্যারেস্ট করা হয়েছিল, তাদের একটা বড় সংখ্যা ইতিমধ্যে জামিন পেয়ে গেছে এবং তারা সমাজে বিরাজ করছে। এটা নিয়ে আমাদের কী করণীয়—সেটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।’
দেশে চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সামনেও যে এটা সম্ভাবনা নাই, তা-ও বলছি না। আজকের মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে করে এই ধরনের হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে বা এগুলো যাতে কঠোর হস্তে দমন করা হয় ... নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মেসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার। নির্বাচন নিয়ে কোনো আশঙ্কা নাই।’
প্রার্থীদের বৈধ অস্ত্র ও লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য নজরে আনলে এই নির্বাচন কমিশনার বলে, ‘আমার সাথে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কমিশনের সাথে কোনো আলোচনা হয়েছে বলে আমার জানা নাই। উনি কী মন্তব্য করেছেন, কোন প্রেক্ষাপটে করেছেন, আমি যদি জানি পরে আমি আলোকপাত করতে পারব।’

প্রবাসীদের ভোটপ্রতি ৭০০ টাকা ব্যয় হবে জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এর মধ্যে ৫০০ টাকা যাবে প্রবাসে আনা-নেওয়ায়। আর ২০০ টাকা অন্যান্য খাতে। পোস্টাল ব্যালটে নিবন্ধন ও ভোট দেওয়ার হার কম। ব্যয়বহুল হলেও যৌক্তিক বিবেচনায় পোস্টাল ভোটিং করা হচ্ছে; আর প্রত্যাশাকেও সীমিত রাখতে হবে।
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী।
১ ঘণ্টা আগে
প্রেস উইং জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
৪ ঘণ্টা আগে