মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে নাগরিকের ভোগান্তি কমাতে আবেদন নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ কার্যক্রম (ক্র্যাশ প্রোগ্রাম) হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই প্রক্রিয়ায় জটিল সংশোধনীর আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষমতা সিনিয়র জেলা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের হাতে দেওয়া হলেও প্রচারের অভাবে তা জানতে পারছেন না সেবাগ্রহীতারা। সঠিক তথ্য না জানার কারণে অনেকেই এখনো ঢাকাসহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভিড় করছেন। সেখানে কাজ না হওয়ায় হতাশ হয়ে ফিরছেন জেলায়। এতে কমছে না ভোগান্তি।
গত সপ্তাহের মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন রাজধানীর মিরপুরের এক বাসিন্দা। তাঁর গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা। এই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি এনআইডি সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন। তাঁর আবেদনটি ‘গ’ ক্যাটাগরির। আগে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এই ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তি করতেন। এখন কাজটি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই তথ্য তিনি জানতেন না। বলেন, ‘এটি আমি জানতাম না। যদি আগে জানতাম, তাহলে এত কষ্ট করে এখানে আসতে হতো না।’
গত বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ভবনে ঢাকা আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, হাসিবুল ইসলাম নামের একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর ‘গ’ ক্যাটাগরি অর্থাৎ আগে যেই কাজটি আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেখতেন সেই ডেস্কে বসে আছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে সেবা নিতে আসা নাগরিকদের বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন তিনি।
সেখানে কথা হয়, মুন্সিগঞ্জ থেকে মো. উজ্জ্বল নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাইয়ের এনআইডি সংশোধনের খোঁজ নিতে এসেছি। এক মাস আগেও এখানে এসে খোঁজ নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আজ এসে জানতে পারলাম, এই সেবার জন্য জেলা নির্বাচন অফিসে যেতে হবে।’
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, এখানে এসে দেখি আমার কাজটি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা করবেন। এনআইডি অনুযায়ী ষাটোর্ধ্ব এই ব্যক্তি বলেন, এই তথ্য আগে জানা থাকলে কষ্ট করে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসতে হতো না।
নাগরিকেরা ইসির নেওয়া উদ্যোগের বিষয়ে যে জানতে পারছেন না, তা স্বীকার করেছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীরও। তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময়ে যেসব উদ্যোগ নিচ্ছি, তা মানুষ জানতে পারছে না। এ বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
ইসির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৪ লাখের মতো এনআইডি সংশোধনের আবেদন ঝুলে আছে। এসব আবেদন নিষ্পত্তির জন্য ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে ইসি। এ লক্ষ্যে ‘গ’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পন্নের জন্য ৬৪ জেলার সিনিয়র জেলা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের আবেদনের সংখ্যা বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জেলা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কয়েক কর্মকর্তাকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, নিজ নামের বানান পরিবর্তনের কারণে মূল নাম পরিবর্তন (যেমন হাশেমের পরিবর্তে কাশেম), নামের সম্পূর্ণ বা আমূল পরিবর্তন, পিতা ও মাতার উভয়ের নামের সম্পূর্ণ বা আমূল পরিবর্তন, জন্মতারিখ সর্বোচ্চ ১০ বছর; একই অঞ্চলের মধ্যে স্থায়ী ঠিকানা সংশোধন ইত্যাদি ‘গ’ ক্যাটাগরিতে পড়ে। এই ক্যাটাগরির আবেদন আগে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক নিষ্পন্ন করতেন।
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে নাগরিকের ভোগান্তি কমাতে আবেদন নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ কার্যক্রম (ক্র্যাশ প্রোগ্রাম) হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই প্রক্রিয়ায় জটিল সংশোধনীর আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষমতা সিনিয়র জেলা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের হাতে দেওয়া হলেও প্রচারের অভাবে তা জানতে পারছেন না সেবাগ্রহীতারা। সঠিক তথ্য না জানার কারণে অনেকেই এখনো ঢাকাসহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভিড় করছেন। সেখানে কাজ না হওয়ায় হতাশ হয়ে ফিরছেন জেলায়। এতে কমছে না ভোগান্তি।
গত সপ্তাহের মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন রাজধানীর মিরপুরের এক বাসিন্দা। তাঁর গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা। এই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি এনআইডি সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন। তাঁর আবেদনটি ‘গ’ ক্যাটাগরির। আগে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এই ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তি করতেন। এখন কাজটি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই তথ্য তিনি জানতেন না। বলেন, ‘এটি আমি জানতাম না। যদি আগে জানতাম, তাহলে এত কষ্ট করে এখানে আসতে হতো না।’
গত বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ভবনে ঢাকা আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, হাসিবুল ইসলাম নামের একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর ‘গ’ ক্যাটাগরি অর্থাৎ আগে যেই কাজটি আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেখতেন সেই ডেস্কে বসে আছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে সেবা নিতে আসা নাগরিকদের বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন তিনি।
সেখানে কথা হয়, মুন্সিগঞ্জ থেকে মো. উজ্জ্বল নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাইয়ের এনআইডি সংশোধনের খোঁজ নিতে এসেছি। এক মাস আগেও এখানে এসে খোঁজ নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আজ এসে জানতে পারলাম, এই সেবার জন্য জেলা নির্বাচন অফিসে যেতে হবে।’
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, এখানে এসে দেখি আমার কাজটি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা করবেন। এনআইডি অনুযায়ী ষাটোর্ধ্ব এই ব্যক্তি বলেন, এই তথ্য আগে জানা থাকলে কষ্ট করে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসতে হতো না।
নাগরিকেরা ইসির নেওয়া উদ্যোগের বিষয়ে যে জানতে পারছেন না, তা স্বীকার করেছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীরও। তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময়ে যেসব উদ্যোগ নিচ্ছি, তা মানুষ জানতে পারছে না। এ বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
ইসির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৪ লাখের মতো এনআইডি সংশোধনের আবেদন ঝুলে আছে। এসব আবেদন নিষ্পত্তির জন্য ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে ইসি। এ লক্ষ্যে ‘গ’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পন্নের জন্য ৬৪ জেলার সিনিয়র জেলা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের আবেদনের সংখ্যা বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জেলা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কয়েক কর্মকর্তাকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, নিজ নামের বানান পরিবর্তনের কারণে মূল নাম পরিবর্তন (যেমন হাশেমের পরিবর্তে কাশেম), নামের সম্পূর্ণ বা আমূল পরিবর্তন, পিতা ও মাতার উভয়ের নামের সম্পূর্ণ বা আমূল পরিবর্তন, জন্মতারিখ সর্বোচ্চ ১০ বছর; একই অঞ্চলের মধ্যে স্থায়ী ঠিকানা সংশোধন ইত্যাদি ‘গ’ ক্যাটাগরিতে পড়ে। এই ক্যাটাগরির আবেদন আগে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক নিষ্পন্ন করতেন।
তিনি বলেন, ‘অনেক জায়গায় শোনা যাচ্ছে, কেউ গিয়ে মূর্তির হাত কিংবা মাথা নষ্ট করছে। আমরা খবর পেলেই সঙ্গে সঙ্গে তা অ্যাড্রেস করছি। কোথাও বিচ্যুতি হলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পূজা ঘিরে এখন পর্যন্ত বড় কোনো আশঙ্কা নেই। তবে তুচ্ছ কারণে ছোটখাটো ঘটনা ঘটছে। এসবকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’
৪০ মিনিট আগেজাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে শতাধিক প্রতিনিধিসহ অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার আগের কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিব্রতকর চর্চা অব্যাহত রেখেছে বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে সংস্থাটি বলেছে, জনগণের করের টাকায় বিদেশ সফরে এত বড় প্রতিনিধিদল পাঠ
১ ঘণ্টা আগেপরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, শ্রমিকদের মর্যাদা ও শ্রমিককেন্দ্রিক নীতি প্রতিষ্ঠা ছাড়া ন্যায্য রূপান্তর সম্ভব নয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত ‘ফ্রম ডায়লগ টু অ্যাকশন: টুয়ার্ডস
১ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবার দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চার দিন (১-৪ অক্টোবর) সরকারি ছুটি থাকবে। এ ছাড়া ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। দীর্ঘ এই ছুটিতে বাড়তি যাত্রীর চাপ সামলাতেই ট্রেনের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে