Ajker Patrika

আপিল বিভাগে প্রথমবারের মতো ক্যামেরা, ছবি তুললেন সাংবাদিক ও আইনজীবীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১১ জুন ২০২৪, ১২: ১৪
আপিল বিভাগে প্রথমবারের মতো ক্যামেরা, ছবি তুললেন সাংবাদিক ও আইনজীবীরা

আদালতের এজলাসের ছবি তোলা যায় না। রেকর্ড করা যায় না কোনো শুনানি বা রায়–আদেশ। তবে আজ সোমবার ছিল ব্যতিক্রম। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতির এজলাসকক্ষে ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় গণমাধ্যমকর্মীদের। 

প্রধান বিচারপতির এজলাসকক্ষ সংস্কারের মাধ্যমে আধুনিকীকরণের পর বিচারকাজ শুরু করার আগে আজ বিকেলে বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, অবসরে যাওয়া পাঁচজন প্রধান বিচারপতি, হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ থেকে অবসরে যাওয়া বিচারপতি ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। 

অনেক আইনজীবী এ সময় এজলাসে সেলফি তোলেন। যদিও এজলাসের কোনো ছবি প্রতিবেদন ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার না করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। আর আজকের পর কোনো প্রতিবেদনেও এসব ছবি এবং ভিডিও প্রকাশ না করতে বলা হয়েছে। আর এমনটি করলে তা হবে আদালত অবমাননার শামিল। 

অধিবেশনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তিনি আয়োজনের জন্য প্রধান বিচারপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের অর্জন ও অগ্রগতিকে নস্যাৎ করে দিচ্ছে। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মতো বিচার বিভাগেও দুর্নীতি ডানা মেলার চেষ্টা করছে। কার্যকর মনিটরিং, বিচার বিভাগের আধুনিকায়ন ও জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে বিচার বিভাগকে রক্ষা করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট মানুষের বিচারের সব শেষ আশ্রয় স্থল। জাতির বিভিন্ন ক্রান্তিকালে এই সর্বোচ্চ বিচারালয় সংবিধানের অভিভাবক হিসেবে আইনের ব্যাখ্যা প্রদান করেছে। ভবিষ্যতেও সর্বোচ্চ আদালত মানুষের অধিকার রক্ষায় একইভাবে দায়িত্ব পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’ 

প্রধান বিচারপতির এজলাসকক্ষ আধুনিকীকরণের পর সোমবার বিকেলে বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন তাঁর বক্তব্যে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে আইন ও নীতিমালা তৈরি করতে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগ যত শক্তিশালী হবে, আইনজীবীরাও তত শক্তিশালী হবে। দেশের মানুষের নিকট বিচার বিভাগ নিয়ে আস্থার সৃষ্টি হবে। জনগণ চায় মেধাসম্পন্ন, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, সৎ বিচারপতি। সর্বোচ্চ আদালতে নিয়োগের জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড মেনটেইন করা হলে বিচার বিভাগ আরও শক্তিশালী হবে।’ 
 
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাঁর বক্তব্যে দেশের উচ্চ আদালতের ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে বিচারকার্য পরিচালনা করতে এ আদালত এখন সম্পূর্ণ সক্ষম। বিচার বিভাগীয় পরিকল্পনার একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে দেশের আদালতগুলোর ভৌত অবকাঠামোর সংস্কার, সংরক্ষণ এবং উন্নয়ন। আমি বিশ্বাস করি, এই আয়োজন নতুন দিনের সূচনা মাত্র।’ এ সময় তিনি অধস্তন আদালতের স্থাপনাগুলোর আধুনিকায়ন এবং উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গ্রাহকদের ৮৫৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ: এক্সিম ব্যাংকের সাবেক এমডি ফিরোজকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এক্সিম ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
এক্সিম ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

গ্রাহকদের ৮৫৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় এক্সিম ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন।

গ্রাহকদের শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় আজ বিকেলে ফিরোজ হোসেনকে আদালতে হাজির করে দুদক।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

অন্যদিকে ফিরোজের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের বিশেষ পিপি দেলোয়ার জাহান রুমি তাঁর জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে আজ দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে দুদকের সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজের নেতৃত্বে একটি দল সাবেক এমডিকে গ্রেপ্তার করে।

এক্সিম ব্যাংকের ৮৫৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে গত ১৭ আগস্ট ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ও এমডি ফিরোজ হোসেনসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

ওকে: জসীম

জাতীয়

ট্যাগ: এক্সিম ব্যাংক, এমডি, কারাগার, আদালত, টাকা আত্মসাৎ, দুদক

মেটা:

ছবি: Firoz (national)

ক্যাপশন:

পজিশন: ৫

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সরকারি ছুটি ২৮ দিন, ১১ দিনই শুক্র-শনিবার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ২৪
সরকারি ছুটি ২৮ দিন, ১১ দিনই শুক্র-শনিবার

আগামী বছর ২০২৬ সালে সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। সব মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি, যার মধ্যে ১১ দিনই পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। সেখানেই ছুটির তালিকা অনুমোদন করা হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিং করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আগামী বছর নির্বাহী আদেশে এবং সাধারণ ছুটি মিলিয়ে মোট ছুটি ২৮ দিন। যার মধ্যে ১১ দিন শুক্র ও শনিবার পড়েছে। মূল ছুটি ১৭ দিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪০
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে এই অনুমোদন হয়।

আগামী বছর সরকারি ও নির্বাহী আদেশের ছুটি ২৮ দিন। যার মধ্যে ১১ দিন শুক্র ও শনিবার পড়েছে।

আজ তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। সেখানেই ছুটির তালিকা অনুমোদন হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তান থেকে এল নিষিদ্ধ পণ্য, বার্ড ফুডের নামে পপিবীজের চালান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ২৫
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বার্ড ফুড বা পাখির খাবারের আড়ালে চট্টগ্রাম বন্দরে ২৪ হাজার ৯৬০ কেজি ওজনের পপিবীজের একটি চালান জব্দ করেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। চালানটি পাকিস্তান থেকে আমদানি করা হয়। চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্স (এআইআর) শাখা চালানটি আটক করে।

আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।

বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) এইচ এম কবির বলেন, জব্দ করা পপিবীজের বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা। সাড়ে ছয় কোটি টাকার পণ্য মাত্র ৩০ লাখ টাকা মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা হয়। পপিবীজ আমদানি-নিষিদ্ধ হওয়ায় এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গত ৯ অক্টোবর বার্ড ফুড হিসেবে দুটি কনটেইনারে ৩২ হাজার ১০ কেজি পণ্যের একটি চালান চট্টগ্রাম বন্দরে আসে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি খালাসের জন্য বেসরকারি অফডক ছাবের আহমেদ টিম্বার কোম্পানি লিমিটেডের ডিপোতে নেওয়া হয়। চালানটির আমদানিকারক চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার কোরবানিগঞ্জ এলাকার মেসার্স আদিব ট্রেডিং। চালানটি খালাসের জন্য নগরীর হালিশহরের শান্তিবাগ এলাকার এম এইচ ট্রেডিং কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লিমিটেড বার্ড ফুড ঘোষণা দিয়ে গত ১৪ অক্টোবর কাস্টমসের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে।

পরে চালানটির উৎস, রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকের ব্যবসার ধরন পর্যালোচনা করে চালানটিতে মিথ্যা ঘোষণার পণ্য আছে সন্দেহে খালাস স্থগিত করে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে লক করে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২২ অক্টোবর ডিপো কর্তৃপক্ষ ও সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতিতে চালানটির কায়িক পরীক্ষা করে কাস্টমসের এআইআর শাখা। এতে কনটেইনার দুটিতে ৭ হাজার ২০০ কেজি বার্ড ফুড ও ২৪ হাজার ৯৬০ কেজি পপিবীজ পাওয়া যায়। এরপর পণ্য দুটির নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানোপ্রযুক্তি সেন্টার এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে ভৌত ও রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদনে পণ্য দুটির মধ্যে ২৪ হাজার ৯৬০ কেজির চালানটির নমুনাকে পপিবীজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

কায়িক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, কনটেইনারে মুখে বার্ড ফুড দিয়ে ভেতরে পপিবীজ ঢেকে রেখে কৌশলে আমদানি করা হয়। পপি সিড মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুসারে ‘ক’ শ্রেণির মাদক হিসেবে বিবেচিত। আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২৪-এর অনুচ্ছেদ ৩(১)(খ) অনুসারে আমদানি-নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে পপিবীজ। তবে দেশে পপি সিডকে ‘পোস্তদানা’ মসলা হিসেবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পণ্য চালানটির ঘোষিত মূল্য ছিল ৩০ লাখ ২ হাজার ৪৮২ টাকা। কিন্তু কায়িক পরীক্ষণে প্রাপ্ত পণ্যের বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

এসব পণ্য আমদানিতে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে কাস্টমসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত