রোকন উদ্দীন, ঢাকা

বাংলাদেশে পটপরিবর্তনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে চলছে টানাপোড়েন। চলছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। কিন্তু এর সঙ্গে ধীরে ধীরে জড়িয়ে যাচ্ছে বাণিজ্যিক আদান-প্রদানও। ভারত সরকার সরাসরি কোনো সিদ্ধান্ত না নিলেও দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বাণিজ্যে বাধা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। উগ্রপন্থীরা আবার কোথাও কোথাও বিক্ষোভ করে বন্ধ করে দিচ্ছে স্থলবন্দরের কার্যক্রম। এতে ব্যাহত হচ্ছে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি।
বাণিজ্য বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজনৈতিক বিভেদ বা দূরত্ব থেকে বাণিজ্যকে মুক্ত রাখতে হবে। অনভিপ্রেত ঘটনার প্রভাব যদি আমদানি-রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার মতো পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়, ক্ষতিটা ভারতেরই হবে। কেননা, প্রতিবছর বাংলাদেশ ভারত থেকে ১৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা আমদানি করছে। এর বিঘ্ন ঘটলে ভারত সেই বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হবে।
অন্যদিকে রপ্তানি বন্ধ করলে সাময়িক সময়ের জন্য বাংলাদেশ কিছুটা চাপে পড়লেও আমদানির নতুন বিকল্প উৎস ঠিকই খুঁজে পেয়ে যাবে। তদুপরি অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়িয়েও তা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। অর্থাৎ এতে কার লাভ, কার ক্ষতি, সেটি ভারতকে যেমন বিবেচনা করতে হবে, তেমনি বাংলাদেশকেও আঞ্চলিক বাণিজ্য থেকে সময় ও ব্যয় দুটির সুবিধাই ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
নিউইয়র্কভিত্তিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ট্রেড ইকোনমির তথ্যমতে, ভারত গত বছর বিশ্বে ৩৯.২০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। তার মধ্যে বাংলাদেশেই এককভাবে রপ্তানি করেছে ১১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের (বিএলপিএ) তথ্য অনুসারে, দেশে ২৪টি স্থলবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে বেনাপোল, ভোমরা, বুড়িমারী, তামাবিল, সোনাহাট, আখাউড়া, নাকুগাঁও, বিলোনিয়া, গোবড়াকুড়া-কড়ইতলী, শেওলা, ধানুয়া কামালপুর, সোনামসজিদ, হিলি, বাংলাবান্ধা, বিবিরবাজার ও টেকনাফ চালু রয়েছে। তথ্যমতে, এসব স্থলবন্দর দিয়ে বছরে প্রায় ২ কোটি টন পণ্য আমদানি হয় বাংলাদেশে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে।
এসব স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে প্রধানত যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল, ভোগ্যপণ্য, সুতা, তুলা ও রাসায়নিক পণ্য। এ ছাড়া পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও হলুদের মতো পণ্যও ভারত থেকে আমদানি করা হয়।
স্থলবন্দরের কার্যক্রমে বাধা
ফেনীর বিলোনিয়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর কয়লা-পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। বেনাপোল দিয়ে কমেছে যাত্রী পারাপার। দুই দেশের সীমান্তে চলছে কড়াকড়ি। যে স্থলবন্দরগুলো দিয়ে এখন আমদানি-রপ্তানি চলছে, তা-ও কয়েক দিন আগের তুলনায় অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে বলে বন্দর সূত্রে জানা গেছে। গত সোমবার ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের লোকজনের বাধা ও পণ্য পরিবহন জটিলতায় সিলেটের স্থল ও শুল্কস্টেশন দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোলে গত সোমবার বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে বক্তৃতায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী হুমকি দেন, বাংলাদেশে ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি না দিলে এ মাসে পাঁচ দিন বেনাপোল দিয়ে আলু-পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখবেন। তাতেও কাজ না হলে জানুয়ারি থেকে পুরোপুরি অচল করে দেবেন পেট্রাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি।
সিলেটের বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ ইমরান মাতব্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুনেছি, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট/কাস্টমসকে জানিয়েছেন, তাঁরা আমদানি-রপ্তানি করবেন না। তবে সরকারিভাবে কোনো আদেশ পাইনি।’
সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার মো. তাসনিমুর রহমান বলেন, ‘সব স্থল ও শুল্কস্টেশনে অফিস খোলা রয়েছে। তবে পণ্য আমদানি-রপ্তানি না হওয়ায় কার্যক্রম হচ্ছে না।’
হিলি ল্যান্ড পোর্ট আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট শহিদুল ইসলাম বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনলাইনে স্লট বুকিং বন্ধ করে দেওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি বন্ধ রয়েছে। যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তার কারণে বন্দর দিয়ে ভবিষ্যতে যাতে আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত না হয়, সেটি উভয় দেশের ব্যবসায়ীদেরই চাওয়া।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, এ ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় আঘাত আসে বাণিজ্যে। বাণিজ্যে বাধা এলে কার লাভ কার ক্ষতি সেটি স্পষ্ট হবে বছর শেষে মূল্যায়নে। কিন্তু বাংলাদেশ যেহেতু আমদানিমুখী, তাই কোনো একটি দেশের ওপর বেশি নির্ভরশীল না হয়ে সময় থাকতেই বিকল্প উৎস খুঁজে দেখতে হবে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী বলেন, গত ৫ আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংগত কারণে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটেছে। কারণ, ভারত সরকার গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট একটি দলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে, একই সঙ্গে স্বার্থসংশ্লিষ্টতার বিষয়গুলোও বোঝাপড়া করেছে। সেখানে এ দেশের জনগণ বা ভিন্ন কোনো মতাদর্শকে তারা গুরুত্ব দেয়নি। এখন যেহেতু সেই দলটি নেই, তাই ভারতও এখন স্বস্তিতে নেই। তারা আবারও চায়, তাদের পছন্দের দলটি বাংলাদেশে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হোক, ক্ষমতায় আসুক। আজকের যে প্রেক্ষাপট উদ্ভূত হয়েছে, চতুর্মুখী এই চাপ তাদের পরিকল্পিত চাওয়ার ফলাফল বলেই মনে হচ্ছে, যার খেসারত বাণিজ্যের ওপরও পড়েছে। এটি কোনোভাবেই শিষ্টাচারমূলক কূটনীতি নয়।

বাংলাদেশে পটপরিবর্তনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে চলছে টানাপোড়েন। চলছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। কিন্তু এর সঙ্গে ধীরে ধীরে জড়িয়ে যাচ্ছে বাণিজ্যিক আদান-প্রদানও। ভারত সরকার সরাসরি কোনো সিদ্ধান্ত না নিলেও দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বাণিজ্যে বাধা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। উগ্রপন্থীরা আবার কোথাও কোথাও বিক্ষোভ করে বন্ধ করে দিচ্ছে স্থলবন্দরের কার্যক্রম। এতে ব্যাহত হচ্ছে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি।
বাণিজ্য বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজনৈতিক বিভেদ বা দূরত্ব থেকে বাণিজ্যকে মুক্ত রাখতে হবে। অনভিপ্রেত ঘটনার প্রভাব যদি আমদানি-রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার মতো পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়, ক্ষতিটা ভারতেরই হবে। কেননা, প্রতিবছর বাংলাদেশ ভারত থেকে ১৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা আমদানি করছে। এর বিঘ্ন ঘটলে ভারত সেই বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হবে।
অন্যদিকে রপ্তানি বন্ধ করলে সাময়িক সময়ের জন্য বাংলাদেশ কিছুটা চাপে পড়লেও আমদানির নতুন বিকল্প উৎস ঠিকই খুঁজে পেয়ে যাবে। তদুপরি অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়িয়েও তা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। অর্থাৎ এতে কার লাভ, কার ক্ষতি, সেটি ভারতকে যেমন বিবেচনা করতে হবে, তেমনি বাংলাদেশকেও আঞ্চলিক বাণিজ্য থেকে সময় ও ব্যয় দুটির সুবিধাই ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
নিউইয়র্কভিত্তিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ট্রেড ইকোনমির তথ্যমতে, ভারত গত বছর বিশ্বে ৩৯.২০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। তার মধ্যে বাংলাদেশেই এককভাবে রপ্তানি করেছে ১১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের (বিএলপিএ) তথ্য অনুসারে, দেশে ২৪টি স্থলবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে বেনাপোল, ভোমরা, বুড়িমারী, তামাবিল, সোনাহাট, আখাউড়া, নাকুগাঁও, বিলোনিয়া, গোবড়াকুড়া-কড়ইতলী, শেওলা, ধানুয়া কামালপুর, সোনামসজিদ, হিলি, বাংলাবান্ধা, বিবিরবাজার ও টেকনাফ চালু রয়েছে। তথ্যমতে, এসব স্থলবন্দর দিয়ে বছরে প্রায় ২ কোটি টন পণ্য আমদানি হয় বাংলাদেশে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে।
এসব স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে প্রধানত যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল, ভোগ্যপণ্য, সুতা, তুলা ও রাসায়নিক পণ্য। এ ছাড়া পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও হলুদের মতো পণ্যও ভারত থেকে আমদানি করা হয়।
স্থলবন্দরের কার্যক্রমে বাধা
ফেনীর বিলোনিয়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর কয়লা-পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। বেনাপোল দিয়ে কমেছে যাত্রী পারাপার। দুই দেশের সীমান্তে চলছে কড়াকড়ি। যে স্থলবন্দরগুলো দিয়ে এখন আমদানি-রপ্তানি চলছে, তা-ও কয়েক দিন আগের তুলনায় অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে বলে বন্দর সূত্রে জানা গেছে। গত সোমবার ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের লোকজনের বাধা ও পণ্য পরিবহন জটিলতায় সিলেটের স্থল ও শুল্কস্টেশন দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোলে গত সোমবার বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে বক্তৃতায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী হুমকি দেন, বাংলাদেশে ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি না দিলে এ মাসে পাঁচ দিন বেনাপোল দিয়ে আলু-পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখবেন। তাতেও কাজ না হলে জানুয়ারি থেকে পুরোপুরি অচল করে দেবেন পেট্রাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি।
সিলেটের বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ ইমরান মাতব্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুনেছি, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট/কাস্টমসকে জানিয়েছেন, তাঁরা আমদানি-রপ্তানি করবেন না। তবে সরকারিভাবে কোনো আদেশ পাইনি।’
সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার মো. তাসনিমুর রহমান বলেন, ‘সব স্থল ও শুল্কস্টেশনে অফিস খোলা রয়েছে। তবে পণ্য আমদানি-রপ্তানি না হওয়ায় কার্যক্রম হচ্ছে না।’
হিলি ল্যান্ড পোর্ট আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট শহিদুল ইসলাম বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনলাইনে স্লট বুকিং বন্ধ করে দেওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি বন্ধ রয়েছে। যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তার কারণে বন্দর দিয়ে ভবিষ্যতে যাতে আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত না হয়, সেটি উভয় দেশের ব্যবসায়ীদেরই চাওয়া।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, এ ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় আঘাত আসে বাণিজ্যে। বাণিজ্যে বাধা এলে কার লাভ কার ক্ষতি সেটি স্পষ্ট হবে বছর শেষে মূল্যায়নে। কিন্তু বাংলাদেশ যেহেতু আমদানিমুখী, তাই কোনো একটি দেশের ওপর বেশি নির্ভরশীল না হয়ে সময় থাকতেই বিকল্প উৎস খুঁজে দেখতে হবে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী বলেন, গত ৫ আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংগত কারণে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটেছে। কারণ, ভারত সরকার গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট একটি দলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে, একই সঙ্গে স্বার্থসংশ্লিষ্টতার বিষয়গুলোও বোঝাপড়া করেছে। সেখানে এ দেশের জনগণ বা ভিন্ন কোনো মতাদর্শকে তারা গুরুত্ব দেয়নি। এখন যেহেতু সেই দলটি নেই, তাই ভারতও এখন স্বস্তিতে নেই। তারা আবারও চায়, তাদের পছন্দের দলটি বাংলাদেশে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হোক, ক্ষমতায় আসুক। আজকের যে প্রেক্ষাপট উদ্ভূত হয়েছে, চতুর্মুখী এই চাপ তাদের পরিকল্পিত চাওয়ার ফলাফল বলেই মনে হচ্ছে, যার খেসারত বাণিজ্যের ওপরও পড়েছে। এটি কোনোভাবেই শিষ্টাচারমূলক কূটনীতি নয়।
রোকন উদ্দীন, ঢাকা

বাংলাদেশে পটপরিবর্তনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে চলছে টানাপোড়েন। চলছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। কিন্তু এর সঙ্গে ধীরে ধীরে জড়িয়ে যাচ্ছে বাণিজ্যিক আদান-প্রদানও। ভারত সরকার সরাসরি কোনো সিদ্ধান্ত না নিলেও দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বাণিজ্যে বাধা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। উগ্রপন্থীরা আবার কোথাও কোথাও বিক্ষোভ করে বন্ধ করে দিচ্ছে স্থলবন্দরের কার্যক্রম। এতে ব্যাহত হচ্ছে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি।
বাণিজ্য বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজনৈতিক বিভেদ বা দূরত্ব থেকে বাণিজ্যকে মুক্ত রাখতে হবে। অনভিপ্রেত ঘটনার প্রভাব যদি আমদানি-রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার মতো পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়, ক্ষতিটা ভারতেরই হবে। কেননা, প্রতিবছর বাংলাদেশ ভারত থেকে ১৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা আমদানি করছে। এর বিঘ্ন ঘটলে ভারত সেই বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হবে।
অন্যদিকে রপ্তানি বন্ধ করলে সাময়িক সময়ের জন্য বাংলাদেশ কিছুটা চাপে পড়লেও আমদানির নতুন বিকল্প উৎস ঠিকই খুঁজে পেয়ে যাবে। তদুপরি অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়িয়েও তা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। অর্থাৎ এতে কার লাভ, কার ক্ষতি, সেটি ভারতকে যেমন বিবেচনা করতে হবে, তেমনি বাংলাদেশকেও আঞ্চলিক বাণিজ্য থেকে সময় ও ব্যয় দুটির সুবিধাই ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
নিউইয়র্কভিত্তিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ট্রেড ইকোনমির তথ্যমতে, ভারত গত বছর বিশ্বে ৩৯.২০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। তার মধ্যে বাংলাদেশেই এককভাবে রপ্তানি করেছে ১১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের (বিএলপিএ) তথ্য অনুসারে, দেশে ২৪টি স্থলবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে বেনাপোল, ভোমরা, বুড়িমারী, তামাবিল, সোনাহাট, আখাউড়া, নাকুগাঁও, বিলোনিয়া, গোবড়াকুড়া-কড়ইতলী, শেওলা, ধানুয়া কামালপুর, সোনামসজিদ, হিলি, বাংলাবান্ধা, বিবিরবাজার ও টেকনাফ চালু রয়েছে। তথ্যমতে, এসব স্থলবন্দর দিয়ে বছরে প্রায় ২ কোটি টন পণ্য আমদানি হয় বাংলাদেশে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে।
এসব স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে প্রধানত যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল, ভোগ্যপণ্য, সুতা, তুলা ও রাসায়নিক পণ্য। এ ছাড়া পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও হলুদের মতো পণ্যও ভারত থেকে আমদানি করা হয়।
স্থলবন্দরের কার্যক্রমে বাধা
ফেনীর বিলোনিয়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর কয়লা-পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। বেনাপোল দিয়ে কমেছে যাত্রী পারাপার। দুই দেশের সীমান্তে চলছে কড়াকড়ি। যে স্থলবন্দরগুলো দিয়ে এখন আমদানি-রপ্তানি চলছে, তা-ও কয়েক দিন আগের তুলনায় অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে বলে বন্দর সূত্রে জানা গেছে। গত সোমবার ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের লোকজনের বাধা ও পণ্য পরিবহন জটিলতায় সিলেটের স্থল ও শুল্কস্টেশন দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোলে গত সোমবার বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে বক্তৃতায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী হুমকি দেন, বাংলাদেশে ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি না দিলে এ মাসে পাঁচ দিন বেনাপোল দিয়ে আলু-পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখবেন। তাতেও কাজ না হলে জানুয়ারি থেকে পুরোপুরি অচল করে দেবেন পেট্রাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি।
সিলেটের বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ ইমরান মাতব্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুনেছি, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট/কাস্টমসকে জানিয়েছেন, তাঁরা আমদানি-রপ্তানি করবেন না। তবে সরকারিভাবে কোনো আদেশ পাইনি।’
সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার মো. তাসনিমুর রহমান বলেন, ‘সব স্থল ও শুল্কস্টেশনে অফিস খোলা রয়েছে। তবে পণ্য আমদানি-রপ্তানি না হওয়ায় কার্যক্রম হচ্ছে না।’
হিলি ল্যান্ড পোর্ট আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট শহিদুল ইসলাম বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনলাইনে স্লট বুকিং বন্ধ করে দেওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি বন্ধ রয়েছে। যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তার কারণে বন্দর দিয়ে ভবিষ্যতে যাতে আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত না হয়, সেটি উভয় দেশের ব্যবসায়ীদেরই চাওয়া।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, এ ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় আঘাত আসে বাণিজ্যে। বাণিজ্যে বাধা এলে কার লাভ কার ক্ষতি সেটি স্পষ্ট হবে বছর শেষে মূল্যায়নে। কিন্তু বাংলাদেশ যেহেতু আমদানিমুখী, তাই কোনো একটি দেশের ওপর বেশি নির্ভরশীল না হয়ে সময় থাকতেই বিকল্প উৎস খুঁজে দেখতে হবে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী বলেন, গত ৫ আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংগত কারণে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটেছে। কারণ, ভারত সরকার গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট একটি দলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে, একই সঙ্গে স্বার্থসংশ্লিষ্টতার বিষয়গুলোও বোঝাপড়া করেছে। সেখানে এ দেশের জনগণ বা ভিন্ন কোনো মতাদর্শকে তারা গুরুত্ব দেয়নি। এখন যেহেতু সেই দলটি নেই, তাই ভারতও এখন স্বস্তিতে নেই। তারা আবারও চায়, তাদের পছন্দের দলটি বাংলাদেশে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হোক, ক্ষমতায় আসুক। আজকের যে প্রেক্ষাপট উদ্ভূত হয়েছে, চতুর্মুখী এই চাপ তাদের পরিকল্পিত চাওয়ার ফলাফল বলেই মনে হচ্ছে, যার খেসারত বাণিজ্যের ওপরও পড়েছে। এটি কোনোভাবেই শিষ্টাচারমূলক কূটনীতি নয়।

বাংলাদেশে পটপরিবর্তনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে চলছে টানাপোড়েন। চলছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। কিন্তু এর সঙ্গে ধীরে ধীরে জড়িয়ে যাচ্ছে বাণিজ্যিক আদান-প্রদানও। ভারত সরকার সরাসরি কোনো সিদ্ধান্ত না নিলেও দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বাণিজ্যে বাধা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। উগ্রপন্থীরা আবার কোথাও কোথাও বিক্ষোভ করে বন্ধ করে দিচ্ছে স্থলবন্দরের কার্যক্রম। এতে ব্যাহত হচ্ছে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি।
বাণিজ্য বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজনৈতিক বিভেদ বা দূরত্ব থেকে বাণিজ্যকে মুক্ত রাখতে হবে। অনভিপ্রেত ঘটনার প্রভাব যদি আমদানি-রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার মতো পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়, ক্ষতিটা ভারতেরই হবে। কেননা, প্রতিবছর বাংলাদেশ ভারত থেকে ১৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা আমদানি করছে। এর বিঘ্ন ঘটলে ভারত সেই বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হবে।
অন্যদিকে রপ্তানি বন্ধ করলে সাময়িক সময়ের জন্য বাংলাদেশ কিছুটা চাপে পড়লেও আমদানির নতুন বিকল্প উৎস ঠিকই খুঁজে পেয়ে যাবে। তদুপরি অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়িয়েও তা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। অর্থাৎ এতে কার লাভ, কার ক্ষতি, সেটি ভারতকে যেমন বিবেচনা করতে হবে, তেমনি বাংলাদেশকেও আঞ্চলিক বাণিজ্য থেকে সময় ও ব্যয় দুটির সুবিধাই ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
নিউইয়র্কভিত্তিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ট্রেড ইকোনমির তথ্যমতে, ভারত গত বছর বিশ্বে ৩৯.২০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। তার মধ্যে বাংলাদেশেই এককভাবে রপ্তানি করেছে ১১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের (বিএলপিএ) তথ্য অনুসারে, দেশে ২৪টি স্থলবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে বেনাপোল, ভোমরা, বুড়িমারী, তামাবিল, সোনাহাট, আখাউড়া, নাকুগাঁও, বিলোনিয়া, গোবড়াকুড়া-কড়ইতলী, শেওলা, ধানুয়া কামালপুর, সোনামসজিদ, হিলি, বাংলাবান্ধা, বিবিরবাজার ও টেকনাফ চালু রয়েছে। তথ্যমতে, এসব স্থলবন্দর দিয়ে বছরে প্রায় ২ কোটি টন পণ্য আমদানি হয় বাংলাদেশে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে।
এসব স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে প্রধানত যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল, ভোগ্যপণ্য, সুতা, তুলা ও রাসায়নিক পণ্য। এ ছাড়া পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও হলুদের মতো পণ্যও ভারত থেকে আমদানি করা হয়।
স্থলবন্দরের কার্যক্রমে বাধা
ফেনীর বিলোনিয়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর কয়লা-পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। বেনাপোল দিয়ে কমেছে যাত্রী পারাপার। দুই দেশের সীমান্তে চলছে কড়াকড়ি। যে স্থলবন্দরগুলো দিয়ে এখন আমদানি-রপ্তানি চলছে, তা-ও কয়েক দিন আগের তুলনায় অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে বলে বন্দর সূত্রে জানা গেছে। গত সোমবার ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের লোকজনের বাধা ও পণ্য পরিবহন জটিলতায় সিলেটের স্থল ও শুল্কস্টেশন দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোলে গত সোমবার বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে বক্তৃতায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী হুমকি দেন, বাংলাদেশে ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি না দিলে এ মাসে পাঁচ দিন বেনাপোল দিয়ে আলু-পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখবেন। তাতেও কাজ না হলে জানুয়ারি থেকে পুরোপুরি অচল করে দেবেন পেট্রাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি।
সিলেটের বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ ইমরান মাতব্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুনেছি, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট/কাস্টমসকে জানিয়েছেন, তাঁরা আমদানি-রপ্তানি করবেন না। তবে সরকারিভাবে কোনো আদেশ পাইনি।’
সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার মো. তাসনিমুর রহমান বলেন, ‘সব স্থল ও শুল্কস্টেশনে অফিস খোলা রয়েছে। তবে পণ্য আমদানি-রপ্তানি না হওয়ায় কার্যক্রম হচ্ছে না।’
হিলি ল্যান্ড পোর্ট আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট শহিদুল ইসলাম বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনলাইনে স্লট বুকিং বন্ধ করে দেওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি বন্ধ রয়েছে। যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তার কারণে বন্দর দিয়ে ভবিষ্যতে যাতে আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত না হয়, সেটি উভয় দেশের ব্যবসায়ীদেরই চাওয়া।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, এ ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় আঘাত আসে বাণিজ্যে। বাণিজ্যে বাধা এলে কার লাভ কার ক্ষতি সেটি স্পষ্ট হবে বছর শেষে মূল্যায়নে। কিন্তু বাংলাদেশ যেহেতু আমদানিমুখী, তাই কোনো একটি দেশের ওপর বেশি নির্ভরশীল না হয়ে সময় থাকতেই বিকল্প উৎস খুঁজে দেখতে হবে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী বলেন, গত ৫ আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংগত কারণে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটেছে। কারণ, ভারত সরকার গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট একটি দলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে, একই সঙ্গে স্বার্থসংশ্লিষ্টতার বিষয়গুলোও বোঝাপড়া করেছে। সেখানে এ দেশের জনগণ বা ভিন্ন কোনো মতাদর্শকে তারা গুরুত্ব দেয়নি। এখন যেহেতু সেই দলটি নেই, তাই ভারতও এখন স্বস্তিতে নেই। তারা আবারও চায়, তাদের পছন্দের দলটি বাংলাদেশে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হোক, ক্ষমতায় আসুক। আজকের যে প্রেক্ষাপট উদ্ভূত হয়েছে, চতুর্মুখী এই চাপ তাদের পরিকল্পিত চাওয়ার ফলাফল বলেই মনে হচ্ছে, যার খেসারত বাণিজ্যের ওপরও পড়েছে। এটি কোনোভাবেই শিষ্টাচারমূলক কূটনীতি নয়।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
১ ঘণ্টা আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
৩ ঘণ্টা আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ রোববার সকালে প্রণয় ভার্মাকে তলব করে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত উসকানিমূলক বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্বেগের বিষয়টিও জানিয়ে দেওয়া হয়।
গত শুক্রবার ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের সমর্থক ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তিনি এখনো সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ওসমান হাদিকে গুলিবর্ষণকারী ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রতিরোধে ভারতের সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে। তাঁরা যদি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে সক্ষমও হন, তবে তাঁদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে গত ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর তাঁকে ফেরত দিতে নয়াদিল্লিকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। তবে তাতে দিল্লির কোনো সাড়া মেলেনি। তা ছাড়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি বন্ধ করার আহ্বানে সাড়া দেয়নি ভারত।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরও শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি অব্যাহত রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে আবার ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করা হলো। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তাঁকে ডেকে নিয়ে সরকারের পক্ষে উদ্বেগ তুলে ধরেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
ভারতের হাইকমিশনারকে বলা হয়, পলাতক শেখ হাসিনাকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে তিনি তাঁর সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসন্ন নির্বাচন বানচালে প্ররোচিত করছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা–কর্মীরা ভারতে বসে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন বানচালে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও প্রণয় ভার্মাকে জানানো হয়। এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও জানানো হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত শেখ হাসিনা,ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও আবার জানানো হয় ভারতের হাইকমিশনারকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে ভারত সরকার। ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এমন প্রত্যাশা ভারতের রয়েছে এবং এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে তাঁর দেশ প্রস্তুত।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ রোববার সকালে প্রণয় ভার্মাকে তলব করে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত উসকানিমূলক বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্বেগের বিষয়টিও জানিয়ে দেওয়া হয়।
গত শুক্রবার ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের সমর্থক ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তিনি এখনো সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ওসমান হাদিকে গুলিবর্ষণকারী ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রতিরোধে ভারতের সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে। তাঁরা যদি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে সক্ষমও হন, তবে তাঁদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে গত ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর তাঁকে ফেরত দিতে নয়াদিল্লিকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। তবে তাতে দিল্লির কোনো সাড়া মেলেনি। তা ছাড়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি বন্ধ করার আহ্বানে সাড়া দেয়নি ভারত।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরও শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি অব্যাহত রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে আবার ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করা হলো। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তাঁকে ডেকে নিয়ে সরকারের পক্ষে উদ্বেগ তুলে ধরেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
ভারতের হাইকমিশনারকে বলা হয়, পলাতক শেখ হাসিনাকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে তিনি তাঁর সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসন্ন নির্বাচন বানচালে প্ররোচিত করছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা–কর্মীরা ভারতে বসে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন বানচালে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও প্রণয় ভার্মাকে জানানো হয়। এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও জানানো হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত শেখ হাসিনা,ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও আবার জানানো হয় ভারতের হাইকমিশনারকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে ভারত সরকার। ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এমন প্রত্যাশা ভারতের রয়েছে এবং এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে তাঁর দেশ প্রস্তুত।

বাংলাদেশে পটপরিবর্তনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে চলছে টানাপোড়েন। চলছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। কিন্তু এর সঙ্গে ধীরে ধীরে জড়িয়ে যাচ্ছে বাণিজ্যিক আদান-প্রদানও। ভারত সরকার সরাসরি কোনো সিদ্ধান্ত না নিলেও দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বাণিজ্যে বাধা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
৩ ঘণ্টা আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের এসব ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের এসব ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

বাংলাদেশে পটপরিবর্তনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে চলছে টানাপোড়েন। চলছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। কিন্তু এর সঙ্গে ধীরে ধীরে জড়িয়ে যাচ্ছে বাণিজ্যিক আদান-প্রদানও। ভারত সরকার সরাসরি কোনো সিদ্ধান্ত না নিলেও দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বাণিজ্যে বাধা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
১ ঘণ্টা আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২১ ডিসেম্বর।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
মামলার ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ১০ সেনা কর্মকর্তা।
তাঁরা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।
আসামিদের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষা-বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন পলাতক রয়েছেন।
র্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।
পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জন ব্যক্তিকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২১ ডিসেম্বর।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
মামলার ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ১০ সেনা কর্মকর্তা।
তাঁরা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।
আসামিদের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষা-বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন পলাতক রয়েছেন।
র্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।
পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জন ব্যক্তিকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

বাংলাদেশে পটপরিবর্তনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে চলছে টানাপোড়েন। চলছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। কিন্তু এর সঙ্গে ধীরে ধীরে জড়িয়ে যাচ্ছে বাণিজ্যিক আদান-প্রদানও। ভারত সরকার সরাসরি কোনো সিদ্ধান্ত না নিলেও দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বাণিজ্যে বাধা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
১ ঘণ্টা আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
৩ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
গত শুক্রবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
গত শুক্রবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

বাংলাদেশে পটপরিবর্তনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে চলছে টানাপোড়েন। চলছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। কিন্তু এর সঙ্গে ধীরে ধীরে জড়িয়ে যাচ্ছে বাণিজ্যিক আদান-প্রদানও। ভারত সরকার সরাসরি কোনো সিদ্ধান্ত না নিলেও দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বাণিজ্যে বাধা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
১ ঘণ্টা আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
৩ ঘণ্টা আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগে