নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের মানুষ পাশে থাকাই বিশ্ব ব্যাংক ও উন্নয়ন সহযোগীরা অর্থায়ন বন্ধ করার পরেও সরকার পদ্মাসেতু নির্মাণ করতে পেরেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমার সব থেকে বড় শক্তি হচ্ছে দেশের মানুষ। তাদের সাহস, সহযোগিতা ও পাশে থাকায় নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি।’
আজ সোমবার বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। দেশের ৪১ ব্যাংক, একটি বিশেষায়িত ব্যাংক ও ৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ৩০৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা অনুদান দেয়।
বিশ্বব্যাংক ও উন্নয়ন সহযোগীরা পদ্মাসেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করে দেওয়া পরে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু করার ঘোষণা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তখন আপনারা (ব্যবসায়ী) অনেকেই আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমাকে সাধারণের সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। পাশাপাশি দেশবাসী আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।’
পদ্মাসেতুর কারণে দক্ষিণাঞ্চলে শিল্পায়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের আর্থিক উন্নয়ন হবে। সেখানেও আপনাদের উৎপাদিত করার পণ্য বাজারজাত করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমি মনে করি ২১টি জেলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়ে যাবে।’
রেল, নৌপথ ও সড়ক পথে যোগাযোগ নিরবচ্ছিন্ন করতে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, যোগাযোগ আমাদের উন্নয়নে, শিল্পায়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যকে গতিশীল করতে সুযোগ সৃষ্টি হয়।
সরকারের প্রচেষ্টা দেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যাতে বিজয়ী জাতি হিসাবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে সম্মানের সঙ্গে চলতে পারে।
১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, যত্রতত্র শিল্প না, আমরা পরিবেশ-প্রতিবেশের দিকে দৃষ্টি রেখে সব রকমের সুযোগ রেখে একটি শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলব।
কৃষি প্রধান বাংলাদেশে জমি সীমিত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নও করতে হবে, পাশাপাশি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তাও দিতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষি উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয়, কৃষি জমি রক্ষার লক্ষ্য রেখে শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলছি।
খাদ্য নিরাপত্তা, শতভাগ বিদ্যুতায়নের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, একসময় বলা হতো বাংলাদেশে গ্যাস বাড়ছে। প্রকৃতপক্ষে তা নেই, তারপরও আমরা আমাদের অনুসন্ধান কাজ চলছে। এলএনজি আমদানি করে শিল্প কারখানা চলতে পারে সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।
করোনাভাইরাসের ক্ষতির কাটিয়ে ওঠার চেষ্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘সেই সঙ্গে বন্যা। সমস্যা আসবেই, সেটা মোকাবিলা করে আমাদের চলতে হবে।’
মানুষের জীবনযাত্রা যাতে ব্যাহত না হয়, সেদিকে সরকার খেয়াল রাখে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতি তার আপন খেয়ালে চলে। এতে মানুষের কোন হাত থাকে না। সিলেট বিভাগে পর পর তিনবার বন্যা হয়। হাওর অঞ্চলে আমাদের কিছু ফসলও নষ্ট হয়েছে। পানিটা নেমে আসার সময় নেত্রকোনা থেকে শুরু করে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, জামালপুরসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি কম হওয়ার এখন মানুষের দুর্ভোগ কম। কিন্তু মানুষের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।
ত্রাণ তহবিলে অনুদান দেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, কোন দুর্যোগ-দুর্বিপাক হলেই আপনারা নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসেন এবং আর্তমানবতার সেবায় পদক্ষেপ নেন এবং তাদের জন্য কিছু করেন। এটা বিরাট মানবিক গুণ।
উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি বহুমুখী করতে হবে। নতুন নতুন পণ্য আমাদের রপ্তানির ব্যবস্থা করতে করতে হবে। সেখানে কৃষি পণ্যকে গুরুত্ব দিতে পারি। নতুন নতুন জায়গা খুঁজে বের করা, কোন দেশের কৃষির চাহিদা বেশি, সেটার কোন আমরা উৎপাদন করে রপ্তানি করতে পারি। সেটারও যেমন ব্যবস্থা নেব। সে সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দেব যাতে নিজস্ব বাজার গড়ে উঠে।
সরকার তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পায় সেই দিকে খেয়াল রেখে সরকার নীতিমালা করে বেলে জানান সরকার প্রধান।
করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় সবাইকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের মানুষ পাশে থাকাই বিশ্ব ব্যাংক ও উন্নয়ন সহযোগীরা অর্থায়ন বন্ধ করার পরেও সরকার পদ্মাসেতু নির্মাণ করতে পেরেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমার সব থেকে বড় শক্তি হচ্ছে দেশের মানুষ। তাদের সাহস, সহযোগিতা ও পাশে থাকায় নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি।’
আজ সোমবার বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। দেশের ৪১ ব্যাংক, একটি বিশেষায়িত ব্যাংক ও ৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ৩০৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা অনুদান দেয়।
বিশ্বব্যাংক ও উন্নয়ন সহযোগীরা পদ্মাসেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করে দেওয়া পরে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু করার ঘোষণা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তখন আপনারা (ব্যবসায়ী) অনেকেই আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমাকে সাধারণের সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। পাশাপাশি দেশবাসী আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।’
পদ্মাসেতুর কারণে দক্ষিণাঞ্চলে শিল্পায়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের আর্থিক উন্নয়ন হবে। সেখানেও আপনাদের উৎপাদিত করার পণ্য বাজারজাত করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমি মনে করি ২১টি জেলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়ে যাবে।’
রেল, নৌপথ ও সড়ক পথে যোগাযোগ নিরবচ্ছিন্ন করতে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, যোগাযোগ আমাদের উন্নয়নে, শিল্পায়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যকে গতিশীল করতে সুযোগ সৃষ্টি হয়।
সরকারের প্রচেষ্টা দেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যাতে বিজয়ী জাতি হিসাবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে সম্মানের সঙ্গে চলতে পারে।
১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, যত্রতত্র শিল্প না, আমরা পরিবেশ-প্রতিবেশের দিকে দৃষ্টি রেখে সব রকমের সুযোগ রেখে একটি শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলব।
কৃষি প্রধান বাংলাদেশে জমি সীমিত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নও করতে হবে, পাশাপাশি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তাও দিতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষি উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয়, কৃষি জমি রক্ষার লক্ষ্য রেখে শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলছি।
খাদ্য নিরাপত্তা, শতভাগ বিদ্যুতায়নের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, একসময় বলা হতো বাংলাদেশে গ্যাস বাড়ছে। প্রকৃতপক্ষে তা নেই, তারপরও আমরা আমাদের অনুসন্ধান কাজ চলছে। এলএনজি আমদানি করে শিল্প কারখানা চলতে পারে সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।
করোনাভাইরাসের ক্ষতির কাটিয়ে ওঠার চেষ্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘সেই সঙ্গে বন্যা। সমস্যা আসবেই, সেটা মোকাবিলা করে আমাদের চলতে হবে।’
মানুষের জীবনযাত্রা যাতে ব্যাহত না হয়, সেদিকে সরকার খেয়াল রাখে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতি তার আপন খেয়ালে চলে। এতে মানুষের কোন হাত থাকে না। সিলেট বিভাগে পর পর তিনবার বন্যা হয়। হাওর অঞ্চলে আমাদের কিছু ফসলও নষ্ট হয়েছে। পানিটা নেমে আসার সময় নেত্রকোনা থেকে শুরু করে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, জামালপুরসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি কম হওয়ার এখন মানুষের দুর্ভোগ কম। কিন্তু মানুষের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।
ত্রাণ তহবিলে অনুদান দেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, কোন দুর্যোগ-দুর্বিপাক হলেই আপনারা নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসেন এবং আর্তমানবতার সেবায় পদক্ষেপ নেন এবং তাদের জন্য কিছু করেন। এটা বিরাট মানবিক গুণ।
উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি বহুমুখী করতে হবে। নতুন নতুন পণ্য আমাদের রপ্তানির ব্যবস্থা করতে করতে হবে। সেখানে কৃষি পণ্যকে গুরুত্ব দিতে পারি। নতুন নতুন জায়গা খুঁজে বের করা, কোন দেশের কৃষির চাহিদা বেশি, সেটার কোন আমরা উৎপাদন করে রপ্তানি করতে পারি। সেটারও যেমন ব্যবস্থা নেব। সে সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দেব যাতে নিজস্ব বাজার গড়ে উঠে।
সরকার তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পায় সেই দিকে খেয়াল রেখে সরকার নীতিমালা করে বেলে জানান সরকার প্রধান।
করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় সবাইকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ভবন নির্মাণে অনিয়ম পেয়েছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর। ১৬০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে এসব ভবন নির্মাণে কোনো প্রকল্প করা হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্রও নেওয়া হয়নি। খরচ করা হয়েছে কর্তৃপক্ষের ‘ইচ্ছেমতো’। নিরীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, সব মিলিয়ে দুই অর্থবছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০টি অনিয়মে
৩ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারকে আর্থিক সুবিধা প্রদান এবং আহত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে অন্তর্বর্তী সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলোকে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনতে অধ্যাদেশ হচ্ছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তরকে এই আইনের আওতায় আনা হবে। এই অধিদপ্তরের মাধ্যমেই শহীদদের পরিবারকে
৩ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারের সামরিক জান্তা দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি-নিয়ন্ত্রিত রাখাইনে বাংলাদেশ হয়ে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর কোনো ধরনের ব্যবস্থা চায় না। আবার অন্তর্বর্তী সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আগামী সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে যে আন্তর্জাতিক সম্মেলন করতে চায়, তাতেও জান্তার আপত্তি আছে।
৩ ঘণ্টা আগেহেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা ২০৩টি মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, আগামী তিন মাসের মধ্যে এসব মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য থানাগুলোতে তদন্ত শুরু হয়েছে, দেওয়া হবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন। যেসব মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়া হয়ে
৪ ঘণ্টা আগে