Ajker Patrika

অভ্যুত্থানের শক্তি অটুট রাখার তাগিদ ড. ইউনূসের

  • সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু, তৃতীয় অধ্যায়ের চিন্তা নেই: ড. ইউনূস
  • দ্রুত সংস্কার, দ্রুত ভোট দাবি বিএনপির
  • ইতিবাচক সিদ্ধান্তে সমর্থন জানাবে জামায়াত
  • টেস্ট ম্যাচের মাধ্যমে যেতে হবে: নাগরিক কমিটি
আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯: ১৩
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে। ছবি: পিআইডি
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে। ছবি: পিআইডি

অন্তর্বর্তী সরকার দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করেছে—এ মন্তব্য করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সবাইকে শক্ত থাকতে হবে, মজবুত থাকতে হবে। আমরা যেগুলো আলাপ করছি, সেগুলোতে মতভেদ থাকবে; কিন্তু এর অর্থ এই নয়, আমরা একত্র নই। আমরা একত্রে থাকব।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন ও সংস্কারসহ নানা বিষয়ে মতের ভিন্নতা থাকলেও বৃহত্তর স্বার্থে অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ রাখার তাগিদ এসেছে এ বৈঠকে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এলডিপি, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এবি পার্টি, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিশ, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদসহ ২৭টি দল ও জোটের ১০০ জনের মতো নেতা অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে ৩২ জন বৈঠকে কথা বলেন।

এই বৈঠকে জাতীয় নাগরিক কমিটিও অংশ নেয়। আওয়ামী লীগের জোটে থাকা কোনো দল ও জাতীয় পার্টিকে এ বৈঠকে ডাকা হয়নি।

১২ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করা হয়। গতকাল শনিবারের বৈঠকের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করল এই কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজ, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফররাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান অংশ নেন।

বৈঠক শেষে আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রক্রিয়া কী হবে, সে বিষয়ে আলোচনা করাই ছিল এ বৈঠকের উদ্দেশ্য। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের বক্তব্যে যেটি স্পষ্ট হয়েছে সেটা হলো, তারা মনে করে জাতীয় ঐক্য রক্ষার কোনো বিকল্প নেই। সংস্কারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তাঁরা দৃঢ়তা প্রকাশ করবে।

আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘আমরা আলাদাভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলব, জোটগতভাবেও কথা বলব এবং একপর্যায়ে হয়তো সবাইকে একত্র করে আমরা আবার ফিরে আসব। এ প্রক্রিয়াটা আমরা দীর্ঘ করতে চাই না, কিছুদিনের মধ্যেই এটি করতে পারব বলে আশা করছি।’

বৈঠক শেষে জানানো হয়, ৬টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন সব রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠাবে সরকার। সেগুলো পড়ে রাজনৈতিক দলগুলো কোন কোন প্রস্তাবে রাজি; কিংবা রাজি নয়—সেটা লিখিত আকারে জানাবে। এসব বক্তব্য ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করবে সরকার।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: বিএনপির মিডিয়া সেল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: বিএনপির মিডিয়া সেল

সংস্কার দলগুলোর চাওয়া মতো

অন্তর্বর্তী সরকারের ৬ মাসে প্রথম ইনিংস বা প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে বলে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘আজ রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো। যেভাবে আমরা প্রথম অধ্যয় শেষ করলাম, দ্বিতীয় অধ্যায়ে আমরা যদি সেটা ঠিক রাখতে পারি, তৃতীয় অধ্যায়ের জন্য আমাদের কোনো চিন্তা নেই। প্রথম অধ্যায়ে যেসব শক্তি আমাদের ব্যাহত করার চেষ্টা করেছে, আমাদের ভণ্ডুল করার চেষ্টা করেছে, তাদেরকেও সুন্দরভাবে, সবাই মিলে মোকাবিলা করতে পেরেছি।’

ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘প্রচণ্ড সুযোগ। সুযোগ এজন্যই যে, আমরা এমন পর্যায়ে আছি এখন, আমাদের মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টি হলে আমরা সেগুলো কাজে লাগাতে পারি। এবার কাজে লাগালে সেটা বংশ, প্রজন্মপরম্পরায় চলতে থাকবে। একটা সুন্দর দেশ আমরা পাব। এ ভাবনা থেকেই আমরা এগুলো গ্রহণ করব।’

আলোচনা কত সুন্দর হবে, কত মসৃণ হবে—সেটা রাজনৈতিক নেতাদের ওপর নির্ভর করবে মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘চাপিয়ে দেওয়ার জন্য নয়, আমরা শুধু আপনাদের বোঝানোর জন্য। আপনাদের সহযোগিতা চাই। কারণ এটা আপনাদের কাজ। এটা আমার কাজ নয়, একার কাজ নয়। যেহেতু আপনারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন, আপনাদের বলতে সমাজের কল্যাণে কোন কোন জিনিস করতে হবে, কীভাবে করতে হবে।’

সংস্কারের বিষয়ে দলগুলোর উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, ‘যেটা এক্ষুনি করা যাবে বলবেন, এটা এক্ষুনি করা দরকার। সামান্য রদবদল থাকলে বলবেন, সামান্য রদবদল করে দেন। সেটা আপনাদের ইচ্ছা। আমরা শুধু সাচিবিক কাজগুলো আপনাদের করে দিলাম।’

দ্রুত সংস্কার, দ্রুত ভোট দাবি বিএনপির

বেলা ৩টার সামান্য পর বৈঠক শুরু হলেও এর আগে থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আসতে শুরু করেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমদ বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা খুব পরিষ্কারভাবে বলেছি, জাতীয় নির্বাচন আগে হতে হবে, তারপর স্থানীয় সরকার নির্বাচন।’

বৈঠকের আলোচনা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেছেন। সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনগুলো নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটা ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে, সেটাই মূলকথা। সেখানে আজকে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন কথা বলেছে। আমরা আশা করব, খুব দ্রুত সংস্কারের ন্যূনতম যে ঐকমত্য তৈরি হবে, সেটার ওপর ভিত্তি করে অতিদ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

ইতিবাচক সিদ্ধান্তে সমর্থন জানাবে জামায়াতে ইসলামী

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নেয়। এই দলের অন্য সদস্যরা হলেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মশিউল আলম।

বৈঠক শেষে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘আমরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছি এবং সব ইতিবাচক সিদ্ধান্তে জামায়াতে ইসলামী সমর্থন জানাবে। আমরা বলেছি, এই সংস্কার কমিশন সিদ্ধান্তে পৌঁছার পর যথাসম্ভব দ্রুত যাতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সেই প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য। এরপর পৃথক বৈঠক হবে, মতবিনিময় হবে। সেখানেই আমাদের মূল সিদ্ধান্ত এবং আলোচনা জানাব।’

জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি যে সংস্কার প্রয়োজন, সে সংস্কারে যদি আমরা ঐকমত্য হই, যথাশিগগির সম্ভব নির্বাচন হবে। প্রধান উপদেষ্টা তো বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁরা নির্বাচন করবেন। আমরা সেটা দেখছি।’

কোন নির্বাচন আগে, নেতারা যা বললেন

বৈঠক শেষে জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, স্থানীয় নির্বাচন দিলে সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়ন পরিষদে মারামারির একটা সম্ভাবনা আছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অনেক বেশি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এই সন্ত্রাস কোনোভাবে যাতে না হয়। পরিবেশ যেন স্থিতিশীল থাকে।

বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়, তাহলে মানুষের অগ্রাধিকার বদলে যাবে। তাতে অনেক নতুন নতুন সমস্যার সৃষ্টি হবে।

আবার বিরাজমান পরিস্থিতিতে যেকোনো নির্বাচন অনুষ্ঠানেরই বিপক্ষে মত দিয়েছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আছে ঠিকই, কিন্তু তাঁদের কর্তৃত্ব এখনো সুস্পষ্ট হয়নি। এমন অবস্থায় যেকোনো নির্বাচন আমাদের জন্য হবে বিপজ্জনক। সরকার কর্তৃত্ব নিশ্চিত না করে যদি নির্বাচনের দিকে যায়, তাহলে ওই নির্বাচন হতে পারে অত্যন্ত খারাপ।

টেস্ট ম্যাচের মাধ্যমে যেতে হবে

বৈঠকে বৈষম্য বিলোপ কমিশনের প্রস্তাব দিয়েছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। এ কথা জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, অনেক কমিশন হলেও বৈষম্য বিলোপের ব্যাপারে কোনো কমিশন হয়নি। দুর্বৃত্তের রাজনীতি এবং অর্থনীতি যদি বহাল থাকে, তাহলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই নাও হতে পারে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘আমরা বলেছি টেস্ট ম্যাচের মাধ্যমে যেতে হবে, যেখানে ধৈর্য ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশের ৫৩ বছরের অসমাপ্ত যে কাজগুলো রয়েছে, সেগুলো সংস্কার কমিশনের মাধ্যমে সমাপ্ত করতে হবে।’

আওয়ামী লীগের বিচার চেয়েছে নাগরিক কমিটি। গণপরিষদ ও জাতীয় নির্বাচন এবং সংস্কার একসঙ্গে চলতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা। নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তির লড়াই, এ দেশের ভবিষ্যৎ একমাত্র গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধানে হবে।’

নতুন দলের বিষয়ে নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘নতুন রাজনৈতিক লাইন কী হবে, তা সবার সামনে ব্যক্ত করেছি। আমাদের লাইন হবে নতুন সংবিধান তৈরির লড়াই।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-নাগরিক সিদ্ধান্ত দিয়েছে বাংলাদেশের পরবর্তী রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ অপ্রাসঙ্গিক। আমরা আজকে সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্য হয়েছি, বাংলাদেশের আগামীর রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ অপ্রাসঙ্গিক।

হাসনাত আরও বলেন, ‘আমরা সরকারকে আইনি উদ্যোগ নিয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে এবং পরবর্তী কোনো প্রক্রিয়ায় তারা যেন ফাংশন না করে, সেটা বলেছি। প্রথম ধাপ হিসেবে তাদের নিবন্ধন বাতিলের দাবি করেছি। এটা হবে প্রাতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত।’

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা আমাদের জায়গা থেকে কিছু জিনিস খুব স্পষ্ট জানিয়েছি এবং এটা পুরো বাংলাদেশের জন্যই। ছাত্রদের নেতৃত্বে এই যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান হয়েছে, তরুণ প্রজন্ম তাঁদের জায়গা থেকে নেতৃত্ব দিয়ে একটা দায়িত্ব সম্পন্ন করেছে, এখন আমাদের রাজনৈতিক দলের অগ্রজ যাঁরা রয়েছেন, এখন তাঁদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো সবাইকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে বহুত্ববাদের সুপারিশের সমালোচনা করেছে কয়েকটি ইসলামপন্থী দল। তাদের দাবি, বহুত্ববাদ চলবে না। এ বিষয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘গণতন্ত্রের বহুত্ববাদ আল্লাহর একাত্মবাদকে অস্বীকার করা নয়। বহুত্ববাদ বলতে বহুমতের প্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে। আমরা বলেছি, গণতন্ত্রে বহুমত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে।’

জুলাই চার্টারের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচন

বৈঠকের আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন কবে হবে, তা জুলাই চার্টারের ওপর নির্ভর করবে। ৬ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে যে সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে, আমাদের আশা থাকবে, সব রাজনৈতিক দল এটাতে স্বাক্ষর করবে। সেটা হবে জুলাই চার্টার।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নিখোঁজের দুই দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা উদ্ধার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইম রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইম রহমান। ছবি: সংগৃহীত

নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইম রহমানকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে তাঁকে মাদারীপুর থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করা হয়েছিল।

মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তার অবস্থান শনাক্ত করা গেছে। মাদারীপুরে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেখান থেকে ঢাকায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।

এর আগে গত রোববার সকালে মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন নাইম রহমান। তিনি পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর মিরপুরের উত্তর পীরেরবাগ এলাকায় থাকেন। নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর বাবা সাজ্জাদ রহমান জলি থানায় জিডি করেন।

জিডিতে সাজ্জাদ রহমান উল্লেখ করেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে ছেলে বাসা থেকে মতিঝিল শাখায় যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। কিন্তু অফিস শেষে আর বাসায় ফেরেননি। ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন তিনি অফিসে উপস্থিত হন। তবে দুপুর ১২টার পর নিজের ব্যাগ ও অফিসের পরিচয়পত্র কর্মস্থলে রেখে কোথাও বের হন এবং আর ফিরে আসেননি।

উদ্ধারের আগে তাঁর সর্বশেষ অবস্থান শনাক্ত হয় সায়েদাবাদ এলাকায়। সেদিন দুপুর ১২টা ৫৩ মিনিটে তিনি নিজের ব্যাচের এক সহকর্মীকে বার্তা পাঠান। সেই বার্তায় মানসিক অস্থিরতা বা হতাশার আভাস পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা। ঘটনার রহস্য ও নিখোঁজের কারণ নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দিল্লি বিস্ফোরণে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের সংবাদ উড়িয়ে দিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গাড়িবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে, সেগুলো ‘বিশ্বাসের কোনো কারণ’ নেই বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যাই কিছু ঘটুক না কেন, (ভারতীয়) মিডিয়া আমাদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করবেই। কিন্তু কোনো কারণ নাই এটা বিশ্বাস করার, কোনো সেন্সিবল লোক তো এটা বিশ্বাস করবে না। কাজেই এটা নিয়ে আমরা বদার্ড না।’

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৩ জন নিহত হন। ভারতীয় সরকার একে ‘নাশকতা’ বললেও কে বা কারা এর জন্য দায়ী, তা নিশ্চিত করেনি। এবিষয়ে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) ঘটনার তদন্ত করছে। এখন পর্যন্ত হামলার দায়ও কেউ স্বীকার করেনি।

তবে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই তৈয়বাকে দায়ী করা হচ্ছে এই হামলার জন্য। সেই সঙ্গে দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে এই গোষ্ঠী ভারতে হামলা চালাচ্ছে।

জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেল চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের জাতিসংঘে চিঠি পাঠানোর বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যে কেউ জাতিসংঘে যেকোনো কিছু নিয়ে আবেদন করতে পারে। ‘জাতিসংঘ যদি বাংলাদেশকে কিছু বলে, তখন আমরা দেখব। জাতিসংঘ আমাদের কিছু বলেনি।’

মার্কিন সিনেটে কণ্ঠভোটে পাস হওয়া ‘থিঙ্ক টোয়াইস অ্যাক্ট’ নিয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ভারসাম্যের নীতি বজায় রেখেছে এবং রাখবে। চীন থেকে অস্ত্র কিনলে নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে, এমন সম্ভাবনা নেই।

বিশ্বব্যাপী প্রতিরক্ষা খাতে চীনের আধিপত্য রোধ করতে থিঙ্ক টোয়াইস অ্যাক্ট-২০২৫ নামে নতুন একটি আইন করছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বলা হয়েছে, কোনো দেশ চীন থেকে সমরাস্ত্র কিনলে ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞাসহ অর্থনৈতিক বিধিনিষেধে পড়তে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনসিসি সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বাসস, ঢাকা  
যমুনায় ‘বিএনসিসির মাধ্যমে জাতীয় রূপান্তর’ শীর্ষক উপস্থাপনার পরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কথা বলেন। ছবি : সিএ প্রেস উইং
যমুনায় ‘বিএনসিসির মাধ্যমে জাতীয় রূপান্তর’ শীর্ষক উপস্থাপনার পরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কথা বলেন। ছবি : সিএ প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশের তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও জাতীয় উন্নয়নে সম্পৃক্ত করার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) কার্যক্রমের গুণগত মান ও অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘বিএনসিসির মাধ্যমে জাতীয় রূপান্তর’ শীর্ষক উপস্থাপনার পরে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। উপস্থাপনাটি পেশ করেন বিএনসিসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সঈদ আল মসউদ।

সভায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সঈদ আল মসউদ বিএনসিসির বর্তমান কাঠামো, তরুণ কর্মশক্তি উন্নয়ন কাঠামো, জাতীয় যুব কর্মপরিকল্পনা, জনবল নিয়োগ, বাজেট, চ্যালেঞ্জ এবং সুপারিশের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।

তিনি জানান, বর্তমানে বিএনসিসির আওতায় ৫৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং সারা দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এর শাখা স্থাপনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আল মসউদ বলেন, ‘বিএনসিসিতে যোগদানের বয়সসীমা ১৭ থেকে ১৮ বছর। ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ লাখ দক্ষ ক্যাডেট প্রশিক্ষণ দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিএনসিসির দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে বলেন, গুণগত প্রশিক্ষণ ও ভবিষ্যতমুখী দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই বিএনসিসির পক্ষে, কিন্তু আমাদের নজর দিতে হবে গুণগত মানে—বিশ্বাসযোগ্য ও যোগ্য প্রশিক্ষক থাকতে হবে। এ বিষয়ে আমাদের মনোযোগী হতে হবে এবং ভবিষ্যতমুখী ভাবনা নিতে হবে।’

অধ্যাপক ইউনুস আত্মমর্যাদা, শৃঙ্খলা ও অন্তর্ভুক্তিকে বিএনসিসির মূল মূল্যবোধ হিসেবে গুরুত্ব দেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনসিসি মানে আত্মমর্যাদা ও শৃঙ্খলা। ক্যাডেটদের জন্য এমন একটি সনদপ্রদান ব্যবস্থা থাকতে হবে, যা তাদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানে সহায়ক হবে। পাশাপাশি, তাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগও তৈরি করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনসিসি শুধু ছেলেদের জন্য নয়; মেয়েদের সমান অংশগ্রহণও নিশ্চিত করতে হবে।’

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনসিসিকে আরও কার্যকর ও কর্মমুখী করে তুলতে হবে। ‘কোন পরিস্থিতিতে আমরা এই স্বেচ্ছাসেবকদের কাজে লাগাতে পারি, তা বিবেচনা করতে হবে।’ 

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান সাম্প্রতিক জাতীয় ঘটনাগুলোতে বিএনসিসির ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘যোগ্য প্রশিক্ষক নিয়োগকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিএনসিসি ক্যাডেটরা রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেছিল—এটি ছিল অত্যন্ত সুন্দর ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ।’

প্রধান উপদেষ্টা বিএনসিসি নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সরকার নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও নাগরিক দায়িত্ববোধের মাধ্যমে তরুণদের উন্নয়নকে জাতীয় রূপান্তরের মূলধারায় একীভূত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাইকোর্টে স্থায়ী নিয়োগ পেলেন ২২ বিচারপতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৪
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

হাইকোর্ট বিভাগে ২২ জন বিচারপতিকে স্থায়ী নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় থেকে ২২ জনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে হাইকোর্ট বিভাগের ২২ জন অতিরিক্ত বিচারককে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথ নেওয়ার তারিখ হতে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন বলেন, আগামীকাল বুধবার বেলা দেড়টার দিকে ২২ বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি শপথ পড়াবেন।

২২ বিচারপতি হলেন—

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার, বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন, বিচারপতি মো. মনসুর আলম, বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুর, বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, বিচারপতি মো. যাবিদ হোসেন, বিচারপতি মুবিনা আসাফ, বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকা, বিচারপতি মো. আবদুল মান্নান, বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদী, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ, বিচারপতি মো. হামিদুর রহমান, বিচারপতি নাসরিন আক্তার, বিচারপতি সাথীকা হোসেন, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, বিচারপতি মো. তৌফিক ইনাম, বিচারপতি ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, বিচারপতি শেখ তাহসিন আলী, বিচারপতি ফয়েজ আহমেদ, বিচারপতি মো. সগীর হোসেন ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৮ অক্টোবর ২৩ জনকে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ২৩ জনের মধ্যে বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী ছিলেন। তাঁর বয়স এখনো ৪৫ বছর পূর্ণ না হওয়ায় তাঁকে এবার স্থায়ী করা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত