সংস্কার কমিশনের সুপারিশ
অনলাইন ডেস্ক
সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন এই মুহূর্তে একসঙ্গে করা সম্ভব বলে মনে করছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। আগামী জুনের মধ্যেই ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদের ভোট শেষ করা যেতে পারে বলে নিজেদের সুপারিশে জানিয়েছে কমিশন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক-প্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদকে প্রধান করে গত ১৮ নভেম্বর ৮ সদস্যের স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশন তাদের প্রাথমিক সুপারিশসম্বলিত প্রতিবেদন গত বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় গতকাল শনিবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
কমিশনের প্রাথমিক সুপারিশে বলা হয়, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে কার্যত কোনো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নেই। এ মুহূর্তে সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব। বর্তমানে নতুন একটি স্বচ্ছ ক্যানভাসে নতুন ছবি আঁকা সম্ভব। নতুবা নির্বাচনের আগে অনেক প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আইনি জটিলতার উদ্ভব হতে পারে।’
বর্তমানে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংসদীয় পদ্ধতি চালু করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করে কমিশন। এ বিষয়ে তাদের সুপারিশে বলা হয়, ‘স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংসদীয় পদ্ধতি চালু করার আলোচনা দীর্ঘদিন ধরে জনপরিসরে থাকলেও কোনো সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। এখন সে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’
আগামী মার্চ অথবা এপ্রিলের মধ্যে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে পাঁচ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জন্য দুটি একীভূত স্থানীয় সরকার আইন প্রণয়ন করেছে সংস্কার কমিশন। তারা বলেছে, আগামী জুনের মধ্যে সমতল ও পাহাড়ের সব ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যেতে পারে। প্রস্তাবিত ‘স্থানীয় সরকার কমিশন’ এ বিষয়ে বিস্তারিত কাজ এপ্রিলের আগে শেষ করতে পারে। তবে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো এবং নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হলেই তা সম্ভবপর হবে।
পাহাড়ে নির্বাচনের বিষয়ে কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, ‘পার্বত্য জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদ আইনকে সংসদীয় কাঠামোতে সংস্থাপিত করে আইন সংশোধন করে চলতি বছরের জুনের মধ্যে পাহাড়ের তিনটি জেলা পরিষদের নির্বাচনও করা যেতে পারে।’
দেশের সংবিধান নারীকে প্রজাতন্ত্রের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের মূলধারায় নিয়ে আসার বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে। এ কথা উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নারীর প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে সুপারিশে কমিশন বলেছে, ‘বিদ্যমান সংরক্ষিত নারী আসন পদ্ধতি পরিবর্তন করে পুরো পরিষদের এক-তৃতীয়াংশ ওয়ার্ড (একক অসন) ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে পুনর্গঠন করা যেতে পারে। প্রস্তাবিত ব্যবস্থায় প্রতিটি পরিষদে ও কাউন্সিলে মোট ওয়ার্ডের এক-তৃতীয়াংশ প্রতি নির্বাচনে নারীদের জন্য সংরক্ষিত করা হবে। প্রস্তাবিত স্থানীয় সরকারের নতুন কাঠামো অনুযায়ী সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যরা পদাধিকার বলে চেয়ার ও মেয়র-কাউন্সিলের নির্বাহী পরিষদের এক-তৃতীয়াংশ সদস্যপদ লাভ করবেন।’
বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়া সারা দেশে স্থানীয় সরকারের পাঁচটি মৌলিক আইন রয়েছে। সেগুলো হলো ‘ইউনিয়ন পরিষদ আইন’, ‘উপজেলা পরিষদ আইন’, ‘জেলা পরিষদ আইন’, ‘পৌরসভা আইন’ ও ‘সিটি করপোরেশন আইন’। আইনগুলো ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদ কাঠামো অসামঞ্জস্যপূর্ণ। গ্রামীণ স্থানীয় সরকারের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে তিনটি পৃথক আইনের বদলে একটি একক আইন ও নগর স্থানীয় সরকারের দুটি প্রতিষ্ঠান যথা পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনকে আরেকটি একক আইনের অধীনে এনে কাঠামোগত সামঞ্জস্যতা বিধান করার প্রস্তাব করেছে সংস্কার কমিশন।
সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন এই মুহূর্তে একসঙ্গে করা সম্ভব বলে মনে করছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। আগামী জুনের মধ্যেই ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদের ভোট শেষ করা যেতে পারে বলে নিজেদের সুপারিশে জানিয়েছে কমিশন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক-প্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদকে প্রধান করে গত ১৮ নভেম্বর ৮ সদস্যের স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশন তাদের প্রাথমিক সুপারিশসম্বলিত প্রতিবেদন গত বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় গতকাল শনিবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
কমিশনের প্রাথমিক সুপারিশে বলা হয়, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে কার্যত কোনো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নেই। এ মুহূর্তে সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব। বর্তমানে নতুন একটি স্বচ্ছ ক্যানভাসে নতুন ছবি আঁকা সম্ভব। নতুবা নির্বাচনের আগে অনেক প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আইনি জটিলতার উদ্ভব হতে পারে।’
বর্তমানে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংসদীয় পদ্ধতি চালু করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করে কমিশন। এ বিষয়ে তাদের সুপারিশে বলা হয়, ‘স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংসদীয় পদ্ধতি চালু করার আলোচনা দীর্ঘদিন ধরে জনপরিসরে থাকলেও কোনো সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। এখন সে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’
আগামী মার্চ অথবা এপ্রিলের মধ্যে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে পাঁচ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জন্য দুটি একীভূত স্থানীয় সরকার আইন প্রণয়ন করেছে সংস্কার কমিশন। তারা বলেছে, আগামী জুনের মধ্যে সমতল ও পাহাড়ের সব ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যেতে পারে। প্রস্তাবিত ‘স্থানীয় সরকার কমিশন’ এ বিষয়ে বিস্তারিত কাজ এপ্রিলের আগে শেষ করতে পারে। তবে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো এবং নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হলেই তা সম্ভবপর হবে।
পাহাড়ে নির্বাচনের বিষয়ে কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, ‘পার্বত্য জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদ আইনকে সংসদীয় কাঠামোতে সংস্থাপিত করে আইন সংশোধন করে চলতি বছরের জুনের মধ্যে পাহাড়ের তিনটি জেলা পরিষদের নির্বাচনও করা যেতে পারে।’
দেশের সংবিধান নারীকে প্রজাতন্ত্রের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের মূলধারায় নিয়ে আসার বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে। এ কথা উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নারীর প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে সুপারিশে কমিশন বলেছে, ‘বিদ্যমান সংরক্ষিত নারী আসন পদ্ধতি পরিবর্তন করে পুরো পরিষদের এক-তৃতীয়াংশ ওয়ার্ড (একক অসন) ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে পুনর্গঠন করা যেতে পারে। প্রস্তাবিত ব্যবস্থায় প্রতিটি পরিষদে ও কাউন্সিলে মোট ওয়ার্ডের এক-তৃতীয়াংশ প্রতি নির্বাচনে নারীদের জন্য সংরক্ষিত করা হবে। প্রস্তাবিত স্থানীয় সরকারের নতুন কাঠামো অনুযায়ী সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যরা পদাধিকার বলে চেয়ার ও মেয়র-কাউন্সিলের নির্বাহী পরিষদের এক-তৃতীয়াংশ সদস্যপদ লাভ করবেন।’
বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়া সারা দেশে স্থানীয় সরকারের পাঁচটি মৌলিক আইন রয়েছে। সেগুলো হলো ‘ইউনিয়ন পরিষদ আইন’, ‘উপজেলা পরিষদ আইন’, ‘জেলা পরিষদ আইন’, ‘পৌরসভা আইন’ ও ‘সিটি করপোরেশন আইন’। আইনগুলো ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদ কাঠামো অসামঞ্জস্যপূর্ণ। গ্রামীণ স্থানীয় সরকারের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে তিনটি পৃথক আইনের বদলে একটি একক আইন ও নগর স্থানীয় সরকারের দুটি প্রতিষ্ঠান যথা পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনকে আরেকটি একক আইনের অধীনে এনে কাঠামোগত সামঞ্জস্যতা বিধান করার প্রস্তাব করেছে সংস্কার কমিশন।
সব ধরনের ওষুধের মধ্যে দেশে পরিপাকতন্ত্রের জটিলতাবিষয়ক ওষুধ বিক্রিতে রয়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্থানে। সরকারি গবেষণায় উঠে এসেছে, এসব ওষুধ বিক্রির অঙ্ক বছরে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ পরিপাকতন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে।
২ ঘণ্টা আগেবর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই পুলিশকে স্বাধীন ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য পদক্ষেপ নিতে প্রস্তাব দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এ জন্য তাঁরা দ্রুত স্বাধীন কমিশন গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জোর দাবি জানান। পুলিশ সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ‘স্বাধীন কমিশন’ গঠনের...
২ ঘণ্টা আগেতিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতিতে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন এবং গবেষণার মাধ্যমে শ্রম অধিকার, শ্রম নীতিমালা, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক, শ্রম অসন্তোষ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের...
৪ ঘণ্টা আগে