মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

স্বাস্থ্যের দুটি বড় প্রকল্প; বাস্তবায়ন কাল ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৯ সালের জুন। বিস্তারিত প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুযায়ী, মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৯ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। এত বড় প্রকল্প গ্রহণের আগে চালানো হয়নি কোনো প্রকার সমীক্ষা, এমনকি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই পর্যন্ত করা হয়নি। শুধু তা-ই নয়, প্রকল্পের জন্য কত জনবল নিয়োগ দিতে হবে এবং কতগুলো গাড়ি কিনতে হবে, সে বিষয়েও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নেওয়ার কাজ পর্যন্ত করা হয়নি। এ ধরনের অনেক অসংগতি রেখেই তড়িঘড়ি প্রকল্প নিয়ে তা পাঠানো হয় পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটিতে (পিইসি)। এ অবস্থায় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি আলাদা বৈঠক করে প্রকল্প দুটি ফেরত পাঠিয়েছে, বলেছে সব শর্ত পূরণের মাধ্যমে নতুন করে ডিপিপি করতে।
সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই নেওয়া প্রকল্প দুটির একটির নাম ‘হেলথ অ্যান্ড নিউট্রেশন সার্ভিসেস ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড সিস্টেম স্ট্রেংদেনিং প্রকল্প’। এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ১৫ হাজার ১২৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৮ হাজার ৬৬৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা আর বৈদেশিক ঋণ থেকে আসবে ৬ হাজার ৪৫৯ কোটি ৫১৩ লাখ টাকা।
অপর প্রকল্পটির নাম, ‘ক্লাইমেন্ট রেসপনসিভ রিপ্রোডাকটিভ অ্যান্ড পপুলেশন সার্ভিসেস ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড সিস্টেম স্ট্রেংদেনিং প্রজেক্ট ফর রেজাল্ট’। ডিপিপিতে প্রকল্পটির ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ৪৬৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করবে ৩ হাজার ৩৩৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা আর বৈদেশিক অর্থায়ন ১ হাজার ৩৫১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। প্রকল্প দুটি নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, প্রকল্প দুটির ডিপিপিতে পরতে পরতে রয়েছে নানা ঘাটতি ও অসংগতি। উভয় প্রকল্পেই ব্যয়ের বড় একটি অংশ বৈদেশিক সহায়তা থেকে আসার কথা বলা হলেও বৈদেশিক অর্থায়নের বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে দাতা সংস্থার চুক্তির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই প্রকল্পে। মূলত বিদেশি অর্থায়ন লুফে নেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করে প্রকল্প পাস করাতে গিয়ে ব্যয়-বিবরণ, কাঠামো ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনায় বিশাল ফাঁকফোকর রেখে দিয়েছে প্রকল্প প্রস্তুতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। পিইসি বৈঠকে এসব নানা অসংগতি ধরা পড়ায় প্রকল্প দুটির বিষয়ে আলোচনার পর পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষ থেকে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ওষুধ-সরঞ্জাম কেনার তালিকা ও বাজারদর নির্ধারণে মার্কেট কমিটির প্রতিবেদন, বার্ষিক রাজস্ব বাজেটে ধাপে ধাপে ব্যয় অন্তর্ভুক্তির রূপরেখা দেওয়া এবং ভবন নির্মাণের জন্য আলাদা প্রকল্প নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া পরামর্শক খাতে খরচের যৌক্তিকতা দেখাতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের প্রধান মো. আব্দুর রউফ (অতিরিক্ত সচিব) বলেন, চলতি বছরের আরএডিপিতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। প্রকল্পটির কোনো সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হয়নি, জনবল নিয়োগ এবং যানবাহন ক্রয়ের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদন গ্রহণ করা হয়নি। তাই সব ধরনের কাগজপত্রে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ প্রকল্প দুটি সংশোধন করে আবার জমা দিতে হবে।
ব্লক বরাদ্দই ৭৫ শতাংশ
হেলথ অ্যান্ড নিউট্রেশন সার্ভিসেস ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড সিস্টেম স্ট্রেংদেনিং প্রকল্পের ৫৪টি উপাদানের মধ্যে ৪৫টিই ব্লক বরাদ্দ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মোট বাজেটের ৭৫ শতাংশ অর্থাৎ ১১ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা কী খাতে খরচ হবে, তার নির্দিষ্ট তালিকা নেই। ওষুধ, ভ্যাকসিন, সার্জিক্যাল সামগ্রী কেনার জন্য ৬ হাজার ২১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও কোনটাতে কত খরচ, নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি।
ভবন নির্মাণ, পরামর্শক নিয়োগেও অসংগতি
দুই প্রকল্পে ভবন নির্মাণের জন্য ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে মোট ৩ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা। কিন্তু প্রকল্পের মূল কাঠামোয় ভবন নির্মাণ নেই। পিইসি বৈঠকে বলা হয়, ভবন নির্মাণের কাজ আলাদা অবকাঠামো প্রকল্প হিসেবে নিতে হবে, যেন একই প্রকল্পে পুনরাবৃত্তি না হয়। পরামর্শক খাতে ২৬১ কোটি টাকার প্রস্তাব থাকলেও কতজন পরামর্শক নিয়োগ হবে, তাঁদের কাজ কী, পারিশ্রমিক কত—এসব কিছুই পরিষ্কার নয়। কমিশন বলছে, পরামর্শকদের কাজের ধরন ও পরিমাণ অনুযায়ী টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর) ও বাজেট দিতে হবে।
চুক্তি ছাড়াই তড়িঘড়ি
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, জুন মাসের মধ্যে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত না হলে ৪০৪ মিলিয়ন ডলারের বিদেশি সহায়তা হাতছাড়া হবে। এ কারণে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে চিঠি দিয়ে প্রকল্পগুলো দ্রুত একনেকে তোলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কিন্তু পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, ইআরডি এখনো দাতা সংস্থাগুলোর চুক্তি বা প্রতিশ্রুতিপত্র জমা দেয়নি। এমনকি জনবল নিয়োগ, গাড়ি কেনাসহ বেশ কিছু খাতে অর্থ বিভাগের অনুমোদনও নেওয়া হয়নি।
নীতি পরিবর্তনে খণ্ড খণ্ড প্রকল্পের ঝুঁকি
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বছর থেকে সেক্টরভিত্তিক কর্মসূচি বাদ দিয়ে প্রকল্পভিত্তিক বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে চলতি মেয়াদে (২০২৪-২০২৯) ৫ম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত উন্নয়ন কর্মসূচি বাতিল করে আলাদা আলাদা প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এতে সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার সংহতি ও সমন্বয় বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, স্বাস্থ্য খাতের এমন প্রকল্প বাস্তবায়নে তাড়াহুড়ো নয়, বরং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিকে প্রাধান্য দিতে হবে। প্রকল্পগুলোতে স্বচ্ছতা, ব্যয় যৌক্তিকতা ও পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে। তাঁরা বলেন, সম্ভাব্যতা যাচাই না করে এমন বড় প্রকল্প তড়িঘড়ি অনুমোদনের চেষ্টা করলে উন্নয়ন সহযোগীদের আস্থায় আঘাত লাগতে পারে।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, বিগত সময়ে প্রকল্পের নামে লোপাট হয়েছে। এই লোপাটের কারণে দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি নেই। প্রকল্প নেওয়ার আগেই তার প্রয়োজনীয়তা এবং খরচের যৌক্তিকতা তুলে ধরেই প্রকল্পে প্রস্তাব করতে হয়। প্রকল্প নির্বাচনের আগে প্রকল্পের সমীক্ষা ও সম্ভাব্যতা শেষ করতে হবে।
নাম না প্রকাশের শর্তে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক কর্মকর্তা বলেন, সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করে ব্যয়ের যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে হবে। ব্লক বরাদ্দ বাদ দিয়ে পণ্য, সেবা, অবকাঠামোর নির্দিষ্ট ধরন, পরিমাণ ও খরচ বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করতে হবে। পরামর্শক খাতের জন্য টিওআর ও ব্যয়ের পূর্ণ বিবরণ দিতে হবে। প্রকল্পের ‘এক্সিট প্ল্যান’-এ ভবিষ্যতে পরিচালন ব্যয়ে অন্তর্ভুক্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে। প্রকল্প সমন্বয়ের অভাব দূর করতে মন্ত্রণালয়কে সমন্বিত কার্যপরিকল্পনা সাজানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্প দুটির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আফরিনা মাহমুদ বলেন, প্রকল্পের বিষয়ে সুস্পষ্ট কর্মপন্থা ও কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন।z
আরও খবর পড়ুন:

স্বাস্থ্যের দুটি বড় প্রকল্প; বাস্তবায়ন কাল ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৯ সালের জুন। বিস্তারিত প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুযায়ী, মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৯ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। এত বড় প্রকল্প গ্রহণের আগে চালানো হয়নি কোনো প্রকার সমীক্ষা, এমনকি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই পর্যন্ত করা হয়নি। শুধু তা-ই নয়, প্রকল্পের জন্য কত জনবল নিয়োগ দিতে হবে এবং কতগুলো গাড়ি কিনতে হবে, সে বিষয়েও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নেওয়ার কাজ পর্যন্ত করা হয়নি। এ ধরনের অনেক অসংগতি রেখেই তড়িঘড়ি প্রকল্প নিয়ে তা পাঠানো হয় পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটিতে (পিইসি)। এ অবস্থায় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি আলাদা বৈঠক করে প্রকল্প দুটি ফেরত পাঠিয়েছে, বলেছে সব শর্ত পূরণের মাধ্যমে নতুন করে ডিপিপি করতে।
সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই নেওয়া প্রকল্প দুটির একটির নাম ‘হেলথ অ্যান্ড নিউট্রেশন সার্ভিসেস ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড সিস্টেম স্ট্রেংদেনিং প্রকল্প’। এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ১৫ হাজার ১২৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৮ হাজার ৬৬৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা আর বৈদেশিক ঋণ থেকে আসবে ৬ হাজার ৪৫৯ কোটি ৫১৩ লাখ টাকা।
অপর প্রকল্পটির নাম, ‘ক্লাইমেন্ট রেসপনসিভ রিপ্রোডাকটিভ অ্যান্ড পপুলেশন সার্ভিসেস ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড সিস্টেম স্ট্রেংদেনিং প্রজেক্ট ফর রেজাল্ট’। ডিপিপিতে প্রকল্পটির ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ৪৬৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করবে ৩ হাজার ৩৩৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা আর বৈদেশিক অর্থায়ন ১ হাজার ৩৫১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। প্রকল্প দুটি নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, প্রকল্প দুটির ডিপিপিতে পরতে পরতে রয়েছে নানা ঘাটতি ও অসংগতি। উভয় প্রকল্পেই ব্যয়ের বড় একটি অংশ বৈদেশিক সহায়তা থেকে আসার কথা বলা হলেও বৈদেশিক অর্থায়নের বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে দাতা সংস্থার চুক্তির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই প্রকল্পে। মূলত বিদেশি অর্থায়ন লুফে নেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করে প্রকল্প পাস করাতে গিয়ে ব্যয়-বিবরণ, কাঠামো ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনায় বিশাল ফাঁকফোকর রেখে দিয়েছে প্রকল্প প্রস্তুতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। পিইসি বৈঠকে এসব নানা অসংগতি ধরা পড়ায় প্রকল্প দুটির বিষয়ে আলোচনার পর পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষ থেকে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ওষুধ-সরঞ্জাম কেনার তালিকা ও বাজারদর নির্ধারণে মার্কেট কমিটির প্রতিবেদন, বার্ষিক রাজস্ব বাজেটে ধাপে ধাপে ব্যয় অন্তর্ভুক্তির রূপরেখা দেওয়া এবং ভবন নির্মাণের জন্য আলাদা প্রকল্প নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া পরামর্শক খাতে খরচের যৌক্তিকতা দেখাতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের প্রধান মো. আব্দুর রউফ (অতিরিক্ত সচিব) বলেন, চলতি বছরের আরএডিপিতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। প্রকল্পটির কোনো সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হয়নি, জনবল নিয়োগ এবং যানবাহন ক্রয়ের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদন গ্রহণ করা হয়নি। তাই সব ধরনের কাগজপত্রে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ প্রকল্প দুটি সংশোধন করে আবার জমা দিতে হবে।
ব্লক বরাদ্দই ৭৫ শতাংশ
হেলথ অ্যান্ড নিউট্রেশন সার্ভিসেস ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড সিস্টেম স্ট্রেংদেনিং প্রকল্পের ৫৪টি উপাদানের মধ্যে ৪৫টিই ব্লক বরাদ্দ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মোট বাজেটের ৭৫ শতাংশ অর্থাৎ ১১ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা কী খাতে খরচ হবে, তার নির্দিষ্ট তালিকা নেই। ওষুধ, ভ্যাকসিন, সার্জিক্যাল সামগ্রী কেনার জন্য ৬ হাজার ২১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও কোনটাতে কত খরচ, নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি।
ভবন নির্মাণ, পরামর্শক নিয়োগেও অসংগতি
দুই প্রকল্পে ভবন নির্মাণের জন্য ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে মোট ৩ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা। কিন্তু প্রকল্পের মূল কাঠামোয় ভবন নির্মাণ নেই। পিইসি বৈঠকে বলা হয়, ভবন নির্মাণের কাজ আলাদা অবকাঠামো প্রকল্প হিসেবে নিতে হবে, যেন একই প্রকল্পে পুনরাবৃত্তি না হয়। পরামর্শক খাতে ২৬১ কোটি টাকার প্রস্তাব থাকলেও কতজন পরামর্শক নিয়োগ হবে, তাঁদের কাজ কী, পারিশ্রমিক কত—এসব কিছুই পরিষ্কার নয়। কমিশন বলছে, পরামর্শকদের কাজের ধরন ও পরিমাণ অনুযায়ী টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর) ও বাজেট দিতে হবে।
চুক্তি ছাড়াই তড়িঘড়ি
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, জুন মাসের মধ্যে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত না হলে ৪০৪ মিলিয়ন ডলারের বিদেশি সহায়তা হাতছাড়া হবে। এ কারণে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে চিঠি দিয়ে প্রকল্পগুলো দ্রুত একনেকে তোলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কিন্তু পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, ইআরডি এখনো দাতা সংস্থাগুলোর চুক্তি বা প্রতিশ্রুতিপত্র জমা দেয়নি। এমনকি জনবল নিয়োগ, গাড়ি কেনাসহ বেশ কিছু খাতে অর্থ বিভাগের অনুমোদনও নেওয়া হয়নি।
নীতি পরিবর্তনে খণ্ড খণ্ড প্রকল্পের ঝুঁকি
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বছর থেকে সেক্টরভিত্তিক কর্মসূচি বাদ দিয়ে প্রকল্পভিত্তিক বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে চলতি মেয়াদে (২০২৪-২০২৯) ৫ম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত উন্নয়ন কর্মসূচি বাতিল করে আলাদা আলাদা প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এতে সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার সংহতি ও সমন্বয় বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, স্বাস্থ্য খাতের এমন প্রকল্প বাস্তবায়নে তাড়াহুড়ো নয়, বরং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিকে প্রাধান্য দিতে হবে। প্রকল্পগুলোতে স্বচ্ছতা, ব্যয় যৌক্তিকতা ও পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে। তাঁরা বলেন, সম্ভাব্যতা যাচাই না করে এমন বড় প্রকল্প তড়িঘড়ি অনুমোদনের চেষ্টা করলে উন্নয়ন সহযোগীদের আস্থায় আঘাত লাগতে পারে।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, বিগত সময়ে প্রকল্পের নামে লোপাট হয়েছে। এই লোপাটের কারণে দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি নেই। প্রকল্প নেওয়ার আগেই তার প্রয়োজনীয়তা এবং খরচের যৌক্তিকতা তুলে ধরেই প্রকল্পে প্রস্তাব করতে হয়। প্রকল্প নির্বাচনের আগে প্রকল্পের সমীক্ষা ও সম্ভাব্যতা শেষ করতে হবে।
নাম না প্রকাশের শর্তে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক কর্মকর্তা বলেন, সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করে ব্যয়ের যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে হবে। ব্লক বরাদ্দ বাদ দিয়ে পণ্য, সেবা, অবকাঠামোর নির্দিষ্ট ধরন, পরিমাণ ও খরচ বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করতে হবে। পরামর্শক খাতের জন্য টিওআর ও ব্যয়ের পূর্ণ বিবরণ দিতে হবে। প্রকল্পের ‘এক্সিট প্ল্যান’-এ ভবিষ্যতে পরিচালন ব্যয়ে অন্তর্ভুক্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে। প্রকল্প সমন্বয়ের অভাব দূর করতে মন্ত্রণালয়কে সমন্বিত কার্যপরিকল্পনা সাজানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্প দুটির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আফরিনা মাহমুদ বলেন, প্রকল্পের বিষয়ে সুস্পষ্ট কর্মপন্থা ও কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন।z
আরও খবর পড়ুন:
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

স্বাস্থ্যের দুটি বড় প্রকল্প; বাস্তবায়ন কাল ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৯ সালের জুন। বিস্তারিত প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুযায়ী, মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৯ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। এত বড় প্রকল্প গ্রহণের আগে চালানো হয়নি কোনো প্রকার সমীক্ষা, এমনকি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই পর্যন্ত করা হয়নি। শুধু তা-ই নয়, প্রকল্পের জন্য কত জনবল নিয়োগ দিতে হবে এবং কতগুলো গাড়ি কিনতে হবে, সে বিষয়েও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নেওয়ার কাজ পর্যন্ত করা হয়নি। এ ধরনের অনেক অসংগতি রেখেই তড়িঘড়ি প্রকল্প নিয়ে তা পাঠানো হয় পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটিতে (পিইসি)। এ অবস্থায় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি আলাদা বৈঠক করে প্রকল্প দুটি ফেরত পাঠিয়েছে, বলেছে সব শর্ত পূরণের মাধ্যমে নতুন করে ডিপিপি করতে।
সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই নেওয়া প্রকল্প দুটির একটির নাম ‘হেলথ অ্যান্ড নিউট্রেশন সার্ভিসেস ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড সিস্টেম স্ট্রেংদেনিং প্রকল্প’। এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ১৫ হাজার ১২৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৮ হাজার ৬৬৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা আর বৈদেশিক ঋণ থেকে আসবে ৬ হাজার ৪৫৯ কোটি ৫১৩ লাখ টাকা।
অপর প্রকল্পটির নাম, ‘ক্লাইমেন্ট রেসপনসিভ রিপ্রোডাকটিভ অ্যান্ড পপুলেশন সার্ভিসেস ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড সিস্টেম স্ট্রেংদেনিং প্রজেক্ট ফর রেজাল্ট’। ডিপিপিতে প্রকল্পটির ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ৪৬৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করবে ৩ হাজার ৩৩৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা আর বৈদেশিক অর্থায়ন ১ হাজার ৩৫১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। প্রকল্প দুটি নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, প্রকল্প দুটির ডিপিপিতে পরতে পরতে রয়েছে নানা ঘাটতি ও অসংগতি। উভয় প্রকল্পেই ব্যয়ের বড় একটি অংশ বৈদেশিক সহায়তা থেকে আসার কথা বলা হলেও বৈদেশিক অর্থায়নের বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে দাতা সংস্থার চুক্তির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই প্রকল্পে। মূলত বিদেশি অর্থায়ন লুফে নেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করে প্রকল্প পাস করাতে গিয়ে ব্যয়-বিবরণ, কাঠামো ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনায় বিশাল ফাঁকফোকর রেখে দিয়েছে প্রকল্প প্রস্তুতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। পিইসি বৈঠকে এসব নানা অসংগতি ধরা পড়ায় প্রকল্প দুটির বিষয়ে আলোচনার পর পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষ থেকে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ওষুধ-সরঞ্জাম কেনার তালিকা ও বাজারদর নির্ধারণে মার্কেট কমিটির প্রতিবেদন, বার্ষিক রাজস্ব বাজেটে ধাপে ধাপে ব্যয় অন্তর্ভুক্তির রূপরেখা দেওয়া এবং ভবন নির্মাণের জন্য আলাদা প্রকল্প নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া পরামর্শক খাতে খরচের যৌক্তিকতা দেখাতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের প্রধান মো. আব্দুর রউফ (অতিরিক্ত সচিব) বলেন, চলতি বছরের আরএডিপিতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। প্রকল্পটির কোনো সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হয়নি, জনবল নিয়োগ এবং যানবাহন ক্রয়ের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদন গ্রহণ করা হয়নি। তাই সব ধরনের কাগজপত্রে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ প্রকল্প দুটি সংশোধন করে আবার জমা দিতে হবে।
ব্লক বরাদ্দই ৭৫ শতাংশ
হেলথ অ্যান্ড নিউট্রেশন সার্ভিসেস ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড সিস্টেম স্ট্রেংদেনিং প্রকল্পের ৫৪টি উপাদানের মধ্যে ৪৫টিই ব্লক বরাদ্দ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মোট বাজেটের ৭৫ শতাংশ অর্থাৎ ১১ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা কী খাতে খরচ হবে, তার নির্দিষ্ট তালিকা নেই। ওষুধ, ভ্যাকসিন, সার্জিক্যাল সামগ্রী কেনার জন্য ৬ হাজার ২১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও কোনটাতে কত খরচ, নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি।
ভবন নির্মাণ, পরামর্শক নিয়োগেও অসংগতি
দুই প্রকল্পে ভবন নির্মাণের জন্য ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে মোট ৩ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা। কিন্তু প্রকল্পের মূল কাঠামোয় ভবন নির্মাণ নেই। পিইসি বৈঠকে বলা হয়, ভবন নির্মাণের কাজ আলাদা অবকাঠামো প্রকল্প হিসেবে নিতে হবে, যেন একই প্রকল্পে পুনরাবৃত্তি না হয়। পরামর্শক খাতে ২৬১ কোটি টাকার প্রস্তাব থাকলেও কতজন পরামর্শক নিয়োগ হবে, তাঁদের কাজ কী, পারিশ্রমিক কত—এসব কিছুই পরিষ্কার নয়। কমিশন বলছে, পরামর্শকদের কাজের ধরন ও পরিমাণ অনুযায়ী টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর) ও বাজেট দিতে হবে।
চুক্তি ছাড়াই তড়িঘড়ি
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, জুন মাসের মধ্যে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত না হলে ৪০৪ মিলিয়ন ডলারের বিদেশি সহায়তা হাতছাড়া হবে। এ কারণে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে চিঠি দিয়ে প্রকল্পগুলো দ্রুত একনেকে তোলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কিন্তু পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, ইআরডি এখনো দাতা সংস্থাগুলোর চুক্তি বা প্রতিশ্রুতিপত্র জমা দেয়নি। এমনকি জনবল নিয়োগ, গাড়ি কেনাসহ বেশ কিছু খাতে অর্থ বিভাগের অনুমোদনও নেওয়া হয়নি।
নীতি পরিবর্তনে খণ্ড খণ্ড প্রকল্পের ঝুঁকি
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বছর থেকে সেক্টরভিত্তিক কর্মসূচি বাদ দিয়ে প্রকল্পভিত্তিক বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে চলতি মেয়াদে (২০২৪-২০২৯) ৫ম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত উন্নয়ন কর্মসূচি বাতিল করে আলাদা আলাদা প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এতে সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার সংহতি ও সমন্বয় বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, স্বাস্থ্য খাতের এমন প্রকল্প বাস্তবায়নে তাড়াহুড়ো নয়, বরং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিকে প্রাধান্য দিতে হবে। প্রকল্পগুলোতে স্বচ্ছতা, ব্যয় যৌক্তিকতা ও পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে। তাঁরা বলেন, সম্ভাব্যতা যাচাই না করে এমন বড় প্রকল্প তড়িঘড়ি অনুমোদনের চেষ্টা করলে উন্নয়ন সহযোগীদের আস্থায় আঘাত লাগতে পারে।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, বিগত সময়ে প্রকল্পের নামে লোপাট হয়েছে। এই লোপাটের কারণে দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি নেই। প্রকল্প নেওয়ার আগেই তার প্রয়োজনীয়তা এবং খরচের যৌক্তিকতা তুলে ধরেই প্রকল্পে প্রস্তাব করতে হয়। প্রকল্প নির্বাচনের আগে প্রকল্পের সমীক্ষা ও সম্ভাব্যতা শেষ করতে হবে।
নাম না প্রকাশের শর্তে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক কর্মকর্তা বলেন, সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করে ব্যয়ের যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে হবে। ব্লক বরাদ্দ বাদ দিয়ে পণ্য, সেবা, অবকাঠামোর নির্দিষ্ট ধরন, পরিমাণ ও খরচ বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করতে হবে। পরামর্শক খাতের জন্য টিওআর ও ব্যয়ের পূর্ণ বিবরণ দিতে হবে। প্রকল্পের ‘এক্সিট প্ল্যান’-এ ভবিষ্যতে পরিচালন ব্যয়ে অন্তর্ভুক্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে। প্রকল্প সমন্বয়ের অভাব দূর করতে মন্ত্রণালয়কে সমন্বিত কার্যপরিকল্পনা সাজানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্প দুটির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আফরিনা মাহমুদ বলেন, প্রকল্পের বিষয়ে সুস্পষ্ট কর্মপন্থা ও কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন।z
আরও খবর পড়ুন:

স্বাস্থ্যের দুটি বড় প্রকল্প; বাস্তবায়ন কাল ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৯ সালের জুন। বিস্তারিত প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুযায়ী, মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৯ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। এত বড় প্রকল্প গ্রহণের আগে চালানো হয়নি কোনো প্রকার সমীক্ষা, এমনকি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই পর্যন্ত করা হয়নি। শুধু তা-ই নয়, প্রকল্পের জন্য কত জনবল নিয়োগ দিতে হবে এবং কতগুলো গাড়ি কিনতে হবে, সে বিষয়েও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নেওয়ার কাজ পর্যন্ত করা হয়নি। এ ধরনের অনেক অসংগতি রেখেই তড়িঘড়ি প্রকল্প নিয়ে তা পাঠানো হয় পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটিতে (পিইসি)। এ অবস্থায় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি আলাদা বৈঠক করে প্রকল্প দুটি ফেরত পাঠিয়েছে, বলেছে সব শর্ত পূরণের মাধ্যমে নতুন করে ডিপিপি করতে।
সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই নেওয়া প্রকল্প দুটির একটির নাম ‘হেলথ অ্যান্ড নিউট্রেশন সার্ভিসেস ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড সিস্টেম স্ট্রেংদেনিং প্রকল্প’। এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ১৫ হাজার ১২৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৮ হাজার ৬৬৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা আর বৈদেশিক ঋণ থেকে আসবে ৬ হাজার ৪৫৯ কোটি ৫১৩ লাখ টাকা।
অপর প্রকল্পটির নাম, ‘ক্লাইমেন্ট রেসপনসিভ রিপ্রোডাকটিভ অ্যান্ড পপুলেশন সার্ভিসেস ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড সিস্টেম স্ট্রেংদেনিং প্রজেক্ট ফর রেজাল্ট’। ডিপিপিতে প্রকল্পটির ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ৪৬৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করবে ৩ হাজার ৩৩৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা আর বৈদেশিক অর্থায়ন ১ হাজার ৩৫১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। প্রকল্প দুটি নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, প্রকল্প দুটির ডিপিপিতে পরতে পরতে রয়েছে নানা ঘাটতি ও অসংগতি। উভয় প্রকল্পেই ব্যয়ের বড় একটি অংশ বৈদেশিক সহায়তা থেকে আসার কথা বলা হলেও বৈদেশিক অর্থায়নের বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে দাতা সংস্থার চুক্তির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই প্রকল্পে। মূলত বিদেশি অর্থায়ন লুফে নেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করে প্রকল্প পাস করাতে গিয়ে ব্যয়-বিবরণ, কাঠামো ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনায় বিশাল ফাঁকফোকর রেখে দিয়েছে প্রকল্প প্রস্তুতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। পিইসি বৈঠকে এসব নানা অসংগতি ধরা পড়ায় প্রকল্প দুটির বিষয়ে আলোচনার পর পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষ থেকে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ওষুধ-সরঞ্জাম কেনার তালিকা ও বাজারদর নির্ধারণে মার্কেট কমিটির প্রতিবেদন, বার্ষিক রাজস্ব বাজেটে ধাপে ধাপে ব্যয় অন্তর্ভুক্তির রূপরেখা দেওয়া এবং ভবন নির্মাণের জন্য আলাদা প্রকল্প নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া পরামর্শক খাতে খরচের যৌক্তিকতা দেখাতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের প্রধান মো. আব্দুর রউফ (অতিরিক্ত সচিব) বলেন, চলতি বছরের আরএডিপিতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। প্রকল্পটির কোনো সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হয়নি, জনবল নিয়োগ এবং যানবাহন ক্রয়ের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদন গ্রহণ করা হয়নি। তাই সব ধরনের কাগজপত্রে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ প্রকল্প দুটি সংশোধন করে আবার জমা দিতে হবে।
ব্লক বরাদ্দই ৭৫ শতাংশ
হেলথ অ্যান্ড নিউট্রেশন সার্ভিসেস ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড সিস্টেম স্ট্রেংদেনিং প্রকল্পের ৫৪টি উপাদানের মধ্যে ৪৫টিই ব্লক বরাদ্দ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মোট বাজেটের ৭৫ শতাংশ অর্থাৎ ১১ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা কী খাতে খরচ হবে, তার নির্দিষ্ট তালিকা নেই। ওষুধ, ভ্যাকসিন, সার্জিক্যাল সামগ্রী কেনার জন্য ৬ হাজার ২১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও কোনটাতে কত খরচ, নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি।
ভবন নির্মাণ, পরামর্শক নিয়োগেও অসংগতি
দুই প্রকল্পে ভবন নির্মাণের জন্য ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে মোট ৩ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা। কিন্তু প্রকল্পের মূল কাঠামোয় ভবন নির্মাণ নেই। পিইসি বৈঠকে বলা হয়, ভবন নির্মাণের কাজ আলাদা অবকাঠামো প্রকল্প হিসেবে নিতে হবে, যেন একই প্রকল্পে পুনরাবৃত্তি না হয়। পরামর্শক খাতে ২৬১ কোটি টাকার প্রস্তাব থাকলেও কতজন পরামর্শক নিয়োগ হবে, তাঁদের কাজ কী, পারিশ্রমিক কত—এসব কিছুই পরিষ্কার নয়। কমিশন বলছে, পরামর্শকদের কাজের ধরন ও পরিমাণ অনুযায়ী টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর) ও বাজেট দিতে হবে।
চুক্তি ছাড়াই তড়িঘড়ি
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, জুন মাসের মধ্যে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত না হলে ৪০৪ মিলিয়ন ডলারের বিদেশি সহায়তা হাতছাড়া হবে। এ কারণে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে চিঠি দিয়ে প্রকল্পগুলো দ্রুত একনেকে তোলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কিন্তু পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, ইআরডি এখনো দাতা সংস্থাগুলোর চুক্তি বা প্রতিশ্রুতিপত্র জমা দেয়নি। এমনকি জনবল নিয়োগ, গাড়ি কেনাসহ বেশ কিছু খাতে অর্থ বিভাগের অনুমোদনও নেওয়া হয়নি।
নীতি পরিবর্তনে খণ্ড খণ্ড প্রকল্পের ঝুঁকি
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বছর থেকে সেক্টরভিত্তিক কর্মসূচি বাদ দিয়ে প্রকল্পভিত্তিক বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে চলতি মেয়াদে (২০২৪-২০২৯) ৫ম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত উন্নয়ন কর্মসূচি বাতিল করে আলাদা আলাদা প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এতে সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার সংহতি ও সমন্বয় বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, স্বাস্থ্য খাতের এমন প্রকল্প বাস্তবায়নে তাড়াহুড়ো নয়, বরং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিকে প্রাধান্য দিতে হবে। প্রকল্পগুলোতে স্বচ্ছতা, ব্যয় যৌক্তিকতা ও পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে। তাঁরা বলেন, সম্ভাব্যতা যাচাই না করে এমন বড় প্রকল্প তড়িঘড়ি অনুমোদনের চেষ্টা করলে উন্নয়ন সহযোগীদের আস্থায় আঘাত লাগতে পারে।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, বিগত সময়ে প্রকল্পের নামে লোপাট হয়েছে। এই লোপাটের কারণে দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি নেই। প্রকল্প নেওয়ার আগেই তার প্রয়োজনীয়তা এবং খরচের যৌক্তিকতা তুলে ধরেই প্রকল্পে প্রস্তাব করতে হয়। প্রকল্প নির্বাচনের আগে প্রকল্পের সমীক্ষা ও সম্ভাব্যতা শেষ করতে হবে।
নাম না প্রকাশের শর্তে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক কর্মকর্তা বলেন, সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করে ব্যয়ের যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে হবে। ব্লক বরাদ্দ বাদ দিয়ে পণ্য, সেবা, অবকাঠামোর নির্দিষ্ট ধরন, পরিমাণ ও খরচ বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করতে হবে। পরামর্শক খাতের জন্য টিওআর ও ব্যয়ের পূর্ণ বিবরণ দিতে হবে। প্রকল্পের ‘এক্সিট প্ল্যান’-এ ভবিষ্যতে পরিচালন ব্যয়ে অন্তর্ভুক্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে। প্রকল্প সমন্বয়ের অভাব দূর করতে মন্ত্রণালয়কে সমন্বিত কার্যপরিকল্পনা সাজানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্প দুটির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আফরিনা মাহমুদ বলেন, প্রকল্পের বিষয়ে সুস্পষ্ট কর্মপন্থা ও কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন।z
আরও খবর পড়ুন:

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে এই অনুমোদন হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
৩৯ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) এইচ এম কবির বলেন, জব্দ করা পপিবীজের বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে সাড়ে ছয় কোটি টাকার পণ্য মাত্র ৩০ লাখ টাকা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা হয়। পপিবীজ আমদানি নিষিদ্ধ হওয়ায় এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
৪২ মিনিট আগে
নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাপান সফরকালে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে এক লাখ বাংলাদেশি কর্মী জাপানে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, গুম কমিশনে প্রায় দুই হাজার অভিযোগ এসেছে। তবে গুমের সংখ্যা চার হাজারের মতো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে এই অনুমোদন হয়।
আগামী বছর সরকারি ও নির্বাহী আদেশের ছুটি ২৮ দিন। যার মধ্যে ৯ দিন শুক্র ও শনিবার পড়ায় মূল ছুটির সংখ্যা হবে ১৯ দিন।
আজ তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। সেখানেই ছুটির তালিকা অনুমোদন হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আরও খবর পড়ুন:

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে এই অনুমোদন হয়।
আগামী বছর সরকারি ও নির্বাহী আদেশের ছুটি ২৮ দিন। যার মধ্যে ৯ দিন শুক্র ও শনিবার পড়ায় মূল ছুটির সংখ্যা হবে ১৯ দিন।
আজ তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। সেখানেই ছুটির তালিকা অনুমোদন হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আরও খবর পড়ুন:

স্বাস্থ্যের দুটি বড় প্রকল্প; বাস্তবায়ন কাল ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৯ সালের জুন। বিস্তারিত প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুযায়ী, মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৯ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। এত বড় প্রকল্প গ্রহণের আগে চালানো হয়নি কোনো প্রকার সমীক্ষা, এমনকি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই পর্যন্ত করা হয়নি। শুধু তা-ই নয়,
২৬ জুন ২০২৫
চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) এইচ এম কবির বলেন, জব্দ করা পপিবীজের বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে সাড়ে ছয় কোটি টাকার পণ্য মাত্র ৩০ লাখ টাকা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা হয়। পপিবীজ আমদানি নিষিদ্ধ হওয়ায় এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
৪২ মিনিট আগে
নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাপান সফরকালে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে এক লাখ বাংলাদেশি কর্মী জাপানে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, গুম কমিশনে প্রায় দুই হাজার অভিযোগ এসেছে। তবে গুমের সংখ্যা চার হাজারের মতো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বার্ড ফুড বা পাখির খাবারের আড়ালে চট্টগ্রাম বন্দরে ২৪ হাজার ৯৬০ কেজি ওজনের পপিবীজের একটি চালান জব্দ করেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। চালানটি পাকিস্তান থেকে আমদানি করা হয়। চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্স (এআইআর) শাখা চালানটি আটক করে।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।
বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) এইচ এম কবির বলেন, জব্দ করা পপিবীজের বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা। সাড়ে ছয় কোটি টাকার পণ্য মাত্র ৩০ লাখ টাকা মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা হয়। পপিবীজ আমদানি-নিষিদ্ধ হওয়ায় এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গত ৯ অক্টোবর বার্ড ফুড হিসেবে দুটি কনটেইনারে ৩২ হাজার ১০ কেজি পণ্যের একটি চালান চট্টগ্রাম বন্দরে আসে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি খালাসের জন্য বেসরকারি অফডক ছাবের আহমেদ টিম্বার কোম্পানি লিমিটেডের ডিপোতে নেওয়া হয়। চালানটির আমদানিকারক চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার কোরবানিগঞ্জ এলাকার মেসার্স আদিব ট্রেডিং। চালানটি খালাসের জন্য নগরীর হালিশহরের শান্তিবাগ এলাকার এম এইচ ট্রেডিং কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লিমিটেড বার্ড ফুড ঘোষণা দিয়ে গত ১৪ অক্টোবর কাস্টমসের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে।
পরে চালানটির উৎস, রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকের ব্যবসার ধরন পর্যালোচনা করে চালানটিতে মিথ্যা ঘোষণার পণ্য আছে সন্দেহে খালাস স্থগিত করে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে লক করে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২২ অক্টোবর ডিপো কর্তৃপক্ষ ও সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতিতে চালানটির কায়িক পরীক্ষা করে কাস্টমসের এআইআর শাখা। এতে কনটেইনার দুটিতে ৭ হাজার ২০০ কেজি বার্ড ফুড ও ২৪ হাজার ৯৬০ কেজি পপিবীজ পাওয়া যায়। এরপর পণ্য দুটির নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানোপ্রযুক্তি সেন্টার এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে ভৌত ও রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদনে পণ্য দুটির মধ্যে ২৪ হাজার ৯৬০ কেজির চালানটির নমুনাকে পপিবীজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
কায়িক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, কনটেইনারে মুখে বার্ড ফুড দিয়ে ভেতরে পপিবীজ ঢেকে রেখে কৌশলে আমদানি করা হয়। পপি সিড মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুসারে ‘ক’ শ্রেণির মাদক হিসেবে বিবেচিত। আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২৪-এর অনুচ্ছেদ ৩(১)(খ) অনুসারে আমদানি-নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে পপিবীজ। তবে দেশে পপি সিডকে ‘পোস্তদানা’ মসলা হিসেবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পণ্য চালানটির ঘোষিত মূল্য ছিল ৩০ লাখ ২ হাজার ৪৮২ টাকা। কিন্তু কায়িক পরীক্ষণে প্রাপ্ত পণ্যের বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
এসব পণ্য আমদানিতে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে কাস্টমসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বার্ড ফুড বা পাখির খাবারের আড়ালে চট্টগ্রাম বন্দরে ২৪ হাজার ৯৬০ কেজি ওজনের পপিবীজের একটি চালান জব্দ করেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। চালানটি পাকিস্তান থেকে আমদানি করা হয়। চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্স (এআইআর) শাখা চালানটি আটক করে।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।
বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) এইচ এম কবির বলেন, জব্দ করা পপিবীজের বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা। সাড়ে ছয় কোটি টাকার পণ্য মাত্র ৩০ লাখ টাকা মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা হয়। পপিবীজ আমদানি-নিষিদ্ধ হওয়ায় এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গত ৯ অক্টোবর বার্ড ফুড হিসেবে দুটি কনটেইনারে ৩২ হাজার ১০ কেজি পণ্যের একটি চালান চট্টগ্রাম বন্দরে আসে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি খালাসের জন্য বেসরকারি অফডক ছাবের আহমেদ টিম্বার কোম্পানি লিমিটেডের ডিপোতে নেওয়া হয়। চালানটির আমদানিকারক চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার কোরবানিগঞ্জ এলাকার মেসার্স আদিব ট্রেডিং। চালানটি খালাসের জন্য নগরীর হালিশহরের শান্তিবাগ এলাকার এম এইচ ট্রেডিং কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লিমিটেড বার্ড ফুড ঘোষণা দিয়ে গত ১৪ অক্টোবর কাস্টমসের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে।
পরে চালানটির উৎস, রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকের ব্যবসার ধরন পর্যালোচনা করে চালানটিতে মিথ্যা ঘোষণার পণ্য আছে সন্দেহে খালাস স্থগিত করে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে লক করে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২২ অক্টোবর ডিপো কর্তৃপক্ষ ও সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতিতে চালানটির কায়িক পরীক্ষা করে কাস্টমসের এআইআর শাখা। এতে কনটেইনার দুটিতে ৭ হাজার ২০০ কেজি বার্ড ফুড ও ২৪ হাজার ৯৬০ কেজি পপিবীজ পাওয়া যায়। এরপর পণ্য দুটির নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানোপ্রযুক্তি সেন্টার এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে ভৌত ও রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদনে পণ্য দুটির মধ্যে ২৪ হাজার ৯৬০ কেজির চালানটির নমুনাকে পপিবীজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
কায়িক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, কনটেইনারে মুখে বার্ড ফুড দিয়ে ভেতরে পপিবীজ ঢেকে রেখে কৌশলে আমদানি করা হয়। পপি সিড মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুসারে ‘ক’ শ্রেণির মাদক হিসেবে বিবেচিত। আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২৪-এর অনুচ্ছেদ ৩(১)(খ) অনুসারে আমদানি-নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে পপিবীজ। তবে দেশে পপি সিডকে ‘পোস্তদানা’ মসলা হিসেবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পণ্য চালানটির ঘোষিত মূল্য ছিল ৩০ লাখ ২ হাজার ৪৮২ টাকা। কিন্তু কায়িক পরীক্ষণে প্রাপ্ত পণ্যের বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
এসব পণ্য আমদানিতে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে কাস্টমসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্যের দুটি বড় প্রকল্প; বাস্তবায়ন কাল ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৯ সালের জুন। বিস্তারিত প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুযায়ী, মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৯ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। এত বড় প্রকল্প গ্রহণের আগে চালানো হয়নি কোনো প্রকার সমীক্ষা, এমনকি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই পর্যন্ত করা হয়নি। শুধু তা-ই নয়,
২৬ জুন ২০২৫
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে এই অনুমোদন হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
৩৯ মিনিট আগে
নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাপান সফরকালে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে এক লাখ বাংলাদেশি কর্মী জাপানে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, গুম কমিশনে প্রায় দুই হাজার অভিযোগ এসেছে। তবে গুমের সংখ্যা চার হাজারের মতো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

দক্ষ জনশক্তি ও চিকিৎসা খাতে সহযোগিতা জোরদারে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার টোকিওতে জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিকবিষয়ক জ্যেষ্ঠ সহকারী মন্ত্রী আকিয়ামা শিনইচির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া।
বৈঠকে বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি প্রেরণ এবং জাপানের শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের ক্রমবর্ধমান অবদান তুলে ধরেন নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাপান সফরকালে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে এক লাখ বাংলাদেশি কর্মী জাপানে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
তিনি আলোচনায় উল্লেখ করেন, জাপানি ভাষা ও দক্ষতা প্রশিক্ষণকে আরও সমন্বিতভাবে পরিচালনার জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি ‘জাপান সেল’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশের ভেতরে স্পেসিফায়েড স্কিল্ড ওয়ার্কার ফিল্ড টেস্ট চালু করার জন্য জাপান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
একই সঙ্গে খাদ্য ও পানীয় উৎপাদন, খাদ্য পরিবেশন, শিল্পজাত পণ্য উৎপাদন, মোটরগাড়ি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, বিমান পরিষেবা ও জাহাজ নির্মাণশিল্পসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে পরীক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণের অনুরোধ জানান জ্যেষ্ঠ সচিব।
নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া বিশেষভাবে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধশিল্প খাতে অধিকতর সহযোগিতার প্রস্তাব দেন। তিনি জাপানকে চিকিৎসা প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং বাংলাদেশ থেকে উচ্চমানের ওষুধ আমদানির আহ্বান জানান।
জাপানের জ্যেষ্ঠ সহকারী মন্ত্রী আকিয়ামা শিনইচি বাংলাদেশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, জাপানে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ফলে দক্ষ বিদেশি কর্মীর চাহিদাও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাস্থ্য ও জনশক্তি খাতে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর আশ্বাস দেন তিনি।
পরে আইএম জাপান আয়োজিত মানবসম্পদবিষয়ক সেমিনারে অংশ নেন নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া, যেখানে প্রায় ২০০টি জাপানি কোম্পানি উপস্থিত ছিল।

দক্ষ জনশক্তি ও চিকিৎসা খাতে সহযোগিতা জোরদারে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার টোকিওতে জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিকবিষয়ক জ্যেষ্ঠ সহকারী মন্ত্রী আকিয়ামা শিনইচির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া।
বৈঠকে বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি প্রেরণ এবং জাপানের শ্রমবাজারে বাংলাদেশিদের ক্রমবর্ধমান অবদান তুলে ধরেন নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাপান সফরকালে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে এক লাখ বাংলাদেশি কর্মী জাপানে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
তিনি আলোচনায় উল্লেখ করেন, জাপানি ভাষা ও দক্ষতা প্রশিক্ষণকে আরও সমন্বিতভাবে পরিচালনার জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি ‘জাপান সেল’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশের ভেতরে স্পেসিফায়েড স্কিল্ড ওয়ার্কার ফিল্ড টেস্ট চালু করার জন্য জাপান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
একই সঙ্গে খাদ্য ও পানীয় উৎপাদন, খাদ্য পরিবেশন, শিল্পজাত পণ্য উৎপাদন, মোটরগাড়ি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, বিমান পরিষেবা ও জাহাজ নির্মাণশিল্পসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে পরীক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণের অনুরোধ জানান জ্যেষ্ঠ সচিব।
নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া বিশেষভাবে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধশিল্প খাতে অধিকতর সহযোগিতার প্রস্তাব দেন। তিনি জাপানকে চিকিৎসা প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং বাংলাদেশ থেকে উচ্চমানের ওষুধ আমদানির আহ্বান জানান।
জাপানের জ্যেষ্ঠ সহকারী মন্ত্রী আকিয়ামা শিনইচি বাংলাদেশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, জাপানে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ফলে দক্ষ বিদেশি কর্মীর চাহিদাও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাস্থ্য ও জনশক্তি খাতে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর আশ্বাস দেন তিনি।
পরে আইএম জাপান আয়োজিত মানবসম্পদবিষয়ক সেমিনারে অংশ নেন নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া, যেখানে প্রায় ২০০টি জাপানি কোম্পানি উপস্থিত ছিল।

স্বাস্থ্যের দুটি বড় প্রকল্প; বাস্তবায়ন কাল ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৯ সালের জুন। বিস্তারিত প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুযায়ী, মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৯ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। এত বড় প্রকল্প গ্রহণের আগে চালানো হয়নি কোনো প্রকার সমীক্ষা, এমনকি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই পর্যন্ত করা হয়নি। শুধু তা-ই নয়,
২৬ জুন ২০২৫
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে এই অনুমোদন হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
৩৯ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) এইচ এম কবির বলেন, জব্দ করা পপিবীজের বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে সাড়ে ছয় কোটি টাকার পণ্য মাত্র ৩০ লাখ টাকা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা হয়। পপিবীজ আমদানি নিষিদ্ধ হওয়ায় এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
৪২ মিনিট আগে
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, গুম কমিশনে প্রায় দুই হাজার অভিযোগ এসেছে। তবে গুমের সংখ্যা চার হাজারের মতো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুমের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রেখে গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এ সময় এই অধ্যাদেশকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।
গুম নিয়ে আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করে এটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শফিকুল আলম আরও জানান, গুম কমিশনে প্রায় দুই হাজার অভিযোগ এসেছে। তবে গুমের সংখ্যা চার হাজারের মতো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।

গুমের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রেখে গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এ সময় এই অধ্যাদেশকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।
গুম নিয়ে আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করে এটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শফিকুল আলম আরও জানান, গুম কমিশনে প্রায় দুই হাজার অভিযোগ এসেছে। তবে গুমের সংখ্যা চার হাজারের মতো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।

স্বাস্থ্যের দুটি বড় প্রকল্প; বাস্তবায়ন কাল ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৯ সালের জুন। বিস্তারিত প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুযায়ী, মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৯ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। এত বড় প্রকল্প গ্রহণের আগে চালানো হয়নি কোনো প্রকার সমীক্ষা, এমনকি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই পর্যন্ত করা হয়নি। শুধু তা-ই নয়,
২৬ জুন ২০২৫
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে এই অনুমোদন হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
৩৯ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) এইচ এম কবির বলেন, জব্দ করা পপিবীজের বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে সাড়ে ছয় কোটি টাকার পণ্য মাত্র ৩০ লাখ টাকা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা হয়। পপিবীজ আমদানি নিষিদ্ধ হওয়ায় এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
৪২ মিনিট আগে
নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাপান সফরকালে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে এক লাখ বাংলাদেশি কর্মী জাপানে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে