রোহিঙ্গা ঢলের আট বছর
মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট এবং পরের কয়েক মাসে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের এই ঢলের আট বছর হলেও একজন রোহিঙ্গাকেও স্বদেশে প্রত্যাবাসন করা সম্ভব হয়নি।
এর ওপর গত দেড় বছর রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘাতের জেরে নিরাপত্তা ও খাদ্যসংকটে পড়ে মংডু টাউনশিপ এবং আশপাশের অন্তত দেড় লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। প্রায় প্রতিদিন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এবং কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের কোনো না কোনো পথ দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে।
নতুন আসা ১ লাখ ২৪ হাজারের মতো রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শুরুতে নিবন্ধিত ৮ লাখ রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই-বাছাই করে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে সম্মতি জানায় জান্তা সরকার। জান্তা সরকারের সম্মতি থাকলেও আরাকান আর্মিই এখন প্রত্যাবাসনে বড় বাধা বলে জানান রোহিঙ্গা নেতারা। তাঁরা বলেছেন, রাখাইনের ৮৫ শতাংশ এলাকা এখন আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের জাতিগত বিরোধ রয়েছে। ফলে তাদের সম্মতি ছাড়া রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরানো সম্ভব নয়।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরে পরিবার নিয়ে পালিয়ে এসেছিলেন আবুল কাসেম (৫০)। তিনি উখিয়ার বালুখালী ১৭ নম্বর ক্যাম্পের একটি ব্লকের মাঝির দায়িত্বে আছেন। আবুল কাসেম বলেন, ‘রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। সেখানে আরাকান আর্মি হত্যা ও নির্যাতন চালাচ্ছে। যারা সেখানে আছে তারাও পালিয়ে আসছে।’ এই রোহিঙ্গা নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার আমাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে। এখানেও তো আমরা বন্দীজীবন কাটাচ্ছি।’ দীর্ঘদিন দেশে ফিরতে না পেরে তাঁদের সন্তানেরাও হতাশ বলে জানান উখিয়ার বালুখালী আশ্রয় শিবিরের আরেক মাঝি নুর মোহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের সন্তানেরা ক্যাম্পে বড় হচ্ছে। শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত। ফলে অনেকে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এই প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে আমাদের নিজভূমিতে ফিরিয়ে নিতে হবে।’ রাখাইনে নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে প্রত্যাবাসন সম্ভব নয় মন্তব্য করে এই রোহিঙ্গা নেতা বলেন, ‘আমরা সম্মানের সঙ্গে নাগরিকত্ব চাই।’
উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্পের মাঝি ছৈয়দ কাসেম বলেন, ‘আট বছর ধরে আমরা শুধু আশ্বাস শুনে যাচ্ছি। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুই করা যায়নি। এই দীর্ঘ সময়ে আমাদের সমস্যা আরও জটিল হয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন, অপরাধ ও হতাশা বেড়েছে। তাই আর দেরি না করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।’
সংকটের মধ্যেও প্রত্যাবাসনে মনোযোগ অন্তর্বর্তী সরকারের ২০২৩ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে আরাকান আর্মির যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে যাওয়ার পর রাখাইনের রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত টাউনশিপগুলোয় হামলা শুরু হয়। হামলার মুখে আবারও রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। এর মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যেকোনো সময় তারা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। ১৭ আগস্ট ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাবিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের (এনটিএফ) এক সভায় বিষয়টি জানানো হয়।
আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিচ অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মো. জুবায়ের বলেন, আরাকান আর্মি জাতিগত নিধন চালাচ্ছে। রাখাইনে এখনো ৩ লাখের মতো রোহিঙ্গা আছে। তারা চরম খাদ্য ও নিরাপত্তাসংকটে পড়েছে। নির্যাতনের ভয়ে তারা বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না।
কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা-সংকট দিন দিন প্রকট হচ্ছে। তারা মাদক ও মানব পাচার, অপহরণ, হত্যাসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থার পরিবর্তনে প্রত্যাবাসনের বিকল্প নেই।
গত ১৪ মার্চ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে নিয়ে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেছিলেন। ওই দিন প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে তাঁরা ইফতারে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের ওই সফরের পর রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরার বিষয়টি নানা পর্যায়ে আলোচনায় এসেছে।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার এবং অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন ও সহায়তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিক মহলে মনোযোগ বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। কক্সবাজারে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন তারই একটি অংশ। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা-সংকটের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও দাতাগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের সহায়তায় এগিয়ে এলেও বৈশ্বিক নানা সমস্যার কারণে মনোযোগ হারিয়েছে। এখন সরকার মনোযোগ বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে।
এদিকে রোহিঙ্গা ঢলের আট বছর পূর্তিতে আজ উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। নতুন ও পুরোনো মিলিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির এবং নোয়াখালীর ভাসানচরে অন্তত ১৪ লাখ রোহিঙ্গা গাদাগাদি করে বসবাস করছে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট এবং পরের কয়েক মাসে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের এই ঢলের আট বছর হলেও একজন রোহিঙ্গাকেও স্বদেশে প্রত্যাবাসন করা সম্ভব হয়নি।
এর ওপর গত দেড় বছর রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘাতের জেরে নিরাপত্তা ও খাদ্যসংকটে পড়ে মংডু টাউনশিপ এবং আশপাশের অন্তত দেড় লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। প্রায় প্রতিদিন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এবং কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের কোনো না কোনো পথ দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে।
নতুন আসা ১ লাখ ২৪ হাজারের মতো রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শুরুতে নিবন্ধিত ৮ লাখ রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই-বাছাই করে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে সম্মতি জানায় জান্তা সরকার। জান্তা সরকারের সম্মতি থাকলেও আরাকান আর্মিই এখন প্রত্যাবাসনে বড় বাধা বলে জানান রোহিঙ্গা নেতারা। তাঁরা বলেছেন, রাখাইনের ৮৫ শতাংশ এলাকা এখন আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের জাতিগত বিরোধ রয়েছে। ফলে তাদের সম্মতি ছাড়া রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরানো সম্ভব নয়।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরে পরিবার নিয়ে পালিয়ে এসেছিলেন আবুল কাসেম (৫০)। তিনি উখিয়ার বালুখালী ১৭ নম্বর ক্যাম্পের একটি ব্লকের মাঝির দায়িত্বে আছেন। আবুল কাসেম বলেন, ‘রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। সেখানে আরাকান আর্মি হত্যা ও নির্যাতন চালাচ্ছে। যারা সেখানে আছে তারাও পালিয়ে আসছে।’ এই রোহিঙ্গা নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার আমাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে। এখানেও তো আমরা বন্দীজীবন কাটাচ্ছি।’ দীর্ঘদিন দেশে ফিরতে না পেরে তাঁদের সন্তানেরাও হতাশ বলে জানান উখিয়ার বালুখালী আশ্রয় শিবিরের আরেক মাঝি নুর মোহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের সন্তানেরা ক্যাম্পে বড় হচ্ছে। শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত। ফলে অনেকে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এই প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে আমাদের নিজভূমিতে ফিরিয়ে নিতে হবে।’ রাখাইনে নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে প্রত্যাবাসন সম্ভব নয় মন্তব্য করে এই রোহিঙ্গা নেতা বলেন, ‘আমরা সম্মানের সঙ্গে নাগরিকত্ব চাই।’
উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্পের মাঝি ছৈয়দ কাসেম বলেন, ‘আট বছর ধরে আমরা শুধু আশ্বাস শুনে যাচ্ছি। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুই করা যায়নি। এই দীর্ঘ সময়ে আমাদের সমস্যা আরও জটিল হয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন, অপরাধ ও হতাশা বেড়েছে। তাই আর দেরি না করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।’
সংকটের মধ্যেও প্রত্যাবাসনে মনোযোগ অন্তর্বর্তী সরকারের ২০২৩ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে আরাকান আর্মির যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে যাওয়ার পর রাখাইনের রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত টাউনশিপগুলোয় হামলা শুরু হয়। হামলার মুখে আবারও রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। এর মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যেকোনো সময় তারা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। ১৭ আগস্ট ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাবিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের (এনটিএফ) এক সভায় বিষয়টি জানানো হয়।
আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিচ অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মো. জুবায়ের বলেন, আরাকান আর্মি জাতিগত নিধন চালাচ্ছে। রাখাইনে এখনো ৩ লাখের মতো রোহিঙ্গা আছে। তারা চরম খাদ্য ও নিরাপত্তাসংকটে পড়েছে। নির্যাতনের ভয়ে তারা বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না।
কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা-সংকট দিন দিন প্রকট হচ্ছে। তারা মাদক ও মানব পাচার, অপহরণ, হত্যাসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থার পরিবর্তনে প্রত্যাবাসনের বিকল্প নেই।
গত ১৪ মার্চ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে নিয়ে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেছিলেন। ওই দিন প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে তাঁরা ইফতারে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের ওই সফরের পর রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরার বিষয়টি নানা পর্যায়ে আলোচনায় এসেছে।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার এবং অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন ও সহায়তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিক মহলে মনোযোগ বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। কক্সবাজারে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন তারই একটি অংশ। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা-সংকটের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও দাতাগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের সহায়তায় এগিয়ে এলেও বৈশ্বিক নানা সমস্যার কারণে মনোযোগ হারিয়েছে। এখন সরকার মনোযোগ বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে।
এদিকে রোহিঙ্গা ঢলের আট বছর পূর্তিতে আজ উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। নতুন ও পুরোনো মিলিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির এবং নোয়াখালীর ভাসানচরে অন্তত ১৪ লাখ রোহিঙ্গা গাদাগাদি করে বসবাস করছে।
রোহিঙ্গা ঢলের আট বছর
মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট এবং পরের কয়েক মাসে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের এই ঢলের আট বছর হলেও একজন রোহিঙ্গাকেও স্বদেশে প্রত্যাবাসন করা সম্ভব হয়নি।
এর ওপর গত দেড় বছর রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘাতের জেরে নিরাপত্তা ও খাদ্যসংকটে পড়ে মংডু টাউনশিপ এবং আশপাশের অন্তত দেড় লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। প্রায় প্রতিদিন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এবং কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের কোনো না কোনো পথ দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে।
নতুন আসা ১ লাখ ২৪ হাজারের মতো রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শুরুতে নিবন্ধিত ৮ লাখ রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই-বাছাই করে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে সম্মতি জানায় জান্তা সরকার। জান্তা সরকারের সম্মতি থাকলেও আরাকান আর্মিই এখন প্রত্যাবাসনে বড় বাধা বলে জানান রোহিঙ্গা নেতারা। তাঁরা বলেছেন, রাখাইনের ৮৫ শতাংশ এলাকা এখন আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের জাতিগত বিরোধ রয়েছে। ফলে তাদের সম্মতি ছাড়া রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরানো সম্ভব নয়।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরে পরিবার নিয়ে পালিয়ে এসেছিলেন আবুল কাসেম (৫০)। তিনি উখিয়ার বালুখালী ১৭ নম্বর ক্যাম্পের একটি ব্লকের মাঝির দায়িত্বে আছেন। আবুল কাসেম বলেন, ‘রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। সেখানে আরাকান আর্মি হত্যা ও নির্যাতন চালাচ্ছে। যারা সেখানে আছে তারাও পালিয়ে আসছে।’ এই রোহিঙ্গা নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার আমাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে। এখানেও তো আমরা বন্দীজীবন কাটাচ্ছি।’ দীর্ঘদিন দেশে ফিরতে না পেরে তাঁদের সন্তানেরাও হতাশ বলে জানান উখিয়ার বালুখালী আশ্রয় শিবিরের আরেক মাঝি নুর মোহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের সন্তানেরা ক্যাম্পে বড় হচ্ছে। শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত। ফলে অনেকে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এই প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে আমাদের নিজভূমিতে ফিরিয়ে নিতে হবে।’ রাখাইনে নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে প্রত্যাবাসন সম্ভব নয় মন্তব্য করে এই রোহিঙ্গা নেতা বলেন, ‘আমরা সম্মানের সঙ্গে নাগরিকত্ব চাই।’
উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্পের মাঝি ছৈয়দ কাসেম বলেন, ‘আট বছর ধরে আমরা শুধু আশ্বাস শুনে যাচ্ছি। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুই করা যায়নি। এই দীর্ঘ সময়ে আমাদের সমস্যা আরও জটিল হয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন, অপরাধ ও হতাশা বেড়েছে। তাই আর দেরি না করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।’
সংকটের মধ্যেও প্রত্যাবাসনে মনোযোগ অন্তর্বর্তী সরকারের ২০২৩ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে আরাকান আর্মির যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে যাওয়ার পর রাখাইনের রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত টাউনশিপগুলোয় হামলা শুরু হয়। হামলার মুখে আবারও রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। এর মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যেকোনো সময় তারা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। ১৭ আগস্ট ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাবিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের (এনটিএফ) এক সভায় বিষয়টি জানানো হয়।
আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিচ অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মো. জুবায়ের বলেন, আরাকান আর্মি জাতিগত নিধন চালাচ্ছে। রাখাইনে এখনো ৩ লাখের মতো রোহিঙ্গা আছে। তারা চরম খাদ্য ও নিরাপত্তাসংকটে পড়েছে। নির্যাতনের ভয়ে তারা বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না।
কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা-সংকট দিন দিন প্রকট হচ্ছে। তারা মাদক ও মানব পাচার, অপহরণ, হত্যাসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থার পরিবর্তনে প্রত্যাবাসনের বিকল্প নেই।
গত ১৪ মার্চ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে নিয়ে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেছিলেন। ওই দিন প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে তাঁরা ইফতারে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের ওই সফরের পর রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরার বিষয়টি নানা পর্যায়ে আলোচনায় এসেছে।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার এবং অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন ও সহায়তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিক মহলে মনোযোগ বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। কক্সবাজারে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন তারই একটি অংশ। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা-সংকটের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও দাতাগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের সহায়তায় এগিয়ে এলেও বৈশ্বিক নানা সমস্যার কারণে মনোযোগ হারিয়েছে। এখন সরকার মনোযোগ বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে।
এদিকে রোহিঙ্গা ঢলের আট বছর পূর্তিতে আজ উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। নতুন ও পুরোনো মিলিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির এবং নোয়াখালীর ভাসানচরে অন্তত ১৪ লাখ রোহিঙ্গা গাদাগাদি করে বসবাস করছে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট এবং পরের কয়েক মাসে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের এই ঢলের আট বছর হলেও একজন রোহিঙ্গাকেও স্বদেশে প্রত্যাবাসন করা সম্ভব হয়নি।
এর ওপর গত দেড় বছর রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘাতের জেরে নিরাপত্তা ও খাদ্যসংকটে পড়ে মংডু টাউনশিপ এবং আশপাশের অন্তত দেড় লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। প্রায় প্রতিদিন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এবং কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের কোনো না কোনো পথ দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে।
নতুন আসা ১ লাখ ২৪ হাজারের মতো রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শুরুতে নিবন্ধিত ৮ লাখ রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই-বাছাই করে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে সম্মতি জানায় জান্তা সরকার। জান্তা সরকারের সম্মতি থাকলেও আরাকান আর্মিই এখন প্রত্যাবাসনে বড় বাধা বলে জানান রোহিঙ্গা নেতারা। তাঁরা বলেছেন, রাখাইনের ৮৫ শতাংশ এলাকা এখন আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের জাতিগত বিরোধ রয়েছে। ফলে তাদের সম্মতি ছাড়া রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরানো সম্ভব নয়।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরে পরিবার নিয়ে পালিয়ে এসেছিলেন আবুল কাসেম (৫০)। তিনি উখিয়ার বালুখালী ১৭ নম্বর ক্যাম্পের একটি ব্লকের মাঝির দায়িত্বে আছেন। আবুল কাসেম বলেন, ‘রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। সেখানে আরাকান আর্মি হত্যা ও নির্যাতন চালাচ্ছে। যারা সেখানে আছে তারাও পালিয়ে আসছে।’ এই রোহিঙ্গা নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার আমাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে। এখানেও তো আমরা বন্দীজীবন কাটাচ্ছি।’ দীর্ঘদিন দেশে ফিরতে না পেরে তাঁদের সন্তানেরাও হতাশ বলে জানান উখিয়ার বালুখালী আশ্রয় শিবিরের আরেক মাঝি নুর মোহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের সন্তানেরা ক্যাম্পে বড় হচ্ছে। শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত। ফলে অনেকে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এই প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে আমাদের নিজভূমিতে ফিরিয়ে নিতে হবে।’ রাখাইনে নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে প্রত্যাবাসন সম্ভব নয় মন্তব্য করে এই রোহিঙ্গা নেতা বলেন, ‘আমরা সম্মানের সঙ্গে নাগরিকত্ব চাই।’
উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্পের মাঝি ছৈয়দ কাসেম বলেন, ‘আট বছর ধরে আমরা শুধু আশ্বাস শুনে যাচ্ছি। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুই করা যায়নি। এই দীর্ঘ সময়ে আমাদের সমস্যা আরও জটিল হয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন, অপরাধ ও হতাশা বেড়েছে। তাই আর দেরি না করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।’
সংকটের মধ্যেও প্রত্যাবাসনে মনোযোগ অন্তর্বর্তী সরকারের ২০২৩ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে আরাকান আর্মির যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে যাওয়ার পর রাখাইনের রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত টাউনশিপগুলোয় হামলা শুরু হয়। হামলার মুখে আবারও রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। এর মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যেকোনো সময় তারা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। ১৭ আগস্ট ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাবিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের (এনটিএফ) এক সভায় বিষয়টি জানানো হয়।
আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিচ অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মো. জুবায়ের বলেন, আরাকান আর্মি জাতিগত নিধন চালাচ্ছে। রাখাইনে এখনো ৩ লাখের মতো রোহিঙ্গা আছে। তারা চরম খাদ্য ও নিরাপত্তাসংকটে পড়েছে। নির্যাতনের ভয়ে তারা বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না।
কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা-সংকট দিন দিন প্রকট হচ্ছে। তারা মাদক ও মানব পাচার, অপহরণ, হত্যাসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থার পরিবর্তনে প্রত্যাবাসনের বিকল্প নেই।
গত ১৪ মার্চ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে নিয়ে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেছিলেন। ওই দিন প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে তাঁরা ইফতারে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের ওই সফরের পর রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরার বিষয়টি নানা পর্যায়ে আলোচনায় এসেছে।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার এবং অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন ও সহায়তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিক মহলে মনোযোগ বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। কক্সবাজারে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন তারই একটি অংশ। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা-সংকটের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও দাতাগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের সহায়তায় এগিয়ে এলেও বৈশ্বিক নানা সমস্যার কারণে মনোযোগ হারিয়েছে। এখন সরকার মনোযোগ বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে।
এদিকে রোহিঙ্গা ঢলের আট বছর পূর্তিতে আজ উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। নতুন ও পুরোনো মিলিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির এবং নোয়াখালীর ভাসানচরে অন্তত ১৪ লাখ রোহিঙ্গা গাদাগাদি করে বসবাস করছে।

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
২৩ মিনিট আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
৯ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট এবং পরের কয়েক মাসে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের এই ঢলের আট বছর হলেও একজন রোহিঙ্গাকেও স্বদেশে প্রত্যাবাসন করা সম্ভব হয়নি।
২৫ আগস্ট ২০২৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
৯ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট এবং পরের কয়েক মাসে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের এই ঢলের আট বছর হলেও একজন রোহিঙ্গাকেও স্বদেশে প্রত্যাবাসন করা সম্ভব হয়নি।
২৫ আগস্ট ২০২৫
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
২৩ মিনিট আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট এবং পরের কয়েক মাসে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের এই ঢলের আট বছর হলেও একজন রোহিঙ্গাকেও স্বদেশে প্রত্যাবাসন করা সম্ভব হয়নি।
২৫ আগস্ট ২০২৫
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
২৩ মিনিট আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এরপর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কুশল-বিনিয়ম করেন। নিরাপত্তা ও বিভিন্ন ধরনের সহায়তার জন্য এ সময় তিনি সরকারপ্রধানের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কথোপকথনে তারেককে বলতে শোনা যায়, ‘জি জি...আমার জন্য আমার...জি জি...আপনার শরীর কেমন আছে?’
...
‘হ্যাঁ, দোয়া করবেন, দোয়া করবেন।’ ...
‘আমি আমার পক্ষ থেকে এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনি আপনার পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম আয়োজন করেছেন, বিশেষ করে আমার নিরাপত্তার জন্য। অ্যান্ড উই আর থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ...থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ। সব রকম আয়োজনের জন্য।’
...
‘নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই। জি নিশ্চয়ই...ইনশাল্লাহ...ইনশাল্লাহ।’
ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
এরপরই তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু ফুলের মালা পরিয়ে জামাতাকে বরণ করেন নেন। নাতনি জাইমাকেও আদর করতে দেখা যায়। তারেক রহমান এ সময় তাঁর পাশে কিছু সময় বসে থাকেন। এরপর বেলা ১২টা ২০ মিনিটে তারেক রহমানে স্ত্রী ও তাঁর মেয়ে সাদা রঙের একটি জিপ গাড়িতে উঠে বসেন।
দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে তারেক রহমান বেলা ১২টা মিনিটে ৩২ মিনিটে লাল সবুজ রঙে একটি বুলেটপ্রুফ বাসে উঠেন। ২ মিনিট পরে বাসটি বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফিটের সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যেতে শুরু করে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এরপর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কুশল-বিনিয়ম করেন। নিরাপত্তা ও বিভিন্ন ধরনের সহায়তার জন্য এ সময় তিনি সরকারপ্রধানের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কথোপকথনে তারেককে বলতে শোনা যায়, ‘জি জি...আমার জন্য আমার...জি জি...আপনার শরীর কেমন আছে?’
...
‘হ্যাঁ, দোয়া করবেন, দোয়া করবেন।’ ...
‘আমি আমার পক্ষ থেকে এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনি আপনার পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম আয়োজন করেছেন, বিশেষ করে আমার নিরাপত্তার জন্য। অ্যান্ড উই আর থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ...থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ। সব রকম আয়োজনের জন্য।’
...
‘নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই। জি নিশ্চয়ই...ইনশাল্লাহ...ইনশাল্লাহ।’
ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
এরপরই তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু ফুলের মালা পরিয়ে জামাতাকে বরণ করেন নেন। নাতনি জাইমাকেও আদর করতে দেখা যায়। তারেক রহমান এ সময় তাঁর পাশে কিছু সময় বসে থাকেন। এরপর বেলা ১২টা ২০ মিনিটে তারেক রহমানে স্ত্রী ও তাঁর মেয়ে সাদা রঙের একটি জিপ গাড়িতে উঠে বসেন।
দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে তারেক রহমান বেলা ১২টা মিনিটে ৩২ মিনিটে লাল সবুজ রঙে একটি বুলেটপ্রুফ বাসে উঠেন। ২ মিনিট পরে বাসটি বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফিটের সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যেতে শুরু করে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট এবং পরের কয়েক মাসে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের এই ঢলের আট বছর হলেও একজন রোহিঙ্গাকেও স্বদেশে প্রত্যাবাসন করা সম্ভব হয়নি।
২৫ আগস্ট ২০২৫
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
২৩ মিনিট আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
৯ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১১ ঘণ্টা আগে