নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হাফ পাস ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে বাধ্য হয়েছিল সড়ক প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এত দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো দাবি ঠিকমতো বাস্তবায়িত হয়নি। এমনকি এখনো সব বাসে হাফ পাস নেওয়া হচ্ছে না। আবার সিটিংয়ের নামে ওয়েবিল চালু রেখে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। তাই বিনা শর্তে বাসে সারা বছর হাফ পাসসহ সব দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বনানীর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ের সামনে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের (নিসআ) ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে এসব দাবি জানান।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের (নিসআ) সদস্য ও সাধারণ শিক্ষার্থী মহিদুল ইসলাম দাউদ বলেন, ‘দেশের যে ব্যবস্থা, তাতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেউ নিরাপদে নেই। আমাদের পরিবার সব সময় উদ্বিগ্ন থাকে কখন দুর্ঘটনার সংবাদ আসে। নিরাপদ সড়কসহ আমাদের দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এখন পর্যন্ত কোনো দাবির সঠিক বাস্তবায়ন পর্যন্ত হয়নি। সারা দেশে সব গণপরিবহন বাস-ট্রেন-লঞ্চ এবং আসন্ন মেট্রোরেলে সব সময় হাফ ভাড়া নিতে হবে। কিন্তু তা নেওয়া হয় না। সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাসে হাফ ভাড়া নেওয়া হয়। কিন্তু অন্যান্য সময় শিক্ষার্থীদের কি কাজ থাকে না?’
মহিদুল ইসলাম দাউদ আরও বলেন, ‘সরকার মালিক-শ্রমিক ও ছাত্রজনতাকে এমন একপর্যায়ে দাঁড় করিয়েছে, নিজেরা নীরব ভূমিকা পালন করছে, যেখানে ছাত্রসমাজ ও মালিক-শ্রমিক একে অপরের বিপরীত দলে পরিণত হয়েছে, যার কারণে প্রতিনিয়ত শ্রমিক-ছাত্র সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটছে। একা একজন ছাত্রকে পেলে পরিবহন শ্রমিকদের খারাপ ব্যবহারের জের ধরে পরে ছাত্রদের পাল্টা পেশিশক্তি দেখানো এখন নিত্যকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা কখনোই সুফল বয়ে আনবে না এবং সমস্যার পরিপূরণ সমাধানও করবে না।’
এ সময় শিক্ষার্থীরা সিটিং-ওয়েবিলের নামে অবৈধ পন্থায় বাড়তি ভাড়া প্রত্যাহার, সড়কে আহত-নিহতদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতকরণসহ ৯ দফার পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তাদের দাবিগুলো আবারও তুলে ধরেন এবং বিআরটিএ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।
তাদের ৯ দফা দাবিগুলো হলো:
১. দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে শিক্ষার্থীসহ সব সড়ক হত্যার বিচার করতে হবে এবং পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
২. ঢাকাসহ সারা দেশে সব গণপরিবহনে (সড়ক, নৌ, রেল ও মেট্রোরেল) শিক্ষার্থীদের হাফ পাস নিশ্চিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
৩. গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং জনসাধারণের চলাচলের জন্য যথাস্থানে ফুটপাত, ফুটওভারব্রিজ বা বিকল্প নিরাপত্তাব্যবস্থা দ্রুততর সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে।
৪. সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সব যাত্রী এবং পরিবহন শ্রমিকের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।
৫. পরিকল্পিত বাসস্টপেজ ও পার্কিং স্পেস নির্মাণ এবং সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। (এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে)।
৬. দ্রুত বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ও যথাযথ তদন্তসাপেক্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের দায়ভার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা মহলকে নিতে হবে।
৭. বৈধ ও অবৈধ যানবাহনচালকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বৈধতার আওতায় আনতে হবে এবং বিআরটিএর সব কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
৮. আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঢাকাসহ সারা দেশে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অবিলম্বে স্বয়ংক্রিয় ও আধুনিকায়ন এবং পরিকল্পিত নগরায়ণ নিশ্চিত করতে হবে।
৯. ট্রাফিক আইনের প্রতি জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
হাফ পাস ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে বাধ্য হয়েছিল সড়ক প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এত দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো দাবি ঠিকমতো বাস্তবায়িত হয়নি। এমনকি এখনো সব বাসে হাফ পাস নেওয়া হচ্ছে না। আবার সিটিংয়ের নামে ওয়েবিল চালু রেখে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। তাই বিনা শর্তে বাসে সারা বছর হাফ পাসসহ সব দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বনানীর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ের সামনে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের (নিসআ) ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে এসব দাবি জানান।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের (নিসআ) সদস্য ও সাধারণ শিক্ষার্থী মহিদুল ইসলাম দাউদ বলেন, ‘দেশের যে ব্যবস্থা, তাতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেউ নিরাপদে নেই। আমাদের পরিবার সব সময় উদ্বিগ্ন থাকে কখন দুর্ঘটনার সংবাদ আসে। নিরাপদ সড়কসহ আমাদের দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এখন পর্যন্ত কোনো দাবির সঠিক বাস্তবায়ন পর্যন্ত হয়নি। সারা দেশে সব গণপরিবহন বাস-ট্রেন-লঞ্চ এবং আসন্ন মেট্রোরেলে সব সময় হাফ ভাড়া নিতে হবে। কিন্তু তা নেওয়া হয় না। সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাসে হাফ ভাড়া নেওয়া হয়। কিন্তু অন্যান্য সময় শিক্ষার্থীদের কি কাজ থাকে না?’
মহিদুল ইসলাম দাউদ আরও বলেন, ‘সরকার মালিক-শ্রমিক ও ছাত্রজনতাকে এমন একপর্যায়ে দাঁড় করিয়েছে, নিজেরা নীরব ভূমিকা পালন করছে, যেখানে ছাত্রসমাজ ও মালিক-শ্রমিক একে অপরের বিপরীত দলে পরিণত হয়েছে, যার কারণে প্রতিনিয়ত শ্রমিক-ছাত্র সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটছে। একা একজন ছাত্রকে পেলে পরিবহন শ্রমিকদের খারাপ ব্যবহারের জের ধরে পরে ছাত্রদের পাল্টা পেশিশক্তি দেখানো এখন নিত্যকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা কখনোই সুফল বয়ে আনবে না এবং সমস্যার পরিপূরণ সমাধানও করবে না।’
এ সময় শিক্ষার্থীরা সিটিং-ওয়েবিলের নামে অবৈধ পন্থায় বাড়তি ভাড়া প্রত্যাহার, সড়কে আহত-নিহতদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতকরণসহ ৯ দফার পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তাদের দাবিগুলো আবারও তুলে ধরেন এবং বিআরটিএ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।
তাদের ৯ দফা দাবিগুলো হলো:
১. দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে শিক্ষার্থীসহ সব সড়ক হত্যার বিচার করতে হবে এবং পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
২. ঢাকাসহ সারা দেশে সব গণপরিবহনে (সড়ক, নৌ, রেল ও মেট্রোরেল) শিক্ষার্থীদের হাফ পাস নিশ্চিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
৩. গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং জনসাধারণের চলাচলের জন্য যথাস্থানে ফুটপাত, ফুটওভারব্রিজ বা বিকল্প নিরাপত্তাব্যবস্থা দ্রুততর সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে।
৪. সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সব যাত্রী এবং পরিবহন শ্রমিকের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।
৫. পরিকল্পিত বাসস্টপেজ ও পার্কিং স্পেস নির্মাণ এবং সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। (এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে)।
৬. দ্রুত বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ও যথাযথ তদন্তসাপেক্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের দায়ভার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা মহলকে নিতে হবে।
৭. বৈধ ও অবৈধ যানবাহনচালকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বৈধতার আওতায় আনতে হবে এবং বিআরটিএর সব কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
৮. আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঢাকাসহ সারা দেশে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অবিলম্বে স্বয়ংক্রিয় ও আধুনিকায়ন এবং পরিকল্পিত নগরায়ণ নিশ্চিত করতে হবে।
৯. ট্রাফিক আইনের প্রতি জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
দেশে এক শর মতো শিল্পে নেই ন্যূনতম মজুরিকাঠামো। এখনো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাননি অনেক খাতের শ্রমিকেরা। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ৮৫ শতাংশ শ্রমিকেরই নেই আইনি সুরক্ষা। পর্যাপ্ত মাতৃত্বকালীন ছুটি পান না নারী শ্রমিকেরা। ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের স্বাধীনতা, শ্রমিক সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য
২ ঘণ্টা আগেআজ মহান মে দিবস। বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের ঐতিহাসিক দিন আজ। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হচ্ছে আজ। এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়বো এ দেশ নতুন করে’।
২ ঘণ্টা আগেদেশের ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির আওতাধীন জেলাগুলোয় বিদ্যুৎ আইনে অপরাধের বিচারে আদালত রয়েছে মাত্র ১৯টি। সব জেলায় আদালত না থাকায় এক জেলার গ্রাহকদের মামলাসংক্রান্ত কাজে যেতে হচ্ছে অন্য জেলায়। আদালতের সংখ্যা কম থাকায় ভুগতে হচ্ছে মামলাজটে। সমস্যার সমাধানে আদালতের সংখ্যা বাড়াতে সম্প্রতি আইন...
৩ ঘণ্টা আগেসরকারি চাকরির নিয়োগপ্রক্রিয়া সহজ করতে ১০-১২তম গ্রেডের নিয়োগে অপেক্ষমাণ তালিকা রাখা বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে সরকার। প্রতিটি পদের বিপরীতে দুজন প্রার্থীকে অপেক্ষমাণ রাখা হবে। মূল তালিকা থেকে কেউ চাকরিতে যোগ না দিলে বা যোগ দেওয়ার পর কেউ চাকরি ছাড়লে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই তালিকার মেয়াদ
৩ ঘণ্টা আগে