Ajker Patrika

১২ দেশ নিয়ে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা

ফিচার ডেস্ক
১২ দেশ  নিয়ে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা

‘১৩তম বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার ২০২৫’ শুরু হচ্ছে ৩০ অক্টোবর থেকে। বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। এতে অংশ নিচ্ছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটানসহ ১২টি দেশের পর্যটনসংশ্লিষ্ট সংস্থা, ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টরা।

টোয়াবের পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) মো. তাসলিম আমিন শোভন বলেন, এবারের মেলা আগের বছরের তুলনায় অনেক আকর্ষণীয় এবং জাঁকজমকপূর্ণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মেলায় পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটানের জাতীয় পর্যটন সংস্থা এবং ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন অংশ নিচ্ছে। এ ছাড়া থাকছে পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন ও তুরস্কের ট্যুর অপারেটর এবং ট্রাভেল এজেন্টরা।

এবারের মেলায় ৪টি হলে ২০টি প্যাভিলিয়নসহ ২২০টি স্টল থাকবে। থাকবে সাইড লাইন ইভেন্ট হিসেবে বিটুবি সেশন, সেমিনার ও কান্ট্রি প্রেজেন্টেশন। এ ছাড়া মেলায় আসা দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন সাংস্কৃতিক আয়োজন এবং দেশের পর্যটন গন্তব্যের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে।

টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন হলো টোয়াব। ২০০৭ সাল টোয়াব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় পর্যটন মেলা বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার আয়োজন করে আসছে। পর্যটন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং এর টেকসই উন্নয়ন এই মেলার প্রধান উদ্দেশ্য।’

রাফেউজ্জামান আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এবারের পর্যটন মেলা ব্যবসায়ী, দেশি-বিদেশি পর্যটক এবং পর্যটনশিল্পসংশ্লিষ্ট সবার মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। এই মেলা বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পের প্রসার ঘটাবে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা। তবে শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা ও জুলাই যোদ্ধারা বিনা মূল্যে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শসার ৬টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

ফিচার ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

শসাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। এটি ফল নাকি সবজি, সে বিতর্ক করাই যায়। কিন্তু এর যে উপকারী দিক আছে, তা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। শসা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে।

শসার প্রায় ৯৬ শতাংশ পানি। এর সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে এটি খোসাসহ খাওয়া উচিত। খোসা ছাড়ালে আঁশ, সেই সঙ্গে কিছু ভিটামিন ও খনিজের পরিমাণও কমে যায়। শসায় উপকারী পুষ্টি ও নির্দিষ্ট উদ্ভিদ যৌগ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা কিছু রোগ নিরাময় ও প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। এতে ক্যালরি কম থাকে। এ ছাড়া এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে পানি ও দ্রবণীয় আঁশ। শসার এ সব উপাদান শরীর হাইড্রেটেড রাখতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।

পুষ্টিতে ভরপুর শসা

খোসা না ছাড়ানো, কাঁচা ৩০০ গ্রাম শসাতে মোটামুটি যা থাকে, সেগুলো হলো,
উপাদানপরিমাণ
ক্যালোরি৪৫
মোট চর্বি ০.৩ গ্রাম০.৩ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট১১ গ্রাম
প্রোটিন২ গ্রাম
ফাইবার (আঁশ)১.৫ গ্রাম
ভিটামিন সি৮ গ্রাম
ভিটামিন কে৪৯ মাইক্রোগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম৩৯ মাইক্রোগ্রাম
পটাসিয়াম৪৪২ মিলিগ্রাম
ম্যাঙ্গানিজ০.২ মিলিগ্রাম

উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলো এমন অণু যা অক্সিডেশনকে বাধা দেয়। যেটি মূলত ফ্রি র‍্যাডিক্যালস নামে পরিচিত অত্যন্ত প্রতিক্রিয়াশীল পরমাণু তৈরি করে। শরীরে এই ক্ষতিকারক ফ্রি র‍্যাডিক্যালস জমা হলে বিভিন্ন ধরণের দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা তৈরি করতে পারে। সেগুলোর মধ্যে আছে ক্যানসার, হৃদ্‌রোগ, ফুসফুসের রোগ এবং অটোইমিউন রোগ। শসাসহ বিভিন্ন ফল ও সবজিতে উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে, যা এই অবস্থার ঝুঁকি কমাতে পারে। একটি টেস্ট-টিউব গবেষণায় দেখা গেছে, শসাতে ফ্ল্যাভোনয়েডস ও ট্যানিন রয়েছে, যা ক্ষতিকারক ফ্রি র‍্যাডিক্যালসগুলোকে আটকাতে বিশেষভাবে কার্যকর।

পানির ভারসাম্য তৈরি করতে সাহায্য করে

পানি শরীরের কার্যকারিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং বর্জ্য ও পুষ্টি পরিবহনের মতো অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। পানির ভারসাম্য শারীরিক কর্মক্ষমতা থেকে শুরু করে বিপাক পর্যন্ত সবকিছুকে প্রভাবিত করতে পারে। মানুষ মূলত পানি বা অন্যান্য পানীয় পান করে তরলের বেশির ভাগ প্রয়োজন মেটায়। তবে খাদ্য থেকে মানুষ প্রায় ৪০ শতাংশ পানি পেতে পারে। ফল ও সবজি খাদ্যে পানির একটি ভালো উৎস। শসায় থাকে প্রায় ৯৬ শতাংশ পানি। তাই এটি কার্যকরভাবে শরীরে পানির ভারসাম্য রাখতে এবং দৈনন্দিন তরলের চাহিদা মেটাতে সহায়তা করতে পারে।

pexels-catscoming-406152

ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে

শসা কয়েকটি ভিন্ন উপায়ে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। এতে ক্যালরি কম থাকে। প্রতিটি ১০৪ গ্রাম শসায় থাকে প্রায় ১৬ ক্যালরি। এর অর্থ হলো ওজন বাড়ার চিন্তা না করে প্রচুর পরিমাণে শসা খাওয়া যায়। শসা সালাদ, স্যান্ডউইচ এবং অন্যান্য খাবারে সতেজতা ও স্বাদ যোগ করে। এটি উচ্চ-ক্যালরিযুক্ত খাবারের বদলে ব্যবহার করা যেতে পারে। শসার উচ্চ জলীয় উপাদান ওজন কমাতে সাহায্য করে। বেশি পানি ও কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেলে শরীরের ওজন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায় বলে এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে।

রক্তে শর্করা কমাতে সাহায্য করতে পারে

বিভিন্ন প্রাণী ও টেস্ট-টিউব গবেষণায় দেখা গেছে যে, শসা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এবং ডায়াবেটিসের কিছু জটিলতা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। প্রাণীর ওপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, শসার খোসার নির্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করেছে। এ ছাড়া, একটি টেস্ট-টিউব গবেষণায় দেখা গেছে, শসা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে এবং ডায়াবেটিস-সম্পর্কিত জটিলতাগুলো প্রতিরোধে কার্যকর হতে পারে। তবে, মানুষের রক্তে শসা কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে তা নির্ধারণের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।

পেট ভালো রাখতে সহায়তা করে

পানিশূন্যতা কোষ্ঠকাঠিন্যের একটি প্রধান ঝুঁকি। কারণ এটি পানির ভারসাম্যে পরিবর্তন আনে এবং মলত্যাগ কঠিন করে তোলে। শসাতে জলীয় অংশ বেশি এবং এটি হাইড্রেশনকে উৎসাহিত করে। হাইড্রেটেড থাকলে মলের ধারাবাহিকতা উন্নত হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ ও নিয়মিত হয়। এ ছাড়া, শসাতে আঁশ থাকে, যা মলত্যাগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বিশেষ করে, শসায় পাওয়া দ্রবণীয় আঁশ পেকটিন অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং মলত্যাগের হার বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

সূত্র: হেলথলাইন ও ইভিএনএক্সপ্রেস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দিনে দুবার ব্রাশ করাই দাঁতের সুরক্ষায় সেরা উপায় নয়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ২৫
দিনে দুবার ব্রাশ করাই দাঁতের সুরক্ষায় সেরা উপায় নয়

প্রতিদিন দুবার দাঁত ব্রাশ করা যেন দাঁতের সুরক্ষায় প্রধান কাজ। শিশু বয়স থেকে এই নিয়ম মেনে চলার জন্য বলা হয়। কিন্তু আসলেই দাঁতের সুরক্ষায় দুই বেলা দাঁত ব্রাশ করাই কার্যকরী সমাধান? ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহামের ডেন্টিস্ট্রি স্কুলের চিকিৎসক প্রবীণ শর্মা বললেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, নিয়মিত দাঁতের চিকিৎসকের কাছে যাওয়া যেমন জরুরি, তেমনি আরও কিছু অভ্যাস বদলালেই দাঁতের স্বাস্থ্য অনেকটা উন্নত হতে পারে।

ডা. প্রবীণ শর্মা আরও জানান, অধিকাংশ প্রাপ্তবয়স্কদের জীবনের কোনো না কোনো সময়ে মাড়ির রোগ হয় এবং প্রাথমিক লক্ষণ হলো মাড়ি থেকে রক্তপাত। তিনি বলেন, ‘যদি আপনার মাড়ি থেকে রক্তপাত হয় বা মাড়ি ফোলা থাকে, তবে এটি থেকে বুঝতে হবে যে আপনাকে আরও ভালোভাবে ব্রাশ করতে হবে।’

বিবিসির ‘হোয়াটস আপ ডকস’ পডকাস্টে ডা. প্রবীণ শর্মা এমন চারটি প্রচলিত দাঁতের যত্নের ধরন তুলে ধরেন, যা আমরা প্রায় সবাই করি এবং সেগুলো ভুল।

১. দিনে দুবার তাড়াহুড়োয় দাঁত ব্রাশ করার চেয়ে ভালোমতো একবার ব্রাশ করা ভালো

দাঁতের যত্নের সবচেয়ে পরিচিত নিয়ম হলো, দিনে দুবার দাঁত মাজতে হবে।

তবে ডা. শর্মার মতে, আসল বিষয় হলো গুণগত মান, সংখ্যা নয়। অর্থাৎ দাঁত যদি একবারও মাজেন, তবে মনোযোগ দিয়ে, সঠিকভাবে ও পর্যাপ্ত সময় নিয়ে মাজেন, সেটি তাড়াহুড়ো করে দুবার মাজার চেয়ে অনেক বেশি উপকারী।

তিনি বলেন, ‘সময় পেলে অবশ্যই দিনে দুবার দাঁত মাজা ভালো। কিন্তু তাড়াহুড়ো করে দুবার মাজার চেয়ে একবার মনোযোগ দিয়ে ভালোভাবে মাজাই অনেক বেশি কার্যকর।’

যদি কেউ দিনে একবারই দাঁত মাজেন, তবে রাতে শোয়ার আগে মাজাই সবচেয়ে ভালো সময় বলে তিনি পরামর্শ দেন। সঙ্গে ফ্লস করা বা দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবার পরিষ্কার করাও জরুরি।

দাঁতের যত্নে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করা জরুরি। ছবি: পেক্সেলস
দাঁতের যত্নে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করা জরুরি। ছবি: পেক্সেলস

অবশ্য অনেকেই ফ্লস করতে পছন্দ করেন না। তবে ডা. শর্মার মতে, ইন্টারডেন্টাল ব্রাশ, বিশেষ করে রাবার দিয়ে তৈরি ছোট ব্রাশগুলো ব্যবহার করলে কাজটা সহজ হয় এবং দাঁতের ফাঁক পরিষ্কার করতে ব্যথাও কম লাগে।

প্রতিটি দাঁতের বাইরের, কামড়ানোর ও ভেতরের দিক এই তিনটি অংশই সমানভাবে পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

ডা. শর্মা অতিরিক্ত চাপ না দিয়ে প্রতিটি অংশে ছোট ছোট ঘূর্ণায়মান (circular) গতিতে ব্রাশ চালাতে পরামর্শ দেন। তিনি আরও বলেন, দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থলে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। কারণ, মাড়ির রোগ সাধারণত এখান থেকেই শুরু হয়।

আর ডা. জ্যান্ডে বলেন, দাঁত মাজার সময় ‘ব্রাশের রোয়া বা ব্রিসলের ছোঁয়া অনুভব করার দিকে মনোযোগ দিন।’ তিনি বলেন, ‘এটি এমন একটি কাজ যা মনোযোগের সঙ্গে করতে হয়। মোবাইলে স্ক্রল করতে করতে নয়।’

দাঁতের যত্নে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করা জরুরি। ছবি: পেক্সেলস
দাঁতের যত্নে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করা জরুরি। ছবি: পেক্সেলস

২. নাশতার পর নয়, নাশতার আগে দাঁত মাজুন

অনেকেই নাশতা শেষ করে দাঁত মাজেন। কিন্তু এতে দাঁতের এনামেল বা বাহ্যিক আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ডা. শর্মা বলেন, ‘দাঁত মাজা উচিত নাশতার আগে। খাবারের অম্লীয় (acidic) উপাদান খাওয়ার পরই ব্রাশ করতে চাওয়া উচিত নয়।’

তিনি আরও বলেন, যদি নাশতার পরেই ব্রাশ করতে চান, তাহলে অন্তত কিছু সময় বিরতি দিন। কারণ, ফলের রস, কফি ইত্যাদিতে থাকা অ্যাসিড দাঁতের এনামেলকে নরম করে ফেলে, আর খাওয়ার পরপরই ব্রাশ করলে তা সহজেই ঘষে উঠে যেতে পারে।

ডা. ক্রিসের পরামর্শ, নাশতা শেষে মুখ পানি দিয়ে ভালোভাবে কুলি করুন, এতে অ্যাসিড কিছুটা দূর হবে। এরপর অন্তত ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে দাঁত মাজলে ক্ষতির ঝুঁকি অনেক কমে যাবে।

৩. দাঁত মাজার পর মুখ ধোবেন না!

দাঁত মাজার পর থুতু ফেলে সঙ্গে সঙ্গে মুখ কুলি করেন বা গার্গল করে ফেলি আমরা। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধাপটি না করাই ভালো।

ডা. শর্মা বলেন, ‘থুতু ফেলুন, কিন্তু মুখ ধুবেন না। কারণ, কুলি করলে টুথপেস্টে থাকা ফ্লোরাইডের ঘন স্তর ধুয়ে যায়, যা দাঁতের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’

অর্থাৎ অতিরিক্ত টুথপেস্ট ফেলে দিন, কিন্তু মুখ ধুয়ে ফেলবেন না। এতে টুথপেস্টে থাকা পাতলা ফ্লোরাইডের আস্তরণ দাঁতের ওপর থেকে যাবে এবং আরও দীর্ঘ সময় ধরে দাঁতকে সুরক্ষা দেবে।

৪. দামি টুথপেস্ট মানেই ভালো নয়

বাজারে এখন নানা ধরনের টুথপেস্ট পাওয়া যায়। কারও দাবি দাঁত ফর্সা করে, কেউ আবার বলে এনামেল মজবুত করে বা চারকোল দিয়ে পরিষ্কার রাখে। এতে অনেকেই ধরে নেন, দামি টুথপেস্ট মানেই কার্যকর।

কিন্তু ডা. শর্মার মতে, টুথপেস্টের ব্র্যান্ড বা দাম নয়, মূল বিষয় হলো একটি উপাদান। সেটি হলো ফ্লোরাইড।

তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ আপনার টুথপেস্টে ফ্লোরাইড আছে, ততক্ষণ ব্র্যান্ড বা দামের তেমন পার্থক্য নেই।’

নিজের অভ্যাসের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি সাধারণত যেটা সস্তা বা অফারে পাওয়া যায়, সেটাই কিনি।’

ফ্লোরাইড দাঁতের এনামেলকে সুরক্ষা দেয় এবং পচন (decay) রোধ করে। দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

অতএব, দাঁত ব্রাশ করায় মনোযোগ দিন। কয়বার ব্রাশ করলেন বা কত দামি টুথপেস্ট দিয়ে তার চেয়ে বেশি জরুরি মনোযোগ দিয়ে সঠিকভাবে ব্রাশ করা। এতে দাঁত থাকবে সুস্থ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তরুণ প্রজন্মের নিরীক্ষামূলক পোশাকে টেরাকোটা

নাহিন আশরাফ 
মডেল: নিধি ও জুঁই পোশাক নকশা: আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া ফ্যাশন ডিরেকশন: ফারদিন বায়জিদ  মেকআপ: মারুফ মুন্না। ছবি: আব্দুল্লাহ্ আল রায়হান
মডেল: নিধি ও জুঁই পোশাক নকশা: আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া ফ্যাশন ডিরেকশন: ফারদিন বায়জিদ মেকআপ: মারুফ মুন্না। ছবি: আব্দুল্লাহ্ আল রায়হান

বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে রয়েছে টেরাকোটা বা পোড়ামাটির গল্প। বহু আগে থেকে বাংলার মাটিতে মসজিদ, মন্দির ও গৃহসজ্জায় দেখা যায় টেরাকোটার ব্যবহার। প্রাচীনকালের সেই মসজিদ ও মন্দির থেকে উঠে আসা টেরাকোটা জায়গা করে নেয় ফ্যাশন দুনিয়ায়। খুব অল্প সময়ে নতুন প্রজন্মের কাছে এর নকশা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রাচীন কিছু স্থাপনায় টেরাকোটার ব্যবহার দেখা যায়। সেগুলোর মধ্যে রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবাড়ী ও বাঘা মসজিদ, দিনাজপুরের কান্তজিউ মন্দির ও নয়াবাদ মসজিদ, যশোরের চাঁচড়া শিবমন্দির, কুমিল্লার শালবন বিহার ও জগন্নাথ মন্দির এবং নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুরের প্রাচীন স্থাপনায় টেরাকোটার নিদর্শন পাওয়া যায়। এগুলো মূলত এই অঞ্চলে টেরাকোটা শিল্পের প্রাচীনতম নিদর্শন। মাটি ও আগুনের সহায়তায় সৃজনশীল মানুষ আজ থেকে কয়েক শ বছর আগে এসব শিল্পের চর্চা করত।

ফ্যাশনে এই টেরাকোটা এখন অনন্য ট্রেন্ড। তরুণেরা বিভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে এটি নিয়ে কাজ করছেন। দীর্ঘদিন রোদে পুড়ে এবং বৃষ্টিতে ভিজে টেরাকোটাসমৃদ্ধ স্থাপনাগুলো যে রং ধারণ করেছে, বর্তমান সময়ের ডিজাইনাররা পোশাকের রঙের ক্ষেত্রে তাকে বেছে নিচ্ছেন। শুধু তা-ই নয়, নকশাকারেরা টেরাকোটায় ব্যবহার হওয়া বিভিন্ন জ্যামিতিক প্যাটার্ন ও মোটিফ ব্যবহার করছেন পোশাকের নকশা করার কাজে। কখনো সেগুলোর সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছেন নিজের চিন্তাভাবনা।

বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পের বিভিন্ন মোটিফ নানাভাবে পোশাকে তুলে ধরার চেষ্টা করে চলেছেন বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজির স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া। তিনি এর আগে ক্লাবহাউস নামের একটি ফ্যাশন হাউসের ডিজাইনার ছিলেন। আব্দুল্লাহ জানান, তাঁর নিরীক্ষামূলক পোশাকের ডিজাইনের অনুপ্রেরণা হিসেবে ছিল রাজশাহীর বাঘা মসজিদ ও দিনাজপুরের কান্তজিউ মন্দির।

ধর্মীয় এই স্থাপনাগুলো ইতিহাস, সংস্কৃতি ও নান্দনিকতার বড় উদাহরণ। বাঘা মসজিদের দেয়াল ও দরজায় পোড়ামাটির ফুল, লতাপাতা, আরবি ক্যালিগ্রাফি ও জ্যামিতিক নকশার নিখুঁত কারুকাজ দেখা যায়। আবার কান্তজিউ মন্দিরে রয়েছে রামায়ণ, মহাভারত, কৃষ্ণলীলা, বিভিন্ন পুরাণ কাহিনিসহ ফুল ও লতাপাতার নকশা।

এই দুইয়ের মিশ্রণে আব্দুল্লাহ তৈরি করেছেন টেরাকোটাকেন্দ্রিক নকশা ও রঙের পোশাক। টেরাকোটার রঙের সঙ্গে পোশাক আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে তিনি ব্যবহার করেছেন হাতে আঁকা মাটির মোটিফ, ব্লক প্রিন্ট, টেরাকোটা টেক্সচার এমব্রয়ডারি, জামদানির নকশা ইত্যাদি। এ ছাড়া পোশাকে অ্যাকসেসরিজ হিসেবে যোগ করা হয়েছে নানান লেইস, কোকোনাট বাটন, টারসেল ইত্যাদি।

মডেল: নিধি ও জুঁই পোশাক নকশা: আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া ফ্যাশন ডিরেকশন: ফারদিন বায়জিদ  মেকআপ: মারুফ মুন্না। ছবি: আব্দুল্লাহ্ আল রায়হান
মডেল: নিধি ও জুঁই পোশাক নকশা: আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া ফ্যাশন ডিরেকশন: ফারদিন বায়জিদ মেকআপ: মারুফ মুন্না। ছবি: আব্দুল্লাহ্ আল রায়হান

আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, নতুন প্রজন্মের কথা বিবেচনায় রেখে মূলত তিনি এসব পোশাকের নকশা করেছেন, যাতে আধুনিকতার পাশাপাশি এই প্রজন্মের তরুণেরা নিজেদের ঐতিহ্যকেও ভালো করে চিনতে এবং জানতে পারেন।

তরুণ প্রজন্মের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পোড়ামাটির উষ্ণ বাদামি-কমলা রঙের টোন এখন জিনস, জ্যাকেট, স্কার্ট কিংবা গাউনে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। শাড়ি, কুর্তি, সালোয়ার কামিজে যেমন টেরাকোটার বিভিন্ন অনুষঙ্গের ছোঁয়া আছে, তেমনি আছে ওয়েস্টার্ন পোশাকে। আব্দুল্লাহর আশা, শাড়ি কিংবা সালোয়ার-কামিজের মতো দেশীয় পোশাকে টেরাকোটার নকশা ও অন্যান্য বিষয় যেমন সবাই গ্রহণ করে নিয়েছিল, ওয়েস্টার্ন পোশাকে এর উপস্থিতিকেও মানুষ তেমন আপন করে নেবে। ফরমাল কিংবা ক্যাজুয়াল—সব ধরনের লুকের সঙ্গে এ ধরনের নকশা মানিয়ে যায়। তা ছাড়া গায়ের

রং যেমনই হোক না কেন, টেরাকোটার রং প্রায় সব ধরনের ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে যায় বলে স্বচ্ছন্দে এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে যে কেউ চাইলে এ ধরনের নকশার পোশাক ব্যবহার করতে পারে।

টেরাকোটার এই বিশেষ কালেকশনের নাম দেওয়া হয়েছে ক্লে স্টোন। আগামী প্রজন্ম যাতে আধুনিকতার পাশাপাশি নিজের শিকড়কে ভুলে না যায়, তাই এ ধরনের পোশাক তৈরিতে আগ্রহ আব্দুল্লাহ ভুঁইয়ার।

হারিয়ে যাওয়া মসজিদ কিংবা মন্দির থেকে টেরাকোটা যখন উঠে আসে আধুনিক ফ্যাশনে, তখন নতুন করে পুরোনো গল্প প্রাণ পায়। আব্দুল্লাহ ভুঁইয়া পোশাকে সে গল্পই শোনাতে চান এই প্রজন্মের মানুষদের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ৩৯
আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

মেষ

আজ কর্মক্ষেত্রে আপনার কাঁধে নতুন দায়িত্ব চাপানো হতে পারে। এটা আসলে ‘ভবিষ্যতের জন্য লাভজনক’ কম, আর বসের ‘সবচেয়ে বিরক্তিকর কাজটা আপনাকে দিয়ে করিয়ে নেওয়ার’ সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বেশি। খরচ করার আগে আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। বিশেষ করে মধ্যরাতে অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপে ‘আমি তো শুধু দেখছিলাম’ বলে অর্ডার দেওয়ার মারাত্মক প্রবণতা আজ রাশ টেনে ধরুন। আপনার পকেটের গ্রহরা আজ হরতাল ডেকেছে।

বৃষ

পরিশ্রমের ফল আজ আপনি মনে হয় সঠিকভাবেই পাবেন! অর্থাৎ, এত দিন যে উপেক্ষিত হয়েছেন, তার একটা ক্ষীণ হলেও ফল মিলবে। আর্থিক দিকটা মোটামুটি ভালো, কিন্তু শনিদেব ফিসফিস করে বলছেন, ‘বড় বিনিয়োগ? ওহ, প্লিজ! আরও কয়েকটা বছর ইএমআই দিতে থাকুন, তারপর দেখা যাবে।’ মজুত মালের দাম বাড়ার যোগ রয়েছে—তাই ফ্রিজের ভেতরের পুরোনো আচারটা আজ ফেলবেন না, ওটাই আপনার ভবিষ্যৎ সম্পদ।

মিথুন

যদি একটু বুদ্ধি খাটাতে পারেন, সৌভাগ্য আজ পিছে-পিছে ঘুরবে। তবে যে বুদ্ধিটা খাটাবেন, সেটা যেন লটারির টিকিট কাটার বুদ্ধি না হয়! সৃষ্টিশীল কাজে অগ্রগতি লক্ষ করা যাচ্ছে, মানে আপনার বহুদিনের জমে থাকা আর্ট প্রজেক্টে আজ একটা লাইন বেশি আঁকা হতে পারে। তবে আজকের দিনে কারও গাড়িতে চাপার সাহস দেখাবেন না—কারণ রাশি বলছে, আজকের ‘অরা’ গাড়ির টায়ার পাংচার করার জন্য যথেষ্ট।

কর্কট

আজ সারা দিনটা আত্মবিশ্বাসী থাকবেন। আয়নায় নিজেকে দেখতে দেখতে নিজেই প্রেমে পড়ে যেতে পারেন। যদি জীবনে প্রেম আসে, তবে তাকে সাদরে গ্রহণ করুন, কিন্তু প্রেমপত্রটা যেন মেসেঞ্জারে না দিয়ে হাতে লেখা হয়—গ্রহরা আজও রোম্যান্টিক জিনিস পছন্দ করে। শিক্ষকদের জন্য দিনটি খুব শুভ। তবে কোনো উঁচু জায়গায় ওঠা থেকে বিরত থাকুন। সিঁড়ি, মই, এমনকি আপনার ‘উঁচু ভাবনার ঘোড়া’—সবকিছু থেকেই দূরে থাকুন।

সিংহ

সৌভাগ্য আজ দরজায় কড়া নাড়বে, কিন্তু সিংহমশাই, ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাটা সৌভাগ্যের চেয়ে শক্তিশালী। সাবধানে থাকবেন, নইলে নিজের হাতেই সব ভেস্তে যেতে পারে। ভাইবোনেরা যদি কোনো আবদার করে, দয়া করে ফিরিয়ে দেবেন না—কারণ ফিরিয়ে দিলে তারা যে মহাভারত শুরু করবে, তাতে আজকের শান্ত দিনটা কুরুক্ষেত্রে পরিণত হবে।

কন্যা

আজ প্রোডাকটিভিটি স্বাভাবিকের চেয়ে ধীর হবে। চাইবেন কাজ করতে, কিন্তু মস্তিষ্ক বলবে, ‘আগে সোশ্যাল মিডিয়ার নোটিফিকেশনগুলো শেষ করি।’ অপ্রত্যাশিত কিছু সমস্যা পরিকল্পনাকে বিলম্বিত করতে পারে। চিন্তা নেই, পরিকল্পনা ভন্ডুল করার মধ্যেই তো জীবনের মজা! আত্মসমীক্ষা করুন—হয়তো জীবনের একমাত্র সমস্যা হলো, আপনি নিজেকে নিয়ে বেশি ভাবেন।

তুলা

আজ ক্যারিয়ারে কিছু ব্যর্থতার অভিজ্ঞতা হতে পারে। ভয় পাবেন না, সব ব্যর্থতার দায়ভার গ্রহদের ওপর চাপিয়ে দিন। বন্ধু-বান্ধবদের বাড়িতে আজ অতিথি সমাগমের যোগ! তারা কাছে এসে কফি খাবে, গল্প করবে, আর বাড়িতে টিভির রিমোটটা লুকিয়ে রেখে চলে যাবে। শুধু সেই দায়িত্বগুলোই নিন, যেগুলো আপনি চোখ বন্ধ করে করতে পারবেন—যেমন, রিমোটটা খোঁজা।

বৃশ্চিক

কর্ম নিয়ে মনে চিন্তা থাকলেও, কর্মসংক্রান্ত কোনো ঝামেলা হবে না। ঝামেলা হবে আপনার কথা বলা নিয়ে। যাঁরা খুব বেশি কথা বলেন, তাঁরা হালকা রাশ টানুন! আপনার জিভ আজ বিষাক্ত সাপের মতো—কখন কাকে ছোবল দেবে, বোঝা মুশকিল। বরং ঘরের আসবাব কেনার দিকে মন দিন। অন্তত নতুন সোফা আপনার অতিরিক্ত বকবকানি শুনে বিরক্ত হবে না।

ধনু

জমি বা বাড়ি কেনার ইচ্ছা থাকলে আজ কিনুন। গ্রহ বলছে, আজ কেনার যোগ দারুণ! তবে কেনার আগে নিশ্চিত হোন যে, আপনি গুগল ম্যাপে বাড়ির আসল ঠিকানা দিচ্ছেন—পাশের বাড়িরটা নয়। যদি টাকা কোথাও আটকে থাকে, তবে তা পুনরুদ্ধার হতে পারে। যারা টাকা নিয়েছিল, তারা হয়তো আপনার ক্রমাগত তাগাদার ভয়ে শেষমেশ বিরক্ত হয়ে ফেরত দেবে।

মকর

আজকের দিনটি আপনার জন্য অনুকূল হবে। আর্থিক পরিস্থিতি শক্তিশালী হবে। অর্থাৎ, মানিব্যাগ খুলে একটা ৫০০ টাকার নোট দেখতে পেতে পাবেন, যেটা আপনার মনেই ছিল না। প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমন শিক্ষার্থীরা আজ মনোযোগ দিন। অন্যথায়, ভাগ্য আপনাকে নিয়ে একটা মজার কবিতা লিখে দেবে। টিমওয়ার্কের মাধ্যমে কাজ করার সুযোগ আসবে। সাবধান! টিমওয়ার্কে আপনার পুরো ক্রেডিট যেন অন্য কেউ নিয়ে না যায়।

কুম্ভ

আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে, আজ বন্ধুকে দেওয়া ধার যেন ভুলে না যান! পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন পাবেন। নতুন অতিথির আগমনের যোগ রয়েছে—নতুন অতিথি মানে হয়তো কোনো দূর সম্পর্কের খালা বা চাচি, যিনি বাড়িতে এসে আপনার ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড চাইবেন। নিজেকে একটু সময় দিন। অন্যথায়, এত সুযোগের ভিড়ে কোনটা ছেড়ে কোনটা ধরবেন, সেটা নিয়েই বিভ্রান্ত হবেন।

মীন

আপনার বিচক্ষণ সিদ্ধান্তগুলোই আজ উপকারে আসবে। অপরিচিতদের বিশ্বাস করবেন না। বিশেষ করে, যে লোকটা আপনাকে এসে বলবে, ‘আমি আপনার পুরোনো বন্ধু, ভুলে গেছেন?’—তাকে বিশ্বাস করবেন না। বাবা-মায়ের দোয়ায় মুলতবি কাজ সম্পন্ন হবে। ব্যবসায়ীরা দিনটিকে লাভজনক বলে মনে করবেন। আর বিবাহিত জীবন? তা আজ সুখী হবেই হবে। কারণ, মাঝে মাঝে সুখী না হয়ে উপায় থাকে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত